ফতোয়া নং: ৬৭৩০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমরা সহোদর তিনভাই মিলে প্রতি বছর একটি গরু কুরবানী করি।...
প্রশ্ন
আমরা সহোদর তিনভাই মিলে প্রতি বছর
একটি গরু কুরবানী করি। বড় ভাই এক ভাগ আর আমরা দুই ভাই তিন অংশ করে মোট ছয়
ভাগ নিয়েছি। আমরা দুই ভাই সমান সমান টাকা দিয়ে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু বড়ভাই
আমাদের মধ্যে তুলনামূলক অসচ্ছল হওয়ায় তিনি তার অংশের পুরো টাকা দেন না।
আমরা দুই ভাই বলেছি, আপনি যা পারেন দেন, বাকিটা আমরা দুজনে দিয়ে দিব। অবশ্য
গোশত সকলের অংশ হারেই বণ্টন করা হয়। টাকা কম-বেশির কারণে তাতে ব্যবধান করা
হয় না; বরং ধরে নেওয়া হয় যে, আমরা ছোট দুই ভাই বড় ভাইয়ের টাকার আংশিক আদায়
করে দিই। জানতে চাই, উল্লেখিত পদ্ধতিতে আমাদের কুরবানী কি সহীহ হচ্ছে?
উত্তর
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাদের
কুরবানী সহীহ হয়েছে। কেননা কোন শরীকের পক্ষ থেকে যদি আরেক শরীক কুরবানীর
টাকা আংশিক আদায় করে দেয়, আর কুরবানীতে তার অংশ একসপ্তমাংশের কম না হয়; বরং
পুরোপুরি একসপ্তমাংশ বা তার বেশি হয় তবে তাদের কুরবানী সহীহ হবে। কিন্তু ঐ
শরীকের অংশ যদি একসপ্তমাংশের কম হয় তাহলে তাদের কুরবানী সহীহ হবে না।
-ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৭৮; ইমদাদুল আহকাম ৪/২৪৯
-ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৭৮; ইমদাদুল আহকাম ৪/২৪৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৭২৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
প্রতি বছর আমরা নির্দিষ্ট পাঁচ শরিক মিলে কুরবানী করি। এ...
প্রশ্ন
প্রতি বছর আমরা নির্দিষ্ট পাঁচ শরিক
মিলে কুরবানী করি। এ বছরও কুরবানীর এক সপ্তাহ আগে ৫জন মিলে একটি গরু ক্রয়
করি। কুরবানীর আগের দিন আমাদের এক প্রতিবেশী তাতে শরিক হতে চাইলে আমরা তাকে
শরিক করে নিই। জানার বিষয় হল, এভাবে শরিক করার কারণে আমাদের কুরবানী আদায়ে
কোনো ত্রæটি হয়েছে কি না? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত অবস্থায় সকলের কুরবানী
সহীহ হয়েছে। তবে পাঁচ জনে মিলে কুরবানী দেওয়ার নিয়তে পশু ক্রয়ের পর নতুন
করে শরিক নেওয়া অনুত্তম হয়েছে। এক্ষেত্রে ঐ শরিক থেকে প্রাপ্য টাকা সদকা
করে দেওয়া উত্তম।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪১৭; মাবসূত, সারাখসী ১২/১৫
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪১৭; মাবসূত, সারাখসী ১২/১৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৭১৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমরা স্বামী-স্ত্রী হজ্ব করতে যাই। মক্কায় পৌঁছার পর ওমরার তাওয়াফ...
প্রশ্ন
আমরা স্বামী-স্ত্রী হজ্ব করতে যাই।
মক্কায় পৌঁছার পর ওমরার তাওয়াফ ও সায়ী আদায় করি। এরপর মাথা মুণ্ডিয়ে হালাল
হব। তখন আমি নিজের মাথা মুণ্ডানোর আগে আমার স্ত্রীর চুল কেটে দিই। এরপর
নিজের মাথা মুণ্ডন করি। আমার এ কাজের কারণে কি আমাকে কোনো জরিমানা আদায়
করতে হবে?
উত্তর
না, এ কারণে আপনার উপর কোনো জরিমানা
ওয়াজিব হয়নি। কেননা নিজের হালাল হওয়ার সময় হয়ে গেলে (অর্থাৎ ওমরার
ক্ষেত্রে তাওয়াফ ও সায়ীর পর এবং হজ্বের ক্ষেত্রে দমে শোকর তথা হজ্বের
কুরবানী করার পর) নিজের মাথার চুল কাটার আগে অন্যের চুল কেটে দেওয়া জায়েয
আছে। এ কারণে জরিমানা ওয়াজিব হয় না।
-মানাসিক, মোল্লা আলী আল ক্বারী পৃ. ২৩০
-মানাসিক, মোল্লা আলী আল ক্বারী পৃ. ২৩০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৭০৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমাদের গ্রামে অনেক বাড়িতে এরকম প্রচলন আছে যে, কুরবানীর সময়...
প্রশ্ন
আমাদের গ্রামে অনেক বাড়িতে এরকম
প্রচলন আছে যে, কুরবানীর সময় কসাইয়ের সাথে তারা এভাবে চুক্তি করে, এই
গরুটা বানিয়ে দিলে এত টাকা পাবা আর এত কেজি গোশত পাবা।
প্রশ্ন হল, এভাবে টাকা ও গোশতের বিনিময়ে চুক্তি করা কি বৈধ? কেউ যদি এমনটি করে তাহলে সেক্ষেত্রে তার করণীয় কী?
প্রশ্ন হল, এভাবে টাকা ও গোশতের বিনিময়ে চুক্তি করা কি বৈধ? কেউ যদি এমনটি করে তাহলে সেক্ষেত্রে তার করণীয় কী?
উত্তর
কুরবানীর পশুর গোশত বা অন্য কোনো
অংশ পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া বৈধ নয়। সহীহ মুসলিমে আলী রা. থেকে বর্ণিত
আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আদেশ
করেছেন, যেন আমি তাঁর উটের দায়িত্ব গ্রহণ করি এবং তার গোশত, চামড়া ও
আনুষাঙ্গিক আচ্ছাদনবস্ত্র সদকা করি এবং (তিনি আদেশ করেছেন) এসব থেকে কোনো
কিছু যেন কসাইকে না দেই। তিনি বলেছেন, তাকে (কসাইকে) তো আমরা নিজেদের থেকেই
পারিশ্রমিক দিব।Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ১৩১৭
সুতরাং কেউ যদি না জেনে এভাবে গোশতের মাধ্যমে পারিশ্রমিক আদায় করে দেয় তাহলে যে পরিমাণ গোশত পারিশ্রমিক হিসাবে দিয়েছে তার মূল্য গরীবদের মাঝে সদকা করা ওয়াজিব হবে।
Ñবাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৮
সুতরাং কেউ যদি না জেনে এভাবে গোশতের মাধ্যমে পারিশ্রমিক আদায় করে দেয় তাহলে যে পরিমাণ গোশত পারিশ্রমিক হিসাবে দিয়েছে তার মূল্য গরীবদের মাঝে সদকা করা ওয়াজিব হবে।
Ñবাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৭০৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
কোনো কোনো গ্রামে দেখা যায়, ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিন অথবা...
প্রশ্ন
কোনো কোনো গ্রামে দেখা যায়, ঈদুল
আযহার দ্বিতীয় দিন অথবা তৃতীয় দিন বিবাহ বা ওলিমা অনুষ্ঠানের তারিখ
নির্ধারণ করা হয় এবং কুরবানীর গোশত দিয়েই এসব অনুষ্ঠানের দাওয়াত
খাওয়ানো হয়। আমার প্রশ্ন হল, কুরবানীর গোশত দিয়ে বিবাহ বা ওলিমা
অনুষ্ঠানের দাওয়াত খাওয়ানো কি জায়েয হবে এবং এ উদ্দেশ্যে কুরবানি করা কি
বৈধ হবে?
উত্তর
কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
তা কেবল আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই হতে হবে। বিবাহ বা
ওলিমার গোশত লাভের উদ্দেশ্যে কুরবানী করা সহীহ নয়। অবশ্য আল্লাহর
সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কুরবানী করে সেই গোশত নিজে খেতে পারবে। অন্যকেও
খাওয়াতে পারবে। তদ্রƒপ সেই গোশত দিয়ে বিবাহ বা ওলিমা অনুষ্ঠানে দাওয়াতও
খাওয়াতে পারবে। এতে কোনো বাধা নেই।
Ñআলবাহরুর রায়েক ৩/৭১; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৬৯
Ñআলবাহরুর রায়েক ৩/৭১; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৬৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৭০৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ মনে করে, কুরবানীর গোশত তিনভাগে বণ্টন...
