بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ طه
তোয়া-হা [ সুরা ত্বা-হা ২০:১ ]
مَا أَنزَلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ لِتَشْقَى
আপনাকে ক্লেশ দেবার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২ ]
إِلَّا تَذْكِرَةً لِّمَن يَخْشَى
কিন্তু তাদেরই উপদেশের জন্য যারা ভয় করে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩ ]
تَنزِيلًا مِّمَّنْ خَلَقَ الْأَرْضَ وَالسَّمَاوَاتِ الْعُلَى
এটা তাঁর কাছ থেকে অবতীর্ণ, যিনি ভূমন্ডল ও সমুচ্চ নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪ ]
الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى
তিনি পরম দয়াময়, আরশে সমাসীন হয়েছেন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫ ]
لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَمَا تَحْتَ الثَّرَى
নভোমন্ডলে, ভুমন্ডলে, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং সিক্ত ভূগর্ভে যা আছে, তা তাঁরই। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬ ]
وَإِن تَجْهَرْ بِالْقَوْلِ فَإِنَّهُ يَعْلَمُ السِّرَّ وَأَخْفَى
যদি তুমি উচ্চকন্ঠেও কথা বল, তিনি তো গুপ্ত ও তদপেক্ষাও গুপ্ত বিষয়বস্তু জানেন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭ ]
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَهُ الْأَسْمَاء الْحُسْنَى
আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য ইলাহ নেই। সব সৌন্দর্যমন্ডিত নাম তাঁরই। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮ ]
وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى
আপনার কাছে মূসার বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯ ]
إِذْ رَأَى نَارًا فَقَالَ لِأَهْلِهِ امْكُثُوا
إِنِّي آنَسْتُ نَارًا لَّعَلِّي آتِيكُم مِّنْهَا بِقَبَسٍ أَوْ أَجِدُ
عَلَى النَّارِ هُدًى
তিনি যখন আগুন দেখলেন, তখন পরিবারবর্গকে বললেনঃ তোমরা
এখানে অবস্থান কর আমি আগুন দেখেছি। সম্ভবতঃ আমি তা থেকে তোমাদের কাছে কিছু
আগুন জালিয়ে আনতে পারব অথবা আগুনে পৌছে পথের সন্ধান পাব। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০ ]
فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِي يَا مُوسَى
অতঃপর যখন তিনি আগুনের কাছে পৌছলেন, তখন আওয়াজ আসল হে মূসা, [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১ ]
إِنِّي أَنَا رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ إِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
আমিই তোমার পালনকর্তা, অতএব তুমি জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র উপত্যকা তুয়ায় রয়েছ। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২ ]
وَأَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوحَى
এবং আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, অতএব যা প্রত্যাদেশ করা হচ্ছে, তা শুনতে থাক। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৩ ]
إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৪ ]
إِنَّ السَّاعَةَ ءاَتِيَةٌ أَكَادُ أُخْفِيهَا لِتُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا تَسْعَى
কেয়ামত অবশ্যই আসবে, আমি তা গোপন রাখতে চাই; যাতে প্রত্যেকেই তার কর্মানুযায়ী ফল লাভ করে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৫ ]
فَلاَ يَصُدَّنَّكَ عَنْهَا مَنْ لاَ يُؤْمِنُ بِهَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ فَتَرْدَى
সুতরাং যে ব্যক্তি কেয়ামতে বিশ্বাস রাখে না এবং নিজ
খাহেশের অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে তা থেকে নিবৃত্ত না করে। নিবৃত্ত হলে
তুমি ধবংস হয়ে যাবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৬ ]
وَمَا تِلْكَ بِيَمِينِكَ يَا مُوسَى
হে মূসা, তোমার ডানহাতে ওটা কি? [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৭ ]
قَالَ هِيَ عَصَايَ أَتَوَكَّأُ عَلَيْهَا وَأَهُشُّ بِهَا عَلَى غَنَمِي وَلِيَ فِيهَا مَآرِبُ أُخْرَى
তিনি বললেনঃ এটা আমার লাঠি, আমি এর উপর ভর দেই এবং এর
দ্বারা আমার ছাগপালের জন্যে বৃক্ষপত্র ঝেড়ে ফেলি এবং এতে আমার অন্যান্য
কাজ ও চলে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৮ ]
قَالَ أَلْقِهَا يَا مُوسَى
আল্লাহ বললেনঃ হে মূসা, তুমি ওটা নিক্ষেপ কর। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৯ ]
فَأَلْقَاهَا فَإِذَا هِيَ حَيَّةٌ تَسْعَى
অতঃপর তিনি তা নিক্ষেপ করলেন, অমনি তা সাপ হয়ে ছুটাছুটি করতে লাগল। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২০ ]
قَالَ خُذْهَا وَلَا تَخَفْ سَنُعِيدُهَا سِيرَتَهَا الْأُولَى
আল্লাহ বললেনঃ তুমি তাকে ধর এবং ভয় করো না, আমি এখনি একে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেব। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২১ ]
وَاضْمُمْ يَدَكَ إِلَى جَنَاحِكَ تَخْرُجْ بَيْضَاء مِنْ غَيْرِ سُوءٍ آيَةً أُخْرَى
তোমার হাত বগলে রাখ, তা বের হয়ে আসবে নির্মল উজ্জ্বল হয়ে অন্য এক নিদর্শন রূপে; কোন দোষ ছাড়াই। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২২ ]
لِنُرِيَكَ مِنْ آيَاتِنَا الْكُبْرَى
