সকল বিপদে সবর বা ধৈর্য্য ধারন করার গুরুত্ব ও ফযিলত:
আল্লাহ তা'আলা বলেন,) يأيها ٱلذين ءامنوا ٱصبروا وصابروا ([ال عمران: 200] অর্থাৎ "বিশ্বাসীগণ হে! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ধৈর্য ধারণে প্রতিযোগিতা কর "(সূরা আলে ইমরান ২00 আয়াত)।
তিনি আরও বলেন, )ولنبلونكم بشيء من ٱلخوف وٱلجوع ونقص من ٱلأمول وٱلأنفس وٱلثمرت وبشر ٱلصبرين 155( [البقرة: 155] অর্থাৎ" নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধনপ্রাণ এবং ফলের (ফসলের) নোকসান দ্বারা পরীক্ষা করব; আর তুমি ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও "(সূরা বাকারাহ 155 আয়াত)।
তিনি আরও বলেন,) إنما يوفى ٱلصبرون أجرهم بغير حساب( [الزمر: 10] অর্থাৎ"। ধৈর্যশীলদেরকে তো অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে "(সূরা যুমার 10 আয়াত) তিনি অন্যত্র বলেন, ) ولمن صبر وغفر إن ذلك لمن عزم ٱلأمور 43 ([الشورا: 43] অর্থাৎ "। অবশ্যই যে ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করে, নিশ্চয় তা দৃঢ়-সংকল্পের কাজ" (43 সূরা শুরা আয়াত)) يأي ها ٱلذين ءامنوا ٱستعينوا بٱلصبر وٱلصلوة إن ٱلله مع ٱلصبرين 153 ([البقرة: 153] অর্থাৎ "বিশ্বাসীগণ হে! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন "(সূরা বাকারাহ 153 আয়াত) তিনি আরো বলেন,) ولنبلونكم حتى نعلم ٱلمجهدين منكم وٱلصبرين ونبلوا أخباركم 31 ([محمد: 31] অর্থাৎ"। আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যতক্ষণ না আমি তোমাদের মধ্যে মুজাহিদ ও ধৈর্যশীলদেরকে জেনে নই এবং আমি তোমাদের অবস্থা পরীক্ষা করি। "(সূরা মুহাম্মাদ 31 আয়াত) وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم" من يرد الله به خيرا يصب منه ":। (رواه البخاري) আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,' 'আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকে দুঃখ-কষ্টে ফেলেন। '' [1]
وعن أبي يحيى صهيب بن سنان رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم "عجبا لأمر المؤمن إن أمره كله له خير, وليس ذلك لأحد إلا للمؤمن: إن أصابته سراء شكر فكان خيرا له, وإن أصابته ضراء صبر فكان خيرا له "(رواه مسلم)। আবূ ইয়াহয়া সুহাইব ইবনু সিনান রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,' 'মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজে তার জন্য মঙ্গল রয়েছে। এটা মু'মিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য নয়। সুতরাং তার সুখ এলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর দুঃখ পৌঁছলে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয় '' [2] وعن أبي سعيد وأبي هريرة رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: "। ما يصيب المسلم من نصب ولا وصب ولا هم ولا حزن ولا أذى ولا غم, حتى الشوكة يشاكها إلا كفر الله بها من خطاياه "(متفق عليه)। আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু ও আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু' আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, '' মুসলিমকে যে কোনো ক্লান্তি, অসুখ, চিন্তা, শোক এমন কি (তার পায়ে) কাঁটাও