ফতোয়া নং: ৪৬৬২
তারিখ: ১/১০/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
সন্ত্রাসীর হাত থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে মুক্তিপণ বা চাঁদা দেয়া৷
প্রশ্ন
মুফতী সাহেব , আমি দুটি বিষয় জানতে
চাচ্ছি; ১। নিজের বা সন্তানের বা অন্য কারো জীবন সন্ত্রাসী দের হাত থেকে
বাঁচাতে মুক্তি পণ দেওয়া জায়েজ কি? ২। ব্যবসা করতে গিয়ে বিভিন্ন কারণে
সন্ত্রাসী বা অন্য কাউ কে চাঁদা দেওয়া ইসলামের দুষ্টিতে জায়েজ কি?
উত্তর
সুদ বা ঘুষ গ্রহণ কখনোই জায়েজ নয়। কিন্তু বিপদ থেকে রক্ষা পেতে নিরূপায় অবস্থায় সুদ ও ঘুষ দেয়া জায়েজ আছে।
দলিলঃ
রদ্দুল মুহতার ৯/৬০৭; ফতহুল কাদীর ৭/২৫৫; বাহরুর রায়েক ৬/২৬২৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
দলিলঃ
রদ্দুল মুহতার ৯/৬০৭; ফতহুল কাদীর ৭/২৫৫; বাহরুর রায়েক ৬/২৬২৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৬৫৯
তারিখ: ১/১০/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
ইসলামী ব্যাংকে চাকুরী করা, একাউন্ট খোলা৷
প্রশ্ন
ইসলামী ব্যাংক লিঃ , আল- আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ, শাহজালাল ইসলমী ব্যাংকলিঃ সহ বাংলাদেশে পরিচালিত
ইসলামী ব্যাংক সমূহে চাকুরী করা, একাউন্ট খোলাজায়েজ আছে কিনা । যদি জায়েজ
না থাকে তাহলে কি কারনে জায়েজ নাই তাহাবিস্তারিত জানালে উপকৃত হব৷
ইসলামী ব্যাংক সমূহে চাকুরী করা, একাউন্ট খোলাজায়েজ আছে কিনা । যদি জায়েজ
না থাকে তাহলে কি কারনে জায়েজ নাই তাহাবিস্তারিত জানালে উপকৃত হব৷
উত্তর
বর্তমানে বাংলাদেশে ইসলামীক নামে
পরিচিত ব্যাংকগুলোর সকল কার্যক্রম আমাদের জানামতে পূর্ণ ইসলামী নীতিমালা অনুসারে
পরিচালিত হতে পারছে না। তাই ওই সব ইসলামী ব্যাংকে যে কোন পদে চাকুরী করা হালাল-হারামের দৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ। আর সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে কারেন্ট একাউন্ট কিংবা অন্য কোন সুদমুক্ত একাউন্টে টাকা
রাখা যেতে পারে। ইসলামী ব্যাংক গুলোতে টাকা রাখলে লাভ না নেওয়া উচিত।
দলিলঃ
সূরা বাকারা আঃ ২৭৫, ২৭৮, সহীহ বুখারী ১/২৮, সহীহ মুসলিম ২/২৭, রদ্দুল মুহতার ৭/৬৫৮, ফতওয়ায়ে উসমানী ৩/৩৯৪৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
02756473393
পরিচিত ব্যাংকগুলোর সকল কার্যক্রম আমাদের জানামতে পূর্ণ ইসলামী নীতিমালা অনুসারে
পরিচালিত হতে পারছে না। তাই ওই সব ইসলামী ব্যাংকে যে কোন পদে চাকুরী করা হালাল-হারামের দৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ। আর সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে কারেন্ট একাউন্ট কিংবা অন্য কোন সুদমুক্ত একাউন্টে টাকা
রাখা যেতে পারে। ইসলামী ব্যাংক গুলোতে টাকা রাখলে লাভ না নেওয়া উচিত।
দলিলঃ
সূরা বাকারা আঃ ২৭৫, ২৭৮, সহীহ বুখারী ১/২৮, সহীহ মুসলিম ২/২৭, রদ্দুল মুহতার ৭/৬৫৮, ফতওয়ায়ে উসমানী ৩/৩৯৪৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
02756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৬৪৫
তারিখ: ১/১০/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
রসের উদ্দেশ্যে খেজুর গাছ ভাড়া নেওয়া দেওয়া৷
প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় প্রচলন আছে যে, শীতকালে
গাছিরা খেজুর গাছ ভাড়া নেয়। পুরো শীত মৌসুমে খেজুরের রস বিক্রি করে যে
টাকা আয় হয় তা থেকে তারা মালিকের ভাড়া পরিশোধ করে। প্রশ্ন হল, উক্ত
কারবারটি শরীয়তের দৃষ্টিতে সহীহ কি না?
উত্তর
রসের উদ্দেশ্যে খেজুর গাছ ভাড়া
দেওয়া-নেওয়া জায়েয নয়। উল্লেখ্য, প্রশ্নোক্ত কারবারটি শরীয়তসম্মতভাবে
করতে চাইলে এভাবে করতে পারবে যে, গাছি গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে দিবে এবং তা
বিক্রি করে দিবে আর তার পরিশ্রমের বিনিময়ে সে মালিক থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ
পারিশ্রমিক নিবে। এক্ষেত্রে রস বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যাবে তা পাবে
গাছের মালিক। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৭; রদ্দুল মুহতার
৬/৮৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
৬/৮৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৬৪৪
তারিখ: ১/১০/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
গাড়ি ভাড়া নিয়ে ব্যবহার না করলে ভাড়া পরিশোধ করা৷
প্রশ্ন
ঢাকা শহর ও তার আশপাশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়ানোর জন্য আমরা একটি মাইক্রোবাস
ভাড়া নিই। চুক্তি ছিল, তেলখরচ ছাড়াও গাড়ির
মালিককে এক দিনের জন্য ১৫,০০/- টাকা ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু বিশেষ কারণে আমরা যেতে পারিনি। গাড়িটি বিকেল পর্যন্ত আমাদের বাসার সামনে অপেক্ষায় ছিল।
আমাদের না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর
গাড়িটি ফেরত যায়। জানতে চাই, এখন আমাদের
কি ব্যবহার না করা সত্ত্বেও এর নির্ধারিত ভাড়া
আদায় করতে হবে?
ভাড়া নিই। চুক্তি ছিল, তেলখরচ ছাড়াও গাড়ির
মালিককে এক দিনের জন্য ১৫,০০/- টাকা ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু বিশেষ কারণে আমরা যেতে পারিনি। গাড়িটি বিকেল পর্যন্ত আমাদের বাসার সামনে অপেক্ষায় ছিল।
আমাদের না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর
গাড়িটি ফেরত যায়। জানতে চাই, এখন আমাদের
কি ব্যবহার না করা সত্ত্বেও এর নির্ধারিত ভাড়া
আদায় করতে হবে?
উত্তর
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গাড়িটি ব্যবহার না
হলেও চুক্তিকৃত ১৫,০০/- টাকাই আদায় করতে হবে। তবে যেহেতু গাড়ি ব্যবহার হয়নি তাই তেল খরচ দিতে হবে না।
-আলআশবাহ ওয়াননাযাইর পৃ. ৩২০; শরহুল মাজাল্লাহ খালিদ আতাসী ২/৫৫৪; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩৭১; মাজাল্লাহ পৃ. ৮৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১১৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন জামিয়া মাজহারুল হক দারুল উলুম দেবগ্রাম আখাউড়া ব্রাক্ষনবাড়িয়া
01756473393
হলেও চুক্তিকৃত ১৫,০০/- টাকাই আদায় করতে হবে। তবে যেহেতু গাড়ি ব্যবহার হয়নি তাই তেল খরচ দিতে হবে না।
-আলআশবাহ ওয়াননাযাইর পৃ. ৩২০; শরহুল মাজাল্লাহ খালিদ আতাসী ২/৫৫৪; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩৭১; মাজাল্লাহ পৃ. ৮৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১১৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন জামিয়া মাজহারুল হক দারুল উলুম দেবগ্রাম আখাউড়া ব্রাক্ষনবাড়িয়া
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৬১৪
তারিখ: ১/১০/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
অতিরিক্ত দেয়ার শর্ত করে ঋন দেওয়া৷
প্রশ্ন
আমি এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ৪০,০০০/-
টাকা ঋণ নিই এবং সেই টাকা নিয়ে আমার বেশ উপকার হয়। সে আমাকে বলেছে, তোমার
যে পরিমান ইচ্ছা বাড়িয়ে দিও। আমার উপকারের বিনিময় হিসেবে তাকে অতিরিক্ত
কিছু দেওয়া যাবে কি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঋণদাতা যেহেতু
ঋণের ৪০,০০০/- টাকা থেকে কিছু অতিরিক্ত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাই এ
অতিরিক্ত দেওয়া-নেওয়া সুদ হবে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী ফুযালাহ বিন উবায়দ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে
ঋণের সাথে অতিরিক্ত কিছু দেওয়া নেওয়ার শর্ত থাকে তা সুদ।-আসসুনানুল
কুবরা, বায়হাকী ৫/৩৫০ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা সুদ দাতা,
গ্রহীতা, সাক্ষী ও লেখক সকলকে অভিসম্পাত করেন। -মুসনাদে আহমদ, হাদীস :
৩৭২৫; ইলাউস সুনান ১৪/৫১৫; মাবসূত, সারাখসী ১৪/৩৫; বাদায়েউস সানায়ে
৬/৫১৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৯/৩৮৮৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৬১১
তারিখ: ১/১০/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
দীর্ঘ মেয়াদী ভাড়ায় বস্তু পুনারায় মালিকের নিকট ভাড়া দেওয়া৷
প্রশ্ন
আমি অগ্রিম ভাড়া প্রদান করে জনৈক
ব্যক্তি থেকে দশ বছর মেয়াদে একটি গুদাম ভাড়া নেই। যার পাঁচ বছর অতিবাহিত
হয়ে গেছে। এখন মালিক বিশেষ প্রয়োজনে ছয় মাসের জন্য ঐ গুদামটি আমার কাছ
থেকে ভাড়ায় নিতে চাচ্ছে। জানার বিষয় হল, আমার জন্য গুদামটি মালিকের নিকট
ভাড়া দেওয়া বৈধ হবে কি?
উত্তর
না, মালিকের নিটক দোকানটি ভাড়া দেওয়া
বৈধ হবে না। কারণ ভাড়া নেওয়া বস্ত্ত পুনরায় মালিকের নিকট ভাড়া দেওয়া
বৈধ নয়। এক্ষেত্রে মালিককে যে ছয় মাসের জন্য দোকানটি দিতে চাচ্ছেন সেই
ছয় মাসের জন্য আপনার ভাড়া চুক্তি বাতিল করতে হবে। মালিক এ কয় মাসের
ভাড়া আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে। আপনি ছয় মাসের জন্য যত টাকা তাকে প্রদান
করেছিলেন তত টাকাই ফেরত নিতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি নেওয়া-দেওয়া জায়েয
হবে না। -ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/৫১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৯১; আলমুহীতুল
বুরহানী ১১/২৭০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪২৫৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ
তাহসীন
01756473393
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৫৩৩
তারিখ: ১/৯/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
শর্তহীন করজ নিয়ে বেশি পরিশোধ করা৷
প্রশ্ন
আমার এক বর্গা চাষী আউশ ধানের মৌসুমে
আমার প্রাপ্য পাঁচ মণ ধান করজ হিসেবে রেখে দিয়েছিল। অতপর আমনের মৌসুমে করজ
পরিশোধ করতে তিন মণ সাধারণ ধান আর দু’মণ পোলাওর ধান দিয়েছে। যেহেতু
পোলাওর ধানের দাম অন্যান্য ধানের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তাই আমি প্রথমে
নিতে অসম্মতি প্রকাশ করলেও পরে এ ধানের প্রয়োজন আছে বিধায় নিয়ে নিয়েছি।
এখন প্রশ্ন হল, সাধারণ ধানের পরিবর্তে এ অধিক মূল্যের ধান গ্রহণ করা আমার
জন্য বৈধ হয়েছে কি না?
উত্তর
করজ দেওয়ার সময় যদি উন্নত জাতের ও
বেশি মূল্যের ধান দেওয়ার কিংবা যে কোনোভাবে ঋণদাতাকে লাভবান করার শর্ত না
হয়ে থাকে এবং সমাজে এমন কোনো প্রচলনও না থাকে; বরং ঋণগ্রহীতা করজ পরিশোধ
করার সময় স্বেচ্ছায় ভালো ধান দিয়ে থাকে তাহলে ঋণদাতার জন্য তা গ্রহণ
করার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে তা সুদ হবে না। -সহীহ বুখারী ১/৩২২; বাদায়েউস
সানায়ে ৬/৫১৯; নুতাফ ফিলফাতাওয়া পৃ. ২৯৯; আলমুহীতুল বুরহানী ১০/৩৫১;
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/২০২৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৫২৫
তারিখ: ১/৯/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
লাকি কুপন ও লটারীতে বিজয়ীদের পুরুস্কার গ্রহন৷
প্রশ্ন
বর্তমানে বাজারে ব্যবসায়ীদের পক্ষ
থেকে লাকি কুপন ছাড়া হয়। ক্রেতা নির্দিষ্ট পরিমাণ মাল কিনলে তাকে একটি
কুপন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
প্রশ্ন হল, এ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা-বেচা করা কি জায়েয হবে?
লটারিতে বিজয়ী হলে পুরস্কার গ্রহণ করা যাবে কি?
উত্তর
যদি পুরস্কারের কুপন ছাড়ার কারণে
পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা না হয় কিংবা এর কারণে ক্রেতাদেরকে কোনোরূপ ধোঁকা
দেওয়ার অভিপ্রায় না থাকে যথা- নিম্নমানের মাল চালিয়ে দেওয়া ইত্যাদি এবং
ক্রেতা শুধু পুরস্কার পাওয়ার উদ্দেশ্যেই ক্রয় করে না থাকে। তাহলে এ
ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা-বেচা করা এবং লটারিতে বিজয়ী হলে
পুরস্কার গ্রহণ করাও জায়েয হবে। এটি মূলত মূল্যছাড়েরই একটি পদ্ধতি।
উল্লেখ্য, পণ্যের অধিক প্রচারের জন্য এভাবে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা
পছন্দনীয় নয়; বরং পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য শরীয়তের দৃষ্টিতে
পছন্দনীয় নিয়ম হল, ব্যাপকভাবে মূল্যছাড় দেওয়া কিংবা পূর্বের মূল্য বহাল
রেখে পণ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া কিংবা পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি করা
ইত্যাদি। -বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যা মুআছিরাহ ২/২৩২; ফাতাওয়া মুআছিরাহ
২/৪২০৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৫২১
তারিখ: ১/৯/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
কাজ না থাকলে মাসিক বেতনের কর্মচারীদের বেতন কমিয়ে দেওয়া৷
প্রশ্ন
আমার একটি গাড়ির গ্যারেজ আছে। সেখানে
বিভিন্ন কাজের জন্য মাসিক বেতন হিসেবে কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছি। কিন্তু
মাঝে মাঝে দেখা যায় যে, মাসে ৭/৮ দিন পর্যন্ত কোনো কাজ থাকে না। ফলে
কর্মচারীরা বেকার বসে থাকে। এতে কাঙ্খিত আয়ের চেয়ে অনেক কম আয় হয়। এখন
জানার বিষয় হল, যদি কোনো মাসে এমন হয় তাহলে কর্মচারীদের মাসিক বেতন হতে
বেকার দিনগুলোর টাকা কেটে রাখা বৈধ হবে কি?
