আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে কোন মুসলিমের তিনটি নাবালক সন্তান মারা যাবে, তাকে আল্লাহ তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহের বরকতে জান্নাত দেবেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]
[1] সহীহুল বুখারী ১২৪৮, ১৩৮১, নাসায়ী ১৮৭৩, ইবনু মাজাহ ১৬০৫, আহমাদ ১২১২৬ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে কোন মুসলিমের তিনটি (নাবালক) সন্তান মারা যাবে, তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। কিন্তু (আল্লাহ) তাঁর কসম পূরা করার জন্য (তাদেরকে জাহান্নামের উপর পার করাবেন)।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]
আল্লাহর কসম পুরা করার ব্যাপারে তিনি বলেছেন,
﴿ وَإِن مِّنكُمۡ إِلَّا وَارِدُهَاۚ كَانَ عَلَىٰ رَبِّكَ حَتۡمٗا مَّقۡضِيّٗا ٧١ ﴾ [مريم: ٧١]
অর্থাৎ তোমাদের প্রত্যেকেই তাতে প্রবেশ করবে; এটা তোমার প্রতিপালকের অনিবার্য সিদ্ধান্ত। (সূরা মারয়্যাম ৭১ আয়াত)
আর মু’মিনদের প্রত্যেকের জাহান্নামে প্রবেশ করার অর্থ জাহান্নামের উপর স্থাপিত পুলসিরাত পার হওয়া। আল্লাহ আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন। (আমীন।)
[1] সহীহুল বুখারী ১০২, ১২৫১, ১২৫০, ৬৬৫৬, ৭৩১০, মুসলিম ২৬৩৪, নাসায়ী ১৮৭৬, ইবনু মাজাহ ১৬০৩, আহমাদ ১০৭২২, ১০৯০৩, ১১২৮৯ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন এক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কেবলমাত্র পুরুষেরাই আপনার হাদীস শোনার সৌভাগ্য লাভ করছে। সুতরাং আপনি আমাদের জন্যও একটি দিন নির্ধারিত করুন। আমরা সে দিন আপনার নিকট আসব, আপনি আমাদেরকে তা শিক্ষা দেবেন, যা আল্লাহ আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন।’ তিনি বললেন, ‘‘তোমরা অমুক অমুক দিন একত্রিত হও।’’ অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট এসে সে শিক্ষা দিলেন, যা আল্লাহ তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন। তারপর তিনি বললেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে কোন মহিলার তিনটি সন্তান মারা যাবে, তারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে আড় হয়ে যাবে।’’ এক মহিলা বলল, ‘আর দু’টি সন্তান মারা গেলে?’ তিনি বললেন, ‘‘দু’টি মারা গেলেও (তাই হবে)।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]
[1] সহীহুল বুখারী ১০২, ১২৫১, ১২৫০, ৬৬৫৬, ৭৩১০, মুসলিম ২৬৩৪, নাসায়ী ১৮৭৬, ইবনু মাজাহ ১৬০৩, আহমাদ ১০৭২২, ১০৯০৩, ১১২৮৯ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
[1] সহীহুল বুখারী ১০২, ১২৫১, ১২৫০, ৬৬৫৬, ৭৩১০, মুসলিম ২৬৩৪, নাসায়ী ১৮৭৬, ইবনু মাজাহ ১৬০৩, আহমাদ ১০৭২২, ১০৯০৩, ১১২৮৯ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
0 মন্তব্যসমূহ