প্রশ্ন
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ মনে করে,
কুরবানীর গোশত তিনভাগে বণ্টন করা জরুরি এবং এতে সামান্য ত্রæটি করলেও
কুরবানী হবে না। অথচ অনেক সময় এমন হয়, বিশেষ করে পরিবারের লোকজন বেশি হলে
এবং অভাবী হলে নিজের অংশ থেকে এক ভাগ রেখে দুই ভাগ দিয়ে দিলে সে তার
পরিবার-পরিজন নিয়ে তৃপ্তির সাথে খেতেই পারে না। আবার দূরের আত্মীয়-স্বজন,
বন্ধু-বান্ধবকে দাওয়াত করে খাওয়াতে বা তাদের জন্য কিছু গোশত পাঠাতে
হিমশিম খেতে হয়। তাই প্রশ্ন হল, এভাবে প্রথমেই গোশত মেপে মেপে তিনভাগ করে
এক ভাগ রেখে বাকি দুই ভাগ বিলিয়ে দেওয়া কতটুকু জরুরি? এতে কমবেশি করার
হুকুম কী? বিস্তারিত দলিল-প্রমাণসহ জানতে চাই।
উত্তর
কুরবানী করা এবং কুরবানীর গোশত দান
করা ভিন্ন ভিন্ন দুটি আমল। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইখলাসের সাথে পশু
জবাই করার দ্বারাই কুরবানীর ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়। আর কুরবানীকারীর জন্য
তার কুরবানীর গোশতের ক্ষেত্রে শরীয়তের নির্দেশনা হল, সে নিজ
পরিবার-পরিজনকে নিয়ে খাবে এবং পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, যারা
কুরবানীর সামর্থ্য রাখে না তাদেরও দান করবে। সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ... (কুরবানীর
গোশত) তোমরা খাও, জমা করে রাখো এবং (গরীব-অসহায়দেরও) দান করো।Ñহাদীস :
১৯৭১
অন্য বর্ণনায় আছে, তোমরা খাবে এবং অন্যদেরও খাওয়াবে। Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৯৭৩
তবে দানের ব্যাপারে কুরবানীকারীর উপর শরীয়ত কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপ করেনি;বরং প্রত্যেককে তার অবস্থা অনুপাতে দান করতে বলা হয়েছে। অবশ্য সামর্থ্যবানদের জন্য স্বাভাবিক অবস্থায় উত্তম হল, মোটামুটি তিন ভাগ করে এক অংশ গরিব-মিসকিন ও অসহায়দেরকে দান করা, এক অংশ গরীব আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া। আর এক অংশ নিজের জন্য রাখা।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কুরবানীর গোশতের তিন ভাগের এক ভাগ পরিবার-পরিজনকে দিতেন। আরেক ভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং এক ভাগ ভিক্ষুক ও অসহায়দের দান করতেন। Ñআল মুগনী ১৩/৩৭৯
উল্লেখ্য, এ বণ্টন উত্তম জরুরি বা আবশ্যক নয়। তেমনি একেবারে ওজন করে তিন ভাগ করাও আবশ্যক নয়। বরং কুরবানীকারীর জন্য এতে তারতম্য করার অবকাশ আছে।
আরো উল্লেখ্য যে, এটি যেহেতু একটি মুস্তাহাব আমল তাই সামর্থ্যবানদের এর উপর আমল করা উচিত। আর কারো পরিবারের সদস্য বেশি হলে কিংবা নিজেদের প্রয়োজন বেশি থাকলে সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের প্রয়োজন পরিমাণ গোশত রাখতে পারবে, এটা তাদের জন্য অনুত্তম হবে না।
Ñফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৩৭; বযলুল মাজহূদ ১৩/৪৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৪৮৬; ইলাউস সুনান ১৭/২৬২
অন্য বর্ণনায় আছে, তোমরা খাবে এবং অন্যদেরও খাওয়াবে। Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৯৭৩
তবে দানের ব্যাপারে কুরবানীকারীর উপর শরীয়ত কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপ করেনি;বরং প্রত্যেককে তার অবস্থা অনুপাতে দান করতে বলা হয়েছে। অবশ্য সামর্থ্যবানদের জন্য স্বাভাবিক অবস্থায় উত্তম হল, মোটামুটি তিন ভাগ করে এক অংশ গরিব-মিসকিন ও অসহায়দেরকে দান করা, এক অংশ গরীব আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া। আর এক অংশ নিজের জন্য রাখা।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কুরবানীর গোশতের তিন ভাগের এক ভাগ পরিবার-পরিজনকে দিতেন। আরেক ভাগ গরিব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং এক ভাগ ভিক্ষুক ও অসহায়দের দান করতেন। Ñআল মুগনী ১৩/৩৭৯
উল্লেখ্য, এ বণ্টন উত্তম জরুরি বা আবশ্যক নয়। তেমনি একেবারে ওজন করে তিন ভাগ করাও আবশ্যক নয়। বরং কুরবানীকারীর জন্য এতে তারতম্য করার অবকাশ আছে।
আরো উল্লেখ্য যে, এটি যেহেতু একটি মুস্তাহাব আমল তাই সামর্থ্যবানদের এর উপর আমল করা উচিত। আর কারো পরিবারের সদস্য বেশি হলে কিংবা নিজেদের প্রয়োজন বেশি থাকলে সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের প্রয়োজন পরিমাণ গোশত রাখতে পারবে, এটা তাদের জন্য অনুত্তম হবে না।
Ñফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৩৭; বযলুল মাজহূদ ১৩/৪৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৪৮৬; ইলাউস সুনান ১৭/২৬২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৭০২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
কোন কোন প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা যায় এবং ঐ প্রাণীসমূহের...
প্রশ্ন
কোন কোন প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা যায় এবং ঐ প্রাণীসমূহের বয়সসীমা সম্পর্কে জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
গৃহপালিত পশু তথা উট, গরু, মহিষ,
দুম্বা, ভেড়া ও ছাগল দ্বারা কুরবানী করা যায়। উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর
হতে হবে। গরু বা মহিষ কমপক্ষে দু’বছরের হতে হবে। আর দুম্বা, ভেড়া বা ছাগল
এক বছরের হতে হবে। তবে কোনো ভেড়া যদি ছয়মাস বা তদুর্ধ্ব বয়সের হয়
কিন্তু শরীরের গঠনের দিক থেকে এক বছরের ভেড়ার মত হৃষ্টপুষ্ট হয়ে যায়
তাহলে সেটি দ্বারাও কুরবানী সহীহ হবে।
Ñবাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৬; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৭
Ñবাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৬; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৭০১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
কুরবানীর সময় আমাদের এলাকার অনেককেই এমন করতে দেখা যায়, ৬...
প্রশ্ন
কুরবানীর সময় আমাদের এলাকার
অনেককেই এমন করতে দেখা যায়, ৬ শরীক মিলে একটি পশু কুরবানী করে। ঐ পশুতে
নিজেদের ৬ অংশ রাখে আর ৭ম অংশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের জন্য রাখে। এ ৭ম অংশের টাকা তারা সকলে মিলে দিয়ে থাকে। আমি
জানতে চাই, এমনটি করা সহীহ কী না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা সহীহ। কেননা এ
ক্ষেত্রে কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম নয়। প্রত্যেকের অংশ পুরো হওয়ার পর
সপ্তমাংশ শরীকদের নফল কুরবানী হিসাবে গণ্য হবে এবং সকলের কুরবানী সহীহ হয়ে
যাবে।
Ñবাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৬
Ñবাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৭০০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমরা তিন ভাই। মা জীবিত আছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর...
প্রশ্ন
আমরা তিন ভাই। মা জীবিত আছেন। বাবা
মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বণ্টন করা হয়নি। অবশ্য বাবা খুব
বেশি সম্পত্তি রেখে যাননি। আমরা তিন ভাই চাকুরি করি। প্রত্যেকের নিজস্ব
কিছু কিছু সম্পদ আছে। কুরবানীর সময় আমরা তিনভাই মিলে মায়ের নামে একটি
ছাগল কুরবানী করে থাকি। আমি জানতে চাই, এভাবে আমাদের কুরবানী করা সহীহ
হচ্ছে কি না?
উত্তর
আপনার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি
বণ্টন করলে আপনারা প্রত্যেকে যে পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হবেন তার সাথে
প্রত্যেকের নিজস্ব মালিকানাধীন সম্পত্তি যোগ করলে যার মালিকানায় মৌলিক
প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্য সমপরিমাণ সোনা-রূপা,
টাকা পয়সা বা অন্যান্য সম্পত্তি থাকবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হবে।
সে হিসেবে যার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে তাকে পৃথকভাবে অন্তত: একটি ছাগল,
ভেড়া বা দুম্বা অথবা বড় পশুতে এক সপ্তমাংশে শরীক হয়ে নিজের কুরবানী
আদায় করতে হবে। কয়েক ভাই মিলে মায়ের নামে ছাগল কুরবানী করার দ্বারা
আপনাদের ওয়াজিব কুরবানী আদায় হবে না। অবশ্য যদি আপনাদের কারো উপরোক্ত
পরিমাণে সম্পদ না থাকে সেক্ষেত্রে কুরবানী ওয়াজিব হবে না। কেউ করলে তা নফল
হিসাবে আদায় হবে।
-ফাতওয়া হিন্দিয়া ১/১৮১; এলাউস সুনান ১৭/২১০
-ফাতওয়া হিন্দিয়া ১/১৮১; এলাউস সুনান ১৭/২১০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৬৯৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমাদের এলাকার সাধারণ লোকজন মনে করে, একটা গরু বা একটা...
