আল্লাহ তা'আলা বলেন,
) وأن هذا صرطي مستقيما فٱتبعوه ولا تتبعوا ٱلسبل فتفرق بكم عن سبيله( [الانعام: 153]
অর্থাৎ "নিশ্চয়ই এটি আমার সরল পথ। সুতরাং এরই অনুসরণ কর এবং ভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। "(সূরা আনআম 153 আয়াত)
)ومآ ءاتىكم ٱلرسول فخذوه وما نهىكم عنه فٱنتهوا ([الحشر: 7]
অর্থাৎ "আর রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক।" (সূরা হাশ্র 7 আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
) وما ينطق عن ٱلهوى 3 إن هو إلا وحي يوحى 4 ([النجم: 3, 4]
অর্থাৎ "সে মনগড়া কথাও বলে না। তা তো অহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়। "(সূরা নাজ্ম 3-4 আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
) قل إن كنتم تحبون ٱلله فٱتبعوني يحببكم ٱلله ويغفر لكم ذنوبكم ([ال عمران: 31]
অর্থাৎ "বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর। ফলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন "(সূরা আলে ইমরান 31
আয়াত)। ) من يطع ٱلرسول فقد أطاع ٱلله ومن تولى فمآ أرسلنك عليهم حفيظا 80 ([النساء: 80]
আয়াত)। ) من يطع ٱلرسول فقد أطاع ٱلله ومن تولى فمآ أرسلنك عليهم حفيظا 80 ([النساء: 80]
অর্থাৎ "যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করল।" (ঐ 80 আয়াত)
)فإن تنزعتم في شيء فردوه إلى ٱلله وٱلرسول( [النساء: 59]
قال العلماء: معناه إلى الكتاب والسنة,
অর্থাৎ "আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সে বিষয়কে আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও।" (ঐ 59 আয়াত)
সূরা মুহাম্মদ: 33 - হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।
'আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস'ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, সর্বোত্তম কালাম হল আল্লাহর কিতাব, আর সর্বোত্তম পথ নির্দেশনা হল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পথ নির্দেশনা। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল নতুনভাবে উদ্ভাবিত পন্থাসমূহ। [1]
উত্তম বাণী হল আল্লাহ তা'আলার কিতাব এবং সর্বোত্তম হিদায়াত হল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিদায়াত । নিকৃষ্ট বিষয় হলো বিদআত (দ্বীনে নতুন আবিষ্কৃত বিষয়সমূহ।) সকল বিদআতই হল পথভ্রষ্টতা। [2]
উত্তম বাণী হল আল্লাহ তা'আলার কিতাব এবং সর্বোত্তম হিদায়াত হল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিদায়াত । নিকৃষ্ট বিষয় হলো বিদআত (দ্বীনে নতুন আবিষ্কৃত বিষয়সমূহ।) সকল বিদআতই হল পথভ্রষ্টতা। [2]
সবচেয়ে উত্তম নির্দেশ হল আল্লাহ্র কিতাব এবং সর্বোত্তম পথ হল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত পথ। দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু উদ্ভাবন সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট কাজ। প্রতিটি বিদআতই ভ্রষ্টতা। [3]
অচিরেই তোমরা মারাত্নক মতভেদ লক্ষ্য করবে। তখন তোমরা আমার সুন্নাত ও হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নাত অবশ্যই অবলম্বন করবে, তা দাঁত দিয়ে শক্তভাবে কামড়ে ধরবে। অবশ্যই তোমরা বিদআত কাজ পরিহার করবে। কারণ প্রতিটি বিদআতই ভ্রষ্টতা। [4]
তোমরা আমার সুন্নত ও সুপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদ্বীনের রীতিকে আঁকড়ে ধরবে এবং তা দাঁত দিয়ে মজবূত করে ধরে থাকবে। আর তোমরা দ্বীনে নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদ'আত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা। [5]
