শুভ কাজের শুরুতে:
(ক) খানাপিনা সহ সকল শুভ কাজের শুরুতে বলবে- بسم الله 'বিসমিল্লা-হ' (আল্লাহর নামে শুরু করছি)। [15]
(খ) শেষে বলবে- الحمد لله 'আলহামদুলিল্লা-হ' (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য)। [16 ]
(গ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা বিসমিল্লাহ বল, যখন তোমরা দরজা-জানালা বন্ধ কর অথবা কোন খাদ্য ও পানীয়ের পাত্রে ঢাকনা দাও। যদি ঢাকনা দেওয়ার কিছু না পাও, তাহ'লে পাত্রের উপর কোন কাঠি বা কাষ্ঠখন্ড রেখে দাও। যার ফলে তা অনিষ্ট হ'তে নিরাপদ থাকবে। [17]
উল্লেখ্য যে, কোন অন্যায় কাজের শুরুতে ও শেষে 'বিসমিল্লাহ' ও 'আলহামদু লিল্লা-হ' বলা যাবে না বা আল্লাহর সাহায্য চাওয়া যাবে না। কেননা এগুলি শয়তানের কাজ। আর আল্লাহর অনুগ্রহ কেবল ন্যায় ও সৎ কাজের সাথে থাকে।
২।
(ক) মঙ্গলজনক কিছু দেখলে বা শুনলে বলবে, الحمد لله 'আলহামদুলিল্লা-হ'
(খ) পসন্দনীয় কিছু দেখলে বা শুনলে বলবে, الحمد لله الذي بنعمته تتم الصالحات 'আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযী বিনি'মাতিহি তাতিম্মুছ ছা-লিহা-ত' (সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যার অনুগ্রহে সকল শুভ কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে )।
(গ) অপসন্দনীয় কিছু দেখলে বা শুনলে বলবে, الحمد لله على كل حال 'আলহামদুলিল্লা-হি' আলা কুল্লে হা-ল '(সর্বাবস্থায় আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা)। [18]
(ঘ) বিস্ময়কর কিছু দেখলে বা শুনলে বলবে, سبحان الله' সুবহা-নাল্লা-হ '(মহাপবিত্র তুমি হে আল্লাহ!)। অথবা বলবে, الله أكبر 'আল্লা-হু আকবার' (আল্লাহ সবার চেয়ে বড়)। [19]
(ঙ) ভয়ের কারণ ঘটলে বলবে, لآ إله إلا الله 'লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ' (আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই)। [20] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন যে, سبحان الله والحمد لله 'সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ালহামদুলিল্লা-হ' এ দু'টি বাক্য আসমান ও যমীনের মধ্যের ফাঁকা স্থানকে ছওয়াবে পূর্ণ করে দেয় । الحمد لله 'আলহামদুলিল্লা-হ' মীযানের পাল্লাকে ছওয়াবে পরিপূর্ণ করে দেয়। [21]
(ক) মঙ্গলজনক কিছু দেখলে বা শুনলে বলবে, الحمد لله 'আলহামদুলিল্লা-হ'
(খ) পসন্দনীয় কিছু দেখলে বা শুনলে বলবে, الحمد لله الذي بنعمته تتم الصالحات 'আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযী বিনি'মাতিহি তাতিম্মুছ ছা-লিহা-ত' (সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যার অনুগ্রহে সকল শুভ কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে )।
(গ) অপসন্দনীয় কিছু দেখলে বা শুনলে বলবে, الحمد لله على كل حال 'আলহামদুলিল্লা-হি' আলা কুল্লে হা-ল '(সর্বাবস্থায় আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা)। [18]
(ঘ) বিস্ময়কর কিছু দেখলে বা শুনলে বলবে, سبحان الله' সুবহা-নাল্লা-হ '(মহাপবিত্র তুমি হে আল্লাহ!)। অথবা বলবে, الله أكبر 'আল্লা-হু আকবার' (আল্লাহ সবার চেয়ে বড়)। [19]
(ঙ) ভয়ের কারণ ঘটলে বলবে, لآ إله إلا الله 'লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ' (আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই)। [20] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন যে, سبحان الله والحمد لله 'সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ালহামদুলিল্লা-হ' এ দু'টি বাক্য আসমান ও যমীনের মধ্যের ফাঁকা স্থানকে ছওয়াবে পূর্ণ করে দেয় । الحمد لله 'আলহামদুলিল্লা-হ' মীযানের পাল্লাকে ছওয়াবে পরিপূর্ণ করে দেয়। [21]
3। দুঃখজনক কিছু দেখলে, ঘটলে বা শুনলে বলবে,
(ক) إنا لله وإنا إليه راجعون 'ইন্না লিল্লা-হে ওয়া ইন্না ইলাইহে রা-জে'উন' (আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী )।
(ক) إنا لله وإنا إليه راجعون 'ইন্না লিল্লা-হে ওয়া ইন্না ইলাইহে রা-জে'উন' (আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী )।
(খ) অতঃপর নিজের ব্যাপারে হ'লে বলবে, اللهم أجرني في مصيبتي وأخلف لي خيرا منها-
'আল্লা-হুম্মা আজিরনী ফী মুছীবাতী ওয়া আখলিফলী খায়রাম মিনহা' (হে আল্লাহ এই বিপদে তুমি আমাকে আশ্রয় দাও এবং আমাকে এর উত্তম বিনিময় দান কর!) [22] যদি বিপদ সর্বাত্মক হয়, তাহ'লে 'নী' (نى) -। এর স্থলে 'না' (نا) বলবে।
[15]। মুত্তাফাক্ব 'আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা / 4159, 61; আবুদাঊদ, মিশকাত হা / 4২0২। উল্লেখ্য যে, ঔষধ সেবনের সময় 'আল্লাহ শাফী, আল্লাহ কাফী' বলা ভিত্তিহীন। ডাক্তার খানায় বা মেডিকেলে এগুলো লেখা দেখা যায়। যা বর্জনীয়। [16]। বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা / 4199, 4২00, 'খাদ্য সমূহ' অধ্যায় -২1, পরিচ্ছেদ -1। [17]। মুত্তাফাক্ব 'আলাইহ, মিশকাত হা / 4২94-96,' খাদ্য সমূহ 'অধ্যায় -২1, অনুচ্ছেদ -5। [18]। ইবনু মাজাহ হা / 3803, 'শিষ্টাচার' অধ্যায় -33, অনুচ্ছেদ -55; হাকেম, সিলসিলা ছহীহাহ হা / ২65। [19]। বুখারী হা / 6২18-19, 'শিষ্টাচার' অধ্যায় -78, 1২1 অনুচ্ছেদ; ঐ, হা / 4741, 'তাফসীর' অধ্যায় সূরা হজ্জ (২২), অনুচ্ছেদ -1। [20]। বুখারী হা / 3598, 'মর্যাদা সমূহ' অধ্যায় -61, 'নবুঅতের আলামত সমূহ' অনুচ্ছেদ -২5। [21]। মুসলিম, মিশকাত হা / ২81, 'পবিত্রতা' অধ্যায় -3, পরিচ্ছেদ -1। [22]। মুসলিম, মিশকাত হা / 1618, 'জানায়েয' অধ্যায় -5 অনুচ্ছেদ -3।
0 মন্তব্যসমূহ