প্রশ্ন
আমাদের এলাকার সাধারণ লোকজন মনে
করে, একটা গরু বা একটা মহিষে কুরবানী আকীকা ইত্যাদি সাত ভাগই করা লাগে। সাত
ভাগের কম হলে কুরবানী সহীহ হয় না। তাই তারা কখনো পশুতে শরীক কম হয়ে গেলে
বাকি অংশগুলো তাদের মৃত আত্মীয়-স্বজনের নামে দিয়ে সাত ভাগ পূর্ণ করে
থাকে।
এখন আমার জানার বিষয় হল, তাদের উক্ত ধারণা কি সঠিক? একটি পশুতে কি সাত ভাগই পূর্ণ করা লাগে এবং মৃত ব্যক্তির জন্য ইসালে সাওয়াবের নিয়তে কুরবানী করা যাবে কি? করা জায়েয হলে এ ভাগের গোশত কি সদকা করে দিতে হবে?
এখন আমার জানার বিষয় হল, তাদের উক্ত ধারণা কি সঠিক? একটি পশুতে কি সাত ভাগই পূর্ণ করা লাগে এবং মৃত ব্যক্তির জন্য ইসালে সাওয়াবের নিয়তে কুরবানী করা যাবে কি? করা জায়েয হলে এ ভাগের গোশত কি সদকা করে দিতে হবে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ধারণাটি ঠিক নয়। গরু,
মহিষ এ ধরনের পশু সাত ভাগে এবং তার কম যে কোনো অংশে কুরবানী বা আকীকা
ইত্যাদি করা জায়েয। তবে কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম না হতে হবে। এক
সপ্তমাংশের কম হলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না। আর এ ধরনের পশুতে মৃত
ব্যক্তির জন্যও ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে অংশ নেওয়া যাবে এবং এই অংশ সদকা
করা জরুরি নয়। বরং এর হুকুম নিজের সাধারণ কুরবানীর মতই। তা থেকে নিজেরাও
খেতে পারবে এবং সদকাও করতে পারবে।
Ñবাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৩৭৪,৮৭৪; রদ্দুল মুহতার ৬/২৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৫৩১, ৩১৬, ৩৩৫
Ñবাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৩৭৪,৮৭৪; রদ্দুল মুহতার ৬/২৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৫৩১, ৩১৬, ৩৩৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৬৯৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
একজন মহিলাকে বলতে শুনেছি, কুরবানীর দিন পশু জবাই করার আগ...
প্রশ্ন
একজন মহিলাকে বলতে শুনেছি, কুরবানীর দিন পশু জবাই করার আগ পর্যন্ত রোযা রাখতে হয়। শরীয়তে এরূপ কিছু আছে কি না?
উত্তর
কুরবানী দিনের অংশ বিশেষে রোযা
রাখতে হবেÑ এ কথা ঠিক নয়। ঈদের দিনে রোযা রাখার বিধান নেই। তবে এক্ষেত্রে
মাসআলা হল, কুরবানীর দিন কুরবানীর গোশত দিয়ে খাবার শুরু করা মুস্তাহাব।
তাই এর আগ পর্যন্ত যথাসম্ভব খানাপিনা থেকে বিরত থাকা উত্তম।
হযরত বুরাইদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঈদুল আযহার দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর গোশত খাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্য কিছু খেতেন না।
Ñসুনানে দারাকুতনী ২/৪৫; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১১২৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস ২২৯৮৪; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩২৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৩
হযরত বুরাইদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঈদুল আযহার দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর গোশত খাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্য কিছু খেতেন না।
Ñসুনানে দারাকুতনী ২/৪৫; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১১২৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস ২২৯৮৪; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩২৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৬৯৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
গরু-ছাগলের যদি অধিকাংশ দাঁতই না থাকে, এমনকি দু-একটি ছাড়া সবগুলো...
প্রশ্ন
গরু-ছাগলের যদি অধিকাংশ দাঁতই না থাকে, এমনকি দু-একটি ছাড়া সবগুলো পড়ে যায় তবে তা দ্বারা কুরবানী করা কি সহীহ হবে?
উত্তর
গরু-ছাগলের অধিকাংশ দাঁত না থাকলেও
যে কয়টি দাঁত আছে তা দ্বারা যদি ঘাস চিবিয়ে খেতে পারে তবে সেটি দ্বারা
কুরবানী সহীহ হয়ে যায়। কিন্তু দাঁত পড়ে যাওয়ার কারণে যদি ঘাস চিবিয়ে
খেতে না পারে তবে ঐ পশু কুরবানীর উপযুক্ত নয়। সুতরাং দু-একটি ছাড়া সব
দাঁত পড়ে গেলে সে পশু ঘাস চিবিয়ে খেতে না পারার সম্ভাবনাই যেহেতু বেশি
তাই এমন জন্তু দ্বারা কুরবানী না করাই বাঞ্ছনীয়।
Ñশরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৭/৩৫৫; ফাতাওয়া কাযী খান ৯৩/৩৫৩; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫
Ñশরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৭/৩৫৫; ফাতাওয়া কাযী খান ৯৩/৩৫৩; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৬৯৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমাদের এলাকায় দেখি যে, অনেক সময় কুরবানীর পশুকে মাটিতে শোয়ানোর...
প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় দেখি যে, অনেক সময়
কুরবানীর পশুকে মাটিতে শোয়ানোর সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পশুর পা
ভেঙ্গে যায়। এমতাবস্থায় কেউ বলে যে, এ পশু দ্বারা কুরবানী করা যাবে না।
কেউ বলে যাবে। মুফতী সাহেবের নিকট সঠিক মাসআলা জানতে চাই।
উত্তর
কুরবানীর পশু জবাইর সময় শোয়াতে গিয়ে পা ভেঙ্গে গেলে তা দ্বারা কুরবানী করা সহীহ হবে।
Ñআলবাহরুর রায়েক ৮/১৭৭; মাজমাউল আনহুর ৪/১৭৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৫
Ñআলবাহরুর রায়েক ৮/১৭৭; মাজমাউল আনহুর ৪/১৭৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৬৮৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
হজ্বের সফরে আমি একটি সমস্যায় পড়ে থাকি। তা হল, হজ্বের...
প্রশ্ন
হজ্বের সফরে আমি একটি সমস্যায় পড়ে
থাকি। তা হল, হজ্বের সময় কখনও কখনও ঋতুস্রাব এসে যায়। এ নিয়ে খুব
পেরেশান হয়ে যাই। মুফতী ছাহেবের নিকট আমার জিজ্ঞাসা হল, হজ্বের সময় যদি
আমার স্রাব এসে যায় তাহলে হজ্বের আমলগুলো আদায়ের ক্ষেত্রে আমার কী হুকুম
হবে। কোনটি স্রাব অবস্থায় আদায় করা যাবে আর কোনটি আদায় করা যাবে না।
সুস্পষ্টভাবে জানালে আমি পেরেশানীমুক্ত হব। আল্লাহ আপনাদের খেদমতকে কবুল
করুন।
উত্তর
স্রাব অবস্থায় কেবল বাইতুল্লাহর
তাওয়াফ এবং মসজিদে হারামে প্রবেশ করা নিষেধ। বাইতুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত
হজ্ব ও উমরার ইহরাম করা থেকে নিয়ে হালাল হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য সকল আমল
আপনি স্রাব অবস্থায় আদায় করতে পারবেন। যেমন, মিনায় থাকা,মুযদালিফা ও
আরাফার উকুফ, মিনার পাথর নিক্ষেপ, কুরবানী ইত্যাদি কাজ এ সময়েও আঞ্জাম
দেওয়া যাবে। এমনকি উমরার তাওয়াফের পর স্রাব আসলে এ অবস্থায় সায়ীও করতে
পারবেন। আর স্রাবের দরুন তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করতে বিলম্ব হয়ে গেলেও
কোনো জরিমানা দম আসবে না।
-সহীহ বুখারী, হাদীস ৩০৫; রদ্দুল মুহতার ২/৫১৯
-সহীহ বুখারী, হাদীস ৩০৫; রদ্দুল মুহতার ২/৫১৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৬৫২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
গত কুরবানীর ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকেট কিনেছিলাম। পরে...
প্রশ্ন
গত কুরবানীর ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার
জন্য ট্রেনের টিকেট কিনেছিলাম। পরে ঐ সময় আর বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে না
বিধায় ঐ টিকেট আরেক ব্যক্তিকে পঞ্চাশ টাকা বেশিতে বিক্রি করেছি। হুজুরের
নিকট জানতে চাই, আমার জন্য ঐ টিকেট অধিক মূল্যে বিক্রি করা জায়েয হয়েছে
কি?
