৩০। প্রশ্ন : আমরা আল্লাহ্ এবং তার রাসূলের কথার ওপর কারো কোন কথাকে অগ্রাধিকার দেব কি?
৩০। উত্তর : আমরা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের কথার ওপর কারো কোন কথা অগ্রাধিকার দেব না। আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
َيأَيُّهَا الَْذِيْنَ آمَنُوْا لاَ تُقَدِّمُوْا بَيْنَ يَدَيِ اللهِ وَرَسُوْلِهِ
"হে মু'মিনগণ! আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের সামনে তোমরা কোন বিষয়ে আগে বেড়ে যেও না।" সূরা আল-হুজুরাত : ১
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : "সৃষ্টিকর্তার অবাধ্যতায় কোন সৃষ্টিজীবের আনুগত্য চলবে না।" মুসনাদে আহ্মাদ
সাহাবী
ইব্নে আব্বাস রা. বলেন : "আমি তাদেরকে দেখছি, তারা অতি সত্বর ধ্বংস হয়ে
যাবে। আমি বলি 'নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন', এর বিপরীতে
তারা বলে, 'আবু বকর-ওমর বলেছে!" মুসনাদে আহ্মাদ ও অন্যান্য কিতাব
৩১। প্রশ্ন : দ্বীনের ক্ষেত্রে মতবিরোধ হলে আমাদের করণীয় কি?
৩১। উত্তর : আমরা কুরআন ও সহীহ হাদীসের আশ্রয় গ্রহণ করব। আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
فَإِنْ
تَنَازَعْتُمْ فِيْ شَيْءٍ فَرُدُّوْهَ إِلَى اللهِ وَالرَّسُوْلِ إِنْ
كُنْتُمْ تُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرَ ذَلِكَ خَيْرٌ
وَأَحْسَنُ تَأْوِيْلاً
"কোন
বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে তা আল্লাহ্ ও রাসূলের দিকে উপস্থাপিত
কর, যদি তোমরা আল্লাহ্ ও কিয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই
কল্যাণ কর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।" সূরা আননিসা : ৫৯
রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : "আমি তোমাদের মধ্যে দুটি বস্তুই
রেখে গেলাম, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এই দুটি বস্তুকে মজবুতভাবে ধরে থাকবে
কোনক্রমেই পথভ্রষ্ট হবে না। আল্লাহ্র কিতাব আর আমার সুন্নাত।" হাদীসটি
ইমাম মালেক বর্ণনা করেছেন এবং আল-বানী তাঁর সহীহ্ জামেতে সহীহ বলেছেন।
৩২। প্রশ্ন : কেউ যদি মনে করে তার প্রতি শরীয়তের আদেশ-নিষেধ রক্ষা করা জরুরী নয়, তবে তার বিধান কি ?
৩২। উত্তর :
উক্ত ব্যক্তি কাফের, মুরতাদ এবং মিল্লাতে ইসলাম বহির্ভুত। কারণ, দাসত্ব
একমাত্র আল্লাহ্র জন্য। যা কালেমায়ে শাহাদাতের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে
প্রমাণ হয়। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত বাস্তব জগতে আল্লাহ্র পরিপূর্ণ ইবাদত না
করা হবে ততক্ষণ তাঁর দাসত্ব প্রমাণ হবে না। যার ভেতর রয়েছে ইসলামের মৌলিক
আকীদা, ইবাদতের নিদর্শনসমূহ, শরীয়ত ভিত্তিক ফয়সালা, জীবনের প্রতিটি
ক্ষেত্রে আল্লাহ্র বিধান বাস্তবায়ন ইত্যাদি। আল্লাহ্র নাজিলকৃত বিধানের
বাইরে হালাল-হারাম সাব্যস্ত করা সরাসরি শিরকের অন্তর্ভূক্ত এবং তা ইবাদতে
শিরিক করার সমতুল্যও বটে।
0 মন্তব্যসমূহ