১. ডঃ মরিস বুকাইলি-
“আমি যখন মূল আরবী ভাষায় কোরআন পড়তে ও পরীক্ষা করতে শুরু করি, তখন
ঐ সকল বিষয়বস্তুর একটা তালিকা প্রস্তুত করতে থাকি। এভাবে তালিকা প্রস্তুত
হয়ে যাওয়ার পর সাক্ষ্য প্রমাণ দেখে আমি স্বীকার করতে বাধ্য হই যে, কোরআনে এমন একটি বর্ণনাও নেই, আধুনিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে যার বিরোধিতা করা যেতে পারে।”
“একই নিরপেক্ষ মনোভাব বজায়
রেখে আমি ওল্ডটেস্টামেন্ট ও গসপেলের ক্ষেত্রেও একই রকম পরীক্ষা চালাই। ওল্ড
টেস্টামেন্টের ক্ষেত্রে প্রথম পুস্তক জেনেসিস শেষ করার আগেই আমি দেখতে পাই
যে সেখানে এমন সব বর্ণনা রয়েছে যা আধুনিক বিজ্ঞানের প্রমাণিত তথ্যের
সম্পূর্ণ বিপরীত।”
বিংশ শতাব্দীতে যেই ব্যক্তিটি
খ্রিস্টানদের কফিনে প্রথম পেরেক ঠুকেছিলেন তাঁর নাম ডঃ মরিস বুকাইলি।
পরীক্ষা করেন বাইবেল ও কোরআন, ভিত্তি বিজ্ঞান। পরীক্ষার ফলাফল তাঁর ভাষায় “এ দুই কিতাবের মধ্যে কোন তুলনাই হতে পারেনা”।
ফ্রান্সের এই প্রখ্যাত সার্জন ১৯৭৬ সালে প্রকাশ করেন তাঁর সেই বিখ্যাত বই,
বিশ্বে রিলেজিয়ানের ওপর লিখা বেস্ট সেলার বইদের একটি। ডাউনলোড করুন নিচের
লিংক থেকে।
২. “বলুনঃ তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ কেমন পরিণতি হয়েছিল অপরাধীদের” (সূরা নামল:৬৯) ।
অপরাধীদের
পরিণতি কোন অলিক কল্প কাহিনী নয়। কোরআনে বর্ণিত বিভিন্ন ধ্বংস প্রাপ্ত
জাতি সমূহ সম্পর্কে জানতে পড়ুন, “নূহ (আঃ) এর মহাপ্লাবন ও নিমজ্জিত
ফেরাউন।” কোন থিউরিটিক্যাল বই নয়, একেবারে প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য, ছবি
সহকারে বর্ণিত করা হয়েছে, যা লেখকের স্টাইল। আধুনিক বিশ্বে যিনি
বিবর্তনবাদীদের জন্য আতংক, ডঃ হারুন ইয়াহিয়া। ডাউনলোড করুন বাংলা অনুবাদ।
৩. ১৯৮৬
সালে ‘কিং ফয়সাল এওয়ার্ড’ লাভ করেন। মাত্র স্ট্যান্ডার্ড সিক্স পাস করা
সেই ব্যক্তি বিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেন, চ্যালেঞ্জ করেন দ্বিতীয় পোপ জন পলকে,
খোলামেলা বিতর্কের জন্য, চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সম্পূর্ণ খ্রিস্টান জাতিকে।
পোপ খোলামেলা বিতর্ক করতে রাজি হননি, রুদ্ধদার বৈঠকের আহবান করেছিলেন। বিংশ
শতাব্দীতে ‘কম্পারিটিভ রিলিজিয়ন’ নিয়ে বলতে গেলে যেই দুই’জন ব্যক্তির নাম
উচ্চারিত হয়, একজন ডঃ জাকির নায়েক এবং অন্য জন তাঁর গুরু। আগের লেখকদের মতো
তাঁর নামের সামনে “ডঃ” শব্দটি নেই। থাকার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীতে এমন কিছু
ব্যক্তি জন্মে যাদের নামের সামনে এসব ডিগ্রি লাগেনা। শেখ আহমেদ দীদাত
(রহিমাহুল্লাহ)। তাঁর রচিত কয়েকটি বইয়ের বাংলা অনুবাদ ও সংকলন ডাউনলোড
করুন।
৪. জিনদের সম্পর্কে আমার
ব্যাপক আগ্রহ। তারা কি খায়, কি পরে, তাদের সমাজ ব্যবস্থা, তাদের বংশ
বৃদ্ধি, তাদের অর্থনীতি কেমন, ইত্যাদি। কোরআনের ৭২ নং সূরার নামই ‘সূরা