উত্তর
টিকেট বিক্রি করে অতিরিক্ত মূল্য
নেওয়া জায়েয হয়নি। তাই অতিরিক্ত পঞ্চাশ টাকা ঐ ব্যক্তিকে ফেরত দিবে। যদি
তাকে পাওয়া সম্ভব না হয় তবে তা সদকা করে দিতে হবে।
-কিতাবুল আছল ৩/৪৬৩; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৬৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১১৮; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২৬৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/৫০
-কিতাবুল আছল ৩/৪৬৩; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৬৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১১৮; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২৬৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/৫০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৬০৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমার বাড়ি কক্সবাজার। আমি চট্টগ্রামে লেখাপড়া করি। মাদরাসায় আসা-যাওয়ার সময়...
প্রশ্ন
আমার বাড়ি কক্সবাজার। আমি
চট্টগ্রামে লেখাপড়া করি। মাদরাসায় আসা-যাওয়ার সময় গাড়িগুলোতে সাধারণত
গান ছেড়ে দেওয়া হয়। তাই আমি গাড়িতে গান ছেড়ে দেওয়া হলে গান যেন শুনতে
না হয় সেজন্য কুরআন তিলাওয়াত করতে থাকি। গত কুরবানীর বন্ধের পর
মাদরাসায় আসার সময়ও গাড়িতে গান ছেড়ে দেওয়া হলে আমি তিলাওয়াত শুরু
করি। আমার সাথে আমার এক সাথী ছিল। সে আমাকে বলে যে, গান চলাকালীন কুরআন
তিলাওয়াত করলে আবার কুরআনের বেহুরমতি হবে না তো? তার এ কথা শুনে আমার
দিলেও এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ জাগে।
দয়া করে উক্ত অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত বা যিকির করার হুকুম জানিয়ে বাধিত করবেন।
দয়া করে উক্ত অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত বা যিকির করার হুকুম জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত পরিস্থিতিতে গান শোনা
থেকে বিরত থাকার উদ্দেশ্যে কুরআন তিলাওয়াত করা বা যিকির আযকার করা জায়েয
হবে। এতে কুরআন শরীফ বা যিকিরের অসম্মান হবে না; বরং এ অবস্থায় তিলাওয়াত ও
যিকিরে ব্যস্ত থাকা আরো প্রশংসনীয় ও অধিক সওয়াবের কাজ হবে।
-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪২৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩১৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৭/৫০৮
-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪২৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩১৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৭/৫০৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৫৯৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
কুরবানীর পশু কেনার সময় এর সাথে অনেক সময় মোবাইল সেট,...
প্রশ্ন
কুরবানীর পশু কেনার সময় এর সাথে
অনেক সময় মোবাইল সেট, কখনো ফ্রিজ ফ্রি দেয়। আমার জানার বিষয় হল, উক্ত
মোবাইল বা ফ্রিজ কি ব্যবহার করা যাবে, নাকি সদকা করে দিতে হবে? দয়া করে
জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
কুরবানীর পশুর সাথে মোবাইল, ফ্রিজ
বা অন্য কিছু ফ্রি দিলে তা নিজে ব্যবহার করতে পারবে। তা সদকা করে দেওয়া
জরুরি নয়। কারণ এটা কুরবানীর পশুর সাথে পেলেও তা কুরবানীর অংশ বা
সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নয়; বরং তা পৃথক ক্রয়কৃত পণ্যের মতোই।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৫৯৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমার ছেলের বয়স ৫ বছর। এখন তার আকীকা করতে চাচ্ছি।...
প্রশ্ন
আমার ছেলের বয়স ৫ বছর। এখন তার
আকীকা করতে চাচ্ছি। আকীকার হুকুম কী? অর্থাৎ কী দিয়ে আকীকা করতে হবে এবং
এর বণ্টন বিধি কী? আকীকার গোশত কে কে খেতে পারবে? বাবা-মাও কি সে গোশত খেতে
পারবে? আর আকীকা কি কুরবানীর সাথে দেওয়া যাবে? যদি যায় তাহলে কীভাবে ?
দয়া করে বিস্তারিত জানিয়ে উপকৃত করবেন।
দয়া করে বিস্তারিত জানিয়ে উপকৃত করবেন।
উত্তর
আকীকা করা মুস্তাহাব। পুত্রসন্তানের জন্য দুটি ছাগল আর কন্যার জন্য একটি ছাগল।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল আর মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫১৩
আর কুরবানীর পশুতে আকীকার নিয়তে শরিক হওয়াও জায়েয। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আকীকা ও কুরবানীর কোনো অংশ পশুর এক সপ্তমাংশের কম না হয়।
আকীকার গোশত সন্তানের মা-বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন এবং ধনী-গরীব সকলেই খেতে পারবে। আকীকার গোশতের বণ্টন ও ব্যবহার কুরবানীর মতোই। কিছু গোশত নিজেদের জন্য রাখা, কিছু আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়া এবং কিছু গোশত গরীবদেরকে সদকা করা উত্তম।
-আততালীকুল মুমাজজাদ ২৮৯, ২৯০; ইলাউস সুনান ১৭/১১৮; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ১৩/৩৯৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০৪; আলমুসতাদরাক লিল হাকিম, হাদীস : ৭৬৬৯
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম ছেলের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল আর মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫১৩
আর কুরবানীর পশুতে আকীকার নিয়তে শরিক হওয়াও জায়েয। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আকীকা ও কুরবানীর কোনো অংশ পশুর এক সপ্তমাংশের কম না হয়।
আকীকার গোশত সন্তানের মা-বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন এবং ধনী-গরীব সকলেই খেতে পারবে। আকীকার গোশতের বণ্টন ও ব্যবহার কুরবানীর মতোই। কিছু গোশত নিজেদের জন্য রাখা, কিছু আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়া এবং কিছু গোশত গরীবদেরকে সদকা করা উত্তম।
-আততালীকুল মুমাজজাদ ২৮৯, ২৯০; ইলাউস সুনান ১৭/১১৮; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ১৩/৩৯৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০৪; আলমুসতাদরাক লিল হাকিম, হাদীস : ৭৬৬৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৫৭৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমাদের মহল্লা মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজে অনেক অর্থ...
প্রশ্ন
আমাদের মহল্লা মসজিদের নির্মাণ কাজ
চলছে। নির্মাণ কাজে অনেক অর্থ প্রয়োজন। তাই মসজিদ কমিটি এ মর্মে সিদ্ধান্ত
নিয়েছে যে, আমরা এ বারের কুরবানীতে এলাকার মানুষকে অনুরোধ করব, সকলেই যেন
তাদের কুরবানীর পশুর চামড়ার পুরো না হলেও অন্তত অর্ধেক মূল্য যেন মসজিদের
নির্মাণ কাজের জন্য দান করেন।
আমার জানার বিষয় হল, মসজিদ কমিটির উক্ত সিদ্ধান্ত কি সঠিক হয়েছে? চামড়ার মূল্য কি মসজিদ নির্মাণ কাজে লাগানো যাবে? শরীয়তের নির্দেশনা জানাতে অনুরোধ রইল।
আমার জানার বিষয় হল, মসজিদ কমিটির উক্ত সিদ্ধান্ত কি সঠিক হয়েছে? চামড়ার মূল্য কি মসজিদ নির্মাণ কাজে লাগানো যাবে? শরীয়তের নির্দেশনা জানাতে অনুরোধ রইল।
উত্তর
মসজিদ কমিটির উক্ত সিদ্ধান্ত সঠিক
হয়নি। কুরবানীর পশুর চামড়ার মূল্য মসজিদে দান করা জায়েয নয়। এ টাকা
মসজিদ নির্মাণের জন্য ব্যয় করা কিংবা মসজিদের অন্য কোনো কাজে লাগানো
নাজায়েয। কেননা কুরবানীর পশুর চামড়ার টাকা গরীব-মিসকীনের হক। তা যাকাত
গ্রহণের উপযুক্তদেরকেই দিতে হবে। আর মসজিদ মুসলমানদের স্বতঃস্ফ‚র্ত নফল দান
দ্বারাই নির্মাণ করতে হবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২৪৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৮; রদ্দুল মুহতার ২/৩৩৯; ইমদাদুল আহকাম ৪/২৫৭
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২৪৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৮; রদ্দুল মুহতার ২/৩৩৯; ইমদাদুল আহকাম ৪/২৫৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৫৭৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
কুরবানীর সময় আমরা কুরবানীর পশু কিনতে হাটে যাই। প্রত্যেক পশু...