উত্তর
যদি কর্মচারীগণকে নির্দিষ্ট সময়ের
জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তারা ডিউটির নির্দিষ্ট সময় চাকুরীস্থলে
উপস্থিত থাকে ও কাজের জন্য প্রস্ত্তত থাকে তাহলে কাজ না থাকলেও পূর্ণ
সময়ের বেতন দিতে হবে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মাস শেষে তারা পূর্ণ
মাসের বেতনই পাবে। কাজ না থাকায় বেকার দিনগুলোর বেতন কম দেওয়া বৈধ হবে
না। -মাজাল্লাতু আহকামিল আদলিয়া মাদ্দাহ ৪২৫; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৬৯;
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৫০০৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৫১৯
তারিখ: ১/৯/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
বাংলাদেশে প্রচলিত গরু ছাগল বর্গা দেয়া ৷
প্রশ্ন
সম্মান প্রদর্শন পূর্বক আপনার কাছে
আমার প্রশ্ন- বর্তমানে আমাদের গ্রামাঞ্চলে পশু বর্গা দেওয়ার একটি পদ্ধতি
প্রচলিত আছে। পদ্ধতিটি হল-একজনের গরু বা ছাগল অন্যকে দিয়ে দেয় এ শর্তে যে, এ
গরুটি বা ছাগলটি যখন বড় হবে তখন তা বাজারে বিক্রি করে যে দাম পাওয়া যাবে
এর অর্ধেক লালন পালনকারী এবং অর্ধেক পশুটির মালিক পাবে। কিংবা এভাবে চুক্তি
হয় যে, পশুটির প্রথম বাচ্চা পাবে লালন পালনকারী আর মূল পশু মালিকের রয়ে
যাবে। এর বিনিময়ে মালিক কিছুই পাবে না। এ দু’টি পদ্ধতিতে চুক্তি করা কি
শরীয়ত
সম্মত?
সম্মত?
উত্তর
এরকম চুক্তি থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে
হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ বলেছেন-এ পদ্ধতিটি হাম্বলী মাযহাবে
জায়েজ। তাই কোন এলাকায় যদি এটি ব্যাপক প্রচলন হয়, আর এ ছাড়া আর কোন পদ্ধতি
সহজ না হয়, তাহলে উক্ত পদ্ধতিটি হাম্বলী মাযহাব অনুযায়ী আমাদের মাযহাবেও
জায়েজ হিসেবে করা যাবে। {ইমদাদুল ফাতওয়া-৩/৩৪২-৩৪৩}
ﻓﻰ ﻣﺠﻤﻮﻋﺔ ﻓﺘﺎﻭﻯ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﺔ- ﻟﻮ ﺩﻓﻊ ﺩﺍﺑﺘﻪ ﺃﻭ ﻧﺨﻠﻪ
ﺇﻟﻰ ﻣﻦ ﻳﻘﻮﻡ ﺑﻪ ﻭﻟﻪ ﺟﺰﺀ ﻣﻦ ﺛﻤﺎﻧﻴﺔ ﺻﺢ . ﻭﻫﻮ ﺭﻭﺍﻳﺔ
ﻋﻦ ﺃﺣﻤﺪ ﻋﻦ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭﺍﺕ 145 ، 146 ﻑ /2 220 ،
( ﻣﺠﻤﻮﻋﺔ ﻓﺘﺎﻭﻯ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺒﻴﻊ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺸﺮﻛﺔ
প্রশ্নে বর্নিত ১ম সূরতের উত্তম পদ্ধতি হলো,
যে পশুটি বর্গা দিতে চাচ্ছে, একটি নামমাত্র দাম ধরে যার কাছে বর্গা দিতে চাচ্ছে তার কাছে বিক্রি করে দিবে। আর যে টাকাটি বিক্রি হিসেবে মালিক পেল তা এক বা দুই বছর নির্ধারিত করে লালন পালনের মুজুরী হিসেবে পশু গ্রহিতাকে প্রদান করবে। এখন উভয়ে উক্ত পশুটির অর্ধেক অর্ধেক মালিক। সে হিসেবে পশুটির বাচ্চা ও দুধ ইত্যাদি সমান সমান ভোগ করতে পারবে। শরয়ী কোন সমস্যা এতে নেই। ২য় সূরতের উত্তম পদ্ধতি হলো, যার কাছে বর্গা দিতে চাচ্ছে তার সাথে এভাবে চুক্তি করবে যে, তুমি এক বছর আমার পশুটি লালন পালন কর, আমি তোমাকে কথার কথা একশত টাকা দিব। তারপর এক বছর পর যদি মালিক বাছুর নিতে চায়, তাহলে একশত টাকা পরিশোধ করে বাছুর নিয়ে নিবে। আর যদি লালনপালনকারী বাছুর নিতে চায়, তাহলে একশত টাকা নেবার বদলে বাছুরটি নিয়ে নিবে উভয়ের সন্তুষ্টিতে। এভাবে চলতে থাকলে এতে কোন শরয়ী বিধিনিষেধ নেই। ইমদাদুল ফতওয়া ৩/৩৪২, ৩৪৩৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
ﻓﻰ ﻣﺠﻤﻮﻋﺔ ﻓﺘﺎﻭﻯ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﺔ- ﻟﻮ ﺩﻓﻊ ﺩﺍﺑﺘﻪ ﺃﻭ ﻧﺨﻠﻪ
ﺇﻟﻰ ﻣﻦ ﻳﻘﻮﻡ ﺑﻪ ﻭﻟﻪ ﺟﺰﺀ ﻣﻦ ﺛﻤﺎﻧﻴﺔ ﺻﺢ . ﻭﻫﻮ ﺭﻭﺍﻳﺔ
ﻋﻦ ﺃﺣﻤﺪ ﻋﻦ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭﺍﺕ 145 ، 146 ﻑ /2 220 ،
( ﻣﺠﻤﻮﻋﺔ ﻓﺘﺎﻭﻯ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺒﻴﻊ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺸﺮﻛﺔ
প্রশ্নে বর্নিত ১ম সূরতের উত্তম পদ্ধতি হলো,
যে পশুটি বর্গা দিতে চাচ্ছে, একটি নামমাত্র দাম ধরে যার কাছে বর্গা দিতে চাচ্ছে তার কাছে বিক্রি করে দিবে। আর যে টাকাটি বিক্রি হিসেবে মালিক পেল তা এক বা দুই বছর নির্ধারিত করে লালন পালনের মুজুরী হিসেবে পশু গ্রহিতাকে প্রদান করবে। এখন উভয়ে উক্ত পশুটির অর্ধেক অর্ধেক মালিক। সে হিসেবে পশুটির বাচ্চা ও দুধ ইত্যাদি সমান সমান ভোগ করতে পারবে। শরয়ী কোন সমস্যা এতে নেই। ২য় সূরতের উত্তম পদ্ধতি হলো, যার কাছে বর্গা দিতে চাচ্ছে তার সাথে এভাবে চুক্তি করবে যে, তুমি এক বছর আমার পশুটি লালন পালন কর, আমি তোমাকে কথার কথা একশত টাকা দিব। তারপর এক বছর পর যদি মালিক বাছুর নিতে চায়, তাহলে একশত টাকা পরিশোধ করে বাছুর নিয়ে নিবে। আর যদি লালনপালনকারী বাছুর নিতে চায়, তাহলে একশত টাকা নেবার বদলে বাছুরটি নিয়ে নিবে উভয়ের সন্তুষ্টিতে। এভাবে চলতে থাকলে এতে কোন শরয়ী বিধিনিষেধ নেই। ইমদাদুল ফতওয়া ৩/৩৪২, ৩৪৩৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৫১৬
তারিখ: ১/৯/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
কোম্পানীর বস এক রেটে বিক্রি করতে বলার পর এর চেয়ে কমবেশি করে বিক্রি করা
প্রশ্ন
আমি একটি কোম্পানিতে চাকরি করি।বিভিন্ন
কোম্পানির ওর্ডার নিয়ে কাজ করি। আমি একজন র্মাকেটিং কর্মকর্তা।আমাকে একটি
কোম্পানির মাল তৈরির জন্য আমার কোম্পানি রেট দিয়েছে পিছ ৫ টাকা,আমি ঐ
কোম্পানিকে রেট দিয়োছি ৬ টাকা।অতিরিক্ত এক টাকা আমার জন্য হালাল ববে কিনা?
উল্লেখ্য আমার এক টাকা থেকে ঐ কোম্পানির থেকে যার মাধ্যমে অর্ডার নেই তাকেও
অর্ধেক দিতে হয়। না হলে আমাকে সে অর্ডার দিবেনা। তাকে দেওয়া না দেওয়া উভয়
অবস্থার মাসয়ালা জানাবেন।
উত্তর
আপনি কোম্পানীর নির্দিষ্ট বেতনভূক্ত
চাকরীজীবী। আপনাকে মূলত রাখাই হয়েছে অন্য কোম্পানী থেকে কাজ পাইয়ে দিয়ে
কোম্পানীকে ব্যবসায় সুযোগ করে দেয়া। সুতরাং আপনার জন্য কোম্পানী নির্ধারিত
রেটের চে’ বেশি টাকায় কাজ নিয়ে তা কোম্পানীকে না জানিয়ে ভোগ করা জায়েজ হবে
না। কারণ আপনার নেয়া কাজটি করবে কোম্পানীর নির্ধারিত ব্যক্তিরা। যাদের
বেতন- ভাতা দেয় কোম্পানী আপনি নয়। যেসকর সরঞ্জামাদী ব্যবহৃত হবে উক্ত
বস্তটি প্রস্তুত করতে তার খরচও বহন করবে কোম্পানী। তাই কাজটির মূল মালিক
কোম্পানী। এতে তাদের অনুমতি ছাড়া অন্য কারো মুনাফা অর্জনটা খিয়ানত হবে।
অন্যায় হবে। তাই এ কাজটি কিছুতেই জায়েজ নয়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে
ইরশাদ করেছেন- ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ
ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ
ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ( 29 ) অর্থাৎ হে মুমিনরা! তোমরা পরস্পরের মালকে অন্যায়ভাবে গ্রাস করনা, তবে ব্যবসায়িক পদ্ধতিতে পারস্পরিক সন্তুষ্টচিত্তে হল ভিন্ন কথা। {সূরা
নিসা-২৯}
তবে আপনি যদি আপনার চাকরিকৃত কোম্পানীর কাছ থেকে এভাবে অনুমোদন নিয়ে নেন যে, আপনি কোম্পানীর নির্ধারিত রেটের চে’ বেশী যদি উসুল করতে পারেন, তাহলে কোম্পানী এতে অনুমোদন দিলে আপনার জন্য তা বৈধ হবে নতুবা নয়। আর আপনার জন্য যখন বৈধ হবে তখন তাকে দেয়াও বৈধ হবে। আর অনুমোদিত না হলে কারো জন্যই তা জায়েজ হবে না। উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
ইরশাদ করেছেন- ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ
ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ
ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ( 29 ) অর্থাৎ হে মুমিনরা! তোমরা পরস্পরের মালকে অন্যায়ভাবে গ্রাস করনা, তবে ব্যবসায়িক পদ্ধতিতে পারস্পরিক সন্তুষ্টচিত্তে হল ভিন্ন কথা। {সূরা
নিসা-২৯}
তবে আপনি যদি আপনার চাকরিকৃত কোম্পানীর কাছ থেকে এভাবে অনুমোদন নিয়ে নেন যে, আপনি কোম্পানীর নির্ধারিত রেটের চে’ বেশী যদি উসুল করতে পারেন, তাহলে কোম্পানী এতে অনুমোদন দিলে আপনার জন্য তা বৈধ হবে নতুবা নয়। আর আপনার জন্য যখন বৈধ হবে তখন তাকে দেয়াও বৈধ হবে। আর অনুমোদিত না হলে কারো জন্যই তা জায়েজ হবে না। উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৪৫৬
তারিখ: ১/৮/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের কলেজ একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর...
প্রশ্ন
আমাদের কলেজ একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অত্র প্রতিষ্ঠানের
প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর টাকা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ৫০% এবং চাকরিজীবীদের বেতন থেকে ৫০% ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। উক্ত টাকা চাকরি শেষে চাকরিজীবীদের প্রদান করার বিধান রয়েছে। বর্তমানে কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ৫০% এর উপর এফ.ডি.আর. করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ টাকাও চাকরির শেষে মূল ও বর্ধিত অংশসহ চাকরিজীবীদেরকে প্রদান করা হবে। অতএব এ অবস্থায় উক্ত মূল ও বর্ধিত অংশ চাকরির শেষে গ্রহণ করা যাবে কি না?
প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর টাকা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ৫০% এবং চাকরিজীবীদের বেতন থেকে ৫০% ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। উক্ত টাকা চাকরি শেষে চাকরিজীবীদের প্রদান করার বিধান রয়েছে। বর্তমানে কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ৫০% এর উপর এফ.ডি.আর. করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ টাকাও চাকরির শেষে মূল ও বর্ধিত অংশসহ চাকরিজীবীদেরকে প্রদান করা হবে। অতএব এ অবস্থায় উক্ত মূল ও বর্ধিত অংশ চাকরির শেষে গ্রহণ করা যাবে কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত ফান্ডে টাকা
জমা রাখা যদি ঐচ্ছিক হয় অর্থাৎ কেউ চাইলে উক্ত ফান্ডের জন্য বেতন থেকে টাকা কেটে রাখতে পারে, আবার চাইলে পুরো বেতন উঠিয়েও নিতে পারে তাহলে এই ফান্ডে টাকা জমা করা জায়েয হবে না। যদি কেউ জমা করে ফেলে তবে টাকা উঠানোর পর মূল জমা অর্থাৎ নিজ বেতনের অংশ নিজে ব্যবহার করতে পারবে। আর এর অতিরিক্ত যা পাবে তা সুদ। সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীব-
মিসকীনদেরকে তা সদকা করে দিতে
হবে।
আর প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা যদি ঐচ্ছিক না হয়; বরং এর জন্য প্রত্যেকের বেতন থেকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলকভাবে টাকা কেটে রেখে দেয় তাহলে ব্যাংকে সুদীভাবে টাকা জমা রাখার দায় সরাসরি চাকরিজীবীদের উপর আসবে না। বরং এর গুনাহ কর্তৃপক্ষের হবে। আর এক্ষেত্রে তারা নিজ বেতনের অংশ ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত টাকা ব্যবহার করতে পারবে। এর অতিরিক্ত টাকা সুদ। তা সদকা করে দিতে হবে।
-মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদীস ২৫১১, ২৫১৩; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/৪৬৫-৪৬৯; কেফায়াতুল মুফতী ১১/২৭৫৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
জমা রাখা যদি ঐচ্ছিক হয় অর্থাৎ কেউ চাইলে উক্ত ফান্ডের জন্য বেতন থেকে টাকা কেটে রাখতে পারে, আবার চাইলে পুরো বেতন উঠিয়েও নিতে পারে তাহলে এই ফান্ডে টাকা জমা করা জায়েয হবে না। যদি কেউ জমা করে ফেলে তবে টাকা উঠানোর পর মূল জমা অর্থাৎ নিজ বেতনের অংশ নিজে ব্যবহার করতে পারবে। আর এর অতিরিক্ত যা পাবে তা সুদ। সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীব-
মিসকীনদেরকে তা সদকা করে দিতে
হবে।
আর প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা যদি ঐচ্ছিক না হয়; বরং এর জন্য প্রত্যেকের বেতন থেকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলকভাবে টাকা কেটে রেখে দেয় তাহলে ব্যাংকে সুদীভাবে টাকা জমা রাখার দায় সরাসরি চাকরিজীবীদের উপর আসবে না। বরং এর গুনাহ কর্তৃপক্ষের হবে। আর এক্ষেত্রে তারা নিজ বেতনের অংশ ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত টাকা ব্যবহার করতে পারবে। এর অতিরিক্ত টাকা সুদ। তা সদকা করে দিতে হবে।
-মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদীস ২৫১১, ২৫১৩; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ১/৪৬৫-৪৬৯; কেফায়াতুল মুফতী ১১/২৭৫৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৪৩৯
তারিখ: ১/৮/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
যদি কোনো ব্যক্তি ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয় তাহলে সে চাকরি...