এটা এজন্যে যে, আমি আমার বিরাট নিদর্শনাবলীর কিছু তোমাকে দেখাই। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২৩ ]
اذْهَبْ إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى
ফেরাউনের নিকট যাও, সে দারুণ উদ্ধত হয়ে গেছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২৪ ]
قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي
মূসা বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২৫ ]
وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي
এবং আমার কাজ সহজ করে দিন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২৬ ]
وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي
এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২৭ ]
يَفْقَهُوا قَوْلِي
যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২৮ ]
وَاجْعَل لِّي وَزِيرًا مِّنْ أَهْلِي
এবং আমার পরিবারবর্গের মধ্য থেকে আমার একজন সাহায্যকারী করে দিন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:২৯ ]
هَارُونَ أَخِي
আমার ভাই হারুনকে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩০ ]
اشْدُدْ بِهِ أَزْرِي
তার মাধ্যমে আমার কোমর মজবুত করুন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩১ ]
وَأَشْرِكْهُ فِي أَمْرِي
এবং তাকে আমার কাজে অংশীদার করুন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩২ ]
كَيْ نُسَبِّحَكَ كَثِيراً
যাতে আমরা বেশী করে আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করতে পারি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩৩ ]
وَنَذْكُرَكَ كَثِيراً
এবং বেশী পরিমাণে আপনাকে স্মরণ করতে পারি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩৪ ]
إِنَّكَ كُنتَ بِنَا بَصِيرًا
আপনি তো আমাদের অবস্থা সবই দেখছেন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩৫ ]
قَالَ قَدْ أُوتِيتَ سُؤْلَكَ يَا مُوسَى
আল্লাহ বললেনঃ হে মূসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হল। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩৬ ]
وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَيْكَ مَرَّةً أُخْرَى
আমি তোমার প্রতি আরও একবার অনুগ্রহ করেছিলাম। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩৭ ]
إِذْ أَوْحَيْنَا إِلَى أُمِّكَ مَا يُوحَى
যখন আমি তোমার মাতাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম যা অতঃপর বর্ণিত হচ্ছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩৮ ]
أَنِ اقْذِفِيهِ فِي التَّابُوتِ فَاقْذِفِيهِ فِي
الْيَمِّ فَلْيُلْقِهِ الْيَمُّ بِالسَّاحِلِ يَأْخُذْهُ عَدُوٌّ لِّي
وَعَدُوٌّ لَّهُ وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّي وَلِتُصْنَعَ
عَلَى عَيْنِي
যে, তুমি (মূসাকে) সিন্দুকে রাখ, অতঃপর তা দরিয়ায়
ভাসিয়ে দাও, অতঃপর দরিয়া তাকে তীরে ঠেলে দেবে। তাকে আমার শক্র ও তার শক্র
উঠিয়ে নেবে। আমি তোমার প্রতি মহব্বত সঞ্চারিত করেছিলাম আমার নিজের পক্ষ
থেকে, যাতে তুমি আমার দৃষ্টির সামনে প্রতি পালিত হও। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৩৯ ]
إِذْ تَمْشِي أُخْتُكَ فَتَقُولُ هَلْ أَدُلُّكُمْ
عَلَى مَن يَكْفُلُهُ فَرَجَعْنَاكَ إِلَى أُمِّكَ كَيْ تَقَرَّ عَيْنُهَا
وَلَا تَحْزَنَ وَقَتَلْتَ نَفْسًا فَنَجَّيْنَاكَ مِنَ الْغَمِّ
وَفَتَنَّاكَ فُتُونًا فَلَبِثْتَ سِنِينَ فِي أَهْلِ مَدْيَنَ ثُمَّ
جِئْتَ عَلَى قَدَرٍ يَا مُوسَى
যখন তোমার ভগিনী এসে বললঃ আমি কি তোমাদেরকে বলে দেব কে
তাকে লালন পালন করবে। অতঃপর আমি তোমাকে তোমার মাতার কাছে ফিরিয়ে দিলাম,
যাতে তার চক্ষু শীতল হয় এবং দুঃখ না পায়। তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা
করেছিলে, অতঃপর আমি তোমাকে এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেই; আমি তোমাকে অনেক
পরীক্ষা করেছি। অতঃপর তুমি কয়েক বছর মাদইয়ান বাসীদের মধ্যে অবস্থান
করেছিলে; হে মূসা, অতঃপর তুমি নির্ধারিত সময়ে এসেছ। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪০ ]
وَاصْطَنَعْتُكَ لِنَفْسِي
এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য তৈরী করে নিয়েছি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪১ ]
اذْهَبْ أَنتَ وَأَخُوكَ بِآيَاتِي وَلَا تَنِيَا فِي ذِكْرِي
তুমি ও তোমার ভাই আমার নিদর্শনাবলীসহ যাও এবং আমার স্মরণে শৈথিল্য করো না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪২ ]
اذْهَبَا إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى
তোমরা উভয়ে ফেরআউনের কাছে যাও সে খুব উদ্ধত হয়ে গেছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪৩ ]
فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى
অতঃপর তোমরা তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে চিন্তা-ভাবন া করবে অথবা ভীত হবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪৪ ]
قَالَا رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَن يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَن يَطْغَى
তারা বললঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আশঙ্কা করি যে, সে আমাদের প্রতি জুলুম করবে কিংবা উত্তেজিত হয়ে উঠবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪৫ ]
قَالَ لَا تَخَافَا إِنَّنِي مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَى
আল্লাহ বললেনঃ তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সাথে আছি, আমি শুনি ও দেখি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪৬ ]
فَأْتِيَاهُ فَقُولَا إِنَّا رَسُولَا رَبِّكَ
فَأَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا تُعَذِّبْهُمْ قَدْ جِئْنَاكَ
بِآيَةٍ مِّن رَّبِّكَ وَالسَّلَامُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى
অতএব তোমরা তার কাছে যাও এবং বলঃ আমরা উভয়েই তোমার
পালনকর্তার প্রেরিত রসূল, অতএব আমাদের সাথে বনী ইসরাঈলকে যেতে দাও এবং
তাদেরকে নিপীড়ন করো না। আমরা তোমার পালনকর্তার কাছ থেকে নিদর্শন নিয়ে
তোমার কাছে আগমন করেছি। এবং যে সৎপথ অনুসরণ করে, তার প্রতি শান্তি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪৭ ]
إِنَّا قَدْ أُوحِيَ إِلَيْنَا أَنَّ الْعَذَابَ عَلَى مَن كَذَّبَ وَتَوَلَّى
আমরা ওহী লাভ করেছি যে, যে ব্যক্তি মিথ্যারোপ করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার উপর আযাব পড়বে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪৮ ]
قَالَ فَمَن رَّبُّكُمَا يَا مُوسَى
সে বললঃ তবে হে মূসা, তোমাদের পালনকর্তা কে? [ সুরা ত্বা-হা ২০:৪৯ ]
قَالَ رَبُّنَا الَّذِي أَعْطَى كُلَّ شَيْءٍ خَلْقَهُ ثُمَّ هَدَى
মূসা বললেনঃ আমাদের পালনকর্তা তিনি, যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার যোগ্য আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫০ ]
قَالَ فَمَا بَالُ الْقُرُونِ الْأُولَى
ফেরাউন বললঃ তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কি? [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫১ ]
قَالَ عِلْمُهَا عِندَ رَبِّي فِي كِتَابٍ لَّا يَضِلُّ رَبِّي وَلَا يَنسَى
মূসা বললেনঃ তাদের খবর আমার পালনকর্তার কাছে লিখিত আছে। আমার পালনকর্তা ভ্রান্ত হন না এং বিস্মৃতও হন না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫২ ]
الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ مَهْدًا وَسَلَكَ
لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَأَخْرَجْنَا بِهِ
أَزْوَاجًا مِّن نَّبَاتٍ شَتَّى
তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে শয্যা করেছেন এবং তাতে
চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন
প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫৩ ]
كُلُوا وَارْعَوْا أَنْعَامَكُمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّأُوْلِي النُّهَى
তোমরা আহার কর এবং তোমাদের চতুস্পদ জন্তু চরাও। নিশ্চয় এতে বিবেক বানদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫৪ ]
مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى
এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫৫ ]
وَلَقَدْ أَرَيْنَاهُ آيَاتِنَا كُلَّهَا فَكَذَّبَ وَأَبَى
আমি ফেরাউনকে আমার সব নিদর্শন দেখিয়ে দিয়েছি, অতঃপর সে মিথ্যা আরোপ করেছে এবং অমান্য করেছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫৬ ]
قَالَ أَجِئْتَنَا لِتُخْرِجَنَا مِنْ أَرْضِنَا بِسِحْرِكَ يَا مُوسَى
সে বললঃ হে মূসা, তুমি কি যাদুর জোরে আমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার জন্যে আগমন করেছ? [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫৭ ]
فَلَنَأْتِيَنَّكَ بِسِحْرٍ مِّثْلِهِ فَاجْعَلْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ مَوْعِدًا لَّا نُخْلِفُهُ نَحْنُ وَلَا أَنتَ مَكَانًا سُوًى
অতএব, আমরাও তোমার মোকাবেলায় তোমার নিকট অনুরূপ যাদু
উপস্থিত করব। সুতরাং আমাদের ও তোমার মধ্যে একটি ওয়াদার দিন ঠিক কর, যার
খেলাফ আমরাও করব না এবং তুমিও করবে না একটি পরিষ্কার প্রান্তরে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫৮ ]
قَالَ مَوْعِدُكُمْ يَوْمُ الزِّينَةِ وَأَن يُحْشَرَ النَّاسُ ضُحًى
মূসা বললঃ তোমাদের ওয়াদার দিন উৎসবের দিন এবং পূর্বাহে? লোকজন সমবেত হবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৫৯ ]
فَتَوَلَّى فِرْعَوْنُ فَجَمَعَ كَيْدَهُ ثُمَّ أَتَى
অতঃপর ফেরাউন প্রস্থান করল এবং তার সব কলাকৌশল জমা করল অতঃপর উপস্থিত হল। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬০ ]
قَالَ لَهُم مُّوسَى وَيْلَكُمْ لَا تَفْتَرُوا عَلَى اللَّهِ كَذِبًا فَيُسْحِتَكُمْ بِعَذَابٍ وَقَدْ خَابَ مَنِ افْتَرَى
মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেনঃ দুর্ভাগ্য তোমাদের; তোমরা
আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না। তাহলে তিনি তোমাদেরকে আযাব দ্বারা ধবংস
করে দেবেন। যে মিথ্যা উদভাবন করে, সেই বিফল মনোরথ হয়েছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬১ ]
فَتَنَازَعُوا أَمْرَهُم بَيْنَهُمْ وَأَسَرُّوا النَّجْوَى
অতঃপর তারা তাদের কাজে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক করল এবং গোপনে পরামর্শ করল। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬২ ]
قَالُوا إِنْ هَذَانِ لَسَاحِرَانِ يُرِيدَانِ أَن
يُخْرِجَاكُم مِّنْ أَرْضِكُم بِسِحْرِهِمَا وَيَذْهَبَا بِطَرِيقَتِكُمُ
الْمُثْلَى
তারা বললঃ এই দুইজন নিশ্চিতই যাদুকর, তারা তাদের যাদু
