ইসলামে হিজাবের বিধান আরোপের কারণ যৌন কামনা রোধ করা নয়
প্রশ্ন:
আপনাদের ধর্ম বা সংস্কৃতিতে নারীদের যে আবরণ পরতে হয় আমি সে ব্যাপারে
জানতে আগ্রহী। এই পোশাক আমাদের খ্রিষ্টানদের কাছে সত্যিই খুব অসার মনে হয়।
কারণ এটি এমন ইঙ্গিত করে যেন একজন নারী ভাবে সে এই পোশাক না পরলে প্রতিটা
পুরুষ তাকে কামনা করবে। আরও ইঙ্গিত করে যে সৌন্দর্যের কারণে আপনার ধর্মের
বা সংস্কৃতির অনুসারী কোন নারীর ক্ষেত্রে পুরুষদেরকে বিশ্বাস করা যায় না।
কারণ আপনি মনে করছেন যে আপনাকে কামনা করা হবে। কিন্তু কেউ সুন্দর হতেই
পারে; তাই বলে প্রতিটা পুরুষ তাকে কামনা করবে এমন তো নয়। আপনি কি এ
ব্যাপারে কিছু আলোকপাত করতে পারেন? আমি আপনাকে সত্য করেই বলব আমি যখন এই
পোশাক পরা কোন নারীকে দেখি আমার মনে হয়, “কত অসার তুমি?” উত্তরের জন্য
আপনাকে আগেই ধন্যবাদ দিয়ে রাখছি।
উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
প্রথমেই
আমরা আপনাকে আপনার অকপটতা, সুস্পষ্ট প্রশ্ন ও প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য
ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা আশা করি নিচে যে সামান্য কিছু কথা আমরা তুলে ধরব
এর মাঝে আপনি আপনার উত্তর খুঁজে পাবেন।
আমরা
উত্তরের শুরুতে আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে চাই, যার উত্তর আপনাকে দিতে হবে
এবং তারপর আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আপনার কাছে পরিষ্কার হবে।
আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে- আপনি কি মনে করেন যদি একজন নারী তার সমস্ত কাপড় খুলে
লন্ডন বা প্যারিসের মার্কেটগুলোতে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ায় তাহলে আপনি
সেটা মেনে নিবেন অথবা সেখানকার কর্তৃপক্ষ বা আইন তাকে সেটা করতে দিবে?
আমরা
মনে করি, খুব সম্ভবত আপনার উত্তর হবে- না, আপনি তা মেনে নিবেন না। বিশেষ
করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা একদমই অনুমোদন করবে না। এটা সে দেশে
বসবাসরত সবাই জানে।
যদি
আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করি, যদি সে তার শরীরের নিম্নাংশের
বিশেষ অঙ্গটা আবৃত করে শরীরের উর্ধ্বাংশ খোলা রেখে শপিং এ বের হয়? আমাদের
মনে হয় আপনি এবারও একমত হবেন যে, এমন ব্যবহার অভদ্রতা ও অসম্মানজনক এবং
প্রচলিত আদবের লঙ্ঘন।
এখন
যারা স্থুলভাবে নিজেদের প্রকাশ করে তাদের কথা ছাড়ুন; আপনার কি মনে হয় যদি
একজন নারী তার ঘুমের পোশাক পরে রাস্তায় বা লোকালয়ে আসে...?