জিন’। আমার মতো যারা জিন সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য, “জিন জাতির
বিষ্ময়কর ইতিহাস।” সব প্রশ্নের উত্তর না পেলেও বেশীরভাগ প্রশ্নেরই উত্তর
পাবেন জিন সম্পর্কিত। ডাউনলোড করুন।
৫. ডঃ গ্যারি মিলার এর
সেই বই, যেই বইটি আমাকে শিখিয়েছে, কোরআন কোন নম নম করার গ্রন্থ নয়, কোরআন
পড়তে হবে, বুঝতে হবে এবং কোরআন নিয়ে চিন্তা করতে হবে, “এরা কি কোরআন (ও তার
আগমন সূত্র নিয়ে চিন্তা) গবেষনা করেনা?” (সূরা নিসা:৮২)। গবেষনা করার পর
ডঃ মরিস বুকাইলি কিংবা ডঃ কিথ মুর যেটা বুঝেছিলেন আপনিও তাই বুঝবেন, “এ
কোরআন জগতসমূহের প্রতিপালকের তরফ থেকে নাযিলকৃত।” (সূরা যুখরুফ:৪৩)
৭. “ইতিহাসের
আবরণে বর্ননা করা অনেক কিছুই সত্যিকার ইতিহাস নয়। মনগড়া কাল্পনিক কথা এবং
বিদ্বেষের ছড়াছড়িতে অনেক কিছুই ইতিহাসের রুপ ধারণ করেছে এবং কালক্রমে
এগুলোই ইতিহাসের পাতায় স্থানান্তরিত হয়ে ইতিহাস নামে আমাদের চিন্তা চেতনায় স্থায়ী আসন পেতে বসেছে এবং এগুলোই আমরা ইতিহাস পড়ে বিশ্বাস করে আসছি।” – মাওলানা আবুল কালাম আযাদ
অমুসলিম ঐতিহাসিক, কবি, লেখকদের মুসলিম
বিদ্বেষী মনোভাব থেকে তৈরী করা ইতিহাসের প্রতি চ্যালেঞ্জ স্বরূপ গ্রন্থটির
নাম “চেপে রাখা ইতিহাস” লিখেছেন আল্লামা গোলাম আহমেদ মোর্তুজা। ভারত বর্ষের
সঠিক ইতিহাস জানতে পড়ুন গ্রন্থটি জানুন সঠিক ইতিহাস। ডাউনলোড করুন নিচের
লিংক থেকে।
৮. ব্যাংকিং সিস্টেমে
যুগান্তকারি পরিবর্তন এনেছে যেই ব্যবস্থা তাই ‘ইসলামিক ব্যাংকিং’ নামে সারা
বিশ্বে পরিচিত। আমাদের দেশে ইসলামি ব্যাংক (আইবিবিএল) সর্বপ্রথম এই
ব্যবস্থায় ব্যাংকিং শুরু করে। এখন প্রায় সব কমার্শিয়াল ব্যাংকেরই ইসলামিক
ব্যাংকিং উইং আছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এর তো ‘সাদিক’ নামে আলাদা
ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা-ই চালু আছে। তাই সবার জন্যই বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে
এই সিস্টেম সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা রাখা। পড়ুন “ইসলামিক ব্যাংকিং ও অর্থায়ন
পদ্ধতি; সমস্যা ও সমাধান।” বর্তমান বিশ্বের কয়েক জন ইসলামিক স্কলারদের নাম
বলতে গেলে যার নাম অবশ্যই আসবে তিনি বইটি লিখেছেন, মুফতী তাকী উসমানী।
ডাউনলোড করুন।
৯. ‘বারমুডা ট্রাইএংগেল’
এর নাম সবার জানা। কিন্তু কেউ জানেনা কী হচ্ছে সেখানে, নাকি জানতে দেয়া
হচ্ছেনা? এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন, জানবেন আরো কিছু নতুন তথ্য। “বারমুডা
ট্রাইএঙ্গেল ও দাজ্জাল” লিখেছেন মাওলানা আসেম উমর। ডাউনলোড করুন নিচের লিংক
থেকে।
১০. ডঃ জাকির নায়েক।
ইউসুফ ইসটেটস এর ভাষায় ‘সুপার কম্পিউটার’ আর আহমেদ দীদাতের ভাষায় ‘দীদাত
প্লাস’। যাই হোক, কম্পারিটিভ রিলিজিওনের ‘বস’ যাকে বলা যায়, যিনি করেছেন,
