আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রকৃতিগত আচরণ (নবীগণের তরীকা) পাঁচটি অথবা পাঁচটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ, (১) খৎনা (লিঙ্গত্বক ছেদন) করা। (২) লজ্জা-স্থানের লোম কেটে পরিষ্কার করা। (৩) নখ কাটা। (৪) বগলের লোম ছিঁড়া। (৫) গোঁফ ছেঁটে ফেলা।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]
. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .......... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ জিনিস স্বভাবগত তা হলোঃ
১. খাত্না করা,
২. নাভীর নীচের চুল সাফ করা,
৩. বোগলের চুল উপড়ে ফেলা,
৪. নখ কাটা এবং
৫. গোঁপ ছোট করে ছাটা। [2]
১. খাত্না করা,
২. নাভীর নীচের চুল সাফ করা,
৩. বোগলের চুল উপড়ে ফেলা,
৪. নখ কাটা এবং
৫. গোঁপ ছোট করে ছাটা। [2]
আবূত্ তাহির ও হারামালা ইবনু ইয়াইয়া (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ফিতরাত পাঁচটি। খাতনা করা, নাভির নিচের পশম কাটা, গোঁফ ছাটা, নখ কাটা এবং বগলের পশম উপড়ে ফেলা। [3]
। আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়রা, আমর আন নাকিদ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ফিতরাত (তথা সুন্নাত) পাঁচটি অথবা ভিনি বলেছেন, পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তভুক্ত; খাতনা করা, নাভির নিচের পশম কাটা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং গোঁফ ছাঁটা। [4]
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের জন্য গোঁফ ছাটা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং নাড়ির নীচের পশম কাটার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে যে- চল্লিশ দিনের অধিক যেন না রাখি। [5]
৷আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দশটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ; (১) গোঁফ ছেঁটে ফেলা। (২) দাড়ি বাড়ানো। (৩) দাঁতন করা। (৪) নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা। (৫) নখ কাটা। (৬) আঙ্গুলের জোড়সমূহ ধোয়া। (৭) বগলের লোম তুলে ফেলা। (৮) গুপ্তা-ঙ্গের লোম পরিষ্কার করা। (৯) পানি দ্বারা ইস্তেঞ্জা (শৌচকর্ম) করা।” বর্ণনাকারী বলেন, ১০নং আচরণটি ভুলে গেছি, তবে মনে হয়, তা কুলি করা হবে। বর্ণনাকারী ওকি’ বলেন, ‘ইন্তিকাসুল মা’ মানে পানি দিয়ে ইস্তেঞ্জা করা। (মুসলিম) [6]
দাড়ি বাড়ানো মানে: তার কিছুই না কাটা। আঙ্গুলের জোড় মানে: আঙ্গুলের গাঁট।
দাড়ি বাড়ানো মানে: তার কিছুই না কাটা। আঙ্গুলের জোড় মানে: আঙ্গুলের গাঁট।
আবদুল্লাহ্ ইব্ন মাস্লামা (রহঃ) ....... আবদুল্লাহ্ ইব্ন উমার (রাঃ) থেকে নর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোঁফ ছাঁটতে এবং দাড়ি লম্বা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। [7]
মুসলিম ইব্ন ইবরাহীম (রহঃ) --- আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য চল্লিশ দিন পর-পর নাভীর নীচের চুল সাফ করার নখ কাটার, গোঁফ ছাঁটার এবং বোগলের পশম উঠিয়ে ফেলার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ জা’ফর ইব্ন সুলায়মান (রহঃ) আবূ ইমরান হতে, তিনি আনাস (রাঃ) থেকে যে সনদ বর্ণনা করেছেন। তাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম –এর নাম উল্লেখ করেননি । বরং তিনি বলেছেনঃ আমাদের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। [8]
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর।” (বুখারী, মুসলিম) [9]
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ জা’ফর ইব্ন সুলায়মান (রহঃ) আবূ ইমরান হতে, তিনি আনাস (রাঃ) থেকে যে সনদ বর্ণনা করেছেন। তাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম –এর নাম উল্লেখ করেননি । বরং তিনি বলেছেনঃ আমাদের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। [8]
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর।” (বুখারী, মুসলিম) [9]
[1] সহীহুল বুখারী ৫৮৮৯, ৫৮৯১, ৬২৯৭, মুসলিম ২৫৭, তিরমিযী ২৭৫৬, নাসায়ী ১০, ১১, ৫২২৫, আবূ দাউদ ৪১৯৮, ইবনু মাজাহ ২৯২, আহমাদ ৭০৯২, ৭২২০, ৭৭৫৪, ৯০৬৬, ৯৯৬৫, মুওয়াত্তা মালিক ১৭০৯ হাদিসের মানঃ সহিহ
[2]সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), ৪১৫০
হাদিসের মানঃ সহিহ
[3]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৯১।
হাদিসের মানঃ সহিহ
[4]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৯০
হাদিসের মানঃ সহিহ
[5]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৯২
হাদিসের মানঃ সহিহ
[6] মুসলিম ২৬১, তিরমিযী ২৭৫৭, নাসায়ী ৫০৪০-৫০৪২, আবূ দাউদ ৫৩, ইবনু মাজাহ ২৯৬, আহমাদ ২৪৫৩৯
[7]সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), ৪১৫১
[8]সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), ৪১৫২
হাদিসের মানঃ সহিহ
[9] সহীহুল বুখারী ৫৮৯৩, তিরমিযী ২৭৬৩, ২৭৬৪, মুসলিম ২৫৯, নাসায়ী ১২, ১৫, ৫০৪৫, ৫০৪৬, ৫২২৬, আবূ দাউদ ৪১৯৯, আহমাদ ৪৬৪০ হাদিসের মানঃ সহিহ
[2]সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), ৪১৫০
হাদিসের মানঃ সহিহ
[3]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৯১।
হাদিসের মানঃ সহিহ
[4]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৯০
হাদিসের মানঃ সহিহ
[5]সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪৯২
হাদিসের মানঃ সহিহ
[6] মুসলিম ২৬১, তিরমিযী ২৭৫৭, নাসায়ী ৫০৪০-৫০৪২, আবূ দাউদ ৫৩, ইবনু মাজাহ ২৯৬, আহমাদ ২৪৫৩৯
[7]সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), ৪১৫১
[8]সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), ৪১৫২
হাদিসের মানঃ সহিহ
[9] সহীহুল বুখারী ৫৮৯৩, তিরমিযী ২৭৬৩, ২৭৬৪, মুসলিম ২৫৯, নাসায়ী ১২, ১৫, ৫০৪৫, ৫০৪৬, ৫২২৬, আবূ দাউদ ৪১৯৯, আহমাদ ৪৬৪০ হাদিসের মানঃ সহিহ
0 মন্তব্যসমূহ