লাগে, আল্লাহ া'আলা এর মাধ্যমে তার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন '' [3] وعن أبي سعيد سعد بن مالك بن سنان الخدري رضي الله عنهما:। "أن ناسا من الأنصار سألوا رسول الله صلى الله عليه وسلم فأعطاهم, ثم سألوه فأعطاهم , حتى نفد ما عنده, فقال لهم حين أنفق كل شيء بيده:। "ما يكن عندي من خير فلن أدخره عنكم, ومن يستعفف يعفه الله, ومن يستغن يغنه الله, ومن يتصبر يصبره الله وما أعطي أحد عطاء خيرا وأوسع من الصبر "(متفق عليه)। আবূ সায়ীদ সা'দ ইবনু মালিক ইবনু সিনান খুদরী রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত ে কিছু আনসারী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু চাইলেন। তিনি তাদেরকে দিলেন। পুনরায় তারা দাবী করল। ফলে তিনি (আবার) তাদেরকে দিলেন। এমনকি যা কিছু তাঁর কাছে ছিল তা সব নিঃশেষ হয়ে গেল। অতঃপর যখন তিনি সমস্ত জিনিস নিজ হাতে দান করে দিলেন, তখন তিনি বললেন, '' আমার কাছে যা কিছু (মাল) আসে তা আমি তোমাদেরকে না দিয়ে কখনই জমা করে রাখব না। (কিন্তু তোমরা একটি কথা মনে রাখবে) যে ব্যক্তি চাওয়া থেকে পবিত্র থাকার চেষ্টা করবে, আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখবেন। আর যে ব্যক্তি (চাওয়া থেকে) অমুখাপেক্ষিতা অবলম্বন করবে, আল্লাহ তাকে অমুখাপেক্ষী করবেন। যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করবে আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা প্রদান করবেন। আর কোন ব্যক্তিকে এমন কোন দান দেওয়া হয়নি, যা ধৈর্য অপেক্ষা উত্তম ও বিস্তর হতে পারে [4] وعن أنس رضي الله عنه قال। مر النبي صلى الله عليه وسلم بامرأة تبكي عند قبر فقال: "اتقي الله واصبري "فقالت: إليك عني, فإنك لم تصب بمصيبتي (ولم تعرفه, فقيل لها: إنه النبي صلى الله عليه وسلم, فأتت باب النبي صلى الله عليه وسلم, فلم تجد عنده بوابين, فقالت: لم أعرفك, فقال:। "إنما الصبر عند الصدمة الأولى" (متفق عليه) আনাস রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্ াল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। সে একটি কবরের পাশে বসে কাঁদছিল। তিনি বললেন, '' তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্য ধারণ কর। '' সে বলল, 'আপনি আমার নিকট হতে দূরে সরে যান। কারণ, আমি যে বিপদে পড়েছি আপনি তাতে পড়েননি। 'সে তাঁকে চিনতে পারেনি (তাই সে চরম শোকে তাঁকে অসঙ্গত কথা বলে ফেলল)। অতঃপর তাকে বলা হল যে,' তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন। 'সুতরাং (এ কথা শু নে) সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুয়ারের কাছে এল। সেখানে সে দারোয়ানদেরকে পেল না। অতঃপর সে (সরাসরি প্রবেশ করে) বলল, 'আমি আপনাকে চিনতে পারিনি।' তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, '' আঘাতের শুরুতে সবর করাটাই হল প্রকৃত সবর । '' [5] মুসলিমের একটি বর্ণনায় আছে, সে (মহিলাটি) তার মৃত শিশুর জন্য কাঁদছিল। وعن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: "يقول الله تعالى: ما لعبدي المؤمن عندي جزاء إذا قبضت صفيه من أهل الدنيا ثم احتسبه إلا الجنة" (رواه البخاري)। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,' 'আল্লাহ তা'আলা বলেন,' আমার মু'মিন বান্দার জন্য আমার নিকট জান্নাত ব্যতীত অন্য কোন পুরস্কার নেই, যখন আমি তার দুনিয়ার প্রিয়তম কাউকে কেড়ে নই এবং সে সওয়াবের নিয়তে সবর করে। '' [6] وعن عائشة رضي الله عنها أنها سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الطاعون, فأخبرها أنه كان عذابا يبعثه الله تعالى على من يشاء, فجعله الله تعالى رحمة للمؤمنين, ف يس من عبد يقع في الطاعون فيمكث في بلده صابرا محتسبا يعلم أنه لا يصيبه إلا ما كتب الله له إلا كان له مثل أجر الشهيد "(رواه البخاري)। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু '' আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্লেগ রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি তাঁকে বললেন যে, '' এটা আযাব;।। আল্লাহ তা'আলা যার প্রতি ইচ্ছা করেন এটা প্রেরণ করেন অতঃপর আল্লাহ তা'আলা একে মু'মিনদের জন্য রহমত বানিয়ে দিলেন। ফলে ( খন) যে ব্যক্তি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হবে এবং সে নিজ দেশে ধৈর্য সহকারে নেকীর নিয়তে অবস্থান করবে, সে জানবে যে, তাকে তাইই পৌঁছবে যা আল্লাহ তা'আলা তার জন্য লিখে দিয়েছেন, তাহলে সে ব্যক্তির জন্য শহীদের মত পুরস্কার রয়েছে। "[7] وعن أنس رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "إن لله عزوجل قال: إذا ابتليت عبدي بحبيبتيه فصبر عوضته منهما الجنة", (رواه البخاري )। আনাস রাদিয়াল্লাহু 'আনহু বর্ণনা করেন যে, আম আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, '' আল্লাহ তা'আলা বলেন, যখন আমি আমার বান্দাকে তার প্রিয়তম দুটি জিনিস দ্বারা (অর্থাৎ চক্ষু থেকে বঞ্চিত করে) পরীক্ষা করি এবং সে সবর করে আমি তাকে এ দু'টির বিনিময়ে জান্নাত প্রদান করব '' [8] وعن عطاء بن أبي رباح قال। قال لي ابن عباس رضي الله عنهما: ألا أريك امرأة من أهل الجنة "فقلت: بلى, قال: هذه المرأة السوداء أتتت النبي صلى الله عليه وسلم فقالت: إني أصرع, و إ ي أتكشف, فادع الله تعالى لي قال: "إن شئت صبرت ولك الجنة, وإن شئت دعوت الله تعالى أن يعافيك" فقالت: أصبر, فقالت: إني أتكشف, فادع الله أن لا أتشكف, فدمعا لها। (متفق عليه)। আত্বা ইবনু আবী রাবাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু 'আনহু আমাকে বললেন,' আমি কি তোমাকে একটি জান্নাতী মহিলা দেখাব না! ' আমি বললাম, 'হ্যাঁ!' তিনি বললেন, 'এই কৃষ্ণকায় মহিলাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে বলল যে, আমার মৃগী রোগ আছে, আর সে কারণে আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য দো'আ করুন। ' তিনি বললেন, '' তুমি যদি চাও তাহলে সবর কর; এর বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহ তা'আলার নিকটে দো'আ করব। '' স্ত্রীলোকটি বলল, 'আমি সবর করব।' অতঃপর সে বলল, '(রোগ উঠার সময়) আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়, সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে দো'আ করুন, যেন আমার দেহ থেকে কাপড় সরে না যায়।' ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দো'আ করলেন [9] وعن أبي عبد الرحمن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه قال। كأني انظر إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم يحكي نبيا من الأنبياء, صلوات الله وسلامه عليهم, ضربه قومه فأدموه وهو يمسح الدم عن وجهه, يقول:। "اللهم اغفر لقومى فإنهم لا يعلمون" (متفق عليه) ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'আমি যেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নবীদের মধ্যে কোন এক নব ঘটনা বর্ণনা করতে দেখছি ীর; (আলাইহিমুস সালাতু অসসালাম) যাঁকে তাঁর স্বজাতি প্রহার করে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। আর তিনি নিজ চেহারা থেকে রক্ত পরিষ্কার করছেন আর বলছেন, '' হে আল্লাহ! তুমি আমার জাতিকে ক্ষমা করে দাও। কেননা, তারা জ্ঞানহীন "[10] وعن ابن مسعود رضي الله عنه قال: دخلت على النبي صلى الله عليه وسلم وهو يوعك فقلت: يارسول الله إنك توعك وعكا شديدا قال:"। أجل إني أوعك كما يوعك رجلان منكم "قلت: ذلك أن لك أجرين قال:" أجل ذلك كذلك ما من مسلم يصيبه أذى; شوكة فما فوقها إلا كفر الله بها سيئاته, وحطت عنه ذنوبه كما تحط الشجرة ورقها " (متفق عليه)। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হ াম। সে সময় তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। আমি বললাম, 'হে আল্লাহর রাসূল! আপনার যে প্রচণ্ড জ্বর! ' তিনি বললেন, '' হ্যাঁ! তোমাদের দু'জনের সমান আমার জ্বর আসে। '' আমি বললাম, 'তার জন্যই কি আপনার পুরস্কারও দ্বিগুণ?' তিনি বললেন, '' হ্যাঁ! ব্যাপার তা-ই। (অনুরূপ) যে কোন মুসলিমকে কোন কষ্ট পৌঁছে, কাঁটা লাগে অথবা তার চেয়েও কঠিন কষ্ট হয়, আল্লাহ তা'আলা এর কারণে তার পাপসমূহকে মোচন করে দেন এবং তার পাপসমূহকে এভাবে ঝরিয়ে দেওয়া হয়; যেভাবে গাছ তার পাতা ঝরিয়ে দেয়। '' [11] [1] সহীহুল বুখারী 5645, আহমাদ 7194, মুওয়াত্তা মালেক 175২ হাদিসের মানঃ সহিহ [2] মুসলিম ২999, আহমাদ 18455, 18460, ২3406, ২341২, দারেমী ২777 হাদিসের মানঃ সহিহ [3 ] সহীহুল বুখারী 564২, মুসলিম ২573, তিরমিযী 966, আহমাদ 7969, 8২19, 8966, 106২4 হাদিসের মানঃ সহিহ [4] সহীহুল বুখারী 1469, 6470, মুসলিম 1053, তিরমিযী ২0২4, নাসায়ী ২588, 1644, আহমাদ 10606, 106২২, 10660, মুওয়াত্ত া মালিক 1880, দারেমী 1646 হাদিসের মানঃ সহিহ [5] সহীহুল বুখারী 1২5২, 1২83, 130২, 7154, মুসলিম 9২6, তিরমিযী 988, নাসায়ী 1869, আবূ দাউদ 31২4, ইবনুূু মাজাহ 1596, আহমাদ 11908, 1২049, 1২860। হাদিসের মানঃ সহিহ [6] সহীহুল বুখারী 1২83, 1২5২, 130২, 7154, মুসলিম 9২6, তিরমিযী 988, নাসায়ী 1869, আবূ দাউদ 31২4, ইবনু মাজাহ 1596, আহমাদ 11908, 1২049, 1২860। হাদিসের মানঃ সহিহ [7] সহীহুল বুখারী 3474, 5734, 6619 আহমাদ ২3837, ২4686, ২5608 হাদিসের মানঃ সহিহ [8] সহীহুল বুখারী 5653, তিরমিযী ২400, আহমাদ 1২059, 1২185, 13607 হাদিসের মানঃ সহিহ [9] সহীহুল বুখারী 5653, তিরমিযী ২400 , আহমাদ 1২059, 1২185, 13607। হাদিসের মানঃ সহিহ [10] সহীহুল বুখারী 3477, 69২9, মুসলিম 179২, ইবনু মাজাহ 40২5, আহমাদ 3600, 4047, 4096, 4191, 4319, 4353। হাদিসের মানঃ সহিহ [11] সহীহুল বুখারী 5648, 5647, 5660, 5661, 5667 মুসলিম ২571, আহমাদ 3611, 4193, 4333, দারেমী ২771 হাদিসের মানঃ সহিহ