দ্বারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায় এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট
জীবন ব্যবস্থা রহিত করতে চায়। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬৩ ]
فَأَجْمِعُوا كَيْدَكُمْ ثُمَّ ائْتُوا صَفًّا وَقَدْ أَفْلَحَ الْيَوْمَ مَنِ اسْتَعْلَى
অতএব, তোমরা তোমাদের কলাকৌশল সুসংহত কর, অতঃপর সারিবদ্ধ হয়ে আস। আজ যে জয়ী হবে, সেই সফলকাম হবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬৪ ]
قَالُوا يَا مُوسَى إِمَّا أَن تُلْقِيَ وَإِمَّا أَن نَّكُونَ أَوَّلَ مَنْ أَلْقَى
তারা বললঃ হে মূসা, হয় তুমি নিক্ষেপ কর, না হয় আমরা প্রথমে নিক্ষেপ করি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬৫ ]
قَالَ بَلْ أَلْقُوا فَإِذَا حِبَالُهُمْ وَعِصِيُّهُمْ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ مِن سِحْرِهِمْ أَنَّهَا تَسْعَى
মূসা বললেনঃ বরং তোমরাই নিক্ষেপ কর। তাদের যাদুর প্রভাবে হঠাৎ তাঁর মনে হল, যেন তাদের রশিগুলো ও লাঠিগুলো চুটাছুটি করছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬৬ ]
فَأَوْجَسَ فِي نَفْسِهِ خِيفَةً مُّوسَى
অতঃপর মূসা মনে মনে কিছুটা ভীতি অনুভব করলেন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬৭ ]
قُلْنَا لَا تَخَفْ إِنَّكَ أَنتَ الْأَعْلَى
আমি বললামঃ ভয় করো না, তুমি বিজয়ী হবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬৮ ]
وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَى
তোমার ডান হাতে যা আছে তুমি তা নিক্ষেপ কর। এটা যা
কিছু তারা করেছে তা গ্রাস করে ফেলবে। তারা যা করেছে তা তো কেবল যাদুকরের
কলাকৌশল। যাদুকর যেখানেই থাকুক, সফল হবে না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৬৯ ]
فَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سُجَّدًا قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ هَارُونَ وَمُوسَى
অতঃপর যাদুকররা সেজদায় পড়ে গেল। তারা বললঃ আমরা হারুন ও মূসার পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭০ ]
قَالَ آمَنتُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ إِنَّهُ
لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ فَلَأُقَطِّعَنَّ
أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُم مِّنْ خِلَافٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ فِي
جُذُوعِ النَّخْلِ وَلَتَعْلَمُنَّ أَيُّنَا أَشَدُّ عَذَابًا وَأَبْقَى
ফেরাউন বললঃ আমার অনুমতি দানের পূর্বেই? তোমরা কি তার
প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে; দেখছি সেই তোমাদের প্রধান, সে তোমাদেরকে যাদু
শিক্ষা দিয়েছে। অতএব আমি অবশ্যই তোমাদের হস্তপদ বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব
এবং আমি তোমাদেরকে খর্জুর বৃক্ষের কান্ডে শূলে চড়াব এবং তোমরা নিশ্চিত
রূপেই জানতে পারবে আমাদের মধ্যে কার আযাব কঠোরতর এবং অধিক্ষণ স্থায়ী। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭১ ]
قَالُوا لَن نُّؤْثِرَكَ عَلَى مَا جَاءنَا مِنَ
الْبَيِّنَاتِ وَالَّذِي فَطَرَنَا فَاقْضِ مَا أَنتَ قَاضٍ إِنَّمَا
تَقْضِي هَذِهِ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا
যাদুকররা বললঃ আমাদের কাছে যে, সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে
তার উপর এবং যিনি আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর উপর আমরা কিছুতেই তোমাকে
প্রাধান্য দেব না। অতএব, তুমি যা ইচ্ছা করতে পার। তুমি তো শুধু এই পার্থিব
জীবনেই যা করার করবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭২ ]
إِنَّا آمَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغْفِرَ لَنَا خَطَايَانَا وَمَا أَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ السِّحْرِ وَاللَّهُ خَيْرٌ وَأَبْقَى
আমরা আমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি
যাতে তিনি আমাদের পাপ এবং তুমি আমাদেরকে যে যাদু করতে বাধ্য করেছ, তা
মার্জনা করেন। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ ও চিরস্থায়ী। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭৩ ]
إِنَّهُ مَن يَأْتِ رَبَّهُ مُجْرِمًا فَإِنَّ لَهُ جَهَنَّمَ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيى
নিশ্চয়ই যে তার পালনকর্তার কাছে অপরাধী হয়ে আসে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে সে মরবে না এবং বাঁচবেও না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭৪ ]
وَمَنْ يَأْتِهِ مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ الصَّالِحَاتِ فَأُوْلَئِكَ لَهُمُ الدَّرَجَاتُ الْعُلَى
আর যারা তাঁর কাছে আসে এমন ঈমানদার হয়ে যায় সৎকর্ম সম্পাদন করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে সুউচ্চ মর্তবা। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭৫ ]
جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ جَزَاء مَن تَزَكَّى
বসবাসের এমন পুষ্পোদ্যান রয়েছে যার তলদেশে দিয়ে
নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হয়। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে এটা তাদেরই
পুরস্কার, যারা পবিত্র হয়। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭৬ ]
وَلَقَدْ أَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنْ أَسْرِ
بِعِبَادِي فَاضْرِبْ لَهُمْ طَرِيقًا فِي الْبَحْرِ يَبَسًا لَّا تَخَافُ
دَرَكًا وَلَا تَخْشَى
আমি মূসা প্রতি এই মর্মে ওহী করলাম যে, আমার
বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও এবং তাদের জন্যে সমুদ্রে
শুষ্কপথ নির্মাণ কর। পেছন থেকে এসে তোমাদের ধরে ফেলার আশঙ্কা করো না এবং
পানিতে ডুবে যাওয়ার ভয় করো না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭৭ ]
فَأَتْبَعَهُمْ فِرْعَوْنُ بِجُنُودِهِ فَغَشِيَهُم مِّنَ الْيَمِّ مَا غَشِيَهُمْ
অতঃপর ফেরাউন তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল এবং সমুদ্র তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জত করল। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭৮ ]
وَأَضَلَّ فِرْعَوْنُ قَوْمَهُ وَمَا هَدَى
ফেরআউন তার সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করেছিল এবং সৎপথ দেখায়নি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৭৯ ]
يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ قَدْ أَنجَيْنَاكُم مِّنْ
عَدُوِّكُمْ وَوَاعَدْنَاكُمْ جَانِبَ الطُّورِ الْأَيْمَنَ وَنَزَّلْنَا
عَلَيْكُمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوَى
হে বনী-ইসরাঈল! আমি তোমাদেরকে তোমাদের শক্রুর কবল থেকে
উদ্ধার করেছি, তুর পাহাড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দান
করেছি এবং তোমাদের কাছে `মান্না' ও `সালওয়া' নাযিল করেছি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮০ ]
كُلُوا مِن طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَلَا
تَطْغَوْا فِيهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِي وَمَن يَحْلِلْ عَلَيْهِ
غَضَبِي فَقَدْ هَوَى
বলেছিঃ আমার দেয়া পবিত্র বস্তুসমূহ খাও এবং এতে
সীমালংঘন করো না, তা হলে তোমাদের উপর আমার ক্রোধ নেমে আসবে এবং যার উপর
আমার ক্রোধ নেমে আসে সে ধবংস হয়ে যায়। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮১ ]
وَإِنِّي لَغَفَّارٌ لِّمَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَى
আর যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল থাকে, আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮২ ]
وَمَا أَعْجَلَكَ عَن قَوْمِكَ يَا مُوسَى
হে মূসা, তোমার সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে তুমি ত্বরা করলে কেন? [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮৩ ]
قَالَ هُمْ أُولَاء عَلَى أَثَرِي وَعَجِلْتُ إِلَيْكَ رَبِّ لِتَرْضَى
তিনি বললেনঃ এই তো তারা আমার পেছনে আসছে এবং হে আমার পালনকর্তা, আমি তাড়াতাড়ি তোমার কাছে এলাম, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮৪ ]
قَالَ فَإِنَّا قَدْ فَتَنَّا قَوْمَكَ مِن بَعْدِكَ وَأَضَلَّهُمُ السَّامِرِيُّ
বললেনঃ আমি তোমার সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি তোমার পর এবং সামেরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮৫ ]
فَرَجَعَ مُوسَى إِلَى قَوْمِهِ غَضْبَانَ أَسِفًا
قَالَ يَا قَوْمِ أَلَمْ يَعِدْكُمْ رَبُّكُمْ وَعْدًا حَسَنًا أَفَطَالَ
عَلَيْكُمُ الْعَهْدُ أَمْ أَرَدتُّمْ أَن يَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبٌ مِّن
رَّبِّكُمْ فَأَخْلَفْتُم مَّوْعِدِي
অতঃপর মূসা তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেলেন ক্রদ্ধ ও
অনুতপ্ত অবস্থায়। তিনি বললেনঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমাদের পালনকর্তা কি
তোমাদেরকে একটি উত্তম প্রতিশ্রুতি দেননি? তবে কি প্রতিশ্রুতির সময়কাল
তোমাদের কাছে দীর্ঘ হয়েছে, না তোমরা চেয়েছ যে, তোমাদের উপর তোমাদের
পালনকর্তার ক্রোধ নেমে আসুক, যে কারণে তোমরা আমার সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ
করলে? [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮৬ ]
قَالُوا مَا أَخْلَفْنَا مَوْعِدَكَ بِمَلْكِنَا
وَلَكِنَّا حُمِّلْنَا أَوْزَارًا مِّن زِينَةِ الْقَوْمِ فَقَذَفْنَاهَا
فَكَذَلِكَ أَلْقَى السَّامِرِيُّ
তারা বললঃ আমরা তোমার সাথে কৃত ওয়াদা স্বেচ্ছায় ভঙ্গ
করিনি; কিন্তু আমাদের উপর ফেরউনীদের অলংকারের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল।
অতঃপর আমরা তা নিক্ষেপ করে দিয়েছি। এমনি ভাবে সামেরীও নিক্ষেপ করেছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮৭ ]
فَأَخْرَجَ لَهُمْ عِجْلًا جَسَدًا لَهُ خُوَارٌ فَقَالُوا هَذَا إِلَهُكُمْ وَإِلَهُ مُوسَى فَنَسِيَ
অতঃপর সে তাদের জন্য তৈরী করে বের করল একটি গো-বৎস,
একটা দেহ, যার মধ্যে গরুর শব্দ ছিল। তারা বললঃ এটা তোমাদের উপাস্য এবং
মূসার ও উপাস্য, অতঃপর মূসা ভুলে গেছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮৮ ]
أَفَلَا يَرَوْنَ أَلَّا يَرْجِعُ إِلَيْهِمْ قَوْلًا وَلَا يَمْلِكُ لَهُمْ ضَرًّا وَلَا نَفْعًا
তারা কি দেখে না যে, এটা তাদের কোন কথার উত্তর দেয় না এবং তারে কোন ক্ষতি ও উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না? [ সুরা ত্বা-হা ২০:৮৯ ]
وَلَقَدْ قَالَ لَهُمْ هَارُونُ مِن قَبْلُ يَا قَوْمِ
إِنَّمَا فُتِنتُم بِهِ وَإِنَّ رَبَّكُمُ الرَّحْمَنُ فَاتَّبِعُونِي
