পহেলা বৈশাখ পালনের নাম করে শয়তান আমাদের কতটা নিচে নামিয়েছে, পহেলা বৈশাখ পালনের নামে এর বাইরে কিছু হয় কি?

পহেলা বৈশাখ পালনের নাম করে শয়তান আমাদের কতটা নিচে নামিয়েছে, পহেলা বৈশাখ পালনের নামে এর বাইরে কিছু হয় কি?
========================= 
১- (নারি পুরুষের অবাধ মেলামেশা) যারা এটা পালন করে তারাও এটা অস্বীকার করতে পারবে না যে, এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কি অতি মাত্রায় নারি পুরুষের অবাধ মেলামেশা হয় আর এর পরিনাম কি সেটা গত বছরেই সাড়া বিশ্ব দেখেছে, সাড়া বিশ্বের সামনে ১ জন নারির বিবস্ত্র কান্না কে দেখেনি মিডিয়াতে? আমরা আমাদের মা বোনদের এমন পরিস্থিতিতে দেখতে চাই না, আসলে আল্লাহর আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালে লাঞ্ছনা ছাড়া আর কিইবা পাওয়া যায়, আল্লাহর নির্দেশ
وَقَرنَ فى بُيوتِكُنَّ وَلا تَبَرَّجنَ تَبَرُّجَ الجٰهِلِيَّةِ الأولىٰ
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে, জাহেলি যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।( সুরা-আহজাব- ৩৩)
অবশ্য এই আয়াত দেখলে কথিত প্রগতিবাদীদের গাঁ জালা করে, গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে!!! জি গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে কারণ তারা ঘরের রাণী, ইসলাম তাদের মর্যাদা দিয়েছে, তাদের খাবার, পোশাক, চিকিৎসা সমুদয় দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি দিয়ে এগুলো হয় তার বাবা নয় তার সামি আর নয়তোবা তার সন্তানের উপর আবশ্যক করে দিয়েছে যার সুফল আপনাদের কাছে দিনের আলোর মত ফুটে উঠবে যদি সৌদি আরব আর অ্যামেরিকার দিকে তাকান, আরবে আল্লাহর আইন রয়েছে বলেই পৃথিবীর সবচেয়ে কম ধর্ষণের ঘটনা সেখানে ঘটে, একেবারেই যে ঘটে না তা নয় তবে পৃথিবীর সব দেশের চেয়ে কম আর প্রগতিবাদীদের, মুখে নারি স্বাধীনতা স্লোগান উগ্রানোদের প্রিয় ভুমি অ্যামিরিকাতে ইউ এস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এর পরিসংখ্যান অনুসারে শুধু ১৯৯৬ সালেই ৩,০৭০০০ ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকৃত ঘটনার সরবচ্চ ৩১% অভিযোগ দায়ের করা হয়, তাহলে আসল সংখ্যা দারাচ্ছে ৯,৯০,৩২২টি অর্থাৎ প্রতি ৩২ সেকেন্ডে ১জন করে নারি ধর্ষিত হয়েছে তবুও এটা ১৯৯৬ সালের পরিসংখ্যান, এখন ২০১৬ তে কি অবস্থা আল্লাহই ভালো জানেন, আসলে সিগারেট সহজলভ্য করে সিগারেটের প্যাকেটে ধূমপান ক্যান্সারের কারণ লিখে রাখা আর নারি পুরুষের অবাধ মেলামেশার সুযোগ দিয়ে প্রগতিবাদীদের ইভ টিসিং, ধর্ষণ বন্ধের নামে চিৎকার করা একই ধরণের নাটক।
২- (শরীরে উল্কি আকা) রাসূল (সাঃ) পরচুলা ব্যবহারকারি এবং এ পেশা অবলম্বনকারী এবং উল্কি উৎকীর্ণকারি এবং তা গ্রহণকারী নারীদের লানত/অভিসাপ করেছেন। (বুখারি-৫৫২৩-ইসলামিক ফাউন্ডেসন)
৩- (গান বাজনা) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “অবশ্যই আমার উম্মতের মধ্যে এমন এক সম্প্রদায় হবে; যারা ব্যভিচার, (পুরুষের জন্য)রেশমবস্ত্র, মদ এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার (হারাম হওয়া সত্ত্বেও) হালাল মনে করবে”। (বুখারী-৫৫৯০, তাওহিদ পাবলিকেশন)
৪- (ছবি আকা / মূর্তি বানানো) রাসূল (সাঃ) বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা”লার পক্ষ থেকে মানুষের মদ্ধে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে ছবি অঙ্কনকারিগন। (বুখারি-৫৯৫০, তাওহিদ পাবলিকেশন)
৫- (অপচয়) আপনি নাকি অনেক জ্ঞানী, অনেক শিক্ষিত, ১টা ইলিশ কিনছেন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে, আপনি কি ভেবেছেন আপনার এই অপচয়ের হিসাব আল্লাহর কাছে দিতে হবে না? আল্লাহ তা”লা বলেন
وَءاتِ ذَا القُربىٰ حَقَّهُ وَالمِسكينَ وَابنَ السَّبيلِ وَلا تُبَذِّر تَبذيرًا
আত্মীয়-স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না। নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। (সুরা বনী ইস্রাইল-আয়াত ২৬-২৭). এছাড়াও অনেক শরিয়ত বিরোধী কাজ হয় এই বৈশাখ পালনের নাম করে, আপনি মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও কি করে আপনার পরিবারের সদস্য এমন জাহেলি কাজে জড়িত হতে পারে!!!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