প্রশ্ন
কুরবানীর সময় আমরা কুরবানীর পশু
কিনতে হাটে যাই। প্রত্যেক পশু কেনার পর হাসিল দিতে হয়। এখন জানার বিষয়
হল, হাসিল কুরবানীর পশুর হক, নাকি হাটের ট্যাক্স? কেউ যদি হাসিলের টাকা না
দিয়ে চলে আসে তাহলে তার কুরবানীতে কোনো সমস্যা হবে কি না?
উত্তর
হাসিল হাটের ভাড়া। এটি হাট
কর্তৃপক্ষের হক। যা হাটের সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে নেওয়া হয়। তাই এ টাকা
পরিশোধ করা জরুরি। হাসিল না দিলে হাট কর্তৃপক্ষের হক নষ্ট করার গুনাহ হবে।
তাই কেউ হাসিল না দিয়ে থাকলে হাট কর্তৃপক্ষের নিকট তা পৌঁছে দিতে হবে।
অবশ্য হাসিল না দেওয়ার কারণে কুরবানী নাজায়েয হয়ে যাবে না।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৫৫১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
গত বছর আমি হজ্ব করতে গিয়েছিলাম। তখন কুরবানীর জন্য টাকা...
প্রশ্ন
গত বছর আমি হজ্ব করতে গিয়েছিলাম।
তখন কুরবানীর জন্য টাকা ব্যাংকে দিয়ে দিই। পরে আমার এক সাথীকে বলতে
শুনেছি, ব্যাংকের মাধ্যমে কুরবানী করলে নাকি কুরবানী সহীহ হয় না। কারণ
ব্যাংককে কুরবানী করার জন্য যতজন হাজ্বী টাকা দেয় ততটা কুরবানী তো করা হয়
তবে পশু কোনটা কার জন্য তা নির্দিষ্ট করা হয় না। আর নির্দিষ্ট না করার
কারণে তাদের কুরবানী সহীহ হয় না। তাই ব্যাংকের মাধ্যমে কুরবানী করা যাবে
না।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত বক্তব্য সঠিক নয়।
কুরবানী সহীহ হওয়ার জন্য প্রত্যেকের পশু নির্দিষ্ট করা জরুরি নয়। বরং
যতজন হাজ্বী টাকা জমা করবে ততটা পশু যবাই করলেই প্রত্যেকের কুরবানী আদায়
হয়ে যাবে। সুতরাং হাজ্বীদের জন্য সৌদি সরকারের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত
ব্যাংকের মাধ্যমে কুরবানী করা জায়েয। অবশ্য যারা ব্যাংকের মাধ্যমে দমে
শোকর আদায় করবে তারা নির্দিষ্ট সময় থেকে বিলম্ব করে হলক করবে যেন হলক
কুরবানীর পর হয়।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৫৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৮০
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৫৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৮০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৫২২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমি সবার সাথে মাঠে না গিয়ে আমার নিজ বাড়িতে কুরবানী...
প্রশ্ন
আমি সবার সাথে মাঠে না গিয়ে আমার
নিজ বাড়িতে কুরবানী করি এবং কুরবানীর পশু আমি নিজেই যবাই করি। সবার সাথে
মাঠে কুরবানী না করায় এবং হুযুরকে দিয়ে যবাই না করার কারণে শরয়ী কোনো
অসুবিধা হয়েছে কি?
উত্তর
সবার সাথে মাঠে গিয়ে কুরবানী করা
জরুরি নয়। নিজ বাড়িতে কিংবা প্রত্যেকের সুবিধা মত স্থানে কুরবানী করা
যাবে। আর কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা উত্তম। এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হৃষ্ট-পুষ্ট দুটি ভেড়া
দিয়ে কুরবানী করেছেন। আমি তাঁকে ভেড়ার উপর কদম মুবারক রেখে বিসমিল্লাহি
আল্লাহু আকবার বলতে দেখেছি। অতপর তিনি নিজ হাতে ভেড়া দুটি জবাই করেছেন।
-সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫৫৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২১; কাযী খান ৩/৩৫৫; আদ্ দুররুল মুখতার ৬/৩২৮
-সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫৫৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২১; কাযী খান ৩/৩৫৫; আদ্ দুররুল মুখতার ৬/৩২৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৫২১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমি ২১ দিনের মধ্যেই আমার ছেলেসন্তানের আকীকা করতে মনস্থ করেছি।...
প্রশ্ন
আমি ২১ দিনের মধ্যেই আমার
ছেলেসন্তানের আকীকা করতে মনস্থ করেছি। কিন্তু আমার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না
থাকায় কোনো অনুষ্ঠান করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে আকীকার নিয়তে আমি কোনো
এতিমখানায় দুটি ছাগল দিতে চাই। আমার পিতামাতা ও শ্বশুর-শাশুড়িও এতে একমত
হয়েছেন। তাই জানার বিষয় হল, এভাবে ছাগল দিলে কি আকীকা আদায় হবে? দয়া
করে বিস্তারিত দলিল-প্রমাণের আলোকে জানাবেন।
উত্তর
আকীকার পশু কোনো প্রতিষ্ঠানে দিলে এবং আকীকার জন্য তা যবাই করা হলে আকীকা আদায় হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, আকীকার জন্য অনুষ্ঠান করা জরুরি নয়; বরং আকীকার উদ্দেশ্যে পশু যবাই করলেই তা আদায় হয়ে যায়। আর আকীকার গোশতের ব্যবহার ও বণ্টনের নিয়ম কুরবানীর গোশতের মতোই।
উল্লেখ্য, আকীকার জন্য অনুষ্ঠান করা জরুরি নয়; বরং আকীকার উদ্দেশ্যে পশু যবাই করলেই তা আদায় হয়ে যায়। আর আকীকার গোশতের ব্যবহার ও বণ্টনের নিয়ম কুরবানীর গোশতের মতোই।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৫১২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
জনৈক ব্যক্তি তাওয়াফে বিদা না করে দেশে চলে এসেছে। এখন...
প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি তাওয়াফে বিদা না করে
দেশে চলে এসেছে। এখন তার কী করণীয়? আগামী রমযানে তিনি ওমরায় যাওয়ার
নিয়ত করেছেন। তখন কি ঐ তাওয়াফে বিদা আদায় করার সুযোগ আছে? বিস্তারিত
জানাবেন।
উত্তর
হাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি
ওমরার পর তাওয়াফে বিদা করে নিতে পারবে। এর দ্বারা তার ওয়াজিব আদায় হয়ে
যাবে এবং বিলম্বে আদায়ের কারণে কোনো জরিমানা আসবে না। আর যদি সেখানে
যাওয়া না হয় তাহলে তাকে তাওয়াফে বিদা না করার কারণে একটি দম দিতে হবে।
অর্থাৎ হেরেমের ভিতরে কুরবানীযোগ্য একটি ছাগল বা দুম্বা কারো মাধ্যমে জবাই
করতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি যদি উক্ত হজ্বের তাওয়াফে যিয়ারতের পর কোনো নফল তাওয়াফ করে থাকে তবে তার ঐ তাওয়াফ দ্বারা তাওয়াফে বিদার ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তাকে পুনরায় তাওয়াফ করতে বা দম দিতে হবে না।
-গুনইয়াতুন নাসিক ১৯১; আল বাহরুল আমীক ৪/১৯২০; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৩৩
উল্লেখ্য, প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি যদি উক্ত হজ্বের তাওয়াফে যিয়ারতের পর কোনো নফল তাওয়াফ করে থাকে তবে তার ঐ তাওয়াফ দ্বারা তাওয়াফে বিদার ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তাকে পুনরায় তাওয়াফ করতে বা দম দিতে হবে না।
-গুনইয়াতুন নাসিক ১৯১; আল বাহরুল আমীক ৪/১৯২০; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৩৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৮৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমি কুমিল্লায় থাকি। গত বছর কুরবানীর জন্য একটি খাসী ক্রয়...