وَأَطِيعُوا أَمْرِي
হারুন তাদেরকে পুর্বেই বলেছিলেনঃ হে আমার কওম, তোমরা
তো এই গো-বৎস দ্বারা পরীক্ষায় নিপতিত হয়েছ এবং তোমাদের পালনকর্তা
দয়াময়। অতএব, তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং আমার আদেশ মেনে চল। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯০ ]
قَالُوا لَن نَّبْرَحَ عَلَيْهِ عَاكِفِينَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْنَا مُوسَى
তারা বললঃ মূসা আমাদের কাছে ফিরে আসা পর্যন্ত আমরা সদাসর্বদা এর সাথেই সংযুক্ত হয়ে বসে থাকব। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯১ ]
قَالَ يَا هَارُونُ مَا مَنَعَكَ إِذْ رَأَيْتَهُمْ ضَلُّوا
মূসা বললেনঃ হে হারুন, তুমি যখন তাদেরকে পথ ভ্রষ্ট হতে দেখলে, তখন তোমাকে কিসে নিবৃত্ত করল ? [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯২ ]
أَلَّا تَتَّبِعَنِ أَفَعَصَيْتَ أَمْرِي
আমার পদাঙ্ক অনুসরণ করা থেকে? তবে তুমি কি আমার আদেশ অমান্য করেছ? [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯৩ ]
قَالَ يَا ابْنَ أُمَّ لَا تَأْخُذْ بِلِحْيَتِي وَلَا
بِرَأْسِي إِنِّي خَشِيتُ أَن تَقُولَ فَرَّقْتَ بَيْنَ بَنِي
إِسْرَائِيلَ وَلَمْ تَرْقُبْ قَوْلِي
তিনি বললেনঃ হে আমার জননী-তনয়, আমার শ্মশ্রু ও মাথার
চুল ধরে আকর্ষণ করো না; আমি আশঙ্কা করলাম যে, তুমি বলবেঃ তুমি বনী-ইসরাঈলে র
মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা স্মরণে রাখনি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯৪ ]
قَالَ فَمَا خَطْبُكَ يَا سَامِرِيُّ
মূসা বললেন হে সামেরী, এখন তোমার ব্যাপার কি? [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯৫ ]
قَالَ بَصُرْتُ بِمَا لَمْ يَبْصُرُوا بِهِ فَقَبَضْتُ
قَبْضَةً مِّنْ أَثَرِ الرَّسُولِ فَنَبَذْتُهَا وَكَذَلِكَ سَوَّلَتْ لِي
نَفْسِي
সে বললঃ আমি দেখলাম যা অন্যেরা দেখেনি। অতঃপর আমি সেই
প্রেরিত ব্যক্তির পদচিহে?র নীচ থেকে এক মুঠি মাটি নিয়ে নিলাম। অতঃপর আমি
তা নিক্ষেপ করলাম। আমাকে আমার মন এই মন্ত্রণাই দিল। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯৬ ]
قَالَ فَاذْهَبْ فَإِنَّ لَكَ فِي الْحَيَاةِ أَن
تَقُولَ لَا مِسَاسَ وَإِنَّ لَكَ مَوْعِدًا لَّنْ تُخْلَفَهُ وَانظُرْ
إِلَى إِلَهِكَ الَّذِي ظَلْتَ عَلَيْهِ عَاكِفًا لَّنُحَرِّقَنَّهُ ثُمَّ
لَنَنسِفَنَّهُ فِي الْيَمِّ نَسْفًا
মূসা বললেনঃ দূর হ, তোর জন্য সারা জীবন এ শাস্তিই রইল
যে, তুই বলবি; আমাকে স্পর্শ করো না, এবং তোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়াদা
আছে, যার ব্যতিক্রম হবে না। তুই তোর সেই ইলাহের প্রতি লক্ষ্য কর, যাকে তুই
ঘিরে থাকতি। আমরা সেটি জালিয়ে দেবই। অতঃপর একে বিক্ষিপ্ত করে সাগরে
ছড়িয়ে দেবই। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯৭ ]
إِنَّمَا إِلَهُكُمُ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَسِعَ كُلَّ شَيْءٍ عِلْمًا
তোমাদের ইলাহ তো কেবল আল্লাহই, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই। সব বিষয় তাঁর জ্ঞানের পরিধিভুক্ত। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯৮ ]
كَذَلِكَ نَقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ أَنبَاء مَا قَدْ سَبَقَ وَقَدْ آتَيْنَاكَ مِن لَّدُنَّا ذِكْرًا
এমনিভাবে আমি পূর্বে যা ঘটেছে, তার সংবাদ আপনার কাছে বর্ণনা করি। আমি আমার কাছ থেকে আপনাকে দান করেছি পড়ার গ্রন্থ। [ সুরা ত্বা-হা ২০:৯৯ ]
مَنْ أَعْرَضَ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَحْمِلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وِزْرًا
যে এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে কেয়ামতের দিন বোঝা বহন করবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০০ ]
خَالِدِينَ فِيهِ وَسَاء لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حِمْلًا
তারা তাতে চিরকাল থাকবে এবং কেয়ামতের দিন এই বোঝা তাদের জন্যে মন্দ হবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০১ ]
يَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ وَنَحْشُرُ الْمُجْرِمِينَ يَوْمَئِذٍ زُرْقًا
যেদিন সিঙ্গায় ফূৎকার দেয়া হবে, সেদিন আমি অপরাধীদেরকে সমবেত করব নীল চক্ষু অবস্থায়। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০২ ]
يَتَخَافَتُونَ بَيْنَهُمْ إِن لَّبِثْتُمْ إِلَّا عَشْرًا
তারা চুপিসারে পরস্পরে বলাবলি করবেঃ তোমরা মাত্র দশ দিন অবস্থান করেছিলে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০৩ ]
نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُونَ إِذْ يَقُولُ أَمْثَلُهُمْ طَرِيقَةً إِن لَّبِثْتُمْ إِلَّا يَوْمًا
তারা কি বলে তা আমি ভালোভাবে জানি। তাদের মধ্যে যে, অপেক্ষাকৃত উত্তম পথের অনুসারী সে বলবেঃ তোমরা মাত্র একদিন অবস্থান করেছিলে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০৪ ]
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْجِبَالِ فَقُلْ يَنسِفُهَا رَبِّي نَسْفًا
তারা আপনাকে পাহাড় সম্পর্কে প্রশ্ন করা। অতএব, আপনি বলুনঃ আমার পালনকর্তা পহাড়সমূহকে সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০৫ ]
فَيَذَرُهَا قَاعًا صَفْصَفًا
