ফতোয়া নং: ২৫৪৭
তারিখ: ১/১/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
ছেলে মেয়েরা যতদিন পিতার সাথে একই সংসারে থাকে ততদিন ছেলেদের...
প্রশ্ন
ছেলে মেয়েরা যতদিন পিতার সাথে একই সংসারে থাকে ততদিন ছেলেদের আয়ের মালিক পিতা হবে কি না? হাওয়ালাসহ জানাবেন।
উত্তর
ছেলে পিতার সংসারে থাকা অবস্থায় ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থলে পিতার সহযোগী হিসেবে কাজকর্ম করলে এবং ছেলের
প্রাপ্য সম্পর্কে পূর্ব থেকে কোনো কথা না হলে প্রতিষ্ঠানের সকল
আয়-উপার্জনের মালিক পিতাই হবেন। ছেলে এ থেকে কোনো কিছুর মালিক হবে না। তবে এ
ধরনের ক্ষেত্রে ছেলের জন্য কোনো লভ্যাংশ বা পারিশ্রমিক দেওয়ার চুক্তি
থাকলে সে এর মালিক গণ্য হবে। আর ছেলের কর্মস্থল বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি
সম্পূর্ণ পৃথক হয় তাহলে তার উপার্জনের মালিক সে নিজেই হবে। এক্ষেত্রে ছেলে
পিতার সংসারে একত্রে থাকার কারণে পিতা ছেলের উপার্জনের মালিক হয়ে যাবে না।
অবশ্য এ অবস্থায় ছেলে সংসার খরচের জন্য বা এমনিতেই যে পরিমাণ অর্থ পিতাকে
দিয়ে দিবে পিতা তার মালিক
হবে।
-রদ্দুল মুহতার ৪/৩২৫; মাজাল্লাতু আহকামিল আদলিয়াহ, মাদ্দাহ : ১৩৯৮; ফাতাওয়া খায়রিয়া ২/৯২; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/৩২০
হবে।
-রদ্দুল মুহতার ৪/৩২৫; মাজাল্লাতু আহকামিল আদলিয়াহ, মাদ্দাহ : ১৩৯৮; ফাতাওয়া খায়রিয়া ২/৯২; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/৩২০
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৫৪৬
তারিখ: ১/১/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
একটি ব্যবসার ১ম ব্যক্তি মূলধন বিনিয়োগকারী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার...
প্রশ্ন
একটি ব্যবসার ১ম ব্যক্তি মূলধন
বিনিয়োগকারী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে
ব্যবসা পরিচালনা করবেন। দুজনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ব্যবসার মালিকানা,
লাভ-লোকসান বণ্টন ৫৫% (২য় ব্যক্তি) ও ৪৫% (১ম ব্যক্তি) নির্ধারিত হয়। এই
ব্যবসা থেকে ২য় ব্যক্তি কোনো বেতন অথবা অন্য কোনো বাড়তি সুবিধা (যেমন,
যাতায়াত খরচ ইত্যাদি) নিতে পারবেন কি না? যথাযথ দলিলপ্রমাণসহ জানালে বিশেষ
উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ব্যবসায়িক চুক্তিটিকে ফিকহে
ইসলামীর পরিভাষায় ‘মুদারাবা’ চুক্তি বলে। এতে মূলধন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসা
পরিচালনাকারীর জন্য শতকরা হারে লভ্যাংশ বণ্টনের চুক্তি করতে হয়। কারো জন্য
নির্দিষ্ট বেতনভাতা বা নির্দিষ্ট কোনো কিছুর চুক্তি করা জায়েয নেই। অতএব
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনাকারী কেবল নির্ধারিত পরিমাণ লভ্যাংশই
গ্রহণ করতে পারবে। তার জন্য ভিন্নভাবে কোনো বেতনভাতার চুক্তি করা যাবে না।
অবশ্য ব্যবসার স্বার্থে যে খরচ হবে যেমন, পণ্য
ক্রয়বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যাতায়াত ভাড়া, থাকা-
খাওয়ার বাস্তব খরচাদি গ্রহণ করতে পারবে এবং এ ধরনের খরচ পরিশোধের পরই ব্যবসার লাভ-লোকসানের হিসাব হবে। উলেস্নখ্য যে, ব্যবসা পরিচালনাকারীর নিকট পূর্ব নির্ধারিত লভ্যাংশ যদি কম মনে হয় তাহলে উভয় পক্ষের