প্রশ্ন
যদি কোনো ব্যক্তি ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয় তাহলে সে চাকরি থেকে যে বেতন
পাবে তা তার জন্য হালাল হবে না কি হারাম ? কুরআন হাদীস দ্বারা সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ হব।
পাবে তা তার জন্য হালাল হবে না কি হারাম ? কুরআন হাদীস দ্বারা সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
ঘুষ দেওয়া-নেওয়া হারাম। নবী কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও গ্রহিতাকে
অভিসম্পাত করেছেন। জামে তিরমিযী , হাদীস ১৩৩৭৷ তাই ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া জায়েয হবে না। এতে একদিকে ঘুষ প্রদানের কবীরা গুনাহ হয় ,অন্যদিকে ঘুষদাতা অযোগ্য হলে অন্য
চাকরিপ্রার্থীর হক নষ্ট করারও গুনাহ হয়। তাই এমন
কাজ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। অবশ্য কেউ যদি প্রকৃতপক্ষে চাকরির যোগ্য
হয় এবং ঘুষ প্রদান হারাম হওয়া সত্তে ও ঘুষ দিয়ে
চাকরি নেয় আর পরবর্তীতে সে যথাযথভাবে দায়িত্ব আঞ্জাম দেয় তাহলে এভাবে চাকরি নেওয়া নাজায়েয হলেও বেতন হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি সে তার কর্মক্ষেত্রের অযোগ্য হয় এবং যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে
ব্যর্থ হয় তাহলে তার জন্য ঐ চাকরিতে থাকা বৈধ
হবে না। আর ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করে বেতন নেওয়াও বৈধ হবে না। উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473394
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও গ্রহিতাকে
অভিসম্পাত করেছেন। জামে তিরমিযী , হাদীস ১৩৩৭৷ তাই ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া জায়েয হবে না। এতে একদিকে ঘুষ প্রদানের কবীরা গুনাহ হয় ,অন্যদিকে ঘুষদাতা অযোগ্য হলে অন্য
চাকরিপ্রার্থীর হক নষ্ট করারও গুনাহ হয়। তাই এমন
কাজ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। অবশ্য কেউ যদি প্রকৃতপক্ষে চাকরির যোগ্য
হয় এবং ঘুষ প্রদান হারাম হওয়া সত্তে ও ঘুষ দিয়ে
চাকরি নেয় আর পরবর্তীতে সে যথাযথভাবে দায়িত্ব আঞ্জাম দেয় তাহলে এভাবে চাকরি নেওয়া নাজায়েয হলেও বেতন হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি সে তার কর্মক্ষেত্রের অযোগ্য হয় এবং যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে
ব্যর্থ হয় তাহলে তার জন্য ঐ চাকরিতে থাকা বৈধ
হবে না। আর ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করে বেতন নেওয়াও বৈধ হবে না। উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473394
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪৪৩৭
তারিখ: ১/৮/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আগাম বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতার জন্য বিক্রেতা থেকে চুক্তিকৃত পণ্য আদায়...
প্রশ্ন
আগাম বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতার জন্য বিক্রেতা থেকে চুক্তিকৃত পণ্য আদায়
করা পর্যন্ত কোনো কিছু বন্ধক রাখা জায়েয হবে কি?
করা পর্যন্ত কোনো কিছু বন্ধক রাখা জায়েয হবে কি?
উত্তর
আগাম বিক্রির ক্ষেত্রে বিক্রেতা থেকে
কোনো কিছু বন্ধক রাখা জায়েয আছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ,
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. , ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. , শাবী রাহ. , প্রমুখ
সাহাবা-তাবেয়ী থেকে বর্ণিত আছে, তাঁরা বলেন, আগাম বিক্রিতে বিক্রেতা থেকে
বন্ধক নিলে তাতে কোনো অসুবিধা নেই। মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক , হাদীস
১৪০৮৬, ১৪০৮৭, ১৪০৯০; কিতাবুল আসার , হাদীস ৭৪২ ; সুনানে কুবরা বাইহাকী
৬/১৯ তবে ক্রেতার জন্য ঐ বন্ধক থেকে কোনোভাবে উপকৃত হওয়া বৈধ হবে
না।
কিতাবুল আছল ২/৩৮৩ ; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৪৪৯ ; শরহুল মাজাল্লাহ ৩/২১২ ; রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
না।
কিতাবুল আছল ২/৩৮৩ ; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৪৪৯ ; শরহুল মাজাল্লাহ ৩/২১২ ; রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৪১৫০
তারিখ: ১/৫/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
কেউ যদি সন্তান ভাই বা এ জাতীয় কারো থেকে টাকা...
প্রশ্ন
কেউ যদি সন্তান ভাই বা এ জাতীয় কারো থেকে টাকা কর্জ নেয় এবং
দেওয়ার সময় নিজ থেকে কিছু অতিরিক্ত দেয় তাহলে সেটা বৈধ হবে কি?
দেওয়ার সময় নিজ থেকে কিছু অতিরিক্ত দেয় তাহলে সেটা বৈধ হবে কি?
উত্তর
যদি কর্জ দেওয়ার সময় অতিরিক্ত দেওয়ার শর্ত না থাকে এবং ঋণদাতার পক্ষ
থেকে কোনো চাহিদা না থাকে এবং শর্ত ছাড়াই অতিরিক্ত দেওয়ার প্রচলনও না
থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে দেনা পরিশোধের সময় কর্জগ্রহণকারী যদি নিজ
থেকে কিছু অতিরিক্ত দেয় তবে তা বৈধ হবে। হাদীস শরীফে এমন ব্যক্তিকে
উত্তম পরিশোধকারী বলা হয়েছে। দ্রষ্টব্য : সহীহ বুখারী, হাদীস ২৩৯৩
আরেক হাদীসে এসেছে, জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে
এলাম- তিনি তখন মসজিদে ছিলেন- আল্লাহর রাসূল (আমাকে) বললেন, দু’রাকাত
নামায পড়ে নাও। অতপর তার কাছে আমার পাওনা ছিল সেটা তিনি পরিশোধ
করলেন এবং আমাকে আরো বাড়িয়ে দিলেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৩৯৪
তবে বর্তমান সময়ে যখন মানুষ সুদ ছাড়া ঋণ দিতে চায় না তখন এ ব্যাপারে বিশেষ
সতর্কতা কাম্য। কেননা কোনো কোনো জায়গায় প্রচলন থাকে যে, ঋণ নিলে এ
পরিমাণ অতিরিক্ত দিতে হবে বা অমুক সুবিধা দিতে হবে। এটাকে নীতি- নৈতিকতা মনে করা হয়। এমন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দিলে বা অন্য কোনো সুবিধা
দিলে তা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সাহাবী ফাযালা ইবনে উবায়েদ রা. থেকে
বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যে ঋণ কোনো মুনাফা নিয়ে আসে তা সুদের প্রকারসমূহের একটি।
-সুনানে বায়হাকী ৫/৩৫০; রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৬; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২২
থেকে কোনো চাহিদা না থাকে এবং শর্ত ছাড়াই অতিরিক্ত দেওয়ার প্রচলনও না
থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে দেনা পরিশোধের সময় কর্জগ্রহণকারী যদি নিজ
থেকে কিছু অতিরিক্ত দেয় তবে তা বৈধ হবে। হাদীস শরীফে এমন ব্যক্তিকে
উত্তম পরিশোধকারী বলা হয়েছে। দ্রষ্টব্য : সহীহ বুখারী, হাদীস ২৩৯৩
আরেক হাদীসে এসেছে, জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে
এলাম- তিনি তখন মসজিদে ছিলেন- আল্লাহর রাসূল (আমাকে) বললেন, দু’রাকাত
নামায পড়ে নাও। অতপর তার কাছে আমার পাওনা ছিল সেটা তিনি পরিশোধ
করলেন এবং আমাকে আরো বাড়িয়ে দিলেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৩৯৪
তবে বর্তমান সময়ে যখন মানুষ সুদ ছাড়া ঋণ দিতে চায় না তখন এ ব্যাপারে বিশেষ
সতর্কতা কাম্য। কেননা কোনো কোনো জায়গায় প্রচলন থাকে যে, ঋণ নিলে এ
পরিমাণ অতিরিক্ত দিতে হবে বা অমুক সুবিধা দিতে হবে। এটাকে নীতি- নৈতিকতা মনে করা হয়। এমন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দিলে বা অন্য কোনো সুবিধা
দিলে তা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সাহাবী ফাযালা ইবনে উবায়েদ রা. থেকে
বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যে ঋণ কোনো মুনাফা নিয়ে আসে তা সুদের প্রকারসমূহের একটি।
-সুনানে বায়হাকী ৫/৩৫০; রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৬; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২২
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩৭৬৭
তারিখ: ১/১/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
জনৈক ব্যক্তি দেশের বাইরে থাকে। তিনি দেশের এক ধান ব্যবসায়ীর...
প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি দেশের বাইরে থাকে। তিনি
দেশের এক ধান ব্যবসায়ীর কাছে ব্যবসার উদ্দেশ্যে এক লক্ষ টাকা দিয়ে
রেখেছেন। তাদের মাঝে চুক্তি হল, ঐ ব্যবসায়ী তাকে
লাভ হিসেবে প্রতি বছর পঁচিশ হাজার টাকা করে দিবে। এখন জানার বিষয় হল, ঐ ব্যবসায়ী তাকে প্রতি বছর যে পঁচিশ
হাজার টাকা করে দিবে তা
কি জায়েয হবে, নাকি সুদ হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।
লাভ হিসেবে প্রতি বছর পঁচিশ হাজার টাকা করে দিবে। এখন জানার বিষয় হল, ঐ ব্যবসায়ী তাকে প্রতি বছর যে পঁচিশ
হাজার টাকা করে দিবে তা
কি জায়েয হবে, নাকি সুদ হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি বৈধ হয়নি। কেননা
এভাবে নিশ্চিত লাভ দেওয়ার শর্তে কাউকে টাকা দেওয়া সুদী চুক্তির
অন্তর্ভুক্ত। তাই তাদের চুক্তিটি বাতিল করে দেওয়া জরুরি। আর তারা বৈধভাবে
চুক্তি করতে চাইলে উভয়ের লভ্যাংশ শতকরা হারে নির্ধারণ করবে। যেমন,
ব্যবসাতে যা লাভ হবে এর ৬০% পাবে টাকার মালিক আর ৪০% পাবে ব্যবসায়ী। অথবা
উভয়ের সম্মতিতে লাভের অন্য যেকোনো হার নির্ধারণ করবে। ব্যবসায় লাভ হলে
চুক্তিকৃত হারে উভয়ে লভ্যাংশ পাবে, লাভ না হলে কেউ কিছু পাবে না। আর
ব্যবসায় লোকসান হলে পুঁজি বিনিয়োগকারী তা বহন
করবে।
উল্লেখ্য যে, এ ধরনের কারবারে ব্যবসার পুরো হিসাব রাখা আবশ্যক। অনুমান করে লভ্যাংশ প্রদান করা অথবা লাভ-লোকসান যাই হোক নির্ধারিত পরিমাণ মুনাফা দেওয়া কোনোটিই বৈধ নয়। -মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ, মাদ্দা ১৩৩
করবে।
উল্লেখ্য যে, এ ধরনের কারবারে ব্যবসার পুরো হিসাব রাখা আবশ্যক। অনুমান করে লভ্যাংশ প্রদান করা অথবা লাভ-লোকসান যাই হোক নির্ধারিত পরিমাণ মুনাফা দেওয়া কোনোটিই বৈধ নয়। -মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ, মাদ্দা ১৩৩
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩৭৬৬
তারিখ: ১/১/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
বর্তমানে আমাদের ইচ্ছা না থাকা সত্তেও একরকম বাধ্য হয়েই ব্যাংকের...
প্রশ্ন
বর্তমানে আমাদের ইচ্ছা না থাকা সত্তেও একরকম বাধ্য হয়েই
ব্যাংকের সাথে লেনদেন অর্থাৎ টাকা জমা রাখতে হয়। তাই কোন্
ব্যাংকের সাথে লেনদেন করা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ? দলিল-প্রমাণসহ জানালে উপকৃত হব।
ব্যাংকের সাথে লেনদেন অর্থাৎ টাকা জমা রাখতে হয়। তাই কোন্
ব্যাংকের সাথে লেনদেন করা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ? দলিল-প্রমাণসহ জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে প্রচলিত
ধারার ব্যাংকসমূহে চলতি হিসাব তথা সুদবিহীন হিসাব খুলে লেনদেন করা জায়েয।
তবে এসব ব্যাংকে কোনো ধরনের সঞ্চয়ী বা মেয়াদী হিসাব খোলা জায়েয হবে না।
প্রাপ্ত সুদ নিজে ভোগ না করলেও এসব সুদী একাউন্ট খোলাই জায়েয নয়। কেননা
সুদী ব্যাংকে যে কোনো ধরনের সঞ্চয়ী হিসাব খোলাই মূলত সুদী চুক্তিতে আবদ্ধ
হওয়া। আর এদেশে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকগুলোতে নিজে মুনাফা গ্রহণ না করার
প্রত্যয় নিয়ে সঞ্চয়ী হিসাব খোলা যাবে। কেননা এসব ব্যাংকের সঞ্চয়ী
হিসাবগুলো মুদারাবা ভিত্তিতে হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে সুদী চুক্তি হয় না।
তবে যেহেতু এই ধারার ব্যাংকগুলোর যথাযথভাবে শরীয়া পালনের বিষয়টি এখনো
প্রশ্নবিদ্ধ রয়েছে তাই এ ধরনের হিসাব থেকে প্রাপ্ত মুনাফা সওয়াবের নিয়ত
ছাড়া সদকা করে দেওয়াই নিরাপদ। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৯৮, ১৫৯৯; তাফসীরে
কুরতুবী ৩/২২৫ (সূরা বাকারা : ২৭৫); তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/৬১৯
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩৭৫৫
তারিখ: ১/১/২০১৬
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমরা কয়েকজন মিলে একটি মেসে ভাড়া থাকি। একদিন আমাদের ঘুম...
