◉ ঈদের নামাযের জন্য সকাল সকাল গোসল করুন। (মুয়াত্তা মালেক ৪২৮)
◉ সর্বোত্তম পোশাক পড়ুন; বৈধ সাজসজ্জা ও সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
◉ কুরবানি ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বে কিছু না খেয়ে নামায পড়তে যাওয়া সুন্নত। (কুরবানি শেষে জবাইকৃত পশুর কলিজা রান্না করে খাবেন, এর আগে কিছু না খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এটাই সুন্নত) (বুখারি ৯৫৩)
◉ নামায পড়ার জন্য তাড়াতাড়ি ঈদগাহে/মসজিদে যাবেন। (ইমামের কাছাকাছি ও প্রথম কাতারে নামায আদায় করার চেষ্টা করুন)।
◉ কষ্ট না হলে পায়ে হেঁটে ঈদের নামায পড়তে যান। (সহিহ ইবনে মাজাহ ১০৭০)
◉ ঈদের তাকবির পাঠ করুন।
◉ মসজিদ হলে বসার পূর্বে দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায পড়ুন।
◉ ঈদের নামায পড়ুন এবং খুৎবাহ শুনুন।
◉ ইমাম সাহেবের দোয়া'তে 'আমীন' বলুন।
◉ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নাম শুনে দরুদ পড়ুন।
◉ একে অপরকে ঈদ মুবারকবাদ জানান। (ফাতহুল বারি, পৃঃ ৪৪৬)
◉ ঈদের নামায পড়ে রাস্তা পরিবর্তন করে অন্য রাস্তা দিয়ে আসুন। (সহিহ ইবনে মাজাহ ১০৭০)
◉ নামায শেষে পশু জবাই করতে হবে।
◉ ধারালো ছুঁরি দিয়ে পশু যবেহ করতে হবে, যাতে পশু বেশি কষ্ট না পায়। (মুসলিম: ১৯৫৫)
◉ 'বিসমিল্লাহ' ও 'আল্লাহু আকবার' বলে যবেহ করতে হবে। (সূরা আন'আম: ১১৮; দারমী: ১৯৮৮)
◉ কুরবানির গোশত যতদিন ইচ্ছা ততদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যাবে। (বুখারি: ৫৫৬৯)
◉ কুরবানির পশুর গোশত, চামড়া, চর্বি বা অন্য কোনো কিছু বিক্রি করা জায়েয নয়। (তবে চামড়া বিক্রি করে সব টাকা গরিবদেরকে দান করতে পারেন। (সহিহ বুখারি: ১৭১৬, মুসলিম: ১৩১৭)
◉ নিজেদের কুরবানির পশু নিজে জবাই করা সুন্নত।
◉ পশুর গোশত নিজেরা খাবেন, গরিব-মিসকিনদেরকে দিবেন। আত্মীয়-স্বজনদেরকেও দিতে পারবেন।
◉ নিজে আগ্রহের সাথে গরিব-মিসকিনদের কাছে গোশত পৌঁছিয়ে দিবেন।
◉ যতদিন ইচ্ছা, ততদিন গোশত জমা রাখতে পারেন।
❐ নিম্নের কাজগুলো থেকে বিরত থাকুনঃ
◉ ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম।
◉ ঈদের নামাযের আগে বা পরে ঈদের ফরয নামায ছাড়া কোনো নফল নামায নেই। (তবে মসজিদে বসার পূর্বে দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ে বসবেন)।
◉ পশুর সাথে সেলফি তুলা থেকে বিরত থাকুন।
◉ জবাই করার মুহূর্তেও কোন ধরণের ছবি তুলবেননা।
◉ ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলা-মিশা থেকে দূরে থাকুন।
◉ মহিলারা সুগন্ধি ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
◉ অ-মুসলিমদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক পরিধান থেকে দূরে থাকুন।
◉ ছেলেরা মেয়েদের আর মেয়েরা ছেলেদের বেশ ধারণ করা থেকে দূরে থাকুন।
◉ গান-বাজনা, নাটক সিনেমা থেকে দূরে থাকুন।
(সব রকম বেহায়াপনা, অশ্লীলতা হারাম কাজ থেকে দূরে থাকুন)।
◉ ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম।
◉ ঈদের নামাযের আগে বা পরে ঈদের ফরয নামায ছাড়া কোনো নফল নামায নেই। (তবে মসজিদে বসার পূর্বে দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ে বসবেন)।
◉ পশুর সাথে সেলফি তুলা থেকে বিরত থাকুন।
◉ জবাই করার মুহূর্তেও কোন ধরণের ছবি তুলবেননা।
◉ ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলা-মিশা থেকে দূরে থাকুন।
◉ মহিলারা সুগন্ধি ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
◉ অ-মুসলিমদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক পরিধান থেকে দূরে থাকুন।
◉ ছেলেরা মেয়েদের আর মেয়েরা ছেলেদের বেশ ধারণ করা থেকে দূরে থাকুন।
◉ গান-বাজনা, নাটক সিনেমা থেকে দূরে থাকুন।
(সব রকম বেহায়াপনা, অশ্লীলতা হারাম কাজ থেকে দূরে থাকুন)।
❐ তাকবির: "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহীল হামদ।" (অর্থ: আল্লাহ মহান, আল্লাহ অতিমহান, তিনি ছাড়া সত্যিকার আর কোন মা‘বুদ নেই। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান আর সমস্ত প্রশংসা শুধুমাত্র তাঁরই জন্য)।
আল্লাহ, আমাদের সবার নেক আমলগুলো কবুল করুন। আ-মীন।
লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ শরিফ সরকার
0 মন্তব্যসমূহ