সম্মতি সাপেক্ষে ভবিষ্যতের জন্য লভ্যাংশের
হার পরিবর্তন করা যাবে।- কিতাবুল আছল ৪/২৯১; মাজাল্লা মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী ১৩/৩/২৯৪; আলমাআইরুশ শরইয়াহ ২৪০, ২৪২, ২৫১; আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/১২৭;
ক্রয়বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যাতায়াত ভাড়া, থাকা-
খাওয়ার বাস্তব খরচাদি গ্রহণ করতে পারবে এবং এ ধরনের খরচ পরিশোধের পরই ব্যবসার লাভ-লোকসানের হিসাব হবে। উলেস্নখ্য যে, ব্যবসা পরিচালনাকারীর নিকট পূর্ব নির্ধারিত লভ্যাংশ যদি কম মনে হয় তাহলে উভয় পক্ষের
সম্মতি সাপেক্ষে ভবিষ্যতের জন্য লভ্যাংশের
হার পরিবর্তন করা যাবে।- কিতাবুল আছল ৪/২৯১; মাজাল্লা মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী ১৩/৩/২৯৪; আলমাআইরুশ শরইয়াহ ২৪০, ২৪২, ২৫১; আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/১২৭;
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৫৪৫
তারিখ: ১/১/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
গত ছয় মাস আগে আমি এক ব্যক্তিকে তার চিকিৎসার জন্য...
প্রশ্ন
গত ছয় মাস আগে আমি এক ব্যক্তিকে তার চিকিৎসার জন্য দুই লক্ষ টাকা ঋণ দেই। তিন মাস পর টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও
সে এখন
টাকা পরিশোধে গড়িমসি করছে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পর সে আমাকে বলে, ভাইজান! আমার তো চাকরি শেষ, তাই একটা ব্যবসা করার ইচ্ছা করছি। আপনার টাকাটা আমাকে মূলধন হিসাবে দেন, অর্ধেক লাভ আপনাকে দিব। আমি জানতে চাচ্ছি যে, তার প্রস্তাবমত ব্যবসা করা জায়েয
হবে কি?
সে এখন
টাকা পরিশোধে গড়িমসি করছে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পর সে আমাকে বলে, ভাইজান! আমার তো চাকরি শেষ, তাই একটা ব্যবসা করার ইচ্ছা করছি। আপনার টাকাটা আমাকে মূলধন হিসাবে দেন, অর্ধেক লাভ আপনাকে দিব। আমি জানতে চাচ্ছি যে, তার প্রস্তাবমত ব্যবসা করা জায়েয
হবে কি?
উত্তর
ঋণ উসূল না করে ঐ টাকা দ্বারা তার সাথে ব্যবসা করা জায়েয হবে না। তার
সাথে ঐ
টাকা দ্বারা ব্যবসা করতে চাইলে প্রথমে তা উসূল করতে হবে এরপর তা ব্যবসার জন্য দেওয়া যাবে। -আলবাহরুর রায়েক ৭/২৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৪৭; বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৪; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/৩৩০; আলমাআঈরুশ শরইয়্যাহ ২৪০, ২৪৯
সাথে ঐ
টাকা দ্বারা ব্যবসা করতে চাইলে প্রথমে তা উসূল করতে হবে এরপর তা ব্যবসার জন্য দেওয়া যাবে। -আলবাহরুর রায়েক ৭/২৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৪৭; বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৪; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/৩৩০; আলমাআঈরুশ শরইয়্যাহ ২৪০, ২৪৯
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৫২১
তারিখ: ১/১/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
বিদেশে অনেকে ব্যাংক থেকে লোন নেয়। নেওয়ার সময় ব্যাংক কিছু...