সর্বোত্তম কালাম (কথা) হল আল্লাহ্র কালাম এবং সর্বোত্তম হিদায়াত (পথ নির্দেশ) হল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিদায়াত। শোন! তোমরা নতুনভাবে উদ্ভাবিত নিকৃষ্ট বিষয় সম্পর্কে সতর্ক থাকবে। কেননা নিকৃষ্ট কাজ হল দ্বীনের মাঝে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়। প্রতিটি নতুন নিকৃষ্ট উদ্ভাবন হচ্ছে বিদআত এবং প্রতিটি বিদআতই ভ্রষ্টতা। [6]
যে ব্যক্তি কোন বিদআতী কর্মে লিপ্ত হয় অথবা কোন বিদআতীকে আশ্রয় দেয় , তার উপর আল্লাহ, তার ফিরিশতাদের ও সমগ্র মানব জাতির লানত। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার কোন ফরয ও নফল ইবাদত কবুল করবেন না [7]।
যে ব্যক্তি কোন বিদআতীকে আশ্রয় দেয়, আল্লাহ তাকে লা'নত করেন; [8]
যে ব্যক্তি কোন বিদআতীকে আশ্রয় দেয়, আল্লাহ তাকে লা'নত করেন; [8]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু 'আনহ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,' 'যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে কোনো নতুন কিছু উদ্ভাবন করল --- যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।' '(বুখারী ও মুসলিম)
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে,' 'যে ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করল, যাতে আমাদের নির্দেশ নেই, তা বর্জনীয়।' '[9]
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে,' 'যে ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করল, যাতে আমাদের নির্দেশ নেই, তা বর্জনীয়।' '[9]
যে বিদআত করবে বা বিদআতীকে আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ্ , ফেরেশতা, মানুষ এবং সকলের লা'নাত। ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ্ তার কোন ফরজ 'আমাল এবং কোন নফল কবূল করবেন না [10]।
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু' আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, '' আমার উম্মতের সবাই জান্নাতে যাবে; কিন্তু সে নয় যে অস্বীকার করবে। '' জিজ্ঞাসা করা হল, 'হে আল্লাহর রাসূল! (জান্নাতে যেতে আবার) কে অস্বীকার করবে? ' তিনি বললেন, '' যে আমার অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে যাবে এবং যে আমার অবাধ্যতা করবে, সেই জান্নাতে যেতে অস্বীকার করবে। '' [11]
যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন । সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। [12]
[1] বুখারি 7২77
[2] (মুসলিম 1878)
[3] ইবনে মাজাহ 45,
[4] ইবনে মাজাহ 4২,
[5] আবূ দাউদ 4607, দারেমী 95
[6] ইবনে মাজাহ 46,
[7] (মুসলিম 3197)
[8] মুসলিম 4963,
[9] [বুখারী 6755,
[10] সহীহুল বুখারী ২697, মুসলিম 1718, আবূ দাউদ 4606, ইবনু মাজাহ 14, আহমাদ ২39২,
[11] সহীহুল বুখারী 7২80, মুসলিম 1835 , নাসায়ী 4193, 5510, ইবনু মাজাহ 3, আহমাদ 5311 "
[12] সূরা আন নিসা: 14
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু' আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, '' আমার উম্মতের সবাই জান্নাতে যাবে; কিন্তু সে নয় যে অস্বীকার করবে। '' জিজ্ঞাসা করা হল, 'হে আল্লাহর রাসূল! (জান্নাতে যেতে আবার) কে অস্বীকার করবে? ' তিনি বললেন, '' যে আমার অনুসরণ করবে, সে জান্নাতে যাবে এবং যে আমার অবাধ্যতা করবে, সেই জান্নাতে যেতে অস্বীকার করবে। '' [11]
যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন । সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। [12]
[1] বুখারি 7২77
[2] (মুসলিম 1878)
[3] ইবনে মাজাহ 45,
[4] ইবনে মাজাহ 4২,
[5] আবূ দাউদ 4607, দারেমী 95
[6] ইবনে মাজাহ 46,
[7] (মুসলিম 3197)
[8] মুসলিম 4963,
[9] [বুখারী 6755,
[10] সহীহুল বুখারী ২697, মুসলিম 1718, আবূ দাউদ 4606, ইবনু মাজাহ 14, আহমাদ ২39২,
[11] সহীহুল বুখারী 7২80, মুসলিম 1835 , নাসায়ী 4193, 5510, ইবনু মাজাহ 3, আহমাদ 5311 "
[12] সূরা আন নিসা: 14
0 মন্তব্যসমূহ