প্রশ্ন
আমি কুমিল্লায় থাকি। গত বছর
কুরবানীর জন্য একটি খাসী ক্রয় করি। ঈদের দিন বাড়িতে যাওয়ার প্রোগ্রাম
থাকায় ফজরের পরপরই তা যবাই করে ফেলি তখনো কোথাও ঈদের নামায হয়নি।
সপ্তাহখানেক পর জনৈক ব্যক্তি আমাকে বললেন আমার কুরবানী সহীহ হয়নি। প্রশ্ন
হল, আমার উক্ত কুরবানী সহীহ হয়েছে কি না? যদি না হয় তাহলে এখন আমার
করণীয় কী? দয়া করে বিস্তারিত দলিলপ্রমাণসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
ঐ ব্যক্তি ঠিকই বলেছে। আপনার উক্ত
কুরবানী আদায় হয়নি। কেননা এলাকার কোথাও ঈদের নামায হওয়ার আগে কুরবানী
করলে তা আদায় হয় না। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের আগে কুরবানীর
পশু যবাই করবে সেটা তার নিজের জন্য হবে (কুরবানী হবে না।) আর যে ব্যক্তি
ঈদের নামাযের পর কুরবানী করবে তার কুরবানী আদায় হবে এবং সে মুসলমানদের পথ
অনুসরণ করেছে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৫০৩১
হযরত বারা’ রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঈদের দিন আমরা প্রথমে ঈদের নামায আদায় করি তারপর এসে কুরবানী করি। যে ব্যক্তি এভাবে আদায় করবে সে আমাদের তরীকা মোতাবেক করল। আর যে নামাযের আগেই পশু যবাই করল সেটা তার পরিবারের গোশতের প্রয়োজন পূরণ করবে। এটা নুসুক (কুরবানী) হবে না। -সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৫০৩৫
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার কুরবানী যেহেতু আদায় হয়নি তাই এখন করণীয় হল, কুরবানীর যোগ্য একটি ছাগলের মূল্য সদকা করে দেওয়া। কেননা হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে নামাযের আগে পশু যবাই করেছে সে যেন (নামাযের পর) অন্য আরেকটি পশু যবাই করে।
-সহীহ বুখারী ২/৮৩৪; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২১; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৬৪
হযরত বারা’ রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঈদের দিন আমরা প্রথমে ঈদের নামায আদায় করি তারপর এসে কুরবানী করি। যে ব্যক্তি এভাবে আদায় করবে সে আমাদের তরীকা মোতাবেক করল। আর যে নামাযের আগেই পশু যবাই করল সেটা তার পরিবারের গোশতের প্রয়োজন পূরণ করবে। এটা নুসুক (কুরবানী) হবে না। -সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৫০৩৫
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার কুরবানী যেহেতু আদায় হয়নি তাই এখন করণীয় হল, কুরবানীর যোগ্য একটি ছাগলের মূল্য সদকা করে দেওয়া। কেননা হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে নামাযের আগে পশু যবাই করেছে সে যেন (নামাযের পর) অন্য আরেকটি পশু যবাই করে।
-সহীহ বুখারী ২/৮৩৪; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২১; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৬৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৮৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমার এক ভাই কুরবানীর ঈদের পরপরই ওলিমার তারিখ নির্ধারণ করে।...
প্রশ্ন
আমার এক ভাই কুরবানীর ঈদের পরপরই
ওলিমার তারিখ নির্ধারণ করে। এরপর কুরবানীর গোশত দিয়ে ওলিমার দাওয়াতে খানা
খাওয়ায়। জানতে চাই, এভাবে কুরবানীর গোশত দিয়ে ওলিমার দাওয়াত খাওয়ালে
কুরবানী আদায় হবে কি?
উত্তর
একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির
উদ্দেশ্যে কুরবানী করার পর তা নিজে খাওয়া বা অন্যকে খাওয়ানো উভয়টিই
জায়েয। তাই খালেস নিয়তে কুরবানী করার পর সে গোশত দ্বারা ওলিমার
মেহমানদারি করলেও কুরবানীর কোনো সমস্যা হবে না। তবে যদি কুরবানী দ্বারা
ওলিমার গোশত লাভ করাই উদ্দেশ্য হয় তাহলে তা দ্বারা কুরবানী আদায় হবে না।
-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৬; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৬৯; ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৯; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, ২২৪
-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৬; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৬৯; ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৯; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, ২২৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৪২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমার পিতা একজন মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। তার কুরবানী করার সামার্থ্য...
প্রশ্ন
আমার পিতা একজন মাদরাসার শিক্ষক
ছিলেন। তার কুরবানী করার সামার্থ্য ছিলো। গত ঈদে তিনি কুরবানীর জন্য একটি
গরুও কিনেছিলেন। কিন্তু সেটি কুরবানী করার সুযোগ তার আর হয়নি। ঈদের নামায
পড়ে আসার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় ইন্তেকাল হয়। তার মৃত্যুতে পরিবারের সকলে
শোকাহত ছিল। তাই কুরবানীর তিনদিনের ভেতর গরুটি আর কুরবানী করা হয়নি। এখন
আমরা ঐ গরুটি কী করব? সেটি কি সদকা করে দিতে হবে? অথবা আগামী কুরবানীর ঈদে
যবেহ করার জন্য রেখে দিতে হবে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার পিতা
যেহেতু কুরবানীর সময় (১২ যিলহজ্ব) শেষ হওয়ার আগেই ইন্তেকাল করেছেন, তাই এ
বছরের কুরবানী তার উপর ওয়াজিব থাকেনি। সুতরাং তার ক্রয়কৃত ঐ পশুটিরও
কুরবানী করা বা সদকা করা লাগবে না। বরং এই পশু এখন তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তি
হিসাবে ধর্তব্য হবে। ওয়ারিশরা চাইলে সেটা বিক্রি করে দিয়ে এর মূল্য
সকলের অংশ অনুযায়ী ভাগ করে নিতে পারেন। আবার চাইলে যবেহ করে এর গোশতও
বণ্টন করে নিতে পারেন আর যদি সকল ওয়ারিশ বালেগ হয় এবং তারা একমত হয়
তাহলে তারা গরুটি বা এর মূল্য সদকাও করে দিতে পারবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৯; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৭৪; আদ দুররুল মুখতার ৬/৩১৯; ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া ১৭/৪৯
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৯; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৭৪; আদ দুররুল মুখতার ৬/৩১৯; ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া ১৭/৪৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৪১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমাদের একটি গরু আছে। সেটির অনেক বয়স হয়েছে। যার ফলে...
প্রশ্ন
আমাদের একটি গরু আছে। সেটির অনেক
বয়স হয়েছে। যার ফলে দুতিনটি দাঁত ছাড়া এর প্রায় সবকটি দাঁতই পড়ে গেছে।
তবে যে পরিমাণ দাঁত অবশিষ্ট আছে তা দ্বারা ঘাস চিবিয়ে খেতে পারে। এবছর এ
গরুটিকে কুরবানী করতে চাচ্ছি। প্রশ্ন হল, এর দ্বারা কুরবানী করা কি সহীহ
হবে?
উত্তর
এ অবস্থায়ও গরুটি যদি ঘাস চিবিয়ে খেতে পারে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে।
-শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৭/৩৫৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫; ফাতওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯৩
-শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৭/৩৫৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫; ফাতওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৪০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমাদের মহল্লা মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজে অনেক অর্থ...
প্রশ্ন
আমাদের মহল্লা মসজিদের নির্মাণ কাজ
চলছে। নির্মাণ কাজে অনেক অর্থ প্রয়োজন। তাই মসজিদ কমিটি এ মর্মে সিদ্ধান্ত
নিয়েছে যে, আমরা এবারের কুরবানীতে এলাকার মানুষদের অনুরোধ করব। তারা যেন
সকলে তাদের কুরবানীর পশুর চামড়ার পুরো না হলেও অমত্মত অর্ধেক মূল্য
মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য দান করেন।
আমার জানার বিষয় হল, মসজিদ কমিটির উক্ত সিদ্ধান্ত কি সঠিক হয়েছে? চামড়ার মূল্য কি মসজিদ নির্মাণ কাজে লাগানো যাবে? শরীয়তের নির্দেশনা জানাতে অনুরোধ রইল।
আমার জানার বিষয় হল, মসজিদ কমিটির উক্ত সিদ্ধান্ত কি সঠিক হয়েছে? চামড়ার মূল্য কি মসজিদ নির্মাণ কাজে লাগানো যাবে? শরীয়তের নির্দেশনা জানাতে অনুরোধ রইল।
উত্তর
মসজিদ কমিটির উক্ত সিদ্ধান্ত সহীহ
নয়। কুরবানীর পশুর চামড়ার মূল্য মসজিদে দান করা জায়েয নয় এবং এ টাকা
মসজিদ নির্মাণের কাজে ব্যয় করাও জায়েয নয়। কারণ, কুরবানীর পশুর চামড়ার
মূল্য গরীব মিসকিনের হক। তা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিদেরকে সদকা করে
দেয়া জরুরি। আর মসজিদ মুসলমানদের সাধারণ দান দ্বারাই নির্মাণ করতে হবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; ফাতহুল কাদীর ৮/৪৩৮; ইমদাদুল আহকাম ৪/২৫৭
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; ফাতহুল কাদীর ৮/৪৩৮; ইমদাদুল আহকাম ৪/২৫৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৩৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
স্বামীর নিকট স্ত্রী মোহরের কিছু টাকা পাবে। কিছু টাকা নগদ...