প্রশ্ন
বিদেশে অনেকে ব্যাংক থেকে লোন নেয়।
নেওয়ার সময় ব্যাংক কিছু টাকা কেটে রাখে ইন্সুরেন্স বাবদ। যাতে লোন
গ্রহীতা মারা গেলে বা কোনো কারণে দেশে চলে গেলে লোনের টাকা ইন্সুরেন্স
পরিশোধ করবে। জানার বিষয় হল, ইন্সুরেন্স যেহেতু লোন গ্রহীতার অনুপস্থিতিতে
লোনের টাকা পরিশোধ করার শর্তে ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং ব্যাংক
ইন্সুরেন্স বাবদ একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা লোন গ্রহীতার নিকট থেকে প্রথমেই
কেটে রাখে তাই লোন গ্রহীতা লোনের টাকা পরিশোধ না করে যদি দেশে চলে যায় আর
চুক্তি অনুযায়ী ইন্সুরেন্স তা পরিশোধ করে তবে কি লোন গ্রহীতা এই ঋণ থেকে
দায়মুক্ত হয়ে যাবে? নাকি আখিরাতে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হক নষ্টের
কারণে জবাবদিহি করতে হবে?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ব্যাংকের লোনের উপর ইন্সুরেন্স করা থাকলেও
এবং লোন
গ্রহীতা টাকা না দিলে ইন্সুরেন্স কোম্পানি তা পরিশোধ করে দিবে- এমন ব্যবস্থা থাকলেও লোন গ্রহীতার জন্য কোনো অবস্থায়ই লোনের টাকা ফেরত না দেওয়া জায়েয হবে না। সর্বাবস্থায় লোনের টাকা ফেরত দেওয়া তার জন্য জরুরি। এ টাকা ফেরত না দিলে অন্যের হক আত্মসাৎ করার গুনাহ হবে। প্রকাশ থাকে যে, সুদি লোন যেমন হারাম তেমনি ইন্সুরেন্সও হারাম। এতে সুদ ও জুয়া দুটিই রয়েছে। কুরআন মাজীদ ও হাদীস শরীফে সুদ ও জুয়ার বিষয়ে কঠোর ধমকি এসেছে। আর সুদের মধ্যে বাহ্যিক দৃষ্টিতে অর্থনৈতিক কিছু সাময়িক ফায়েদা দেখা গেলেও এতে রয়েছে চরম বেবরকতি ও খোদায়ী অভিশাপ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং সদকা বৃদ্ধি করেন। (সূরা : বাকারা : ২৭৬) তাই অনতিবিলম্বে সকল সুদি কারবার নিষ্পত্তি করা এবং এ থেকে খালেস দিলে তাওবা করা জরুরি। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১২৬৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০০৪৬
এবং লোন
গ্রহীতা টাকা না দিলে ইন্সুরেন্স কোম্পানি তা পরিশোধ করে দিবে- এমন ব্যবস্থা থাকলেও লোন গ্রহীতার জন্য কোনো অবস্থায়ই লোনের টাকা ফেরত না দেওয়া জায়েয হবে না। সর্বাবস্থায় লোনের টাকা ফেরত দেওয়া তার জন্য জরুরি। এ টাকা ফেরত না দিলে অন্যের হক আত্মসাৎ করার গুনাহ হবে। প্রকাশ থাকে যে, সুদি লোন যেমন হারাম তেমনি ইন্সুরেন্সও হারাম। এতে সুদ ও জুয়া দুটিই রয়েছে। কুরআন মাজীদ ও হাদীস শরীফে সুদ ও জুয়ার বিষয়ে কঠোর ধমকি এসেছে। আর সুদের মধ্যে বাহ্যিক দৃষ্টিতে অর্থনৈতিক কিছু সাময়িক ফায়েদা দেখা গেলেও এতে রয়েছে চরম বেবরকতি ও খোদায়ী অভিশাপ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং সদকা বৃদ্ধি করেন। (সূরা : বাকারা : ২৭৬) তাই অনতিবিলম্বে সকল সুদি কারবার নিষ্পত্তি করা এবং এ থেকে খালেস দিলে তাওবা করা জরুরি। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১২৬৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০০৪৬
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৫১৭
তারিখ: ১/১/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
গত ছয় মাস আগে আমি এক ব্যক্তিকে তার চিকিৎসার জন্য...
