নারীদের হাই-হিল পরার হুকুম কি?
আলহামদুলিল্লাহ
নারীদের জন্য হাই-হিল পরা বৈধ নয়,
কেননা হাই-হিল পরে নারীদের পড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। আর
ইসলামি শরিয়ত সাধারণ অর্থে আমাদেরকে আশঙ্কাজনক বিষয় থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আল
কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
(আর তোমরা নিজদেরকে হত্যা করো না।) [ সূরা আন-নিসা:২৯ ]
অন্য এক আয়াতে এসেছে:
(তোমরা তোমাদের নিজদেরকে ধ্বংসে নিপতিত করো না। [ সূরা আল বাকারা:১৯৫ ]
(আর তোমরা নিজদেরকে হত্যা করো না।) [ সূরা আন-নিসা:২৯ ]
অন্য এক আয়াতে এসেছে:
(তোমরা তোমাদের নিজদেরকে ধ্বংসে নিপতিত করো না। [ সূরা আল বাকারা:১৯৫ ]
হাই-হিল একজন নারীকে বাস্তবের
তুলনায় অধিক দীর্ঘকায়
করে দেখায় এবং তাদের নিতম্বকে
করে তোলে অধিক দৃশ্যমান। এতে একপ্রকার প্রতারণা রয়েছে বললে ভুল হবে না। পাশাপাশি
এর মাধ্যমে নারীর কিছু সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়ে যায় যা ঢেকে রাখার নির্দেশ তাকে দেয়া হয়েছে। ইরশাদ
হয়েছে:
( আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে তাদের বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।) [ সূরা আন-নূর:৩১ ]
{উৎস: স্থায়ী পরিষদের ফতোয়া, ৯/৪৬ }
( আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে তাদের বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।) [ সূরা আন-নূর:৩১ ]
{উৎস: স্থায়ী পরিষদের ফতোয়া, ৯/৪৬ }
উপরন্তু হাই-হিল একজন নারীকে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে
রাখে। ফলে
হেলেদুলে প্রলুব্ধকর ভঙ্গিমায়-চলা
নারীদের ব্যাপারে যে সতর্কবাণী
এসেছে,
এদের বেলায়ও
তা বর্তানোর
আশঙ্কা থেকে যায়। হাই-হিল,
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বক্তব্য অনুযায়ী,
পিঠেরও ক্ষতি
সাধন করে। হাই-হিল থেকে একপ্রকার
টক-টক
আওয়াজও বের হয় যা পুরুষদেরকে আকৃষ্ট করে এবং কামপ্রবৃত্তিকে
নাড়া দেয়।
সমাপ্ত
মুফতী : শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
সূত্র : http://www.islamqa.info
0 মন্তব্যসমূহ