#হে_বোন_তোমাকে_বলছি(৩)
#Save_Your_Husbands_From_Sin
সাধারণত আমাদের মুসলিম বোনেরা নিজের সৌন্দর্য এবং অন্যান্য গুণ দ্বারা নিজ স্বামীকে আকর্ষিত করার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজে উদাসিনতার পরিচয় দেয়। ফলে শারীরিকভাবে তারা স্বামীর নিকটবর্তী হলেও মনের দিক দিয়ে যেন অনেকটাই অনুপস্থিত।
আল্লাহ স্ত্রীকে স্বামীর জন্য পোষাক স্বরূপ সৃষ্টি করেছেন। অনেক বোনেরাই ' স্বামীর জন্য পোষাক' এই কথার মর্মার্থ গভীরভাবে উপলব্ধি করেনা।
পোষাকের একটি কাজ হল আমাদের শরীরকে আবৃত রাখা তদ্রুপ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল আমাদেরকে সুশোভিত করে উপস্থাপন করা।
একটি পোষাক যেভাবে আমাদেরকে মুড়িয়ে রাখে, একজন বোনের উচিত নিজেকে তেমনিভাবে সৌন্দর্যমন্ডিত করে নিজ স্বামীর মনোযোগকে নিজের দিকে মুড়িয়ে রাখা। বোনটির উচিত স্বামীর সকল বৈধ ইচ্ছা পুরনের মাধ্যমে তাকে বিমোহিত করে রাখা।কারণ সেই একমাত্র হালাল ব্যক্তি যার মাধ্যমে স্বামী তার মানবিক চাহিদা পূরণ করবে।
একজন বোন যদি নিতান্ত সাধারণ এবং অসুন্দর পোষাক এবং অসচেতন থাকে স্বামীর সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার বিষয়ে, ধীরেধীরে স্বামী তার মনোযোগ হারিয়ে ফেলবে স্ত্রীর থেকে। স্বামীর চক্ষুযুগল বিচরণ শুরু করবে যত্রতত্র। আর নিশ্চিত ভাবেই এই বিষাক্ত মোহিত তীর তার পবিত্র হৃদয়কে বিদ্ব করবে।
অনেক বোনদের অভিযোগ তাদের স্বামী তাদের ভালবাসেনা এবং কোন অনুভূতি নেই স্ত্রীর জন্য। বোনেরা খুব পরিতাপ করে বলে থাকে যে স্বামী নাকি একনিষ্ঠ ভাবে শুধু নিজের পরিবারের মানুষের কথাই শুনে কিন্তু নিজ স্ত্রীর কথা একটুও ভাবেনা। স্বীকার করে নিতেই হবে এই ধরনের কিছু পুরুষ আছে যাদের কোন সময় থাকেনা নিজ ভবিষ্যৎ ধারণকারী বাচ্চার মায়ের জন্য। এরা আবার স্ত্রীকে বকাঝকাতে ভাল পটুও বটে।
এই সমস্যার সবচেয়ে কার্যকর তদবির হচ্ছে বোনটির উচিত তার সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে নিজের সৌন্দর্যকে পরিস্ফুটিত করে স্বামীর মনোযোগ আকর্ষণ করে তাকে আপন মোহনিয় তীরে শিকার করা। সবসময় আল্লাহতালা প্রদত্ত সৌন্দর্যের উপর সন্তুষ্ট থাকা এবং এইটাকেই নিপুণভাবে স্বামীর সামনে উপস্থাপন করা।
এই কাজে সফল হতে পারলে অহেতুক অনেক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে।এমনকি স্বামী অনেক ভুল ত্রুটি ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবে। আর স্বামী তার মনের বিরুদ্বে কিছু করবেনা এবং পরনারীর সৌন্দর্য তাকে মোহিত করবেনা।
যদি একজন স্ত্রী তার স্বামীকে আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়, এর পরিণতি ভয়াবহ। স্বামী যখন তার কর্মস্থলে থাকেবে, আর ওখানকার কোন পরনারী যদি তাকে শুধু এই কথাটা বলে, " কি ব্যাপার? আজ বড় বিষণ্ণ দেখাচ্ছে যে! মন খারাপ?! " এই মন ভোলানো কথা শুনে যেকোনো বিবাহিত পুরুষেরও হৃদয়ের বরফ গলে যাবার উপক্রম হবে। পর্যায়ক্রমে পরনারীটি তাকে হারাম কাজের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
খুব তিতো হলেও এটা সত্য যে হয়ত রাস্তায় কোন কাননবালা অপেক্ষারত আছে পুরুষটির চেহারায় ফুটে থাকা কষ্টের ছাপ বুঝে তাকে ঘায়েল করার জন্য।ক্ষনিকের জন্য বিবেকবুদ্ধি, আকল, আল্লাহর ভয় সব ভুলে গিয়ে অদৃশ্য এক বিষাক্ত মায়াজালে আটকা পরে ভাইটি হয়ত সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ করে বসবে। নাপাকি সৌন্দর্যে মুড়ানো বিভিন্ন কৃত্রিম মেডিসিনের দ্বারা কয়েকটা আস্তরনে ঢাকা কাননবালাটির চেহারা যখন পানির স্পর্শে ফেইক সৌন্দর্য হারায়, ভাইটি হয়ত তখন আৎকে উঠবে আর আর বুঝা শুরু করবে এতক্ষন কোন মোহে মোহিত ছিল। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে ততক্ষনে।
এমন বাজে পরিস্থিতিগুলো তৈরি হতনা যদি বোনটি প্রথম থেকেই ঘরের মধ্যে উত্তম আর আকর্ষণীয় পোষাকের দ্বারা নিজেকে উপস্থাপনার বিষয়ে সচেতন থাকত।
অসংখ্য বোনের অভিজ্ঞতার আলোকে উপরের কথাগুলো বলা হয়েছে। যখন কোন বোন রুচিশীল ব্যক্তিত্ব গঠন এবং স্বামীর মনোযোগ আকর্ষণে ব্যর্থ হয়, ঐ দম্পতির বড় তিক্তো সমস্যা পাড়ি দিতে হয়।
বোনদের নিকট একান্ত অনুরোধ, যখনই নিজের স্বামীর দিকে তাকাবেন, নিজেকে একদম নববধু দুলহান ভেবেই তাকাবেন। আল্লাহ প্রদত্ত সৌন্দর্যের দ্বারা নিজ স্বামীকে মোহিত করার মত উত্তম নেক আমল করবেন। বছরের প্রতিটি দিনকেই বিবাহীত জীবনের প্রথম দিনের মতই অনুভব করবেন। এইভাবে নিজেকে সাজাতে পারলে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং অসহনীয় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবেনা।
আল্লাহ সমস্ত মুসলিম বোনদের কথাগুলো ' নারীবাদী ' ফ্লেভার মুক্ত হয়ে উপলব্ধি করার এবং নিজ জীবনে মেনে চলার তৌফিক দান করুক। আমিন।
0 মন্তব্যসমূহ