প্রশ্ন
গত ছয় মাস আগে আমি এক ব্যক্তিকে তার
চিকিৎসার জন্য দুই লক্ষ টাকা ঋণ দেই। তিন মাস পর টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও
সে এখন টাকা পরিশোধে গড়িমসি করছে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পর সে আমাকে বলে,
ভাইজান! আমার তো চাকরি শেষ, তাই একটা ব্যবসা করার ইচ্ছা করছি। আপনার
টাকাটা আমাকে মূলধন হিসাবে দেন, অর্ধেক লাভ আপনাকে দিব। আমি জানতে চাচ্ছি
যে, তার প্রস্তাবমত ব্যবসা করা জায়েয
হবে কি?
হবে কি?
উত্তর
ঋণ উসূল না করে ঐ টাকা দ্বারা তার সাথে ব্যবসা করা জায়েয হবে না। তার
সাথে ঐ
টাকা দ্বারা ব্যবসা করতে চাইলে প্রথমে তা উসূল
করতে হবে এরপর তা ব্যবসার জন্য দেওয়া যাবে। -আলবাহরুর রায়েক ৭/২৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৪৭; বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৪; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/৩৩০; আলমাআঈরুশ শরইয়্যাহ ২৪০, ২৪৯
সাথে ঐ
টাকা দ্বারা ব্যবসা করতে চাইলে প্রথমে তা উসূল
করতে হবে এরপর তা ব্যবসার জন্য দেওয়া যাবে। -আলবাহরুর রায়েক ৭/২৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৪৭; বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৪; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/৩৩০; আলমাআঈরুশ শরইয়্যাহ ২৪০, ২৪৯
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৫১৬
তারিখ: ১/১/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
একটি ব্যবসার ১ম ব্যক্তি মূলধন বিনিয়োগকারী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার...
প্রশ্ন
একটি ব্যবসার ১ম ব্যক্তি মূলধন
বিনিয়োগকারী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে
ব্যবসা পরিচালনা করবেন। দুজনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ব্যবসার মালিকানা,
লাভ- লোকসান বণ্টন ৫৫% (২য় ব্যক্তি) ও ৪৫% (১ম ব্যক্তি) নির্ধারিত হয়। এই
ব্যবসা থেকে ২য় ব্যক্তি কোনো বেতন অথবা অন্য কোনো বাড়তি সুবিধা (যেমন,
যাতায়াত খরচ ইত্যাদি) নিতে পারবেন কি না? যথাযথ দলিলপ্রমাণসহ জানালে বিশেষ
উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ব্যবসায়িক চুক্তিটিকে
ফিকহে ইসলামীর পরিভাষায় ‘মুদারাবা’ চুক্তি বলে। এতে মূলধন বিনিয়োগকারী ও
ব্যবসা পরিচালনাকারীর জন্য শতকরা হারে লভ্যাংশ বণ্টনের চুক্তি করতে হয়।
কারো জন্য নির্দিষ্ট বেতনভাতা বা নির্দিষ্ট কোনো কিছুর চুক্তি করা জায়েয
নেই। অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনাকারী কেবল নির্ধারিত পরিমাণ
লভ্যাংশই গ্রহণ করতে পারবে। তার জন্য ভিন্নভাবে কোনো বেতনভাতার চুক্তি করা
যাবে না। অবশ্য ব্যবসার স্বার্থে যে খরচ হবে যেমন, পণ্য
ক্রয়বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যাতায়াত ভাড়া,