প্রশ্ন
স্বামীর নিকট স্ত্রী মোহরের কিছু
টাকা পাবে। কিছু টাকা নগদ আদায় করেছে। যে টাকা বাকী আছে তার পরিমাণ
কুরবানীর নেসাবের চেয়ে অধিক। স্বামী এ টাকা এ বছর কুরবানীর আগে দিতে পারছে
না। বরং সামনের বছর আদায় করবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।
এখন এ মহিলার উপর কি ঐ পাওনা টাকার কারণে এ বছর কুরবানী ওয়াজিব হবে? প্রকাশ থাকে যে, স্ত্রীর কাছে এছাড়া কোনো নগদ টাকা বা স্বর্ণ বা অন্য কোনো সম্পদ নেই।
এখন এ মহিলার উপর কি ঐ পাওনা টাকার কারণে এ বছর কুরবানী ওয়াজিব হবে? প্রকাশ থাকে যে, স্ত্রীর কাছে এছাড়া কোনো নগদ টাকা বা স্বর্ণ বা অন্য কোনো সম্পদ নেই।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ মহিলার উপর
কুরবানী ওয়াজিব নয়। কেননা তার কাছে কোনো সম্পদই নেই। আর সে যে মহর পাবে
সে কারণেও তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। কারণ, মহরের টাকা হস্তগত হওয়ার
আগে তাতে স্ত্রীর পূর্ণ মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় না। সুতরাং ভবিষ্যতে মোহর
পাবে এ কারণে স্ত্রীর উপর এখন কুরবানী ওয়াজিব হবে না
-রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২
-রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৩৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমরা চার ভাইবোন। আমরা ভাইবোনেরা মিলে প্রতি বছর একটি গরু...
প্রশ্ন
আমরা চার ভাইবোন। আমরা ভাইবোনেরা
মিলে প্রতি বছর একটি গরু কুরবানী করি। এ বছর নিয়ত করেছি একটি গরু কিনে
আমরা চার জনে চারভাগ দিবো আর আমাদের মৃত মা-বাবা, দুজনের নামে দুই ভাগ
দিবো। আমাদের প্রশ্ন হলো- মৃত মা-বাবার নামে যে কুরবানী করব তার গোশত
নিজেরা খেতে পারবো নাকি পুরোটা গরীবদেরকে সদকা করে দিতে হবে?
উত্তর
নিজেদের পক্ষ থেকে মা-বাবার
সাওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরবানী করলে সেই কুরবানীর গোশত নিজেরাও খেতে পারবেন
এবং আত্মীয়-স্বজন ও অন্যান্যদেরও খাওয়াতে পারবেন। তাদের অংশের গোশত
গরীবদেরকে সদকা করা আবশ্যক নয়।
-রদ্দুল মুহতার ২/৩২৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৫২
-রদ্দুল মুহতার ২/৩২৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৫২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪৩৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
প্রতি বছর কুরবানীর পর আমাদের বাসায় প্রচুর পরিমাণে চর্বি জমা...
প্রশ্ন
প্রতি বছর কুরবানীর পর আমাদের
বাসায় প্রচুর পরিমাণে চর্বি জমা হয়। এসকল চর্বি উত্তমরূপে না নিজে
ব্যবহার করা যায় না অন্যকে দেওয়া যায়। আমার প্রতিবেশী মহিলারা চর্বি
কিনতে আসা ব্যক্তিদের নিকট তা বিক্রি করে দেন। কিন্তু আমার স্বামী একথা বলে
আমাকে চর্বি বিক্রি থেকে বিরত রেখেছেন যে, ‘কুরবানীর পশুর চর্বি বিক্রি
করা নাজায়েয।’ আমি জানতে চাচ্ছি যে, তার উক্ত কথা কি ঠিক? আর যেহেতু
সুষ্ঠুভাবে চর্বিগুলোকে ব্যবহার না করার কারণে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা
দেয় তাই তা বিক্রি করে গরীবদেরকে এর অর্থ দেওয়ার সুযোগ আছে কি না?
উত্তর
আপনার স্বামী ঠিকই বলেছেন। কুরবানীর গোশত, চর্বি, হাড্ডি ইত্যাদি বিক্রি করা নাজায়েয। এ ব্যাপারে একাধিক হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে।
তাই নিজে ব্যবহার করতে না পারলে গরীব-মিসকীনকে দিয়ে দিবে। অবশ্য কাউকে দেওয়ার সুযোগ না থাকার কারণে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা হলে বিক্রি করা যাবে। অতপর প্রাপ্ত অর্থ সদকা করে দিতে হবে।
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৬২১১; মাজমাউয যাওয়াইদ, ৪/২৭; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৭/৩৩৯, আলখানিয়া ৩/৩৫৪ খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩২২
তাই নিজে ব্যবহার করতে না পারলে গরীব-মিসকীনকে দিয়ে দিবে। অবশ্য কাউকে দেওয়ার সুযোগ না থাকার কারণে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা হলে বিক্রি করা যাবে। অতপর প্রাপ্ত অর্থ সদকা করে দিতে হবে।
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৬২১১; মাজমাউয যাওয়াইদ, ৪/২৭; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৭/৩৩৯, আলখানিয়া ৩/৩৫৪ খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩২২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪২৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
গত বছর আল্লাহর রহমতে পবিত্র হজ্ব আদায় করেছি। যিলহজ্বের ১০...
প্রশ্ন
গত বছর আল্লাহর রহমতে পবিত্র হজ্ব
আদায় করেছি। যিলহজ্বের ১০ তারিখ আমরা কংকর নিক্ষেপ ও কুরবানী করার পর
কাফেলার এক হাজ্বী ভাইয়ের মাথা মুণ্ডিয়ে দিই। তারপর তিনি আমার মাথা
মুণ্ডিয়ে দেন। জানার বিষয় হল, ইহরাম অবস্থায় মাথা মুণ্ডানোর কারণে আমার
উপর কি দম বা সদকা ওয়াজিব হয়েছিল?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অন্যের মাথা
মুণ্ডিয়ে দেওয়া অন্যায় হয়নি এবং আপনার উপর এ কারণে কোনো কিছু ওয়াজিবও
হয়নি। হলকের পূর্বের সকল কার্যাদী সম্পন্ন করার পর অন্যের মাথার চুল
মুণ্ডিয়ে দেওয়া জায়েয। তাবেয়ী হযরত ইবনে জুরাইজ রাহ. থেকে বর্ণিত তিনি
বলেন, আমি হযরত আতা রাহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, এক ব্যক্তি কংকর নিক্ষেপ করেছে
কিন্তু হলক করেনি সে কি অন্যকে হলক করে দিতে পারবে? তিনি জবাবে বললেন,
হ্যাঁ পারবে।
- মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, আসার নং ১৬১৩৯; মানসিক পৃ. ২৩০; যুবদাতুল মানাসিক ৩৭; গুনইয়াতুন নাসিক ১৭৪
- মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, আসার নং ১৬১৩৯; মানসিক পৃ. ২৩০; যুবদাতুল মানাসিক ৩৭; গুনইয়াতুন নাসিক ১৭৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪১৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
কুরবানীর গরু কিনতে গেলে দেখা যায়, লোকেরা গরুর দাঁত দেখে।...
প্রশ্ন
কুরবানীর গরু কিনতে গেলে দেখা যায়,
লোকেরা গরুর দাঁত দেখে। যদি বিশেষ দুটি দাঁত উঠে তাহলে পছন্দ হলে কেনে,
অন্যথায় ঐ গরু কেনে না। তারা মনে করে, বিশেষ দুই দাঁত না উঠলে সেই গরু
দিয়ে কুরবানী করা যায় না।
এখন আমার জানার বিষয় হল, গরু কুরবানীর উপযুক্ত হওয়ার জন্য দুটি দাঁত উঠা কি জরুরি? আর যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায়, কোনো একটি গরুর দুই বছর হয়েছে, কিন্তু এখনও বিশেষ দুটি দাঁত উঠেনি তাহলে তা দিয়ে কুরবানী করলে সহীহ হবে কি না?
এখন আমার জানার বিষয় হল, গরু কুরবানীর উপযুক্ত হওয়ার জন্য দুটি দাঁত উঠা কি জরুরি? আর যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায়, কোনো একটি গরুর দুই বছর হয়েছে, কিন্তু এখনও বিশেষ দুটি দাঁত উঠেনি তাহলে তা দিয়ে কুরবানী করলে সহীহ হবে কি না?
উত্তর
গরু কুরবানীর উপযুক্ত হওয়ার জন্য
দুই বছর পূর্ণ হওয়া জরুরি। বিশেষ দাঁত উঠা জরুরি নয়। তবে যেহেতু বিশেষ
দুটি দাঁত দুই বছর বয়স পূর্ণ হলেই উঠে থাকে তাই সাধারণত দুই দাঁত উঠাকে
দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আলামত মনে করা হয়। এ কারণেই মানুষ কুরবানীর পশু
কিনতে গেলে তা পরীক্ষা করে। এতে আপত্তির কিছু নেই। তবে যদি কোনো গরুর
ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, দুই বছর পূর্ণ হলেও এখনও বিশেষ দুটি
দাঁত উঠেনি তাহলে সেই গরু দ্বারা কুরবানী সহীহ হবে।
-সহীহ মুসলিম ২/১৫৫; বাযলুল মাজহূদ ১৩/১৮; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৮; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৬১১-১৩
-সহীহ মুসলিম ২/১৫৫; বাযলুল মাজহূদ ১৩/১৮; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৮; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৬১১-১৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪১৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমি কুরবানীর ঈদের তিন মাস আগে কুরবানীর উদ্দেশ্যে একটি গাভী...