অতঃপর পৃথিবীকে মসৃণ সমতলভূমি করে ছাড়বেন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০৬ ]
لَا تَرَى فِيهَا عِوَجًا وَلَا أَمْتًا
তুমি তাতে মোড় ও টিলা দেখবে না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০৭ ]
يَوْمَئِذٍ يَتَّبِعُونَ الدَّاعِيَ لَا عِوَجَ لَهُ وَخَشَعَت الْأَصْوَاتُ لِلرَّحْمَنِ فَلَا تَسْمَعُ إِلَّا هَمْسًا
সেই দিন তারা আহবানকারীর অনুসরণ করবে, যার কথা
এদিক-সেদিক হবে না এবং দয়াময় আল্লাহর ভয়ে সব শব্দ ক্ষীণ হয়ে যাবে।
সুতরাং মৃদু গুঞ্জন ব্যতীত তুমি কিছুই শুনবে না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০৮ ]
يَوْمَئِذٍ لَّا تَنفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلًا
দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১০৯ ]
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِهِ عِلْمًا
তিনি জানেন যা কিছু তাদের সামনে ও পশ্চাতে আছে এবং তারা তাকে জ্ঞান দ্বারা আয়ত্ত করতে পারে না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১০ ]
وَعَنَتِ الْوُجُوهُ لِلْحَيِّ الْقَيُّومِ وَقَدْ خَابَ مَنْ حَمَلَ ظُلْمًا
সেই চিরঞ্জীব চিরস্থায়ীর সামনে সব মুখমন্ডল অবনমিত হবে এবং সে ব্যর্থ হবে যে জুলুমের বোঝা বহন করবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১১ ]
وَمَن يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا يَخَافُ ظُلْمًا وَلَا هَضْمًا
যে ঈমানদার অবস্থায় সৎকর্ম সম্পাদন করে, সে জুলুম ও ক্ষতির আশঙ্কা করবে না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১২ ]
وَكَذَلِكَ أَنزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا
وَصَرَّفْنَا فِيهِ مِنَ الْوَعِيدِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ أَوْ يُحْدِثُ
لَهُمْ ذِكْرًا
এমনিভাবে আমি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি এবং এতে
নানাভাবে সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছি, যাতে তারা আল্লাহভীরু হয় অথবা তাদের
অন্তরে চিন্তার খোরাক যোগায়। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১৩ ]
فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ وَلَا تَعْجَلْ
بِالْقُرْآنِ مِن قَبْلِ أَن يُقْضَى إِلَيْكَ وَحْيُهُ وَقُل رَّبِّ
زِدْنِي عِلْمًا
সত্যিকার অধীশ্বর আল্লাহ মহান। আপনার প্রতি আল্লাহর
ওহী সম্পুর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরআন গ্রহণের ব্যপারে তাড়াহুড়া করবেন
না এবং বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১৪ ]
وَلَقَدْ عَهِدْنَا إِلَى آدَمَ مِن قَبْلُ فَنَسِيَ وَلَمْ نَجِدْ لَهُ عَزْمًا
আমি ইতিপূর্বে আদমকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। অতঃপর সে ভুলে গিয়েছিল এবং আমি তার মধ্যে দৃঢ়তা পাইনি। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১৫ ]
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى
যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললামঃ তোমরা আদমকে সেজদা কর, তখন ইবলীস ব্যতীত সবাই সেজদা করল। সে অমান্য করল। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১৬ ]
فَقُلْنَا يَا آدَمُ إِنَّ هَذَا عَدُوٌّ لَّكَ وَلِزَوْجِكَ فَلَا يُخْرِجَنَّكُمَا مِنَ الْجَنَّةِ فَتَشْقَى
অতঃপর আমি বললামঃ হে আদম, এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর
শত্রু, সুতরাং সে যেন বের করে না দেয় তোমাদের জান্নাত থেকে। তাহলে তোমরা
কষ্টে পতিত হবে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১৭ ]
إِنَّ لَكَ أَلَّا تَجُوعَ فِيهَا وَلَا تَعْرَى
তোমাকে এই দেয়া হল যে, তুমি এতে ক্ষুধার্ত হবে না এবং বস্ত্রহীণ হবে না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১৮ ]
وَأَنَّكَ لَا تَظْمَأُ فِيهَا وَلَا تَضْحَى
এবং তোমার পিপাসাও হবে না এবং রৌদ্রেও কষ্ট পাবে না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১১৯ ]
فَوَسْوَسَ إِلَيْهِ الشَّيْطَانُ قَالَ يَا آدَمُ هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَّا يَبْلَى
অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি
কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের
কথা? [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২০ ]
فَأَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْآتُهُمَا
وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِن وَرَقِ الْجَنَّةِ وَعَصَى آدَمُ
رَبَّهُ فَغَوَى
অতঃপর তারা উভয়েই এর ফল ভক্ষণ করল, তখন তাদের সামনে
তাদের লজ্জাস্থান খুলে গেল এবং তারা জান্নাতের বৃক্ষ-পত্র দ্বারা নিজেদেরকে
আবৃত করতে শুরু করল। আদম তার পালনকর্তার অবাধ্যতা করল, ফলে সে পথ ভ্রষ্ঠ
হয়ে গেল। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২১ ]
ثُمَّ اجْتَبَاهُ رَبُّهُ فَتَابَ عَلَيْهِ وَهَدَى
এরপর তার পালনকর্তা তাকে মনোনীত করলেন, তার প্রতি মনোযোগী হলেন এবং তাকে সুপথে আনয়ন করলেন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২২ ]
قَالَ اهْبِطَا مِنْهَا جَمِيعًا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ
عَدُوٌّ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدًى فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ
فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقَى
তিনি বললেনঃ তোমরা উভয়েই এখান থেকে এক সঙ্গে নেমে
যাও। তোমরা একে অপরের শত্রু। এরপর যদি আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে
হেদায়েত আসে, তখন যে আমার বর্ণিত পথ অনুসরণ করবে, সে পথভ্রষ্ঠ হবে না এবং
কষ্টে পতিত হবে না। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২৩ ]
وَمَنْ أَعْرَضَ عَن ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنكًا وَنَحْشُرُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمَى
এবং যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২৪ ]
قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِي أَعْمَى وَقَدْ كُنتُ بَصِيرًا
সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা আমাকে কেন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করলেন? আমি তো চক্ষুমান ছিলাম। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২৫ ]
قَالَ كَذَلِكَ أَتَتْكَ آيَاتُنَا فَنَسِيتَهَا وَكَذَلِكَ الْيَوْمَ تُنسَى
আল্লাহ বলবেনঃ এমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াতসমূহ এসেছিল, অতঃপর তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে। তেমনিভাবে আজ তোমাকে ভুলে যাব। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২৬ ]
وَكَذَلِكَ نَجْزِي مَنْ أَسْرَفَ وَلَمْ يُؤْمِن بِآيَاتِ رَبِّهِ وَلَعَذَابُ الْآخِرَةِ أَشَدُّ وَأَبْقَى
এমনিভাবে আমি তাকে প্রতিফল দেব, যে সীমালঙ্ঘন করে এবং
পালনকর্তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন না করে। তার পরকালের শাস্তি কঠোরতর এবং
অনেক স্থায়ী। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২৭ ]
أَفَلَمْ يَهْدِ لَهُمْ كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم
مِّنَ الْقُرُونِ يَمْشُونَ فِي مَسَاكِنِهِمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ
لِّأُوْلِي النُّهَى
আমি এদের পূর্বে অনেক সম্প্রদায়কে ধবংস করেছি। যাদের
বাসভুমিতে এরা বিচরণ করে, এটা কি এদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করল না? নিশ্চয় এতে
বুদ্ধিমানদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২৮ ]
وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِن رَّبِّكَ لَكَانَ لِزَامًا وَأَجَلٌ مُسَمًّى
আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত এবং একটি কাল নির্দিষ্ট না থাকলে শাস্তি অবশ্যম্ভাবী হয়ে যেত। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১২৯ ]
فَاصْبِرْ عَلَى مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ
رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا وَمِنْ آنَاء
اللَّيْلِ فَسَبِّحْ وَأَطْرَافَ النَّهَارِ لَعَلَّكَ تَرْضَى
সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং
আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে,
সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও
দিবাভাগে, সম্ভবতঃ তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৩০ ]
وَلَا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ إِلَى مَا مَتَّعْنَا
بِهِ أَزْوَاجًا مِّنْهُمْ زَهْرَةَ الْحَيَاةِ الدُّنيَا لِنَفْتِنَهُمْ
فِيهِ وَرِزْقُ رَبِّكَ خَيْرٌ وَأَبْقَى
আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে
পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, আপনি সেই সব
বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক
উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৩১ ]
وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَّحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَى
আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং
নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোন রিযিক চাই না। আমি আপনাকে
রিযিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৩২ ]
وَقَالُوا لَوْلَا يَأْتِينَا بِآيَةٍ مِّن رَّبِّهِ أَوَلَمْ تَأْتِهِم بَيِّنَةُ مَا فِي الصُّحُفِ الْأُولَى
এরা বলেঃ সে আমাদের কাছে তার পালনকর্তার কাছ থেকে কোন
নিদর্শন আনয়ন করে না কেন? তাদের কাছে কি প্রমাণ আসেনি, যা পূর্ববর্তী
গ্রন্থসমূহে আছে? [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৩৩ ]
وَلَوْ أَنَّا أَهْلَكْنَاهُم بِعَذَابٍ مِّن قَبْلِهِ
لَقَالُوا رَبَّنَا لَوْلَا أَرْسَلْتَ إِلَيْنَا رَسُولًا فَنَتَّبِعَ
آيَاتِكَ مِن قَبْلِ أَن نَّذِلَّ وَنَخْزَى
যদি আমি এদেরকে ইতিপূর্বে কোন শাস্তি দ্বারা ধ্বংস
করতাম, তবে এরা বলতঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি আমাদের কাছে একজন রসূল
প্রেরণ করলেন না কেন? তাহলে তো আমরা অপমানিত ও হেয় হওয়ার পূর্বেই আপনার
নিদর্শন সমূহ মেনে চলতাম। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৩৪ ]
قُلْ كُلٌّ مُّتَرَبِّصٌ فَتَرَبَّصُوا فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ أَصْحَابُ الصِّرَاطِ السَّوِيِّ وَمَنِ اهْتَدَى
বলুন, প্রত্যেকেই পথপানে চেয়ে আছে, সুতরাং তোমরাও
পথপানে চেয়ে থাক। অদূর ভবিষ্যতে তোমরা জানতে পারবে কে সরল পথের পথিক এবং
কে সৎপথ প্রাপ্ত হয়েছে। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৩৫ ]
0 মন্তব্যসমূহ