থাকা-খাওয়ার বাস্তব খরচাদি গ্রহণ করতে পারবে এবং এ ধরনের খরচ পরিশোধের পরই ব্যবসার লাভ-লোকসানের হিসাব হবে। উলেস্নখ্য যে, ব্যবসা পরিচালনাকারীর নিকট পূর্ব নির্ধারিত লভ্যাংশ যদি কম মনে হয় তাহলে উভয় পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে ভবিষ্যতের জন্য লভ্যাংশের হার পরিবর্তন করা যাবে।- কিতাবুল আছল ৪/২৯১; মাজাল্লা মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী ১৩/৩/২৯৪; আলমাআইরুশ শরইয়াহ ২৪০, ২৪২, ২৫১; আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/১২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/২৮৭; বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৯
ক্রয়বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যাতায়াত ভাড়া,
থাকা-খাওয়ার বাস্তব খরচাদি গ্রহণ করতে পারবে এবং এ ধরনের খরচ পরিশোধের পরই ব্যবসার লাভ-লোকসানের হিসাব হবে। উলেস্নখ্য যে, ব্যবসা পরিচালনাকারীর নিকট পূর্ব নির্ধারিত লভ্যাংশ যদি কম মনে হয় তাহলে উভয় পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে ভবিষ্যতের জন্য লভ্যাংশের হার পরিবর্তন করা যাবে।- কিতাবুল আছল ৪/২৯১; মাজাল্লা মাজমাইল ফিকহিল ইসলামী ১৩/৩/২৯৪; আলমাআইরুশ শরইয়াহ ২৪০, ২৪২, ২৫১; আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/১২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/২৮৭; বাদায়েউস সানায়ে ৫/১১৯
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২০৬০
তারিখ: ১/৮/২০১৪
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এক লোকের ঘরে অনেক ধান আছে। সে চার মাস পর...
প্রশ্ন
এক লোকের ঘরে অনেক ধান আছে। সে চার মাস
পর ধানের দাম বাড়লে তা বিক্রি করবে। ইতিমধ্যে এক ব্যক্তি এসে তাকে বলল,
এই ধান আমার কাছে বিক্রি করে দাও। চার মাস পর ধানের যে বাজার মূল্য হবে সে
হিসেবে তোমার ধানের মূল্য পরিশোধ করে দিব। জানার বিষয় হল, এভাবে
ক্রয়-বিক্রয় করা শরীয়তে বৈধ কি না?
উত্তর
না, এভাবে ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয নয়।
কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তির সময়ই পণ্যের
মূল্য নির্ধারণ করে নেওয়া জরুরি। তাই কারবারটি জায়েযভাবে করতে চাইলে ধান
দেওয়ার আগেই চুক্তির সময় মূল্য নির্ধারণ
করে নিতে হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৫৫; ফাতহুল কাদীর ৫/৪৬৭; শরহুল মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ২৩৮; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৭৪; রদ্দুল মুহতার
৪/৫২৯
কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তির সময়ই পণ্যের
মূল্য নির্ধারণ করে নেওয়া জরুরি। তাই কারবারটি জায়েযভাবে করতে চাইলে ধান
দেওয়ার আগেই চুক্তির সময় মূল্য নির্ধারণ
করে নিতে হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩৫৫; ফাতহুল কাদীর ৫/৪৬৭; শরহুল মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ২৩৮; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৭৪; রদ্দুল মুহতার
৪/৫২৯
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২০৫৮
তারিখ: ১/৮/২০১৪
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একটি ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করি। আমার দায়িত্ব হল ফ্যাক্টরির যাবতীয়...
