দ্রুত বিবাহ করতে কার্যকরি ৭ আমল

দ্রুত বিবাহ করতে কার্যকরি ৭ আমল

দ্রুত বিবাহ করতে কার্যকরি ৭ আমল 
 

ঢাকা : বিবাহ একটি সুন্নাত আমল। কে কখন বিবাহ করবে আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন। আল্লাহ তায়ালা চাইলেই সব কিছু সম্ভব।আল্লাহ তায়ালা না চাইলে কোনো কিছু সম্ভব না। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যাদের বিবাহের বয়স অতিক্রম করলেও তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারছেন না।
ছেলে বা মেয়ে বিবাহের ক্ষেত্রে তারা যদি প্রস্তাব পেয়েও তাদের বিবাহ না হয় তাহলে তাদের জন্য কার্যকরি ৭টি দোয়া আমরা আমলের জন্য উপস্থাপন করেছি।
কিছু লোক খুব ভাগ্যবান, যারা বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে তাড়াতাড়ি তাদের বিবাহও হয়ে যায়। অনেক মানুষ এমন আছে যারা প্রস্তাবের পর আর বিবাহ হয় না। আর কেউ কেউ বিবাহের প্রস্তাব না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়।
হতাশ হওয়া উচিত নয়, হতাশ হবেন না। প্রতিক্ষা করলে বিলম্বে আল্লাহ তায়ালা ভালোটা ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।কারণ আল্লাহ সবসময় আপনার জন্য সেরাটা চান।
আমরা যে ৭টি আমল উল্লেখ করছি, সবসময় নিয়ম মত তা আমল করলে আল্লাহ চাহে তো খুব শীঘ্রই একটি বিয়ের প্রস্তাব পাবেন আপনি।
১. সূরা ইয়াসিন পাঠ করা
সূরা ইয়াসিন কুরআনের অন্তর হিসেবেও পরিচিত। কারণ, তার রয়েছে সীমাহীন মর্যাদা ও বৈশিষ্ট। সূরা ইয়াসিন শীঘ্রই বিবাহ বিচ্ছেদের সাথে সম্পর্কিত সব সমস্যার সমাধান করে দেয় ।
০২. সূরা দোহা ও কাসাসের ২৪ আয়াত পাঠ
فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
সূরা কাসাসের ২৪ আয়াতে মুসা আ. এর বিশেষ আলোচনা করা হয়েছে। মূসা আ. খুব একাকী ও বিষণ্ণতা অনুভব করেছিলেন তখন তিনি এ আয়াতটি বেশি বেশি পাঠ করেছেন।
অনেক আলেমরাই এ আমলটি দিয়ে থাকেন। যদি কোনো ছেলে এই আয়াতটি ১০০ বার পাঠ করে, তাহলে শীঘ্রই তিনি তার জন্য একটি ভালো পাত্রী পাবেন বলে আশা করা যায়।
মেয়েদের সর্বোত্তম বিবাহ প্রস্তাব পেতে ফজরের নামাজে ১১ বার সূরা দোহা পাঠ করে দোয়া করা।
৩. আল্লাহ নামের জিকির
প্রথমে আমলটি করার শুরুতে ১১ বার দরুদ শরিফ পাঠ করা। তারপর ৩১৩ বার আল্লাহ শব্দটি পাঠ করা।
শেষে আবারো ১১বার দরুদ শরিফ পাঠ করা। টানা ৪১ দিন বাদ না দিয়ে এ আমলটি করতে হবে।
৪. সূরা তাওবার ১২৯ নম্বর আয়াত পাঠ করা
فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
“এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি।”
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পর এ আমলটি করতে হবে। সঙ্গে ১৯বার বিসমিল্লাহ, ১১০০ বার সুরা তাওবার ১২৯ নম্বর আয়াত পাঠ করা। এর পর ১০০বার দরুদ শরিফ পাঠ করা। শেষে ১০০বার আবারো বিসমিল্লাহ পড়তে হবে।
৫. সূরা মরিয়ম পড়া
সূরা মরিয়ম কোন এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে পড়া। যে মেয়ের বা ছেলের বিবাহ নিয়ে সমস্যা সে পড়বে বা তাদের বাবা মা পড়বে।
৬. হযরত ফাতেমা রা. তাসবিহ পাঠ করা
২ রাকাত নামাজ আদায় করে কুরআন তিলাওয়াত করে ১১ বার দরুদ শরিফ পড়বে। তারপর ফাতেমা রা. এর তাসবিহ পাঠ করবে।
ফাতেমা রা. এর তাসবিহ হলো ৩৪ বার আল্লাহ ও আকবার পড়বে। ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ পড়ে শেষে ১১বার দরুদ শরিফ পড়বে।
তারপর সুরা পাঠ করবে। প্রথমে সুরা দোহা, সুরা শুআরা, সুরা কাসাস, সুরা ইয়াসিন তারপর আবারো সুরা ‍শুআরা পাঠ করবে। উল্লেখ্য এ আমল পাত্রের পিতা -মাতা করতে পারবে বা তারা নিজেরাই।
৭. সূরা মুজাম্মিল পাঠ করা
যদি কোন মেয়ে বড় হয়ে যায়, কোন বিয়ের প্রস্তাব না পায় তাহলে একজন মা বাবা শুক্রবার দিনে জুম্মার নামাযের পর ২ রাকাআত নামাজ আদায়ের পর সূরা মুজাম্মিলের ২১ বার পড়তে হবে।
সূত্র: দ্যা ইসলামিক ইনফরমেশন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