জেনে নিন গীবত বা পরনিন্দা সম্পর্কে।

পরনিন্দা (গীবত )
-------------------------
আমরা জেনে না জেনে অনেক বাজে অভ্যস নিজেদের মধ্যে পুষে রাখি।
আর পরনিন্দা, অন্যের সমালোচনা করা, অন্যের দোষ খুঁজা কিন্তুু এটা ইসলামী শরীয়তে সম্পুন্ন বর্জনীয়।
যদি তা সত্যও হয়ে থাকে যা নিয়ে নিন্দনীয় ব্যক্তির অগোচরে আলোচনা করা হয়।
★আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেনঃ- "তোমরা কেউ যেন কারু অসাক্ষাতে নিন্দা না করে, তোমরা কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করে? তোমরা অবশ্যই তা ঘৃণা কর। "

★ হাদিসঃ- রাসুল ( সাঃ) বলেছেন, "তোমরা পরনিন্দা ( গীবত) হতে আত্মরক্ষা কর! কেননা পরনিন্দা ব্যাভিচারের চেয়ও জঘন্য। "

★ হাদিসঃ- রাসুল ( সাঃ) বলেছেন, " তোমরা সর্বদা গীবত থেকে বাচাঁর চেষ্টা কর। কেননা গীবতে তিনটি মারাত্মক গোনাহ রয়েছে, যথা -
১, গীবতকারী ব্যক্তির দোয়া কবুল হয় না।
২, তার কোন নেক আমল আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য হয় না।
৩, তাকে অসংখ্য গোনাহের বোঝা বহন করতে হবে। "
★ হাদিসঃ-  রাসুল ( সাঃ)  বলেছেন, " চোগলেখোর ব্যাক্তি বেহেশতে প্রবেশ করবেনা "

★ হাদিসঃ- হযরত আনাস ( রাঃ) হতে বর্নিত, রাসুল ( সাঃ)  বলেছেন,মে 'রাজের রাতে  আমি এমন কতক ব্যাক্তির কাছ দিয়ে যাচ্ছিলাম যারা নিজ নিজ চেহারা বিরাটকার ধারালো নলের আঁচড়াচ্ছিল এবং পচা লাশ খাচ্ছিল।এদের পরিচয় জানতে চাওয়া হলে জিব্রাইল ( আঃ) বলেন, "( অন্যের গীবত করে) এরা মৃত লাশের গোশত ভক্ষণ করে।"

★হাদিসঃ- হযরত কা 'ব ( রাঃ) বলেন, "আমি কোন আসমানি কিতাবে পড়েছি, পরনিন্দা বা গীবত এমন ঘৃনিত অভ্যস যে,যদি কেউ এথেকে তওবা করে মারা যায় তবুও সে সবার শেষে বেহেশতে যাবে ;আর যদি গীবতের মধ্যে লিপ্ত থেকে মৃত্য বরণ করে তাহলে সে দোজখে প্রবেশ করবে সবার আগে। "

* আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, "যে ব্যক্তিই সামনে কিংবা পেছনে অন্যের নিন্দ করবে তার জন্য ধ্বংস। "

★ হাদিসঃ- রাসূল ( সাঃ)  বলেছেন,  " কিয়ামত দিবসে গীবতকারী ব্যক্তির  মুখমন্ডল পেছনের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।"

"গীবত করা হলে প্রথমতঃ যে ব্যক্তির গীবত করা হয় তার নিকট মাফ চাইতে হবে। আর সাথে সাথে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে যাতে আল্লাহর হুকুমের নাফরমানির গুনাহ ও মাফ হয়ে যায়।তবেই পুরোপুরি মুক্তির আশা করা যেতে পারে।

হে আল্লাহ আপনি আমাদের  মনকে সকল গুনাহ থেকে এমন ভাবে ফিরিয়ে দাও যেন আর কখনও আমরা গুনাহ না করি!
আমিন!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