প্রশ্ন
আমি একটি ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করি। আমার
দায়িত্ব হল ফ্যাক্টরির যাবতীয় কাঁচামাল বাজার থেকে ক্রয় করে আনা। জনৈক
ব্যবসায়ী আমার সাথে এই মর্মে চুক্তি করতে চাচ্ছে যে, আমি যদি তার থেকে
ফ্যাক্টরির সকল কাঁচামাল ক্রয় করি তাহলে সে আমাকে শতকরা হারে কিছু কমিশন
দিবে। জানতে চাই, আমার এ কমিশন গ্রহণ করা জায়েয হবে কি না? এ টাকা কি
নিজের কাছে রেখে দিতে পরব? না মালিককে ফেরত দিতে হবে। জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
আপনার জন্য উক্ত কমিশন ভোগ করা জায়েয
হবে না। কেননা আপনি ফ্যাক্টরির পক্ষ থেকে ক্রয় প্রতিনিধি। বিক্রেতা
এক্ষেত্রে যদি কোনো মূল্যছাড় বা কমিশন দেয় তবে তা ফ্যাক্টরি মালিকেরই
প্রাপ্য। সেখান থেকে আপনার জন্য কিছুই নেওয়া জায়েয হবে না। এছাড়া
বিক্রেতা যদি স্বয়ং আপনাকে দিতে চায় তবুও তা আপনার জন্য নেওয়া জায়েয
হবে না। কেননা আপনি কোম্পানির পক্ষ থেকে এ কাজের জন্য মাসিক বেতন পাচ্ছেন।
সুতরাং এ বাবদ দোকানদার থেকে কোনো কমিশন নেওয়া ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে।
-সুনানে আবু দাউদ ৪/২১০; কিতাবুল আছল ১১/২৮৮; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৫১৬;
আলবাহরুর রায়েক ৭/১৫৫; শরহুল মাজাল্লাহ ৪/৪৭৮
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২০১১
তারিখ: ১/৮/২০১৪
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এক ব্যক্তি আমার থেকে দশ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছে এবং...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি আমার থেকে দশ হাজার টাকা ঋণ
নিয়েছে এবং তার মোটর সাইকেলটি আমার কাছে বন্ধক রেখেছে। ঋণ আদায়ের আগ
পর্যন্ত আমি তার সাইকেলটি অন্যদের নিকট ভাড়া দিয়েছি। এতে আমার কিছু টাকা আয়
হয়েছে। পরববর্তীতে সে ঋণ আদায় করে দিলে আমি তার সাইকেলটি ফেরত দিয়ে দেই।
আমার প্রশ্ন হল সাইকেল দ্বারা অর্জিত টাকা আমার জন্য ভোগ করা জায়েয হবে কি?
না হলে এ টাকা কী করব? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
ঋণদাতার জন্য বন্ধকি বস্ত্ত থেকে উপৃকত
হওয়া নাজায়েয। তা সুদের অন্তর্ভুক্ত। তাই মোটর সাইকেলটি থেকে অর্জিত ভাড়া
আপনার জন্য ভোগ করা জায়েয হবে না। আপনি যদি ঋণ গ্রহিতার অনুমতিক্রমে
সাইকেলটি ভাড়া দিয়ে থাকেন তাহলে তা দ্বারা উপার্জিত সকল অর্থ মালিকের
প্রাপ্য। এগুলো তাকে ফেরত দিতে হবে। আর
যদি তার
অনুমতি ছাড়া ভাড়া দিয়ে থাকেন তাহলে এ থেকে উপার্জিত সকল অর্থ আপনাকে সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে মোটর সাইকেলের মালিকও তা ভোগ করতে পারবে না। -রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৫৯৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/৫৬২- ৫৬৩; আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/৮৯
যদি তার
অনুমতি ছাড়া ভাড়া দিয়ে থাকেন তাহলে এ থেকে উপার্জিত সকল অর্থ আপনাকে সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে মোটর সাইকেলের মালিকও তা ভোগ করতে পারবে না। -রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৫৯৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/৫৬২- ৫৬৩; আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/৮৯
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
0 মন্তব্যসমূহ