সূরা আল হাশর: 7 - রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। সূরা মুহাম্মদ: 33 - হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,) يأيها ٱلذين ءامنوا ٱصبروا وصابروا ([ال عمران: 200] অর্থাৎ "বিশ্বাসীগণ হে! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ধৈর্য ধারণে প্রতিযোগিতা কর "(সূরা আলে ইমরান ২00 আয়াত)।
তিনি আরও বলেন, )ولنبلونكم بشيء من ٱلخوف وٱلجوع ونقص من ٱلأمول وٱلأنفس وٱلثمرت وبشر ٱلصبرين 155( [البقرة: 155] অর্থাৎ" নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধনপ্রাণ এবং ফলের (ফসলের) নোকসান দ্বারা পরীক্ষা করব; আর তুমি ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও "(সূরা বাকারাহ 155 আয়াত)।
তিনি আরও বলেন,) إنما يوفى ٱلصبرون أجرهم بغير حساب( [الزمر: 10] অর্থাৎ"। ধৈর্যশীলদেরকে তো অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে "(সূরা যুমার 10 আয়াত) তিনি অন্যত্র বলেন, ) ولمن صبر وغفر إن ذلك لمن عزم ٱلأمور 43 ([الشورا: 43] অর্থাৎ "। অবশ্যই যে ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করে, নিশ্চয় তা দৃঢ়-সংকল্পের কাজ" (43 সূরা শুরা আয়াত)) يأي ها ٱلذين ءامنوا ٱستعينوا بٱلصبر وٱلصلوة إن ٱلله مع ٱلصبرين 153 ([البقرة: 153] অর্থাৎ "বিশ্বাসীগণ হে! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন "(সূরা বাকারাহ 153 আয়াত) তিনি আরো বলেন,) ولنبلونكم حتى نعلم ٱلمجهدين منكم وٱلصبرين ونبلوا أخباركم 31 ([محمد: 31] অর্থাৎ"। আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যতক্ষণ না আমি তোমাদের মধ্যে মুজাহিদ ও ধৈর্যশীলদেরকে জেনে নই এবং আমি তোমাদের অবস্থা পরীক্ষা করি। "(সূরা মুহাম্মাদ 31 আয়াত) وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم" من يرد الله به خيرا يصب منه ":। (رواه البخاري) আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,' 'আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকে দুঃখ-কষ্টে ফেলেন। '' [1]
وعن أبي يحيى صهيب بن سنان رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم "عجبا لأمر المؤمن إن أمره كله له خير, وليس ذلك لأحد إلا للمؤمن: إن أصابته سراء شكر فكان خيرا له, وإن أصابته ضراء صبر فكان خيرا له "(رواه مسلم)। আবূ ইয়াহয়া সুহাইব ইবনু সিনান রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,' 'মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজে তার জন্য মঙ্গল রয়েছে। এটা মু'মিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য নয়। সুতরাং তার সুখ এলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর দুঃখ পৌঁছলে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয় '' [2] وعن أبي سعيد وأبي هريرة رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: "। ما يصيب المسلم من نصب ولا وصب ولا هم ولا حزن ولا أذى ولا غم, حتى الشوكة يشاكها إلا كفر الله بها من خطاياه "(متفق عليه)। আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু ও আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু' আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, '' মুসলিমকে যে কোনো ক্লান্তি, অসুখ, চিন্তা, শোক এমন কি (তার পায়ে) কাঁটাও