সম্ভবত
আপনি জানেন যে পশ্চিমা দেশে যারা সাঁতারের পোশাক পরে লোকালয়ে আসে তাদের
বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের আপত্তি জানানোর অধিকার আছে এবং কোম্পানির ম্যানেজার
বা অফিসের কর্মকর্তার কর্মক্ষেত্রে নারী কর্মচারীকে খোলামেলা, উস্কানিমূলক
পোশাক পরা প্রতিহত করার অধিকার আছে এবং প্রচলিত, শালীন পোশাক পরা তাদের
জন্য বাধ্যতামূলক।
এখন
আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে- আপনি কি মনে করেন এসব দেশ, মানুষ, প্রতিষ্ঠান, আইন ও
রীতি-নীতি আপনার কথা অনুযায়ী অসার ও তারা যৌনতায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে? অথবা
আপনি কি মনে করেন তারা ঘৃণ্য অন্যায়কারী; যাদের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের
স্বাধীনতা হরণ করা এবং এমন কাজ যৌনতায় মত্ত হয়ে থাকা মানুষ ছাড়া আর কারও
পক্ষে করা সম্ভব না? আপনি কি মনে করেন যদি একজন নারী তার বুক কিংবা বিশেষ
অঙ্গ খোলা রাখে অথবা সাতারের পোশাকে লোকালয়ে আসে তাহলে সমস্ত পুরুষ তাকে
কামনা করবে অথবা তাকে পতিতা মনে করবে কিংবা ভাববে সে তাদেরকে প্রলুব্ধ করার
চেষ্টা করছে?
আপনি
যদি বলেন, এই দুইটা দৃশ্যের মাঝে পার্থক্য আছে- লোকালয়ে নগ্নতা নিঃসন্দেহে
অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু চুল আর মুখ খোলা রাখা উস্কানিমূলক নয়; বরং স্বাভাবিক
ব্যাপার। আর এটাতে আইনও লঙ্ঘন হয় না। তাহলে আমরা আপনাকে বলবঃ আমি আর আপনি
নির্ধারণ করার কে শরীরের কোন অংশ উন্মুক্ত রাখা যাবে, আর কোন অংশ উন্মুক্ত
রাখা যাবে না? আপনি কেন চাইছেন আপনার নির্ধারিত সীমা আমরা মেনে নিব, যেখানে
আপনি ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী নির্ধারিত সীমা মেনে নিতে রাজি নন?
অধিকন্তু, কেন একটা নির্দিষ্ট সমাজ যেমন ধরুন পশ্চিমা সমাজ নির্ধারণ করবে কোনটা অন্যদের জন্য মানানসই; আর কোনটা মানানসই নয়?
আপনি
যদি মনে করেন প্রকাশ্যে নগ্নতা ও স্বল্প পোশাক পরা নিষিদ্ধ করা মানে আপনি
আপনার প্রশ্নে যা যা বলেছেন তা না, তাহলে আমরা আপনাকে বলব যে আমরা মুসলিমরা
বিশ্বাস করি শালীন পোশাক হচ্ছে এই হিজাব যা মুসলিম নারীদের পরতে দেখে আপনি
তাদেরকে “অসার” বলে অভিযুক্ত করছেন।
কেন
আপনি হিজাব পরাকে শালীনতা হিসেবে দেখছেন না? নাকি আপনি মনে করছেন এটি
সাধারণ রুচি, আদব ও নৈতিকতা বিরুদ্ধ? যদি তা মনে করেন থাকেন তাহলে আপনি
নিজের বা নিজ সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিকে অন্য সমাজ বা মানুষকে বিচারের মানদণ্ড
মনে করছেন কেন?
কেন
আপনি এই বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রত্যাখ্যান করে আপনার দেয়া শালীনতার
ব্যাখ্যা মেনে নিতে বলছেন? একজন নারী যদি তার উরু বা পেট খোলা রাখে তাহলে
সেটা কি শালীনতা? নাকি তার শুধুমাত্র নিজের হাত আর পা উন্মুক্ত রাখার মাঝেই
একে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত? এই বিষয়ে আপনার দিকনির্দেশনা কি? আপনার কি অধিকার
আছে সমস্ত মানবতাকে আপনার নিজস্ব ধারণা মেনে নিতে বাধ্য করার?
