জিলহাজ্জ্বের_প্রথম_দশদিনের_১০টি_আমল

#জিলহাজ্জ্বের_প্রথম_দশদিনের_১০টি_আমল 

১. সামর্থ্যবান হলে হাজ্জ্বব্রত পালন করা। 

২. ক্বুরবানি করা। (ওয়ানহার)

৩. অধিক পরিমাণে আল্লাহ তায়ালার নামের যিকির জারি রাখা। 

৪. অধিক পরিমাণে নেক আমল করা। (নফল
স্বালাহ, ক্বিয়ামুল লাইল, দান-সদাক্বা ইত্যাদি)

৫. পাপের পথ না মাড়ানো। (গুনাহ বর্জন করা, জিরো টলারেন্স কায়েম করা)

৬. ক্বুরবানি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির এই দশদিন- নখ, চুলসহ শরীর থেকে কোনো কিছু কর্তন না করা। (ঈদের দিন ক্বুরবানী করার পর কর্তন করা)

৭. বেশি বেশি তাক্ববির, তাহমিদ ও তাহলিল পাঠ করা। যেমন- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। 

৮. আরাফার দিন ফজর হতে আইয়ামে তাশরিকে (ঈদের দিন ও তার পরে আরো তিন দিন) প্রতি নামাজের পর উল্লেখিত তাক্ববিরটি পাঠ করা। (আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ)।

৯. আরাফার দিনে রোজা রাখা। আল্লাহর রাসূল (সা:)  ইরশাদ করেছেন, আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি মনে করি, তার বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা #এক_বছর_পূর্বের ও #এক_বছর_পরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। 

আরাফার দিন ছাড়া প্রথম দশকের বাকী দিনগুলোতেও রোজা রাখাকে মোস্তাহাব বলেছেন ইমাম নববি (রহ.)। কেননা নফল রোজাও নেক আমলের শামিল। হাদিসে এই দশকে সাধারণভাবে নেক আমলের প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য হাদিসে স্বতন্ত্র নির্দেশ থাকায় আরাফার দিনের রোজা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। 

১০. ঈদের দিনের যাবতীয় সুন্নাহ পালনে সচেষ্ট হওয়া। 

______________________

সোনার খনি, আমলে ধনী - সুযোগ এসেছে, দিচ্ছে হাতছানি। যুবক ভাইয়েরা যারা সংগত কারণে নিক্বাহ করতে পারছেন না তারা এই স্পেশাল দিনগুলিতে সিয়াম পালন করুন। আমার মত গুনাহগার যারা আছেন তারা বেশী বেশী নেক আমল, দান-সদাক্বা, যিকির-ফিকিরে এই দিনগুলি কাটিয়ে দিন। দুস্থ, অসহায়, মাজলুম, বিপদগ্রস্ত যারা আছেন তাদের জন্য  দুয়া করার জন্য রয়েছে ফদ্বিলাতের আরাফার দিন। গুনাহ থেকে বিরত থাকার দিন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের দিন। আল্লাহর কাছে আসার দিন, জিলহাজ্জ্বের দশ দিন। দয়া করে আমলে নিন।

"আল্লাহুম্মা তাক্বাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিংকুম"

.
#এখন_সময়_তার
#ইবাদাতে_করে_যে_পার

.

______________
তথ্য ও উপাত্তসমূহ:
১. সূরা আলি ইমরান: ৯৭‍
২. সূরা আল-কাউসার ও আত-তিরমিযী
৩. সূরা হাজ্জ্ব : ২৮ (বর্ণিত আয়াতে অবশ্য নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নামের যিকির করার কথা বর্ণিত হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ তাফসিরবিদ উলামায়ে কেরামের অভিমত হলো- ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহ’ বলতে জিলহাজ্জ্বের প্রথম দশ দিনকে বুঝানো হয়েছে)
৪. সহিহ বুখারি ও মুসলিম
৫. সহিহ বুখারি ও মুসলিম
৬. সহিহ মুসলিম
৭. আবু দাউদ
৮. আবু দাউদ
৯. সহিহ মুসলিম
১০. সুন্নাহভিত্তিক আমলাদি

©রাজিব হাসান

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