প্রশ্ন
আমরা কয়েকজন মিলে একটি মেসে ভাড়া থাকি। একদিন আমাদের ঘুম থেকে উঠতে বিলম্ব হয়। ফলে সকলেরই
ফজরের নামায কাযা হয়ে যায়। তখন আমরা ঐ নামায জামাতের সাথে আদায় করি। এখন জানার বিষয় হল, আমাদের জন্য কাযা নামায জামাতের সাথে পড়া কি ঠিক হয়েছে? এবং এক্ষেত্রে কিরাত জোরে
পড়তে হবে কি?
ফজরের নামায কাযা হয়ে যায়। তখন আমরা ঐ নামায জামাতের সাথে আদায় করি। এখন জানার বিষয় হল, আমাদের জন্য কাযা নামায জামাতের সাথে পড়া কি ঠিক হয়েছে? এবং এক্ষেত্রে কিরাত জোরে
পড়তে হবে কি?
উত্তর
জী হাঁ। জামাতের সাথে কাযা পড়া ঠিক হয়েছে। একসাথে একাধিক ব্যক্তির নামায কাযা হয়ে গেলে
জামাতের সাথেই কাযা পড়া উচিত। আর কাযা নামায জামাতের সাথে আদায় করলে
উচ্চস্বরে কিরাতবিশিষ্ট নামাযে ইমামকে উচ্চস্বরেই কিরাত পড়তে হবে। হাদীস
শরীফে এসেছে যে,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সাহাবাদেরকে
নিয়ে সূর্যোদয়ের পর ফজরের কাযা আদায় করেছেন এবং
তাতে উচ্চস্বরে কিরাত পড়েছেন। -কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ রহ. হাদীস
১৬৮
উল্লেখ্য যে, কাযা নামাযের জামাত করলে তা নির্জন স্থানে করা উচিত। যেন অন্য
লোকজন নামায কাযা হওয়ার বিষয়টি জানতে না পারে।
-ফাতহুল কাদীর ১/১৮৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৭২;
জামাতের সাথেই কাযা পড়া উচিত। আর কাযা নামায জামাতের সাথে আদায় করলে
উচ্চস্বরে কিরাতবিশিষ্ট নামাযে ইমামকে উচ্চস্বরেই কিরাত পড়তে হবে। হাদীস
শরীফে এসেছে যে,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সাহাবাদেরকে
নিয়ে সূর্যোদয়ের পর ফজরের কাযা আদায় করেছেন এবং
তাতে উচ্চস্বরে কিরাত পড়েছেন। -কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ রহ. হাদীস
১৬৮
উল্লেখ্য যে, কাযা নামাযের জামাত করলে তা নির্জন স্থানে করা উচিত। যেন অন্য
লোকজন নামায কাযা হওয়ার বিষয়টি জানতে না পারে।
-ফাতহুল কাদীর ১/১৮৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৭২;
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২৩৭
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
যদি কোনো ব্যক্তি ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয় তাহলে সে চাকরি...
প্রশ্ন
যদি কোনো ব্যক্তি ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়
তাহলে সে চাকরি থেকে যে বেতন পাবে তা তার জন্য হালাল হবে না কি হারাম?
কুরআন হাদীস দ্বারা সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
ঘুষ দেওয়া-নেওয়া হারাম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও গ্রহিতাকে অভিসম্পাত করেছেন।
জামে তিরমিযী, হাদীস ১৩৩৭
তাই ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া জায়েয হবে না। এতে একদিকে ঘুষ প্রদানের কবীরা গুনাহ হয়,অন্যদিকে ঘুষদাতা অযোগ্য হলে অন্য চাকরিপ্রার্থীর হক নষ্ট করারও গুনাহ হয়। তাই এমন কাজ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।অবশ্য কেউ যদি প্রকৃতপক্ষে
চাকরির যোগ্য হয় এবং ঘুষ প্রদান হারাম হওয়া সত্তে¡ও ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয় আর পরবর্তীতে সে যথাযথভাবে দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়
তাহলে এভাবে চাকরি নেওয়া
নাজায়েয হলেও বেতন হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি সে তার কর্মক্ষেত্রের অযোগ্য হয় এবং যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়
তাহলে তার জন্য ঐ চাকরিতে থাকা
বৈধ হবে না। আর ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করে বেতন নেওয়াও বৈধ হবে না৷
জামে তিরমিযী, হাদীস ১৩৩৭
তাই ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া জায়েয হবে না। এতে একদিকে ঘুষ প্রদানের কবীরা গুনাহ হয়,অন্যদিকে ঘুষদাতা অযোগ্য হলে অন্য চাকরিপ্রার্থীর হক নষ্ট করারও গুনাহ হয়। তাই এমন কাজ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।অবশ্য কেউ যদি প্রকৃতপক্ষে
চাকরির যোগ্য হয় এবং ঘুষ প্রদান হারাম হওয়া সত্তে¡ও ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয় আর পরবর্তীতে সে যথাযথভাবে দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়
তাহলে এভাবে চাকরি নেওয়া
নাজায়েয হলেও বেতন হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি সে তার কর্মক্ষেত্রের অযোগ্য হয় এবং যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়
তাহলে তার জন্য ঐ চাকরিতে থাকা
বৈধ হবে না। আর ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করে বেতন নেওয়াও বৈধ হবে না৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২২৯
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি এক মসজিদের ইমাম। জনৈক মুসল্লী আমাকে তার জমি চাষাবাদ...
প্রশ্ন
আমি এক মসজিদের ইমাম। জনৈক মুসল্লী
আমাকে তার জমি চাষাবাদ করার জন্য সাময়িক সময়ের জন্য দিয়েছে। আমি চাচ্ছি,
নিজে চাষাবাদ না করে এ জমি অন্য কাউকে ভাড়ায় দিব। প্রশ্ন হল, আমার জন্য
কি তা বৈধ হবে?
উত্তর
জমির মালিক অনুমতি দিলে জমিটি অন্যত্র
ভাড়া দিতে পারবেন। মালিকের অনুমতি ছাড়া ভাড়া দেওয়া জায়েয হবে না।
-বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩২০; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৮১; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ
৮২৩-৮৩২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/২৯০; আলজামেউস সগীর পৃ. ৪৩৩; আদ্দুররুল
মুখতার ৫/৬৭৯
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২২৮
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি এক বাড়িতে ভাড়া থাকি। বাড়িতে কয়েকটি পুরাতন টিনের ঘর...
প্রশ্ন
আমি এক বাড়িতে ভাড়া থাকি। বাড়িতে কয়েকটি পুরাতন টিনের ঘর
রয়েছে। একবার ঝড়-তুফান হলে একটি ঘরে বৃষ্টির সময় পানি পড়া শুরু হয় এবং টয়লেটটি পড়ে যায়। বাড়ির মালিক শহরে থাকে। এক বছর পরপর এসে ভাড়া নিয়ে যায়। তাকে ফোন করে জানালে তিনি মিস্ত্রি এনে ঠিক করে নিতে বলেন। আমি মিস্ত্রি এনে ঠিক করে নেই। কিন্তু মালিক পরবর্তীতে এ খরচ দিতে চাচ্ছে না। জানতে চাই, এ খরচ কার দায়িত্বে হবে?
রয়েছে। একবার ঝড়-তুফান হলে একটি ঘরে বৃষ্টির সময় পানি পড়া শুরু হয় এবং টয়লেটটি পড়ে যায়। বাড়ির মালিক শহরে থাকে। এক বছর পরপর এসে ভাড়া নিয়ে যায়। তাকে ফোন করে জানালে তিনি মিস্ত্রি এনে ঠিক করে নিতে বলেন। আমি মিস্ত্রি এনে ঠিক করে নেই। কিন্তু মালিক পরবর্তীতে এ খরচ দিতে চাচ্ছে না। জানতে চাই, এ খরচ কার দায়িত্বে হবে?
উত্তর
ভাড়া ঘরবাড়ি মেরামতের দায়িত্ব মালিকের। প্রশ্নোক্ত অবস্থায় আপনি যেহেতু মালিকের
অনুমতিতেই মেরামতের কাজ করেছেন তাই এই খরচ মালিককেই দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ভাড়াটিয়ার ত্রুটির কারণে কোনো কিছু নষ্ট হয়ে থাকলে শুধু এর ক্ষতিপূরণ তাকে দিতে হবে।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১৪৮; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ ৫২৯; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৫৫;
অনুমতিতেই মেরামতের কাজ করেছেন তাই এই খরচ মালিককেই দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ভাড়াটিয়ার ত্রুটির কারণে কোনো কিছু নষ্ট হয়ে থাকলে শুধু এর ক্ষতিপূরণ তাকে দিতে হবে।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১৪৮; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ ৫২৯; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৬৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৫৫;
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২১৭
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একটি এনজিওতে কর্মসূচি সংগঠক পদে চাকরি করছি। এই চাকরির...
প্রশ্ন
আমি একটি এনজিওতে কর্মসূচি সংগঠক পদে
চাকরি করছি। এই চাকরির উপর আমার পরিবার নির্ভরশীল। আমার কাজ হল, মানুষের
মাঝে টাকা ঋণ দেওয়া এবং সে টাকা কিছু বেশিতে আদায় করা। যেমন কাউকে
৫,০০০/-টাকা ঋণ দিলে তার কাছ থেকে কিস্তির মাধ্যমে ৬,০০০/- টাকা আদায় করা
হয়। আর এ কাজের জন্য আমাকে মাসিক ৭,০০০/-টাকা বেতন দেওয়া হয়। আমার
প্রশ্ন হল, এ বেতন ও এই ধরনের চাকরি কি বৈধ হবে? এ টাকা দিয়ে জীবন ধারণ
করে ইবাদত করলে তা কি গ্রহণযোগ্য হবে?
উত্তর
আপনি যে পন্থায় লেনদেন করে থাকেন তা
সুদেরই একটি প্রকার। আর সুদ হচ্ছে নিকৃষ্টতম হারাম। তাই এ পদে চাকরি করা
জায়েয হবে না এবং এর বেতন ভোগ করাও নাজায়েয। অতএব যত দ্রুত সম্ভব আপনাকে
উপার্জনের কোনো বৈধ পন্থা খুঁজে বের করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে
তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। -সূরা বাকারা : ২৭৫; সহীহ বুখারী ১/২৮০; সুনানে
আবু দাউদ ২/১১৭; আলবাহরুর রায়েক ৬/১২২; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৬৬
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩২০৮
তারিখ: ১/৮/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
ট্রেনে ঢাকা যাব। এজন্য টিকেট করার জন্য লাইনে দাঁড়াই। কিন্তু...
প্রশ্ন
ট্রেনে ঢাকা যাব। এজন্য টিকেট করার
জন্য লাইনে দাঁড়াই। কিন্তু সিরিয়াল আসার আগেই টিকেট শেষ হয়ে যায়। আর টিকেট
ছাড়া কোনো যাত্রীকে ট্রেনে উঠানো হয় না। নেত্রকোণা থেকে ঢাকার ভাড়া ১৫০/-
টাকা। কোনো উপায় না দেখে আরো কয়েকজন মিলে ট্রেনের ছাদে উঠে যাই এবং বিনে
খরচে ঢাকা পৌঁছি। এখন আমার প্রশ্ন হল, এভাবে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করা আমার
জন্য কতটুকু ঠিক হয়েছে? এবং আমার উপর এর ভাড়া আবশ্যক কি না? ভাড়া দিতে হলে
কতটুকু দিতে হবে? বিস্তারিত দলিলসহ জানালে কৃতজ্ঞ
হব।
হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত অবস্থায়ও বিনা টিকেটে
ট্রেনে ভ্রমণ করা বৈধ হয়নি। এছাড়া ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করাও আইনত নিষিদ্ধ।
উভয় ক্ষেত্রেই আইন অমান্য করার কারণে গুনাহ হয়েছে। সরকারের ব্যবস্থাগত এ
সকল বৈধ আইন জনগণের জন্য মেনে চলা আবশ্যক। এছাড়া ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করা
খুবই বিপদজনক। নিজেকে এমন বিপদজনক অবস্থার সম্মুখীন করাও জায়েয নয়। এখন
আপনার কর্তব্য হল, উক্ত কাজের জন্য তওবা করা এবং ঐ ট্রেনে নেত্রকোণা থেকে
ঢাকার যা ভাড়া সে মূল্যের স্ট্যান্ডিং টিকেট (আসনবিহীন) ক্রয় করে ছিঁড়ে
ফেলা। এতে আপনি ভাড়ার দায় থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন। -ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৪৪৫
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩০৫৭
তারিখ: ১/৬/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের এলাকায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক সংগঠন আছে। যারা সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক...
প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক
সংগঠন আছে। যারা সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি মানুষকে ঋণ
দিয়ে সহযোগিতা করে। তাদের ঋণ দেওয়ার নিয়ম হল, তারা ঋণের পরিমাণ হিসাবে
বিভিন্ন ধরনের ফরম বানিয়েছে। ঋণের পরিমাণ বাড়লে ফরমের মূল্যও বাড়ে। কেউ
ঋণ নিতে চাইলে ঋণের পরিমাণ হিসেবে ফরম কিনে চুক্তি করতে হয়। উল্লেখ্য যে,
ফরমের মূল্য খরচের চেয়ে অধিক রাখা হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ
পরিশোধ করতে না পারলে পুনরায় ফরম কিনে নতুনভাবে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য
চুক্তি করতে হয়। এ পদ্ধতিতে ঋণ দেওয়া নেওয়া সহীহ কি না? জানালে উপকৃত
হব।
উত্তর
ঋণ প্রদান করে ফরম বিক্রির নামে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ
নাজায়েয ও সুদের অন্তর্ভুক্ত। প্রশ্নোক্ত
পদ্ধতিতে ঋণের পরিমাণ হিসেবে ফরমের দাম বেশি নেওয়া এবং সময় মতো পরিশোধ করতে না পারলে পুনরায় ফরম কিনে নতুনভাবে চুক্তি করার মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া সুদ খাওয়ার একটি অপকৌশল। লোকে যাতে এটিকে সুদ না বলে এজন্যই ফরম বিক্রির উক্ত ছুতা অবলম্বন করা হয়েছে। অতএব হিলা-বাহানা করে সুদ গ্রহণের পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করতে হবে। আর বিগত দিনে এভাবে যাদের থেকে ফরমের খরচ মূল্যের অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে তাদরকে অতিরিক্ত সকল টাকা ফেরত দিতে
হবে।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২১০০৭; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া ২৯৬; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮; ইলাউস সুনান ১৪/৫১৪;; শরহুল মাজাল্লাহ ১/২৬৪-২৬৫
নাজায়েয ও সুদের অন্তর্ভুক্ত। প্রশ্নোক্ত
পদ্ধতিতে ঋণের পরিমাণ হিসেবে ফরমের দাম বেশি নেওয়া এবং সময় মতো পরিশোধ করতে না পারলে পুনরায় ফরম কিনে নতুনভাবে চুক্তি করার মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া সুদ খাওয়ার একটি অপকৌশল। লোকে যাতে এটিকে সুদ না বলে এজন্যই ফরম বিক্রির উক্ত ছুতা অবলম্বন করা হয়েছে। অতএব হিলা-বাহানা করে সুদ গ্রহণের পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করতে হবে। আর বিগত দিনে এভাবে যাদের থেকে ফরমের খরচ মূল্যের অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে তাদরকে অতিরিক্ত সকল টাকা ফেরত দিতে
হবে।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২১০০৭; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া ২৯৬; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮; ইলাউস সুনান ১৪/৫১৪;; শরহুল মাজাল্লাহ ১/২৬৪-২৬৫
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ৩০০১
তারিখ: ১/৬/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
সুদের টাকা দিয়ে মাদরাসা বা মসজিদের টয়লেট নির্মাণ বা পুননির্মাণ...