এটা
কি সাদা মানুষদের অবশিষ্ট “অধিকার”? অথবা এভাবেও বলতে পারি এটা কি শুভ্র
বা স্বর্ণকেশী নারীর পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করা ও পৃথিবীর ধ্যান-ধারণা, রীতি,
আদব আর রুচিকে নির্ধারণ করার একক পন্থা?
কেন
আপনি কুমারী মেরী (আঃ)-কে “অসার” বলেন না? প্রশ্নে আপনি যে কারণ দেখিয়েছেন
সে অনুযায়ী তো তিনিও অসার। আপনি জানেন যে তিনি এক ধরণের হিজাব পরতেন। তিনি
কি আপনার ব্যাখ্যা অনুযায়ী শালীনতাকে যৌনতার সাথে সম্পর্কিত কিছু
ভেবেছিলেন?
কেন গির্জার মহিলারা গির্জার কাজকর্মের সময় ও প্রার্থনার সময় তাদের চুল ঢেকে রাখে?
প্রার্থনারত
অবস্থা আর প্রার্থনার বাহিরের অবস্থার মাঝে পার্থক্য কি? যদি প্রার্থনার
সময় হিজাব করলে ভক্তি আর বিশ্বাস বাড়ে, তাহলে কেন একজন নারী প্রার্থনার
বাইরে তার ভক্তি আর বিশ্বাসের একাংশকে সরিয়ে রাখবে?
কোরিন্থীয়দের প্রতি দূত পল প্রথম এপিস্টলে যা বলেছেন তার প্রতি কেন আপনি অসারতার অভিযোগ আনেন না? তিনি বলেছিলেন:
“কিন্তু
যে স্ত্রীলোক মাথা না ঢেকে প্রার্থনা করে বা ভাববাণী পড়ে সে তার নিজের
মাথার অপমান করে — এটি সে স্ত্রীলোকের মাথা ন্যাড়া করে ফেলার তুল্য।
স্ত্রীলোক
যদি তার মাথা না ঢাকে সে যেন তার মাথার চুল কেটে ফেলল। কিন্তু স্ত্রীলোকের
পক্ষে যদি চুল কেটে ফেলা বা মাথা ন্যাড়া করা লজ্জার বিষয় হয় তবে সে তার
মাথা ঢেকে রাখুক।
আবার পুরুষ মানুষের মাথা ঢেকে রাখা উচিত নয়। কারণ সে ঈশ্বরের স্বরূপ ও মহিমা প্রতিফলন করে। কিন্তু স্ত্রীলোক হলো পুরুষের মহিমা।
কারণ স্ত্রীলোক থেকে পুরুষের সৃষ্টি হয়নি; কিন্তু পুরুষ থেকেই স্ত্রীলোক এসেছে।
স্ত্রীলোকের জন্য পুরুষের সৃষ্টি হয়নি; কিন্তু পুরুষের জন্য স্ত্রীলোকের সৃষ্টি হয়েছে।
এ
কারণে এবং স্বর্গদূতগণের জন্য অধীনতার চিহ্ন হিসেবে একজন স্ত্রীলোক তার
মাথা ঢেকে রাখবে।” [১ করিন্থীয়ানস ১১:৫-১০ – নতুন আন্তর্জাতিক সংস্করণ]
টিমোথির প্রতি পলের প্রথম এপিস্টলে বলা হয়েছে-
“অনুরূপভাবে
আমি চাই নারীরা যেন ভদ্রভাবে ও যুক্তিযুক্তভাবে উপযুক্ত পোশাক পরে তাদের
সজ্জিত করে। তারা যেন নিজেদের শৌখিন খোঁপা করা চুলে বা সোনা মুক্তোর গহনায়
বা দামী পোশাকে না সাজে।
কিন্তু সৎকাজের অলঙ্কারে তাদের সেজে থাকা উচিত। যে নারী নিজেকে ঈশ্বরভক্ত বলে পরিচয় দেয় তার এভাবেই সাজা উচিত।
নারীরা সম্পূর্ণ বশ্যতাপূর্বক নীরবে নতনম্র হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করুক।
আমি
কোন নারীকে শিক্ষা দিতে অথবা কোন পুরুষের ওপরে কর্তৃত্ব করতে দিই না; বরং
নারী নীরব থাকুক।”[১ টিমোথি ২:৯-১২ – নতুন আন্তর্জাতিক সংস্করণ]
উপরন্তু, একজন নারীর শালীনতা ও সদাচারের চিহ্ন হিসাবে বাইবেলে নিকাব (মানে যা দিয়ে মুখ ঢাকা হয়) এর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
