৮০। সুরা আ’বাসা

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ عَبَسَ وَتَوَلَّى
তিনি ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন। [ সুরা আ’বাসা ৮০:১ ]
أَن جَاءهُ الْأَعْمَى
কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল। [ সুরা আ’বাসা ৮০:২ ]
وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّهُ يَزَّكَّى
আপনি কি জানেন, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত, [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩ ]
أَوْ يَذَّكَّرُ فَتَنفَعَهُ الذِّكْرَى
অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং উপদেশ তার উপকার হত। [ সুরা আ’বাসা ৮০:৪ ]
أَمَّا مَنِ اسْتَغْنَى
পরন্তু যে বেপরোয়া, [ সুরা আ’বাসা ৮০:৫ ]
فَأَنتَ لَهُ تَصَدَّى
আপনি তার চিন্তায় মশগুল। [ সুরা আ’বাসা ৮০:৬ ]
وَمَا عَلَيْكَ أَلَّا يَزَّكَّى
সে শুদ্ধ না হলে আপনার কোন দোষ নেই। [ সুরা আ’বাসা ৮০:৭ ]
وَأَمَّا مَن جَاءكَ يَسْعَى
যে আপনার কাছে দৌড়ে আসলো [ সুরা আ’বাসা ৮০:৮ ]
وَهُوَ يَخْشَى
এমতাবস্থায় যে, সে ভয় করে, [ সুরা আ’বাসা ৮০:৯ ]
فَأَنتَ عَنْهُ تَلَهَّى
আপনি তাকে অবজ্ঞা করলেন। [ সুরা আ’বাসা ৮০:১০ ]
كَلَّا إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ
কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবানী। [ সুরা আ’বাসা ৮০:১১ ]
فَمَن شَاء ذَكَرَهُ
অতএব, যে ইচ্ছা করবে, সে একে গ্রহণ করবে। [ সুরা আ’বাসা ৮০:১২ ]
فِي صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ
এটা লিখিত আছে সম্মানিত, [ সুরা আ’বাসা ৮০:১৩ ]
مَّرْفُوعَةٍ مُّطَهَّرَةٍ
উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে, [ সুরা আ’বাসা ৮০:১৪ ]
بِأَيْدِي سَفَرَةٍ
লিপিকারের হস্তে, [ সুরা আ’বাসা ৮০:১৫ ]
كِرَامٍ بَرَرَةٍ
যারা মহৎ, পূত চরিত্র। [ সুরা আ’বাসা ৮০:১৬ ]
قُتِلَ الْإِنسَانُ مَا أَكْفَرَهُ
মানুষ ধ্বংস হোক, সে কত অকৃতজ্ঞ! [ সুরা আ’বাসা ৮০:১৭ ]
مِنْ أَيِّ شَيْءٍ خَلَقَهُ
তিনি তাকে কি বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন? [ সুরা আ’বাসা ৮০:১৮ ]
مِن نُّطْفَةٍ خَلَقَهُ فَقَدَّرَهُ
শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে সুপরিমিত করেছেন। [ সুরা আ’বাসা ৮০:১৯ ]
ثُمَّ السَّبِيلَ يَسَّرَهُ
অতঃপর তার পথ সহজ করেছেন, [ সুরা আ’বাসা ৮০:২০ ]
ثُمَّ أَمَاتَهُ فَأَقْبَرَهُ
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে। [ সুরা আ’বাসা ৮০:২১ ]
ثُمَّ إِذَا شَاء أَنشَرَهُ
এরপর যখন ইচ্ছা করবেন তখন তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন। [ সুরা আ’বাসা ৮০:২২ ]
كَلَّا لَمَّا يَقْضِ مَا أَمَرَهُ
সে কখনও কৃতজ্ঞ হয়নি, তিনি তাকে যা আদেশ করেছেন, সে তা পূর্ণ করেনি। [ সুরা আ’বাসা ৮০:২৩ ]
فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ إِلَى طَعَامِهِ
মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক, [ সুরা আ’বাসা ৮০:২৪ ]
أَنَّا صَبَبْنَا الْمَاء صَبًّا
আমি আশ্চর্য উপায়ে পানি বর্ষণ করেছি, [ সুরা আ’বাসা ৮০:২৫ ]
ثُمَّ شَقَقْنَا الْأَرْضَ شَقًّا
এরপর আমি ভূমিকে বিদীর্ণ করেছি, [ সুরা আ’বাসা ৮০:২৬ ]
فَأَنبَتْنَا فِيهَا حَبًّا
অতঃপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য, [ সুরা আ’বাসা ৮০:২৭ ]
وَعِنَبًا وَقَضْبًا
আঙ্গুর, শাক-সব্জি, [ সুরা আ’বাসা ৮০:২৮ ]
وَزَيْتُونًا وَنَخْلًا
যয়তুন, খর্জূর, [ সুরা আ’বাসা ৮০:২৯ ]
وَحَدَائِقَ غُلْبًا
ঘন উদ্যান, [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩০ ]
وَفَاكِهَةً وَأَبًّا
ফল এবং ঘাস [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩১ ]
مَّتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
তোমাদেরও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপাকারার্থে। [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩২ ]
فَإِذَا جَاءتِ الصَّاخَّةُ
অতঃপর যেদিন কর্ণবিদারক নাদ আসবে, [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩৩ ]
يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ
সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে, [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩৪ ]
وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ
তার মাতা, তার পিতা, [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩৫ ]
وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيهِ
তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে। [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩৬ ]
لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ يَوْمَئِذٍ شَأْنٌ يُغْنِيهِ
সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে। [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩৭ ]
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ مُّسْفِرَةٌ
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে উজ্জ্বল, [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩৮ ]
ضَاحِكَةٌ مُّسْتَبْشِرَةٌ
সহাস্য ও প্রফুল্ল। [ সুরা আ’বাসা ৮০:৩৯ ]
وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ
এবং অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে ধুলি ধূসরিত। [ সুরা আ’বাসা ৮০:৪০ ]
تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ
তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে। [ সুরা আ’বাসা ৮০:৪১ ]
أُوْلَئِكَ هُمُ الْكَفَرَةُ الْفَجَرَةُ
তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল। [ সুরা আ’বাসা ৮০:৪২ ]

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