প্রশ্ন
সুদের টাকা দিয়ে মাদরাসা
বা মসজিদের টয়লেট নির্মাণ বা পুননির্মাণ করা জায়েয হবে কি?
বা মসজিদের টয়লেট নির্মাণ বা পুননির্মাণ করা জায়েয হবে কি?
উত্তর
সুদের টাকা মূল মালিককে
ফিরিয়ে দেওয়া আবশ্যক। যদি মালিক জানা না থাকে বা মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে ঐ টাকা সদকা করা ওয়াজিব।
সেক্ষেত্রে ঐ টাকা কোনো
গরীব-মিসকীনকে সদকা করে দিতে হবে। এ টাকা মসজিদ- মাদরাসার টয়লেটের কাজেও না লাগানো উচিত।
-শরহুল মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ৯৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/১৭১
ফিরিয়ে দেওয়া আবশ্যক। যদি মালিক জানা না থাকে বা মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে ঐ টাকা সদকা করা ওয়াজিব।
সেক্ষেত্রে ঐ টাকা কোনো
গরীব-মিসকীনকে সদকা করে দিতে হবে। এ টাকা মসজিদ- মাদরাসার টয়লেটের কাজেও না লাগানো উচিত।
-শরহুল মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ৯৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/১৭১
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮৫৫
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার একটি কাপড়ের দোকান আছে। আমার সহযোগী হিসেবে দোকানে একজন...
প্রশ্ন
আমার একটি কাপড়ের দোকান আছে। আমার
সহযোগী হিসেবে দোকানে একজন কর্মচারী রেখেছি। তার সাথে আমার এভাবে চুক্তি
হয়েছে যে, দোকানের মাল কেনা এবং ক্যাশে বসা আমার দায়িত্বে থাকবে। অবশিষ্ট
কাজ, মাল বিক্রি করা, সময়মতো দোকান খোলা- বন্ধ করা ইত্যাদি তোমার
দায়িত্ব এবং প্রতি মাসে মুনাফার ৫% তোমাকে দেওয়া হবে। প্রশ্ন হল, ঐ
কর্মচারীর সাথে এভাবে চুক্তি করা সহীহ হয়েছে কি না? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী কর্মচারীর
সাথে ঐভাবে চুক্তি করা সহীহ হয়নি। কেননা সে আপনার ব্যবসার অংশিদার নয়;
বরং শ্রমদাতা। আর শ্রমদাতার সাথে চুক্তির সময়ই পারিশ্রমিকের পরিমাণ
নির্দিষ্ট করে নেওয়া জরুরি। তাই এ লক্ষ্য মূল বেতন হিসেবে একটি ন্যূনতম
পরিমাণ পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে নিবে এরপর চাইলে অতিরিক্ত হিসেবে তাকে
মুনাফার নির্ধারিত অংশও দিতে পারবে। কেননা এক্ষেত্রে মূল পারিশ্রমিক আর
অনির্দিষ্ট থাকে না। -মাজাল্লাতু আহকামিল আদলিয়া ৮৮; ফাতাওয়া
তাতারখানিয়া ১৫/১১৭
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮৫৪
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি ব্যবসা করতে চাচ্ছি। ব্যবসার জন্য ১০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।...
প্রশ্ন
আমি ব্যবসা করতে চাচ্ছি। ব্যবসার জন্য
১০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। বর্তমানে আমার কাছে ৬ লক্ষ টাকা আছে। বাকি ৪ লক্ষ
টাকা আমার এক বন্ধু থেকে এই চুক্তিতে নিতে চাচ্ছি যে, সে ১০ বছর ব্যবসায়
অংশীদার থাকবে। প্রতি মাসে মুনাফার ৩০% তাকে দেওয়া হবে। ১০ বছর পর তার
টাকা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। হুযুরের কাছে জানতে চাই- এভাবে নির্দিষ্ট
সময়ের জন্য তাকে ব্যবসায় শরিক করে তার থেকে টাকা নেওয়া জায়েয হবে কি
না? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
হাঁ, নির্ধারিত মেয়াদের জন্যও অংশিদার
নেওয়া জায়েয। অতএব আপনাদের প্রশ্নোক্ত চুক্তি করা সহীহ হবে। -আলমুহীতুল
বুরহানী ৮/৩৫৯; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৬১৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩০২;
বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৩-৭৪; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২২৬; রদ্দুল মুহতার
৪/৩১২
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮৫৩
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একজন পিকআপ চালক। গাড়ির এক মালিক থেকে আমি একটি...
প্রশ্ন
আমি একজন পিকআপ চালক। গাড়ির এক মালিক
থেকে আমি একটি পিকআপ এ চুক্তিতে নিয়েছি যে, গাড়ির প্রয়োজনীয় খরচ বাদ
দিয়ে বাকি আয়ের ত্রিশ শতাংশ আমি নেব। অবশিষ্ট সত্তর শতাংশ মালিক পাবে।
আমাদের এ চুক্তি কি শরীয়তসম্মত হয়েছে? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর
না, আপনাদের উক্ত চুক্তি শরীয়তসম্মত হয়নি। কারণ গাড়ির আয় চালক এবং মালিকের মাঝে শতকরা হারে বণ্টনের
চুক্তি সহীহ নয়। এক্ষেত্রে সহীহভাবে চুক্তি
করতে চাইলে হয়ত চালকের বেতন নির্দিষ্ট করে দিতে হবে এবং গাড়ির সকল আয় মালিকের থাকবে। অথবা চালক গাড়িটি মালিক থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে ভাড়া নিবে। গাড়ি থেকে আয় হোক বা না হোক সর্বাবস্থায় ভাড়ার টাকা মালিককে দিয়ে দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে গাড়ির যা আয় হবে তা সবই চালকের
থাকবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৩৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪১১
চুক্তি সহীহ নয়। এক্ষেত্রে সহীহভাবে চুক্তি
করতে চাইলে হয়ত চালকের বেতন নির্দিষ্ট করে দিতে হবে এবং গাড়ির সকল আয় মালিকের থাকবে। অথবা চালক গাড়িটি মালিক থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে ভাড়া নিবে। গাড়ি থেকে আয় হোক বা না হোক সর্বাবস্থায় ভাড়ার টাকা মালিককে দিয়ে দিতে হবে। আর এক্ষেত্রে গাড়ির যা আয় হবে তা সবই চালকের
থাকবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৩৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪১১
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮৫২
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার ছেলের অপারেশনের জন্য চার লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তাই আমি...
প্রশ্ন
আমার ছেলের অপারেশনের জন্য চার লক্ষ
টাকা প্রয়োজন। তাই আমি এক ব্যক্তির নিকট চার লক্ষ টাকার পরিবর্তে আমার
একটি জমি বিক্রি করেছি। সে পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ
করেছে। তার সাথে কথা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে
বাকি টাকা পরিশোধ করলে তাকে জমির রেজিস্ট্রি
দিয়ে দিব। সে এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা দেয়নি।
এদিকে একদিন পর আমার ছেলের অপারেশনের তারিখ। তাকে বাকি টাকা পরিশোধ করতে বললে সে বলে, জমির প্রকৃত মূল্য তিন লক্ষ টাকা। চার
লক্ষ টাকা দিয়ে আমি জমি নিব না। ইচ্ছা হলে তিন
লক্ষ টাকা দিয়ে জমি বিক্রি করতে পারেন। তখন
আমি আরেকজনের নিকট নগদ চার লক্ষ টাকায়
জমিটি বিক্রি করে জমির রেজিস্ট্রি দিয়ে দিয়েছি।
প্রথম ক্রেতাকে তার টাকা দেওয়ার জন্য গেলে সে
আমার সাথে অত্যন্তরাগারাগি করে। তার কথা,
আমাকে না জানিয়ে অন্যের কাছে কেন জমি বিক্রি
করেছেন? আমার কাছে বিক্রি করার পর অন্য কারো কাছে বিক্রি করা ঠিক হয়নি ইত্যাদি। তাই হুযুরের কাছে জানতে চাই, উক্ত অবস্থায় অন্য ব্যক্তির নিকট জমি বিক্রি করা কি সহীহ হয়েছে? জানালে উপকৃত হব।
করেছে। তার সাথে কথা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে
বাকি টাকা পরিশোধ করলে তাকে জমির রেজিস্ট্রি
দিয়ে দিব। সে এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা দেয়নি।
এদিকে একদিন পর আমার ছেলের অপারেশনের তারিখ। তাকে বাকি টাকা পরিশোধ করতে বললে সে বলে, জমির প্রকৃত মূল্য তিন লক্ষ টাকা। চার
লক্ষ টাকা দিয়ে আমি জমি নিব না। ইচ্ছা হলে তিন
লক্ষ টাকা দিয়ে জমি বিক্রি করতে পারেন। তখন
আমি আরেকজনের নিকট নগদ চার লক্ষ টাকায়
জমিটি বিক্রি করে জমির রেজিস্ট্রি দিয়ে দিয়েছি।
প্রথম ক্রেতাকে তার টাকা দেওয়ার জন্য গেলে সে
আমার সাথে অত্যন্তরাগারাগি করে। তার কথা,
আমাকে না জানিয়ে অন্যের কাছে কেন জমি বিক্রি
করেছেন? আমার কাছে বিক্রি করার পর অন্য কারো কাছে বিক্রি করা ঠিক হয়নি ইত্যাদি। তাই হুযুরের কাছে জানতে চাই, উক্ত অবস্থায় অন্য ব্যক্তির নিকট জমি বিক্রি করা কি সহীহ হয়েছে? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী জমিটির প্রথম ক্রেতা
যেহেতু চার লক্ষ টাকা দিয়ে জমি নিবে না বলে
জানিয়ে দিয়েছে এবং তিন লক্ষ টাকা হলে নিবে
বলেছে তাই এর দ্বারাই ঐ ব্যক্তির সাথে
পূর্বোক্ত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি বাতিল হয়ে গেছে।
সুতরাং এরপর ঐ জমি অন্যত্র বিক্রি করা
আপনার জন্য জায়েয হয়েছে। এ পর্যায়ে পূর্বের
ক্রেতার জন্য আপনার সাথে রাগারাগি করা বা
খারাপ আচরণ করা একেবারেই অন্যায়। শরীয়তের
দৃষ্টিতে সে শুধু তার দেওয়া টাকাগুলিই ফেরত পাবে।
এর অতিরিক্ত কোনো কিছু দাবি করা তার জন্য জায়েয হবে না। আর আপনার দায়িত্ব হল, অবিলম্বে লোকটির টাকা ফেরত দেওয়া। -হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ৬/৪১৭; তাবয়ীনুল
হাকায়েক ৪/১৯৭; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়াহ
৩/২১১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/৪৪৪; আলবাহরুর রায়েক ৭/৩৬; আদ্দুররুল মুখতার
৫/৪৫১
যেহেতু চার লক্ষ টাকা দিয়ে জমি নিবে না বলে
জানিয়ে দিয়েছে এবং তিন লক্ষ টাকা হলে নিবে
বলেছে তাই এর দ্বারাই ঐ ব্যক্তির সাথে
পূর্বোক্ত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি বাতিল হয়ে গেছে।
সুতরাং এরপর ঐ জমি অন্যত্র বিক্রি করা
আপনার জন্য জায়েয হয়েছে। এ পর্যায়ে পূর্বের
ক্রেতার জন্য আপনার সাথে রাগারাগি করা বা
খারাপ আচরণ করা একেবারেই অন্যায়। শরীয়তের
দৃষ্টিতে সে শুধু তার দেওয়া টাকাগুলিই ফেরত পাবে।
এর অতিরিক্ত কোনো কিছু দাবি করা তার জন্য জায়েয হবে না। আর আপনার দায়িত্ব হল, অবিলম্বে লোকটির টাকা ফেরত দেওয়া। -হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ৬/৪১৭; তাবয়ীনুল
হাকায়েক ৪/১৯৭; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়াহ
৩/২১১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/৪৪৪; আলবাহরুর রায়েক ৭/৩৬; আদ্দুররুল মুখতার
৫/৪৫১
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮৩৬
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
এক ব্যক্তি আমার থেকে তিন বছরের জন্য ২ লক্ষ টাকা...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি আমার থেকে তিন বছরের জন্য ২
লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছে। তার থেকে বন্ধক হিসেবে
আমি একটি জমি নিয়েছি। হুজুরের কাছে জানতে চাই,
ঐ জমি আমার কাছে বন্ধক থাকা অবস্থায় ভাড়া চুক্তির ভিত্তিতে ব্যবহার করতে পারব কি না? জানালে উপকৃত হব।
লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছে। তার থেকে বন্ধক হিসেবে
আমি একটি জমি নিয়েছি। হুজুরের কাছে জানতে চাই,
ঐ জমি আমার কাছে বন্ধক থাকা অবস্থায় ভাড়া চুক্তির ভিত্তিতে ব্যবহার করতে পারব কি না? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
ঋণ দিয়ে বিনিময়ে গ্রহীতা থেকে কোনো ধরনের
উপকৃত হওয়া জায়েয নেই। তা সুদের অন্তর্ভুক্ত।
অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বন্ধকি জমি থেকে
আপনার জন্য কোনো প্রকার উপকৃত হওয়া জায়েয
হবে না। তবে বন্ধকী চুক্তি বাতিল করে ন্যায্য
মূল্যে তা ভাড়া নিতে পারবেন। ঋণের কারণে ভাড়া
কম করা যাবে না। তদ্রƒপ ঋণের সাথে ভাড়া
চুক্তিকে সম্পৃক্তও করা যাবে না। বরং ভাড়া
চুক্তিটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও ঋণের প্রভাব থেকে
মুক্ত হতে হবে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,হাদীস : ২১০৭৮ ১৩/৬৪৮; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া ২৯৬;বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮;ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৫৯৬;ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/৭৪;রদ্দুল মুহতার ৬/৫২৩;আলফাতাওয়াল
ওয়ালওয়ালিজিয়া ৫/৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদীস :
৩৭৮৩; ফাতহুল কাদীর ৬/৮০-৮১
উপকৃত হওয়া জায়েয নেই। তা সুদের অন্তর্ভুক্ত।
অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বন্ধকি জমি থেকে
আপনার জন্য কোনো প্রকার উপকৃত হওয়া জায়েয
হবে না। তবে বন্ধকী চুক্তি বাতিল করে ন্যায্য
মূল্যে তা ভাড়া নিতে পারবেন। ঋণের কারণে ভাড়া
কম করা যাবে না। তদ্রƒপ ঋণের সাথে ভাড়া
চুক্তিকে সম্পৃক্তও করা যাবে না। বরং ভাড়া
চুক্তিটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও ঋণের প্রভাব থেকে
মুক্ত হতে হবে। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,হাদীস : ২১০৭৮ ১৩/৬৪৮; আননুতাফ ফিলফাতাওয়া ২৯৬;বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৮;ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৫৯৬;ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/৭৪;রদ্দুল মুহতার ৬/৫২৩;আলফাতাওয়াল
ওয়ালওয়ালিজিয়া ৫/৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদীস :
৩৭৮৩; ফাতহুল কাদীর ৬/৮০-৮১
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮৩৫
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি জালালাইন জামাতের ছাত্র। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লাইব্রেরী থেকে কিতাব...