জেনেসিসে বলা হয়েছে :
“একদিন
সন্ধ্যায় ধ্যান করার জন্য ইসহাক একান্তে নির্জন প্রান্তরে বেড়াতে
গিয়েছিলেন। ইসহাক চোখ তুলে দেখলেন যে দূর থেকে উটের সারি আসছে। রিবিকাও
ইসহাককে দেখতে পেলেন। তখন সে উটের পিঠ থেকে লাফিয়ে নেমে পড়ল। ভৃত্যকে
জিজ্ঞেস করল, “কে ঐ তরুণ মাঠের মধ্যে দিয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে?”
ভৃত্য উত্তর দিল, “ঐ আমার মনিবের পুত্র।” শুনে রিবিকা ওড়না দিয়ে তার মুখ ঢেকে নিল।” [জেনেসিস ২৪:৬৩-৬৬ – নতুন আন্তর্জাতিক সংস্করণ]
আমাদের পক্ষে এখানে এর চেয়ে বেশি উদ্ধৃতি দেয়া সম্ভব নয়। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের গবেষণা রয়েছে। আপনি সেসব খুঁজে পড়ে দেখতে পারেন।
আমরা
আপনার সাথে শুধু যুক্তিতর্ক দিয়ে, নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে এবং
আলোচনা-সমালোচনার একটি স্বচ্ছ ভিত্তি থেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার চেষ্টা
করছি। “অসারতার” অভিযোগ আমরা করতে চাই না। একজন প্রতিপক্ষের জন্য এমন দাবী
করা খুব সহজ। আর যে কেউ এমন দাবী খণ্ডন করতে সক্ষম।
আমরা
আপনাকে নিশ্চিত করছি যে ইসলামী শরিয়তে হিজাব বাধ্যতামূলক এ কারণে নয় যে,
যেসব নারী হিজাব পরে না তারা সবাই চরিত্রহীন। অথবা এ কারণে নয় যে, হিজাব না
পরলে সমস্ত পুরুষ একজন নারীর দিকে খারাপ দৃষ্টিতে বা কু মতলবে তাকাবে।
ইসলামী সমাজ মানুষকে পরিবারে, রাস্তায়, স্কুলে, মসজিদে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সব
জায়গায় সৎকর্মশীল ও ধার্মিক হতে শেখায়। বাস্তব সত্য হচ্ছে ইসলামের অনেক
অনুশাসন মানুষকে সদ্ব্যবহার, ভদ্রতা, সচ্চরিত্রতা ও নম্রতার প্রতি এতটাই
উদ্বুদ্ধ করে যে এটা বহু মানুষকে অনৈতিক কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে।
তবে
যে কোন বিধান আরোপের ক্ষেত্রে ইসলাম শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দিকটাই
দেখে না; বরং সংখ্যায় কম হলেও সমাজে যে কিছু অপরাধী রয়েছে সেটাও বিবেচনায়
রাখে। যেন সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সুস্থ জীবনধারা নিশ্চিত করা যায় এবং
সংখ্যালঘু মানুষ অনৈতিকতার বিস্তার ঘটিয়ে তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে
না পারে। ঠিক যেমনভাবে পশ্চিমা দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ যদি বিকৃত মনের
মানুষদের, সমকামীদের আর স্ট্রিপ ক্লাবের খদ্দেরদের রাস্তায় বা লোকালয়ে কোন
বাধা না দিয়ে তাদের যা খুশি করতে দেয়, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই কল্পনা করতে
পারছেন সেইসব সমাজের পরিণতি কি হতে পারে!!