ধর্ম গ্রন্থগুলোর চুলছেরা বিশ্লেষণ, কোরআন, বাইবেল, বেদ কিছুই বাকি
রাখেননি। বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে জানতে পড়ুন –
১১. আমি কেন মুসলিম? কেন
হিন্দু? কেন বৌদ্ধ? কেন খ্রিস্টান? সংশয়ী মন সব সময় প্রশ্ন করে, আমার ধর্ম
সঠিক তো? নাকি অন্ধ বিশ্বাস? উত্তর পেতে পড়ুন, “স্রষ্টার সন্ধানে”
(সত্যাভূত সিরিজের একটি বই)। লিখেছেন মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
১২. তিনি ডান হাতে ঘড়ি
পড়েন, কারণ বাম হাতে ঘড়ি পড়া অমুসলিমদের রীতি, মুসলিমরা ভাল কাজ শুরু করে
ডান দিক থেকে। ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুবিধার্তে যেই লোকটি
আমার শিক্ষক তাঁর কথাই বলছি, ডাঃ আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্স। যারা ‘দাওয়াহ’
করতে আগ্রহী কিংবা করেন, তাদের জন্য এই বইটি, কীভাবে দাওয়াহ করবেন তার
সিস্টেম বর্ণনা করে লিখিত। লিখেছেন ডঃ বিলাল ফিলিপ্স। ডাউনলোড লিংক।
১৩. মোহাম্মদ সাঃ বলেছেন, “তোমরা আমাকে যেভাবে নামায পড়তে দেখ, সেভাবে নামায আদায় কর।” (বুখারী, আহমদ)
মোহাম্মদ সাঃ এর নামায পড়ার সঠিক পদ্ধতি,
সহীহ হাদীসের আলোকে যেই বইটি বিশ্বে সমাদৃত তা হল “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
নামায”, লিখেছেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মোহাদ্দেসদের একজন, শেখ নাসিরুদ্দিন
আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ)। এই যুগে এসেও তিনি হাদীস গুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ
যাচাই করেছেন। সহীহ হাদীস ও জাল হাদীসের সংকলন করেছেন।
১৪. “তোমাদের
জন্য অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের (জীবনের) মাঝে (অনুকরণযোগ্য) উত্তম আদর্শ
রয়েছে, (আদর্শ রয়েছে) এমন প্রতিটি ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ
পেতে আগ্রহী …” (সূরা আহযাব:২১)।
মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী নিয়ে রচিত বিশ্ব খ্যাত গ্রন্থ –
১৫. এছাড়া মির্জ গোলাম
আহমেদ এর ‘কাদিয়ানি মতবাদ’ সম্পর্কে আমার একটি ছোট্ট ই-বুক। এটিতে যুক্তি
প্রমাণ সহকারে কাদিয়ানী মতবাদের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এবং ইমাম মাহাদী ও
ঈসা (আঃ) সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।
শেষ কথা, বই গুলোর হার্ডকপি অবশ্যই সংগ্রহ করবেন, এতে লেখক, প্রকাশকরা উৎসাহ পাবে। বই কিনবেন, বন্ধুদের উপহার দিবেন।
সবশেষে সেই মহাগ্রন্থ, “যাতে কোন সন্দেহ নাই” (সূরা
বাকারাহ:২)। পিডিএফ কপি নয়, “SEARCH ABLE” কোরআন এর সফটওয়্যার। কোরআনের
আলোচিত সব টপিক ইন্ডেক্স আকারে দেয়া আছে, সাথে ঐ টপিকের ওপর যত আয়াত আছে তা
সহ, ইন্টারএকটিভ লিংক সহকারে।
সবগুলো বই একসাথে জিপ ফাইলে পেতে ক্লিক করুন (49.69MB)।
0 মন্তব্যসমূহ