প্রশ্ন
আমি জালালাইন জামাতের ছাত্র। বিভিন্ন সময়
বিভিন্ন লাইব্রেরী থেকে কিতাব সংগ্রহ করে থাকি।
অনেক সময় লাইব্রেরিওয়ালারা নতুন কোনো কিতাব প্রকাশ করার আগে (বিশেষ করে বড় কিতাব হলে) আমাদের বলে, তোমরা যদি এখন অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখ তাহলে স্বাভাবিক
ক্রয়মূল্য থেকে দশ পার্সেন্ট ছাড়ে পাবে। অর্থাৎ
যে কিতাব তারা স্বাভাবিকভাবে ২,০০০/- টাকায়
বিক্রি করবে অগ্রিম টাকা দিলে সেটা আমরা ১,৮০০/- টাকায় পাব। কখনো আরো অধিক ছাড়ও দেয়। জানার বিষয় হল, এভাবে আমাদের চুক্তি ও কিতাব সংগ্রহ করা কি বৈধ হবে?
বিভিন্ন লাইব্রেরী থেকে কিতাব সংগ্রহ করে থাকি।
অনেক সময় লাইব্রেরিওয়ালারা নতুন কোনো কিতাব প্রকাশ করার আগে (বিশেষ করে বড় কিতাব হলে) আমাদের বলে, তোমরা যদি এখন অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখ তাহলে স্বাভাবিক
ক্রয়মূল্য থেকে দশ পার্সেন্ট ছাড়ে পাবে। অর্থাৎ
যে কিতাব তারা স্বাভাবিকভাবে ২,০০০/- টাকায়
বিক্রি করবে অগ্রিম টাকা দিলে সেটা আমরা ১,৮০০/- টাকায় পাব। কখনো আরো অধিক ছাড়ও দেয়। জানার বিষয় হল, এভাবে আমাদের চুক্তি ও কিতাব সংগ্রহ করা কি বৈধ হবে?
উত্তর
লাইব্রেরিওয়ালাদের থেকে ঐভাবে অগ্রিম টাকা
দিয়ে কিতাব নেওয়া বৈধ। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই
চুক্তির সময় ক্রয়কৃত কিতাবের
ছাপা, বাঁধাই, কাগজের মান ইত্যাদি বিষয় স্পষ্ট
করে নিতে হবে। যাতে ক্রয়কৃত কিতাবের ব্যাপারে
অস্পষ্টতা না থাকে এবং পরবর্তীতে ঝগড়া বা মনোমালিন্য হওয়ার আশঙ্কা না থাকে।
-মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ, মাদ্দাহ :
২৮৯; শরহুল মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ৩৮৯-৩৯০; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪৪৪; ইতরে হেদায়া ২০৬
দিয়ে কিতাব নেওয়া বৈধ। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই
চুক্তির সময় ক্রয়কৃত কিতাবের
ছাপা, বাঁধাই, কাগজের মান ইত্যাদি বিষয় স্পষ্ট
করে নিতে হবে। যাতে ক্রয়কৃত কিতাবের ব্যাপারে
অস্পষ্টতা না থাকে এবং পরবর্তীতে ঝগড়া বা মনোমালিন্য হওয়ার আশঙ্কা না থাকে।
-মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ, মাদ্দাহ :
২৮৯; শরহুল মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ৩৮৯-৩৯০; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪৪৪; ইতরে হেদায়া ২০৬
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮৩৪
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি দুবাই থাকি। আমার এক প্রতিবেশী আমাকে কল করে দেশে...
প্রশ্ন
আমি দুবাই থাকি। আমার এক প্রতিবেশী আমাকে কল করে দেশে ফেরার সময় তার জন্য একটা উন্নতমানের ভেন্ডার মেশিন আনতে বলে। আমি
আসার সময় তার জন্য একটি ভেন্ডার মেশিন কিনে
আমার আসবাবপত্রের সাথে সেটাও লাগেজের মধ্যে
বেঁধে দেই। বাড়িতে এসে লাগেজ খুলে দেখি মেশিনের
গ্লাসটা ভেঙ্গে গেছে। এখন আমার প্রতিবেশী ঐ
ভেন্ডার মেশিনটি গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। জানার
বিষয় হল, এ অবস্থায় আমার জন্য শরীয়তের
বিধান কী? উক্ত মেশিনের ক্ষতিপূরণ আমাকে বহন
করতে হবে কি? দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।
আসার সময় তার জন্য একটি ভেন্ডার মেশিন কিনে
আমার আসবাবপত্রের সাথে সেটাও লাগেজের মধ্যে
বেঁধে দেই। বাড়িতে এসে লাগেজ খুলে দেখি মেশিনের
গ্লাসটা ভেঙ্গে গেছে। এখন আমার প্রতিবেশী ঐ
ভেন্ডার মেশিনটি গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। জানার
বিষয় হল, এ অবস্থায় আমার জন্য শরীয়তের
বিধান কী? উক্ত মেশিনের ক্ষতিপূরণ আমাকে বহন
করতে হবে কি? দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে প্রতিবেশীর জন্য মেশিনটি
কেনার পর থেকে তা আপনার কাছে আমানত হিসেবে ছিল। মেশিনটি যত্নসহকারে নিয়ে আসা আপনার
দায়িত্ব ছিল। অতএব আপনি যদি লাগেজের মধ্যে
যত্নসহকারেই তা নিয়ে থাকেন তাহলে গ্লাসের
ক্ষতিপূরণ আপনাকে দিতে হবে না। প্রতিবেশীকে
মেশিনটি ত্রুটিসহই গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু যদি
লাগেজে যেভাবে নেওয়া দরকার ছিল সেভাবে না নেওয়ার কারণে বা আপনার ত্রুটির কারণে তা ভেঙ্গে থাকে তবে এর ক্ষতিপূরণ আপনাকে বহন
করতে হবে। ক্ষতিপূরণের সাথে আপনার প্রতিবেশী
মেশিনটি গ্রহণ করতে বাধ্য। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ
দেওয়ার পরও মেশিন গ্রহণ না করা বৈধ হবে না।
-বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩৮; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ :
১৪৬৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/৫৬৭; রদ্দুল মুহতার ৭/৩৬৭
একটি আধুনিক মাসালা, শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ফেইসবুক টুইটার ইত্যাদিতে আমরা লিখিত ভাবে যে সালাম দেই, সেই সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজীব। তবে লিখিত ভাবে উত্তর দেওয়া জরুরী নয়। বরং মৌখিক ভাবে দিলেই চলবে।
দলিলঃ ফতোয়ায়ে শামী ৯/৫৫৪.
আল্লাহ তাআলা সবাইকে আমল করার তৌফীক দান করুন। আমীন।
কেনার পর থেকে তা আপনার কাছে আমানত হিসেবে ছিল। মেশিনটি যত্নসহকারে নিয়ে আসা আপনার
দায়িত্ব ছিল। অতএব আপনি যদি লাগেজের মধ্যে
যত্নসহকারেই তা নিয়ে থাকেন তাহলে গ্লাসের
ক্ষতিপূরণ আপনাকে দিতে হবে না। প্রতিবেশীকে
মেশিনটি ত্রুটিসহই গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু যদি
লাগেজে যেভাবে নেওয়া দরকার ছিল সেভাবে না নেওয়ার কারণে বা আপনার ত্রুটির কারণে তা ভেঙ্গে থাকে তবে এর ক্ষতিপূরণ আপনাকে বহন
করতে হবে। ক্ষতিপূরণের সাথে আপনার প্রতিবেশী
মেশিনটি গ্রহণ করতে বাধ্য। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ
দেওয়ার পরও মেশিন গ্রহণ না করা বৈধ হবে না।
-বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩৮; মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ :
১৪৬৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/৫৬৭; রদ্দুল মুহতার ৭/৩৬৭
একটি আধুনিক মাসালা, শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ফেইসবুক টুইটার ইত্যাদিতে আমরা লিখিত ভাবে যে সালাম দেই, সেই সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজীব। তবে লিখিত ভাবে উত্তর দেওয়া জরুরী নয়। বরং মৌখিক ভাবে দিলেই চলবে।
দলিলঃ ফতোয়ায়ে শামী ৯/৫৫৪.
আল্লাহ তাআলা সবাইকে আমল করার তৌফীক দান করুন। আমীন।
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮৩১
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একজন কাগজ ব্যবসায়ী। দুই সপ্তাহ আগে আমি এক ব্যক্তিকে...
প্রশ্ন
আমি একজন কাগজ ব্যবসায়ী। দুই সপ্তাহ
আগে আমি এক ব্যক্তিকে এ শর্তে দুই লক্ষ টাকা দিয়েছি যে, সে দুই মাস পর আমাকে ঐ টাকার বিনিময়ে ৭০ গ্রামের ১০০ রিম অফসেট কাগজ দিবে। এ মুহূর্তে আমার ঐ টাকার প্রয়োজন হলে
আরেক ব্যক্তি থেকে এ শর্তে এক লক্ষ টাকা নিয়েছি যে, দুই মাস পর কাগজ হস্তগত হলে তাকে চল্লিশ রিম কাগজ দিব। জানার বিষয় হল, উপরোক্ত লেনদেন দুটি শরীয়তসম্মত হয়েছে কি না? জানালে উপকৃত হব।
আগে আমি এক ব্যক্তিকে এ শর্তে দুই লক্ষ টাকা দিয়েছি যে, সে দুই মাস পর আমাকে ঐ টাকার বিনিময়ে ৭০ গ্রামের ১০০ রিম অফসেট কাগজ দিবে। এ মুহূর্তে আমার ঐ টাকার প্রয়োজন হলে
আরেক ব্যক্তি থেকে এ শর্তে এক লক্ষ টাকা নিয়েছি যে, দুই মাস পর কাগজ হস্তগত হলে তাকে চল্লিশ রিম কাগজ দিব। জানার বিষয় হল, উপরোক্ত লেনদেন দুটি শরীয়তসম্মত হয়েছে কি না? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দুই মাস পর ৭০
গ্রামের ১০০ রিম অফসেট কাগজ দিবে এ চুক্তিতে অগ্রিম মূল্য দেওয়া সহীহ
হয়েছে। এটাকে শরীয়তের পরিভাষায় বাইয়ে সালাম বলা
হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তি থেকে আপনার জন্য এ
শর্তে টাকা নেওয়া জায়েয হয়নি যে, দুই
মাস পর কাগজ হস্তগত হলে সেখান থেকে ৪০ রিম কাগজ দিবেন। কেননা ক্রয়কৃত পণ্য হস্তগত করার আগে তা বিক্রি করা নাজায়েয। সুতরাং দ্বিতীয় চুক্তিটি বাতিল করে দেওয়া জরুরি।
- সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৫২৫; আলবাহরুর রায়েক ৬/১৬৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪৫১; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/১১৯; আমওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ ২৫/২১৮-২১৯; আদ্দুররুল মুখতার ৫/২১৮
হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তি থেকে আপনার জন্য এ
শর্তে টাকা নেওয়া জায়েয হয়নি যে, দুই
মাস পর কাগজ হস্তগত হলে সেখান থেকে ৪০ রিম কাগজ দিবেন। কেননা ক্রয়কৃত পণ্য হস্তগত করার আগে তা বিক্রি করা নাজায়েয। সুতরাং দ্বিতীয় চুক্তিটি বাতিল করে দেওয়া জরুরি।
- সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৫২৫; আলবাহরুর রায়েক ৬/১৬৫; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪৫১; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/১১৯; আমওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ ২৫/২১৮-২১৯; আদ্দুররুল মুখতার ৫/২১৮
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮৩০
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি এক ব্যক্তি থেকে একটি অফসেট মেশিন ১০ বছরের জন্য...