এখানে
আমরা আরও একটা উদ্ধৃতি উল্লেখ করতে চাই যেখানে বলা হয়েছে কোন নারীর নিকাব
(যা দিয়ে মুখ ঢাকা হয়) তা অপসারণ করে তার চেহারা অনাবৃত করার চেষ্টা করা এক
ধরণের অপকর্ম।
ড্যানিয়েল বইয়ের ক্যাথলিক সংস্করণে বলা হয়েছে-
“এখন,
সুজানা ছিল খুব মার্জিত ও সুন্দরী এক রমণী। যেহেতু সে অবগুণ্ঠিত ছিল,
দুর্বৃত্তরা তার অবগুণ্ঠন সরাতে আদেশ দিল যেন তারা চোখ দিয়ে তার সৌন্দর্য
আস্বাদন করতে পারে।”
[ড্যানিয়েল ১৩:৩০-৩১ – নিউ রিভাইসড স্ট্যান্ডার্ড এডিশন]
কোন মন্তব্য নেই!
সবশেষে,
আমরা আপনাকে নারীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিসংখ্যানগুলোর প্রতি নজর দেয়ার
অনুরোধ করছি। এ পরিসংখ্যান থেকে নারীর উপর নানা রকম আক্রমণ যেমন- ধর্ষণের
যে সংখ্যা আপনি পাবেন সেটা রীতিমত আতঙ্কিত হওয়ার মতো। আমেরিকার যৌন আক্রমণ
বিরোধী সবচেয়ে বড় সংস্থা RAINN (Rape, Abuse and Incest National Network)
এর তথ্য অনুযায়ী আমেরিকাতে প্রতি দুই মিনিটে একটা যৌন আক্রমণের ঘটনা ঘটে।
যার অর্থ হচ্ছে- বছরে যৌন আক্রমণের ২০৭,৭৫৪টা ঘটনা ঘটে। এই সংখ্যাটা ব্যাপক
এবং এর কারণ ও প্রতিকার খোঁজার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা দরকার। আপনি
রিপোর্টটা এখানে পাবেন
আমরা
যদি বৈবাহিক বিশ্বাসঘাতকতা, অবৈধ সন্তান, বিবাহবিচ্ছেদ, অতি-নিকট আত্মীয়ের
মধ্যে যৌন সঙ্গমের পরিসংখ্যান দেখি, তাহলে আমরা এমন অনেক ঘটনা খুঁজে পাব
যা ঘটেছে নারীদের যথাযথ পোশাক না পরার কারণে এবং মহান আল্লাহ কুরআনে যে
সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা অতিক্রম করার কারণে এবং এই নির্দেশগুলো ওল্ড ও
নিউ টেস্টামেন্টের ছাপানো সংস্করণেও পাওয়া যাবে যা আমরা উপরে উল্লেখ
করেছি।
আমরা
আশা করব উপরে যা আলোচনা করা হল আপনি তা ভেবে দেখবেন। পরবর্তীতে কোন সময়
আমরা মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধানে উদ্বুদ্ধকারী কারণসমূহ এবং এই টুকরো
কাপড়ের মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক প্রভাবের ব্যাপারে আরও আলোচনা করার প্রয়াশ
পাব।
এই
আলোচনাতে আমাদের যুক্তিগুলো যদি আপনার মনপুত হয় তাহলে আমরা ইসলাম সম্পর্কে
আপনার অনুসন্ধিৎসু সব প্রশ্ন ও আন্তরিক স্পৃহাকে স্বাগত জানাই।
আল্লাহই ভালো জানেন।
সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
0 মন্তব্যসমূহ