যে ব্যক্তি কোন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন তার জন্য কি তওবা আছে?



যে ব্যক্তি কোন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন তার জন্য কি তওবা আছে?

প্রশ্ন: জনৈক ব্যক্তির জিন্দেগী রাশি রাশি পাপে ভরপুর। বর্তমানে সে এক জটিল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা নেয়ার বহু চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। ডাক্তার বলেছেন, এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। এ পর্যায়ে এসে তিনি অত্যন্ত অনুতপ্ত এবং গুনাহ থেকে তওবা করতে ইচ্ছুক। যে রোগ থেকে মুক্তির আশা নেই এমন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত এই ব্যক্তির তওবা কী শুদ্ধ হবে?

উত্তর:
আরও পড়ুন :ফতোয়া: বিবিধ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।


যে ব্যক্তি জীবনের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে তার তওবা শুদ্ধ হবে। 
তার এ নিরাশার কারণ কোন রোগ হোক যেমন- ক্যান্সার। অথবা হত্যার শাস্তি তথা শিরোচ্ছেদের মুখোমুখি হওয়া এবং জল্লাদ তলোয়ার নিয়ে তার মাথার উপরে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হোক। অথবা বিবাহিত ব্যক্তির ব্যভিচারের শাস্তি তথা ‘পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড’ কার্যকর করার জন্য পাথর স্তূপ করার কারণে হোক। এদের সবার তওবা শুদ্ধ হবে। কেননা মৃত্যুর গড়গড়া শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তওবা কবুল করেন। দলিল হচ্ছে আল্লাহ তাআলার বাণী: 
আরও পড়ুন :ফতোয়া: বিবিধ
“অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদের তওবা আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।”[সূরা নিসা, আয়াত ১৭]। 
“অনতিবিলম্বে তওবা করে” এ কথার অর্থ হলো- মৃত্যুর আগে তওবা করে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বলেছেন: 
“আর এমন লোকদের জন্য তওবা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকে আমি এখন তওবা করছি।” [সূরা নিসা, আয়াত ১৮]

কিন্তু তওবার পাঁচটি শর্ত রয়েছে। এ শর্তগুলো পূর্ণ করতে হবে। সেগুলো হচ্ছে- 
• ইখলাস (অকপটতা), 
আরও পড়ুন :ফতোয়া: বিবিধ
• কৃতপাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, 
• অনতিবিলম্বে পাপ ছেড়ে দেওয়া, 
• ভবিষ্যতে পুনরায় গুনাহ না-করার দৃঢ় সংকল্প করা এবং 
• তওবা কবুল হওয়ার সময়সীমার মধ্যে তওবা করা। 
অর্থাৎ তওবা করতে হবে মৃত্যু শুরু হওয়ার পূর্বে এবং পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় শুরু হওয়ার আগে।

আরও পড়ুন :ফতোয়া: বিবিধ

শাইখ উছাইমীনের “লিকাউল বাব আল-মাফতুহ” ৫৩/৭৩


সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