প্রশ্ন
আমি এক ব্যক্তি থেকে একটি অফসেট মেশিন ১০ বছরের জন্য এই চুক্তিতে
ভাড়া নিয়েছি যে, মেশিনটি আমার
রিস্কে থাকবে। মেশিন নষ্ট হলে বা মেশিনের কোনো জিনিস পরিবর্তন
করতে হলে তার খরচ আমি বহন করব এবং
প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা মেশিনের ভাড়া দিব। আমার আরো একটি অফসেট মেশিনের
সাথে ঐ মেশিনটি তৃতীয় ব্যক্তিকে ১০ বছরের জন্য এই চুক্তিতে ভাড়া দিতে চাচ্ছি যে, সে প্রতি মাসে আমাকে ৬০
হাজার টাকা মেশিনের ভাড়া দিবে। কোনো সময় মেশিন নষ্ট হলে ঠিক হওয়া
পর্যন্ত ভাড়া মওকুফ থাকবে এবং মেশিন ঠিক করতে হলে বা মেশিনের কোনো
জিনিস পরিবর্তন করতে হলে তার খরচ আমাকেই বহন করতে হবে।
তাই জানার বিষয় হল, উপরে উল্লেখিত নিয়মে মেশিন ভাড়া নেওয়া এবং তৃতীয় পক্ষকে ভাড়া দেওয়া জায়েয হবে কি না? জানালে উপকৃত হব।
ভাড়া নিয়েছি যে, মেশিনটি আমার
রিস্কে থাকবে। মেশিন নষ্ট হলে বা মেশিনের কোনো জিনিস পরিবর্তন
করতে হলে তার খরচ আমি বহন করব এবং
প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা মেশিনের ভাড়া দিব। আমার আরো একটি অফসেট মেশিনের
সাথে ঐ মেশিনটি তৃতীয় ব্যক্তিকে ১০ বছরের জন্য এই চুক্তিতে ভাড়া দিতে চাচ্ছি যে, সে প্রতি মাসে আমাকে ৬০
হাজার টাকা মেশিনের ভাড়া দিবে। কোনো সময় মেশিন নষ্ট হলে ঠিক হওয়া
পর্যন্ত ভাড়া মওকুফ থাকবে এবং মেশিন ঠিক করতে হলে বা মেশিনের কোনো
জিনিস পরিবর্তন করতে হলে তার খরচ আমাকেই বহন করতে হবে।
তাই জানার বিষয় হল, উপরে উল্লেখিত নিয়মে মেশিন ভাড়া নেওয়া এবং তৃতীয় পক্ষকে ভাড়া দেওয়া জায়েয হবে কি না? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ভাড়া গ্রহীতার
উপর মেশিনের রিস্ক থাকা এবং মেশিন নষ্ট হলে বা মেশিনের কোনো জিনিস পরিবর্তন
করতে হলে তা ভাড়া গ্রহীতার খরচে ঠিক করার শর্ত করা শরীয়তসম্মত হয়নি।
ভাড়ার ক্ষেত্রে নিয়ম হল, ভাড়াকৃত বস্তুর
হেফাযতের দায়িত্ব ভাড়া গ্রহীতার থাকবে। কিন্তু এর রিস্ক এবং এর মেরামত
বা যন্ত্রাংশ ক্রয় ও সার্ভিসিং খরচ মালিককেই বহন করতে হবে। হ্যাঁ,ভাড়া
গ্রহীতার অবহেলা বা ত্রুটির কারণে কোনো খরচ হলে তা ভাড়া গ্রহীতাকে বহন করতে হবে। এছাড়া কোনো মেরামত খরচ ভাড়া
গ্রহীতার উপর চাপানো যাবে না। তাই এখন আপনাদের কর্তব্য হল, পূর্বের চুক্তি বাতিল করে দিয়ে নতুনভাবে সঠিক নিয়মে চুক্তি করা। শরীয়তসম্মতভাবে
চুক্তিটি নবায়ন করে নিলে ঐ মেশিনটির
সাথে নিজের মেশিনটি প্রশ্নে বর্ণিত উপায়ে তৃতীয় ব্যক্তির নিকট ভাড়া দেওয়া জায়েয হবে।
-আলমওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ কুয়াইতিয়্যাহ ২৮/৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৩৯, ৪/৪৪২; আলবাহরুর রায়েক ৮/৩০; শরহুল মাজাল্লাহ ১/৭০৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/৫৫; কিতাবুল আছল ৩/৪৬৩; শরহুল মাজাল্লাহ ২/২৮৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১১৮; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২৬৮; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৫/৫৬
হেফাযতের দায়িত্ব ভাড়া গ্রহীতার থাকবে। কিন্তু এর রিস্ক এবং এর মেরামত
বা যন্ত্রাংশ ক্রয় ও সার্ভিসিং খরচ মালিককেই বহন করতে হবে। হ্যাঁ,ভাড়া
গ্রহীতার অবহেলা বা ত্রুটির কারণে কোনো খরচ হলে তা ভাড়া গ্রহীতাকে বহন করতে হবে। এছাড়া কোনো মেরামত খরচ ভাড়া
গ্রহীতার উপর চাপানো যাবে না। তাই এখন আপনাদের কর্তব্য হল, পূর্বের চুক্তি বাতিল করে দিয়ে নতুনভাবে সঠিক নিয়মে চুক্তি করা। শরীয়তসম্মতভাবে
চুক্তিটি নবায়ন করে নিলে ঐ মেশিনটির
সাথে নিজের মেশিনটি প্রশ্নে বর্ণিত উপায়ে তৃতীয় ব্যক্তির নিকট ভাড়া দেওয়া জায়েয হবে।
-আলমওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ কুয়াইতিয়্যাহ ২৮/৬০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪৩৯, ৪/৪৪২; আলবাহরুর রায়েক ৮/৩০; শরহুল মাজাল্লাহ ১/৭০৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/৫৫; কিতাবুল আছল ৩/৪৬৩; শরহুল মাজাল্লাহ ২/২৮৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১১৮; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২৬৮; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৫/৫৬
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮২৯
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি একটি বাড়ির ২টি ফ্লোর ৩ বছর মেয়াদে বন্ধক নিয়ে...
প্রশ্ন
আমি একটি বাড়ির ২টি ফ্লোর ৩ বছর
মেয়াদে বন্ধক নিয়ে বাড়ির মালিককে ৪০ লক্ষ টাকা প্রদান করতে চাই।
বিনিময়ে ২ ফ্লোরের ভাড়া নিয়ে আমি লাভবান হব। মেয়াদ শেষে আমি সম্পূর্ণ
টাকা ফেরত পাব। এখন আমি জানতে পারলাম যে, উল্লেখিত লেনদেনটি নাজায়েয। এখন
আমার জানার বিষয় হল, আমাদের এই লেনদেনটি সহীহ করার কোনো পদ্ধতি আছে কি?
জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে লেনদেন করা
সম্পূর্ণ নাজায়েয। কেননা ঋণ দিয়ে বিনিময়ে গ্রহীতা থেকে কোনো প্রকার
উপকার গ্রহণ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতা
থেকে ঋণের বিপরীতে দুটি ফ্লোর বন্ধক নিয়ে তা থেকে উপকৃত হওয়া আপনার জন্য
কোনোক্রমেই জায়েয হবে
না।
এক্ষেত্রে বৈধভাবে লেনদেন করতে চাইলে
ঋণ ও বন্ধকী চুক্তি না করে শুরু থেকেই ভাড়া
চুক্তি করতে পারেন। অর্থাৎ ফ্লোর দুটি আপনি দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ভাড়া নিবেন এবং সমুদয় ভাড়া এককালীন অগ্রিম পরিশোধ করে দিবেন। আর দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ভাড়া নিলে পারস্পরিক সম্মতিক্রমে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কিছুটা কমেও চুক্তি করতে পারবেন। উল্লেখিত চুক্তিতে ফ্লোর দুটির মালিক অগ্রিম যে টাকা গ্রহণ করবে তা যেহেতু ভাড়া হিসেবে নিবে তাই ঐ টাকা সে নিজ কাজে লাগাতে পারবে। আর আপনিও
অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় ফ্লোর দুটিতে বসবাস
করতে পারবেন কিংবা ফ্লোর দুটিতে উন্নয়নমূলক কোনো কাজ (যেমন টাইলস ফিটিংস, ডেকোরেশন ইত্যাদি) করে তা অন্যের নিকট অধিক টাকায় ভাড়া দিতে পারবেন। অবশ্য পরবর্তীতে কখনো ভাড়া চুক্তি বাতিল হলে ভাড়াদাতার জন্য হিসাব করে অবশিষ্ট মাসসমূহের অগ্রিম ভাড়া ভাড়াগ্রহীতাকে ফিরিয়ে দেওয়া আবশ্যক হবে। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ১৫০৭১; বাদায়েউস সানায়ে ৫/২১২; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ৩/১৪৯; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২৩৭৬০; কিতাবুল আছল ৩/৪৬৩; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২৬৮; আলবাহরুর রায়েক ৭/২০৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/২৮.
না।
এক্ষেত্রে বৈধভাবে লেনদেন করতে চাইলে
ঋণ ও বন্ধকী চুক্তি না করে শুরু থেকেই ভাড়া
চুক্তি করতে পারেন। অর্থাৎ ফ্লোর দুটি আপনি দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ভাড়া নিবেন এবং সমুদয় ভাড়া এককালীন অগ্রিম পরিশোধ করে দিবেন। আর দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ভাড়া নিলে পারস্পরিক সম্মতিক্রমে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কিছুটা কমেও চুক্তি করতে পারবেন। উল্লেখিত চুক্তিতে ফ্লোর দুটির মালিক অগ্রিম যে টাকা গ্রহণ করবে তা যেহেতু ভাড়া হিসেবে নিবে তাই ঐ টাকা সে নিজ কাজে লাগাতে পারবে। আর আপনিও
অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় ফ্লোর দুটিতে বসবাস
করতে পারবেন কিংবা ফ্লোর দুটিতে উন্নয়নমূলক কোনো কাজ (যেমন টাইলস ফিটিংস, ডেকোরেশন ইত্যাদি) করে তা অন্যের নিকট অধিক টাকায় ভাড়া দিতে পারবেন। অবশ্য পরবর্তীতে কখনো ভাড়া চুক্তি বাতিল হলে ভাড়াদাতার জন্য হিসাব করে অবশিষ্ট মাসসমূহের অগ্রিম ভাড়া ভাড়াগ্রহীতাকে ফিরিয়ে দেওয়া আবশ্যক হবে। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ১৫০৭১; বাদায়েউস সানায়ে ৫/২১২; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ৩/১৪৯; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২৩৭৬০; কিতাবুল আছল ৩/৪৬৩; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২৬৮; আলবাহরুর রায়েক ৭/২০৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/২৮.
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮০৭
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
সুদি ব্যাংক থেকে যে বৃত্তি দেওয়া হয় তা নেওয়া কি...
প্রশ্ন
সুদি ব্যাংক থেকে যে বৃত্তি দেওয়া হয় তা নেওয়া কি জায়েয?
উত্তর
সুদি ব্যাংক থেকে প্রদত্ত বৃত্তি
নেওয়া জায়েয নয়। কারণ ব্যাংকগুলোর অধিকাংশ আয় সুদ। তাই তাদের বৃত্তির
মাঝে সুদের আশঙ্কাই বেশি। অতএব এ টাকা যে নামেই দেওয়া হোক তা গ্রহণ করা
জায়েয হবে না।
-রদ্দুল মুহতার ২/২৯২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া
-রদ্দুল মুহতার ২/২৯২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮০৬
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমার ভাতিজাকে এক সিএনজির মালিক বলেছে, তোমাকে আমি একটি সিএনজি...
প্রশ্ন
আমার ভাতিজাকে এক সিএনজির মালিক বলেছে,
তোমাকে আমি একটি সিএনজি দিব। দিনপ্রতি তুমি আমাকে ৮০০/- টাকা দিবে। সিএনজির কোনো সমস্যা হলে সেটা আমি দেখব। আর তুমি চাইলে চুক্তিটা এভাবেও করতে পার যে, প্রতিদিন তুমি
আমাকে ৬০০/- টাকা দিবে আর ছোটখাটো কোনো সমস্যা হলে সেটা তুমি দেখবে আর বড় কোনো সমস্যা হলে আমি দেখব। তোমার ইচ্ছা দুই চুক্তির যে কোনোটি আমার সাথে করতে পার। প্রশ্ন হল, আমার ভাতিজা সিএনজিটি ভাড়া নিতে চাচ্ছে। এখন কোন চুক্তিটি করা তার জন্য বৈধ হবে?
তোমাকে আমি একটি সিএনজি দিব। দিনপ্রতি তুমি আমাকে ৮০০/- টাকা দিবে। সিএনজির কোনো সমস্যা হলে সেটা আমি দেখব। আর তুমি চাইলে চুক্তিটা এভাবেও করতে পার যে, প্রতিদিন তুমি
আমাকে ৬০০/- টাকা দিবে আর ছোটখাটো কোনো সমস্যা হলে সেটা তুমি দেখবে আর বড় কোনো সমস্যা হলে আমি দেখব। তোমার ইচ্ছা দুই চুক্তির যে কোনোটি আমার সাথে করতে পার। প্রশ্ন হল, আমার ভাতিজা সিএনজিটি ভাড়া নিতে চাচ্ছে। এখন কোন চুক্তিটি করা তার জন্য বৈধ হবে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ভাড়া চুক্তির প্রথমটি শরীয়তসম্মত। তা অবলম্বন করতে পারেন। কেননা এক্ষেত্রে গাড়ির মেরামতের দায়িত্ব মালিকের উপর রাখা
হয়েছে। তবে হাঁ, চালকের অবহেলা বা ত্রুটির কারণে গাড়ির কোনো সমস্যা হলে তা চালককেই ঠিক করতে
হবে। এ খরচ মালিকের উপর চাপানো যাবে না। আর ভাড়া চুক্তির দ্বিতীয় প্রস্তাবটি শরীয়তসম্মত
নয়। কেননা এক্ষেত্রে গাড়ির স্বাভাবিক ও ছোটখাটো সমস্যা ঠিক করার দায়ভার চালকের
উপর চাপানো হয়েছে। অথচ চালকের ত্রুটির কারণে ক্ষতি না হলে ছোট বড় সকল মেরামত খরচ
মালিকের দায়িত্বে। -মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ৪৯৪; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৫৮৩; কিতাবুল আছল ৪/৪১; আলমুগনী,
ইবনে কুদামা ৮/২০-২১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া
১৫/২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪১৬; রদ্দুল মুহতার ৬/৫০
হয়েছে। তবে হাঁ, চালকের অবহেলা বা ত্রুটির কারণে গাড়ির কোনো সমস্যা হলে তা চালককেই ঠিক করতে
হবে। এ খরচ মালিকের উপর চাপানো যাবে না। আর ভাড়া চুক্তির দ্বিতীয় প্রস্তাবটি শরীয়তসম্মত
নয়। কেননা এক্ষেত্রে গাড়ির স্বাভাবিক ও ছোটখাটো সমস্যা ঠিক করার দায়ভার চালকের
উপর চাপানো হয়েছে। অথচ চালকের ত্রুটির কারণে ক্ষতি না হলে ছোট বড় সকল মেরামত খরচ
মালিকের দায়িত্বে। -মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ৪৯৪; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৫৮৩; কিতাবুল আছল ৪/৪১; আলমুগনী,
ইবনে কুদামা ৮/২০-২১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া
১৫/২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪১৬; রদ্দুল মুহতার ৬/৫০
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮০৫
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমি নিজ তহবিল থেকে মুনাফার জন্য বিশ্বস্ত লোকদেরকে ঋণ প্রদান...
প্রশ্ন
আমি নিজ তহবিল থেকে মুনাফার জন্য
বিশ্বস্ত লোকদেরকে ঋণ প্রদান করে থাকি। ঋণগ্রহীতাকে নগদ টাকা না দিয়ে
আলোচনা সাপেক্ষে কোনো পণ্য (ধান, চাল, আটা ইত্যাদি পণ্য বস্তা হিসেবে) কিনে
মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে নির্দিষ্ট মেয়াদে কিস্তিতে অথবা মেয়াদান্তে সকল
টাকা পরিশোধের শর্তে পণ্য প্রদান করে থাকি। উক্ত গ্রহীতার পণ্যের প্রয়োজন
না থাকলে তিনি পণ্য পুনরায় বিক্রি করে দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, ঋণ
গ্রহীতার সাথে চুক্তি হওয়ার পর আমি তাকে নিয়ে বাজারে কোনো পাইকারি দোকানে
গিয়ে বর্তমান বাজারদরে ১,০০,০০০/- টাকার চাল ক্রয় করি। অতপর তা
১,২০,০০০/- টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ঋণগ্রহীতাকে প্রদান করি। ঋণ গ্রহীতা
স্বস্থানে রেখেই পণ্যগুলো বাজারদর (১,০০,০০০/-) থেকে সামান্য কমবেশি (বস্তা
প্রতি ১/২ টাকা) করে দোকানির নিকট বিক্রি করে দেন। উল্লেখ্য যে, এ
পদ্ধতিতে একই পণ্য তিনবার বিক্রি
করা হচ্ছে এবং সর্বাবস্থায় পণ্য স্বস্থানে
থাকছে। তবে পণ্য চিহ্নিত করা হয়। জানার বিষয় হল,উপরোক্ত পদ্ধতিতে বিনিয়োগ প্রদান করা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ কি না?