লাগে, আল্লাহ া'আলা এর মাধ্যমে তার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন '' [3] وعن أبي سعيد سعد بن مالك بن سنان الخدري رضي الله عنهما:। "أن ناسا من الأنصار سألوا رسول الله صلى الله عليه وسلم فأعطاهم, ثم سألوه فأعطاهم , حتى نفد ما عنده, فقال لهم حين أنفق كل شيء بيده:। "ما يكن عندي من خير فلن أدخره عنكم, ومن يستعفف يعفه الله, ومن يستغن يغنه الله, ومن يتصبر يصبره الله وما أعطي أحد عطاء خيرا وأوسع من الصبر "(متفق عليه)। আবূ সায়ীদ সা'দ ইবনু মালিক ইবনু সিনান খুদরী রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত ে কিছু আনসারী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু চাইলেন। তিনি তাদেরকে দিলেন। পুনরায় তারা দাবী করল। ফলে তিনি (আবার) তাদেরকে দিলেন। এমনকি যা কিছু তাঁর কাছে ছিল তা সব নিঃশেষ হয়ে গেল। অতঃপর যখন তিনি সমস্ত জিনিস নিজ হাতে দান করে দিলেন, তখন তিনি বললেন, '' আমার কাছে যা কিছু (মাল) আসে তা আমি তোমাদেরকে না দিয়ে কখনই জমা করে রাখব না। (কিন্তু তোমরা একটি কথা মনে রাখবে) যে ব্যক্তি চাওয়া থেকে পবিত্র থাকার চেষ্টা করবে, আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখবেন। আর যে ব্যক্তি (চাওয়া থেকে) অমুখাপেক্ষিতা অবলম্বন করবে, আল্লাহ তাকে অমুখাপেক্ষী করবেন। যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করবে আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা প্রদান করবেন। আর কোন ব্যক্তিকে এমন কোন দান দেওয়া হয়নি, যা ধৈর্য অপেক্ষা উত্তম ও বিস্তর হতে পারে [4] وعن أنس رضي الله عنه قال। مر النبي صلى الله عليه وسلم بامرأة تبكي عند قبر فقال: "اتقي الله واصبري "فقالت: إليك عني, فإنك لم تصب بمصيبتي (ولم تعرفه, فقيل لها: إنه النبي صلى الله عليه وسلم, فأتت باب النبي صلى الله عليه وسلم, فلم تجد عنده بوابين, فقالت: لم أعرفك, فقال:। "إنما الصبر عند الصدمة الأولى" (متفق عليه) আনাস রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্ াল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। সে একটি কবরের পাশে বসে কাঁদছিল। তিনি বললেন, '' তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্য ধারণ কর। '' সে বলল, 'আপনি আমার নিকট হতে দূরে সরে যান। কারণ, আমি যে বিপদে পড়েছি আপনি তাতে পড়েননি। 'সে তাঁকে চিনতে পারেনি (তাই সে চরম শোকে তাঁকে অসঙ্গত কথা বলে ফেলল)। অতঃপর তাকে বলা হল যে,' তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন। 'সুতরাং (এ কথা শু নে) সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুয়ারের কাছে এল। সেখানে সে দারোয়ানদেরকে পেল না। অতঃপর সে (সরাসরি প্রবেশ করে) বলল, 'আমি আপনাকে চিনতে পারিনি।' তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, '' আঘাতের শুরুতে সবর করাটাই হল প্রকৃত সবর । '' [5] মুসলিমের একটি বর্ণনায় আছে, সে (মহিলাটি) তার মৃত শিশুর জন্য কাঁদছিল। وعن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: "يقول الله تعالى: ما لعبدي المؤمن عندي جزاء إذا قبضت صفيه من أهل الدنيا ثم احتسبه إلا الجنة" (رواه البخاري)। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,' 'আল্লাহ তা'আলা বলেন,' আমার মু'মিন বান্দার জন্য আমার নিকট জান্নাত ব্যতীত অন্য কোন পুরস্কার নেই, যখন আমি তার দুনিয়ার প্রিয়তম কাউকে কেড়ে নই এবং সে সওয়াবের নিয়তে সবর করে। '' [6] وعن عائشة رضي الله عنها أنها سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الطاعون, فأخبرها أنه كان عذابا يبعثه الله تعالى على من يشاء, فجعله الله تعالى رحمة للمؤمنين, ف يس من عبد يقع في الطاعون فيمكث في بلده صابرا محتسبا يعلم أنه لا يصيبه إلا ما كتب الله له إلا كان له مثل أجر الشهيد "(رواه البخاري)। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু '' আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্লেগ রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি তাঁকে বললেন যে, '' এটা আযাব;।। আল্লাহ তা'আলা যার প্রতি ইচ্ছা করেন এটা প্রেরণ করেন অতঃপর আল্লাহ তা'আলা একে মু'মিনদের জন্য রহমত বানিয়ে দিলেন। ফলে ( খন) যে ব্যক্তি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হবে এবং সে নিজ দেশে ধৈর্য সহকারে নেকীর নিয়তে অবস্থান করবে, সে জানবে যে, তাকে তাইই পৌঁছবে যা আল্লাহ তা'আলা তার জন্য লিখে দিয়েছেন, তাহলে সে ব্যক্তির জন্য শহীদের মত পুরস্কার রয়েছে। "[7] وعن أنس رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "إن لله عزوجل قال: إذا ابتليت عبدي بحبيبتيه فصبر عوضته منهما الجنة", (رواه البخاري )। আনাস রাদিয়াল্লাহু 'আনহু বর্ণনা করেন যে, আম আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, '' আল্লাহ তা'আলা বলেন, যখন আমি আমার বান্দাকে তার প্রিয়তম দুটি জিনিস দ্বারা (অর্থাৎ চক্ষু থেকে বঞ্চিত করে) পরীক্ষা করি এবং সে সবর করে আমি তাকে এ দু'টির বিনিময়ে জান্নাত প্রদান করব '' [8] وعن عطاء بن أبي رباح قال। قال لي ابن عباس رضي الله عنهما: ألا أريك امرأة من أهل الجنة "فقلت: بلى, قال: هذه المرأة السوداء أتتت النبي صلى الله عليه وسلم فقالت: إني أصرع, و إ ي أتكشف, فادع الله تعالى لي قال: "إن شئت صبرت ولك الجنة, وإن شئت دعوت الله تعالى أن يعافيك" فقالت: أصبر, فقالت: إني أتكشف, فادع الله أن لا أتشكف, فدمعا لها। (متفق عليه)। আত্বা ইবনু আবী রাবাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু 'আনহু আমাকে বললেন,' আমি কি তোমাকে একটি জান্নাতী মহিলা দেখাব না! ' আমি বললাম, 'হ্যাঁ!' তিনি বললেন, 'এই কৃষ্ণকায় মহিলাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে বলল যে, আমার মৃগী রোগ আছে, আর সে কারণে আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য দো'আ করুন। ' তিনি বললেন, '' তুমি যদি চাও তাহলে সবর কর; এর বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহ তা'আলার নিকটে দো'আ করব। '' স্ত্রীলোকটি বলল, 'আমি সবর করব।' অতঃপর সে বলল, '(রোগ উঠার সময়) আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়, সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে দো'আ করুন, যেন আমার দেহ থেকে কাপড় সরে না যায়।' ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দো'আ করলেন [9] وعن أبي عبد الرحمن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه قال। كأني انظر إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم يحكي نبيا من الأنبياء, صلوات الله وسلامه عليهم, ضربه قومه فأدموه وهو يمسح الدم عن وجهه, يقول:। "اللهم اغفر لقومى فإنهم لا يعلمون" (متفق عليه) ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'আমি যেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নবীদের মধ্যে কোন এক নব ঘটনা বর্ণনা করতে দেখছি ীর; (আলাইহিমুস সালাতু অসসালাম) যাঁকে তাঁর স্বজাতি প্রহার করে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। আর তিনি নিজ চেহারা থেকে রক্ত পরিষ্কার করছেন আর বলছেন, '' হে আল্লাহ! তুমি আমার জাতিকে ক্ষমা করে দাও। কেননা, তারা জ্ঞানহীন "[10] وعن ابن مسعود رضي الله عنه قال: دخلت على النبي صلى الله عليه وسلم وهو يوعك فقلت: يارسول الله إنك توعك وعكا شديدا قال:"। أجل إني أوعك كما يوعك رجلان منكم "قلت: ذلك أن لك أجرين قال:" أجل ذلك كذلك ما من مسلم يصيبه أذى; شوكة فما فوقها إلا كفر الله بها سيئاته, وحطت عنه ذنوبه كما تحط الشجرة ورقها " (متفق عليه)। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হ াম। সে সময় তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। আমি বললাম, 'হে আল্লাহর রাসূল! আপনার যে প্রচণ্ড জ্বর! ' তিনি বললেন, '' হ্যাঁ! তোমাদের দু'জনের সমান আমার জ্বর আসে। '' আমি বললাম, 'তার জন্যই কি আপনার পুরস্কারও দ্বিগুণ?' তিনি বললেন, '' হ্যাঁ! ব্যাপার তা-ই। (অনুরূপ) যে কোন মুসলিমকে কোন কষ্ট পৌঁছে, কাঁটা লাগে অথবা তার চেয়েও কঠিন কষ্ট হয়, আল্লাহ তা'আলা এর কারণে তার পাপসমূহকে মোচন করে দেন এবং তার পাপসমূহকে এভাবে ঝরিয়ে দেওয়া হয়; যেভাবে গাছ তার পাতা ঝরিয়ে দেয়। '' [11] [1] সহীহুল বুখারী 5645, আহমাদ 7194, মুওয়াত্তা মালেক 175২ হাদিসের মানঃ সহিহ [2] মুসলিম ২999, আহমাদ 18455, 18460, ২3406, ২341২, দারেমী ২777 হাদিসের মানঃ সহিহ [3 ] সহীহুল বুখারী 564২, মুসলিম ২573, তিরমিযী 966, আহমাদ 7969, 8২19, 8966, 106২4 হাদিসের মানঃ সহিহ [4] সহীহুল বুখারী 1469, 6470, মুসলিম 1053, তিরমিযী ২0২4, নাসায়ী ২588, 1644, আহমাদ 10606, 106২২, 10660, মুওয়াত্ত া মালিক 1880, দারেমী 1646 হাদিসের মানঃ সহিহ [5] সহীহুল বুখারী 1২5২, 1২83, 130২, 7154, মুসলিম 9২6, তিরমিযী 988, নাসায়ী 1869, আবূ দাউদ 31২4, ইবনুূু মাজাহ 1596, আহমাদ 11908, 1২049, 1২860। হাদিসের মানঃ সহিহ [6] সহীহুল বুখারী 1২83, 1২5২, 130২, 7154, মুসলিম 9২6, তিরমিযী 988, নাসায়ী 1869, আবূ দাউদ 31২4, ইবনু মাজাহ 1596, আহমাদ 11908, 1২049, 1২860। হাদিসের মানঃ সহিহ [7] সহীহুল বুখারী 3474, 5734, 6619 আহমাদ ২3837, ২4686, ২5608 হাদিসের মানঃ সহিহ [8] সহীহুল বুখারী 5653, তিরমিযী ২400, আহমাদ 1২059, 1২185, 13607 হাদিসের মানঃ সহিহ [9] সহীহুল বুখারী 5653, তিরমিযী ২400 , আহমাদ 1২059, 1২185, 13607। হাদিসের মানঃ সহিহ [10] সহীহুল বুখারী 3477, 69২9, মুসলিম 179২, ইবনু মাজাহ 40২5, আহমাদ 3600, 4047, 4096, 4191, 4319, 4353। হাদিসের মানঃ সহিহ [11] সহীহুল বুখারী 5648, 5647, 5660, 5661, 5667 মুসলিম ২571, আহমাদ 3611, 4193, 4333, দারেমী ২771 হাদিসের মানঃ সহিহ
সবর বা ধৈর্য্য ধারন করার গুরুত্ব ও ফযিলত। |
0 মন্তব্যসমূহ