প্রশ্ন
আমি কুরবানীর ঈদের তিন মাস আগে
কুরবানীর উদ্দেশ্যে একটি গাভী ক্রয় করেছি। কুরবানীর আগে সেই গাভীটির একটি
বাচ্চা হয়েছে। জানার বিষয় হল, এ বাচ্চাটির ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কী?
উত্তর
উক্ত বাচ্চাটি সদকা করে দিতে হবে।
অবশ্য জবাই না করে জীবিত সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি জবাই করে দেয় তবে
তার গোশত সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব হবে।
-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৪৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩২২
-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪৪৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩২২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪১১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
কুরবানীর পশুর কান বা লেজ কী পরিমাণ না থাকলে বা...
প্রশ্ন
কুরবানীর পশুর কান বা লেজ কী পরিমাণ না থাকলে বা কাটা থাকলে এর দ্বারা কুরবানী সহীহ হয় না?
উত্তর
কুরবানীর পশুর কান বা লেজ অর্ধেক বা
এরচেয়ে বেশি না থাকলে এর দ্বারা কুরবানী করা সহীহ নয়। যদি অর্ধেকের
চেয়ে বেশি অংশ থাকে তাহলে এর দ্বারা কুরবানী করা সহীহ হবে।
-শরহু মাআনিল আছার ২/২৭১; কিতাবুল আসল ২/৪৯৪; শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৭/৩৫৫; ইলাউস সুনান ১৭/২৪০
-শরহু মাআনিল আছার ২/২৭১; কিতাবুল আসল ২/৪৯৪; শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৭/৩৫৫; ইলাউস সুনান ১৭/২৪০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪১০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
আমরা সহোদর তিনভাই মিলে প্রতি বছর একটি গরু কুরবানী করি।...
প্রশ্ন
আমরা সহোদর তিনভাই মিলে প্রতি বছর
একটি গরু কুরবানী করি। বড় ভাই এক ভাগ আর আমরা দুই ভাই তিন অংশ করে মোট ছয়
ভাগ নিয়েছি। আমরা দুই ভাই সমান সমান টাকা দিয়ে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু
বড়ভাই আমাদের মধ্যে তুলনামূলক অসচ্ছল হওয়ায় তিনি তার অংশের পুরো টাকা
দেন না। আমরা দুই ভাই বলেছি, আপনি যা পারেন দেন, বাকিটা আমরা দুজনে দিয়ে
দিব। অবশ্য গোশত সকলের অংশ হারেই বণ্টন করা হয়। টাকা কম-বেশির কারণে তাতে
ব্যবধান করা হয় না; বরং ধরে নেওয়া হয় যে, আমরা ছোট দুই ভাই বড় ভাইয়ের
টাকার আংশিক আদায় করে দিই।
জানতে চাই, উল্লেখিত পদ্ধতিতে আমাদের কুরবানী কি সহীহ হচ্ছে?
জানতে চাই, উল্লেখিত পদ্ধতিতে আমাদের কুরবানী কি সহীহ হচ্ছে?
উত্তর
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাদের
কুরবানী সহীহ হয়েছে। গরু-মহিষে শরিকে কুরবানী দেওয়ার জন্য শর্ত হল, কারো
অংশ এক সপ্তমাংশের কম না হওয়া। প্রশ্নোক্ত অবস্থায় বড় ভাই যদিও তার
অংশের চেয়ে কম দিচ্ছেন কিন্তু অন্য দুই ভাই তার অংশের বাকিটা দিয়ে দিবেন
বলে উল্লেখ করেছেন। তাই বড় ভাইয়ের অংশ এক সপ্তমাংশের কম হয় না।
-ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৭৮
-ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০৫; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৭৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪০৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
কুরবানী কার উপর ওয়াজিব হয়? জানালে কৃতজ্ঞ হব।
প্রশ্ন
কুরবানী কার উপর ওয়াজিব হয়? জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
প্রাপ্তবয়ষ্ক,
সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী মুকীম ব্যক্তি, যে ১০
যিলহজ্ব সুবহে সাদিক থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে
প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা
ওয়াজিব হবে। নেসাব হল : স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি। আর রুপার
ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। আর অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে সাড়ে
বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের সম্পদ। স্বর্ণ বা রুপার কোনো একটি যদি
পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না হয় তবে স্বর্ণ-রুপা উভয়টি মিলে কিংবা এর সাথে
প্রয়োজন-অতিরিক্ত অন্য বস্ত্তর মূল্য মিলে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার
সমমূল্যের হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও কুরবানী ওয়াজিব হবে। স্বর্ণ-রুপার
অলঙ্কার, নগদ অর্থ, যে জমি বাৎসরিক খোরাকীর জন্য প্রয়োজন হয় না এবং
প্রয়োজন অতিরিক্ত আসবাবপত্র-এ সবই কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬,আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫
-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬,আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪০৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
খালিদ ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে, যার দ্বারা মোটামুটিভাবে...
প্রশ্ন
খালিদ ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি
করে, যার দ্বারা মোটামুটিভাবে তার সংসার চলে। গত কয়েকদিন পূর্বে তার আম্মা
ইন্তেকাল করেন। পিতা আগেই মারা গেছেন। মায়ের মৃত্যুর পর তার মামারা তার
আম্মার পৈত্রিক সম্পত্তি (৬ শতাংশ জমি, যার প্রতি শতাংশের মূল্য প্রায় এক
লক্ষ টাকা) তার ও তার তিন বোনের নামে ১.৫ শতাংশ করে সমানভাবে রেজিস্ট্রি
করে দিয়েছে। এছাড়া খালিদের উল্লেখযোগ্য কোনো সম্পদ নেই। তবে বর্তমানে তার
কাছে নগদ ৫০ হাজার টাকা আছে। জানার বিষয় হল, প্রশ্নোক্ত অবস্থায় খালিদের
উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি না?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী খালিদ
মীরাস সূত্রে ১.৫ শতাংশ জমির মালিক হয়েছে তা যেহেতু তার প্রয়োজন অতিরিক্ত
সম্পদ এবং তার মূল্যও নেসাব পরিমাণের বেশি (অর্থাৎ প্রায় এক লক্ষ ৫০
হাজার টাকা) তাই তার উপর কুরবানী ওয়াজিব।-ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৮৬;
রদ্দুল মুহতার ২/৩৩৯
প্রকাশ থাকে যে, মায়ের সম্পত্তি তার ছেলেমেয়ের মাঝে সমানহারে বণ্টন করা বৈধ হয়নি। কুরআন মজীদের হুকুম হল, মেয়ের তুলনায় ছেলে দ্বিগুণ মীরাসের হকদার।
-সূরা নিসা ৪ : ১১
প্রকাশ থাকে যে, মায়ের সম্পত্তি তার ছেলেমেয়ের মাঝে সমানহারে বণ্টন করা বৈধ হয়নি। কুরআন মজীদের হুকুম হল, মেয়ের তুলনায় ছেলে দ্বিগুণ মীরাসের হকদার।
-সূরা নিসা ৪ : ১১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৪০৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: কুরবানী
এ বছর হজ্বের কাফেলায় এক ব্যক্তি হলক করে হালাল হওয়ার...
প্রশ্ন
এ বছর হজ্বের কাফেলায় এক ব্যক্তি
হলক করে হালাল হওয়ার পর তাওয়াফে যিয়ারতের আগেই স্ত্রীর সাথে থেকেছে এবং
স্ত্রীসূলভ আচরণ করেছে। এরপর তারা তাওয়াফে যিয়ারত ও তাওয়াফে বিদা করার
পর দেশে চলে আসে। এখন তাদের উক্ত ভুলের কারণে জরিমানা দিতে হবে কি? এক
ব্যক্তি বলেছে, তাদের উপর উট কুরবানী করা ওয়াজিব। এটা কি ঠিক?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ভুলের কারণে
স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেককে একটি করে জরিমানা-দম ছাগল বা দুম্বা মক্কার হেরেম
এলাকায় জবাই করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের উপর উট কুরবানী করা ওয়াজিব
প্রশ্নের এ মন্তব্য ঠিক নয়। কেননা মাসআলা হল, উকূফে আরাফার পর হালাল
হওয়ার আগে স্ত্রী মিলন হয়ে গেলে প্রত্যেককে একটি করে উট বা গরু জরিমানা
দিতে হয়। আর যদি হালাল হওয়ার পর তাওয়াফে যিয়ারতের আগে এই ভুল হয়ে যায়
তবে একটি করে ছাগল বা দুম্বা জরিমানা দিতে হয়।
-মানাসিক, পৃ. ৩৩৯; ইলাউস সুনান ১০/৩৪০
-মানাসিক, পৃ. ৩৩৯; ইলাউস সুনান ১০/৩৪০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
0 মন্তব্যসমূহ