করা হচ্ছে এবং সর্বাবস্থায় পণ্য স্বস্থানে
থাকছে। তবে পণ্য চিহ্নিত করা হয়। জানার বিষয় হল,উপরোক্ত পদ্ধতিতে বিনিয়োগ প্রদান করা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত পদ্ধতির লেনদেনের সাথে জড়িত সকলের নিকট একথা স্পষ্ট যে, এখানে তাদের কারোই পণ্য আদান-প্রদান ও
ক্রয়বিক্রয় উদ্দেশ্য নয়। এক পক্ষ টাকার
বিনিময়ে অতিরিক্ত গ্রহণের জন্য ক্রয়- বিক্রয়ের ছুতা অবলম্বন করেছে। আর অন্য পক্ষ নগদ টাকার জন্য বাধ্য হয়ে তা গ্রহণ করছে। এক্ষেত্রে দুই তিন হাত বদল হলেও পণ্য যার কাছে ছিল তার কাছেই থেকে যাচ্ছে। যা শরীয়ত নিষিদ্ধ বাইয়ে ঈনার অন্তর্ভুক্ত। হাদীস শরীফে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে লেনদেন করা সম্পূর্ণ নাজায়েয। উল্লেখ্য যে, আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য হালাল উপার্জনের অনেক পথ খোলা রেখেছেন। সুতরাং মুসলমানের কর্তব্য হল, হিলা-বাহানা করে শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ পথে না চলে উপার্জনের হালাল পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করা। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৪৬২; ইলাউস সুনান ১৪/১৭৮; আননিহায়া ফী গারীবিল হাদীস ৩/৩৩৪
ক্রয়বিক্রয় উদ্দেশ্য নয়। এক পক্ষ টাকার
বিনিময়ে অতিরিক্ত গ্রহণের জন্য ক্রয়- বিক্রয়ের ছুতা অবলম্বন করেছে। আর অন্য পক্ষ নগদ টাকার জন্য বাধ্য হয়ে তা গ্রহণ করছে। এক্ষেত্রে দুই তিন হাত বদল হলেও পণ্য যার কাছে ছিল তার কাছেই থেকে যাচ্ছে। যা শরীয়ত নিষিদ্ধ বাইয়ে ঈনার অন্তর্ভুক্ত। হাদীস শরীফে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে লেনদেন করা সম্পূর্ণ নাজায়েয। উল্লেখ্য যে, আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য হালাল উপার্জনের অনেক পথ খোলা রেখেছেন। সুতরাং মুসলমানের কর্তব্য হল, হিলা-বাহানা করে শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ পথে না চলে উপার্জনের হালাল পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করা। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৪৬২; ইলাউস সুনান ১৪/১৭৮; আননিহায়া ফী গারীবিল হাদীস ৩/৩৩৪
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮০৪
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
আমাদের এলাকার সাধারণ লোকজন ব্যাপকভাবে সুপারিতে আগাম চুক্তির লেনদেন করে...
প্রশ্ন
আমাদের এলাকার সাধারণ লোকজন ব্যাপকভাবে সুপারিতে আগাম চুক্তির লেনদেন করে থাকে।
অর্থাৎ মৌসুমের আগে ক্রেতা বিক্রেতাকে কিছু
টাকা দিয়ে বলে যে, ১০ মাস পরে আমাকে এত
পরিমাণ সুপারি দিবেন। আর সুপারি সাধারণত সব সমান হয়
না। বরং তা ছোটবড় অনেক ধরনের হয়ে থাকে।
ছোটবড় হওয়ার কারণে মূল্যের মাঝেও তারতম্য
হয়। আর আমি জানি যে, যেসব পণ্য গণনা করে
বিক্রি করা হয় তা যদি পরস্পরে ছোটবড় হওয়ার
কারণে তার মূল্যেও তারতম্য হয় তাহলে তাতে
আগাম বিক্রি সহীহ হয় না। তাহলে সুপারির মধ্যেও
কি আগাম বিক্রি সহীহ হবে না?
উল্লেখ্য, সুপারি গণনা করেই বিক্রি করা হয়।
অর্থাৎ মৌসুমের আগে ক্রেতা বিক্রেতাকে কিছু
টাকা দিয়ে বলে যে, ১০ মাস পরে আমাকে এত
পরিমাণ সুপারি দিবেন। আর সুপারি সাধারণত সব সমান হয়
না। বরং তা ছোটবড় অনেক ধরনের হয়ে থাকে।
ছোটবড় হওয়ার কারণে মূল্যের মাঝেও তারতম্য
হয়। আর আমি জানি যে, যেসব পণ্য গণনা করে
বিক্রি করা হয় তা যদি পরস্পরে ছোটবড় হওয়ার
কারণে তার মূল্যেও তারতম্য হয় তাহলে তাতে
আগাম বিক্রি সহীহ হয় না। তাহলে সুপারির মধ্যেও
কি আগাম বিক্রি সহীহ হবে না?
উল্লেখ্য, সুপারি গণনা করেই বিক্রি করা হয়।
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী সুপারি ছোটবড় হওয়ার
কারণে যেহেতু তার মূল্যের মধ্যেও তারতম্য হয়ে থাকে তাই এক্ষেত্রে ছোটবড় কোন
ধরনের এবং কোন মানের সুপারি দিবে তা চুক্তির
সময়ই নির্ধারণ করে নিতে হবে। তাহলে প্রশ্নোক্ত লেনদেনটি সহীহ হবে। কিন্তু
যদি সুপারির মান ও ধরন উল্লেখ করা না হয় তাহলে এ
চুক্তি সহীহ হবে না। কারণ আগাম ক্রয় চুক্তিতে
পণ্যের গুণগত মান একেবারে স্পষ্ট হওয়া শর্ত।
যেন পরবর্তীতে পণ্য আদান-প্রদানের সময় এ নিয়ে কোনো বিবাদের আশঙ্কা না থাকে। -ফাতহুল কাদীর ৬/২০৮, ৬/২২১; আলবাহরুর রায়েক ৬/১৫৬, ১৬০; আদ্দুররুল মুখতার ৫/২১১; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৩৮৯
কারণে যেহেতু তার মূল্যের মধ্যেও তারতম্য হয়ে থাকে তাই এক্ষেত্রে ছোটবড় কোন
ধরনের এবং কোন মানের সুপারি দিবে তা চুক্তির
সময়ই নির্ধারণ করে নিতে হবে। তাহলে প্রশ্নোক্ত লেনদেনটি সহীহ হবে। কিন্তু
যদি সুপারির মান ও ধরন উল্লেখ করা না হয় তাহলে এ
চুক্তি সহীহ হবে না। কারণ আগাম ক্রয় চুক্তিতে
পণ্যের গুণগত মান একেবারে স্পষ্ট হওয়া শর্ত।
যেন পরবর্তীতে পণ্য আদান-প্রদানের সময় এ নিয়ে কোনো বিবাদের আশঙ্কা না থাকে। -ফাতহুল কাদীর ৬/২০৮, ৬/২২১; আলবাহরুর রায়েক ৬/১৫৬, ১৬০; আদ্দুররুল মুখতার ৫/২১১; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৩৮৯
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
ফতোয়া নং: ২৮০২
তারিখ: ১/৪/২০১৫
বিষয়: ব্যবসা-চাকুরী
ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন লাইব্রেরির মাঝে এভাবে চুক্তি হয়ে থাকে...
প্রশ্ন
ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন লাইব্রেরির মাঝে
এভাবে চুক্তি হয়ে থাকে যে, ঢাকার লাইব্রেরি
মালিক চট্টগ্রামের লাইব্রেরি মালিককে বলে,
প্রেস থেকে বই ছেপে আসলে আপনাকে ৪০% কমিশনে বই দিব। এখন আমাকে বইয়ের অগ্রিম মূল্য দিয়ে দেন। তখন চট্টগ্রামের
লাইব্রেরির মালিকগণ বইয়ের অগ্রিম মূল্য দিয়ে
থাকে।
এক্ষেত্রে আরো একটি লেনদেন হয়ে
থাকে। তা এই যে, চট্টগ্রামের লাইব্রেরি মালিকগণ
বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে এই বলে টাকা নিয়ে থাকে
যে, ঢাকায় অমুক লাইব্রেরি থেকে ৪০% কমিশনে বই কিনতে চাচ্ছি। এখন আমাকে বইয়ের অগ্রিম মূল্য দিতে হচ্ছে। আপনি আমাকে টাকা দেন যেন আমি বইয়ের অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করতে পারি। বই কেনার পর আপনার টাকার সাথে
১০% কমিশন পরিমাণ অতিরিক্ত টাকা আপনাকে দিব।
এখন আমার প্রশ্ন হল, উল্লেখিত লেনদেন দুটি শরীয়তসম্মত কি না? যদি শরীয়তসম্মত না হয় তাহলে কিভাবে শরীয়তসম্মত হবে?
এভাবে চুক্তি হয়ে থাকে যে, ঢাকার লাইব্রেরি
মালিক চট্টগ্রামের লাইব্রেরি মালিককে বলে,
প্রেস থেকে বই ছেপে আসলে আপনাকে ৪০% কমিশনে বই দিব। এখন আমাকে বইয়ের অগ্রিম মূল্য দিয়ে দেন। তখন চট্টগ্রামের
লাইব্রেরির মালিকগণ বইয়ের অগ্রিম মূল্য দিয়ে
থাকে।
এক্ষেত্রে আরো একটি লেনদেন হয়ে
থাকে। তা এই যে, চট্টগ্রামের লাইব্রেরি মালিকগণ
বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে এই বলে টাকা নিয়ে থাকে
যে, ঢাকায় অমুক লাইব্রেরি থেকে ৪০% কমিশনে বই কিনতে চাচ্ছি। এখন আমাকে বইয়ের অগ্রিম মূল্য দিতে হচ্ছে। আপনি আমাকে টাকা দেন যেন আমি বইয়ের অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করতে পারি। বই কেনার পর আপনার টাকার সাথে
১০% কমিশন পরিমাণ অতিরিক্ত টাকা আপনাকে দিব।
এখন আমার প্রশ্ন হল, উল্লেখিত লেনদেন দুটি শরীয়তসম্মত কি না? যদি শরীয়তসম্মত না হয় তাহলে কিভাবে শরীয়তসম্মত হবে?
উত্তর
ঢাকার লাইব্রেরির সাথে চট্টগ্রামের লাইব্রেরি
মালিকের উক্ত চুক্তিটি বাই সালাম অর্থাৎ আগাম ক্রয়
লেনদেনের অন্তর্ভুক্ত। তাই চুক্তিটি সহীহভাবে করার জন্য বইয়ের পুরো মূল্য চুক্তির সময়ই দিয়ে দিতে হবে এবং বইয়ের
মান, পরিমাণ ও ধরন এবং বই হস্তান্তরের তারিখ চুক্তির
সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। তাহলে এ লেনদেন জায়েয হবে। মোটকথা বাই সালামের যাবতীয় শর্ত এক্ষেত্রে পাওয়া যেতে হবে।
কিন্তু এ চুক্তির ক্ষেত্রে ক্রেতার জন্য কারো
থেকে এ ভিত্তিতে টাকা নেওয়া জায়েয হবে না যে, তাকে এর বিনিময়ে প্রাপ্ত বইয়ের ১০% বা
কিছু কমিশন দেওয়া হবে। কেননা কমিশন দেওয়ার
শর্তে কারো থেকে টাকা নেওয়া সুদী লোনের অন্তর্ভুক্ত, যা সম্পূর্ণ হারাম। উপরোক্ত পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে ক্রেতা কারো থেকে বিনিয়োগ নিতে চাইলে তাকে বই ক্রয়ে শরিক করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে
উভয়ে নিজ নিজ মূলধন অনুযায়ী বইয়ের মালিক
হবে। বই হস্তগত হওয়ার পর তা বিক্রি করে অর্জিত
লাভ তারা চুক্তি অনুযায়ী ভাগ করে নিবেন। আর
লোকসান হলে তা মূলধনের অনুপাতে ভাগ
হবে।
উল্লেখ্য যে, এক্ষেত্রে শরিক নিজের অংশ অপর শরিককে বিক্রি করে দিতে পারবে। তবে
এই ক্রয়-বিক্রয় অবশ্যই বই হস্তগত করার পর,
হতে হবে।
-আলমাবসূত, সারাখসী ১২/১২৪; আদ্দুররুল মুখতার
৫/২১৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১৭৮; আলবাহরুর রায়েক
৬/১৬০; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ, মাদ্দাহ :
১৩৬৭, ১৩৬৯
মালিকের উক্ত চুক্তিটি বাই সালাম অর্থাৎ আগাম ক্রয়
লেনদেনের অন্তর্ভুক্ত। তাই চুক্তিটি সহীহভাবে করার জন্য বইয়ের পুরো মূল্য চুক্তির সময়ই দিয়ে দিতে হবে এবং বইয়ের
মান, পরিমাণ ও ধরন এবং বই হস্তান্তরের তারিখ চুক্তির
সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। তাহলে এ লেনদেন জায়েয হবে। মোটকথা বাই সালামের যাবতীয় শর্ত এক্ষেত্রে পাওয়া যেতে হবে।
কিন্তু এ চুক্তির ক্ষেত্রে ক্রেতার জন্য কারো
থেকে এ ভিত্তিতে টাকা নেওয়া জায়েয হবে না যে, তাকে এর বিনিময়ে প্রাপ্ত বইয়ের ১০% বা
কিছু কমিশন দেওয়া হবে। কেননা কমিশন দেওয়ার
শর্তে কারো থেকে টাকা নেওয়া সুদী লোনের অন্তর্ভুক্ত, যা সম্পূর্ণ হারাম। উপরোক্ত পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে ক্রেতা কারো থেকে বিনিয়োগ নিতে চাইলে তাকে বই ক্রয়ে শরিক করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে
উভয়ে নিজ নিজ মূলধন অনুযায়ী বইয়ের মালিক
হবে। বই হস্তগত হওয়ার পর তা বিক্রি করে অর্জিত
লাভ তারা চুক্তি অনুযায়ী ভাগ করে নিবেন। আর
লোকসান হলে তা মূলধনের অনুপাতে ভাগ
হবে।
উল্লেখ্য যে, এক্ষেত্রে শরিক নিজের অংশ অপর শরিককে বিক্রি করে দিতে পারবে। তবে
এই ক্রয়-বিক্রয় অবশ্যই বই হস্তগত করার পর,
হতে হবে।
-আলমাবসূত, সারাখসী ১২/১২৪; আদ্দুররুল মুখতার
৫/২১৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১৭৮; আলবাহরুর রায়েক
৬/১৬০; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যাহ, মাদ্দাহ :
১৩৬৭, ১৩৬৯
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
0 মন্তব্যসমূহ