আশুরা সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্নোত্তর।


#প্রশ্ন :- আশুরা রোজা কবে ও কত তারিখে?

উত্তর *৯ ও ১০ই মহররম ২দিন রোযা রাখবেন* (রেফারেন্স -মুসলিম ২৫৫৬);

মিস গেলে *১০ ও ১১তারিখে ও ২দিন রোযা রাখা যাবে।* (রেফারেন্স- আহমদ ২১৫৪),

আমি আশা করি আশূরা বা ১০ই মুহাররমের সিয়াম আল্লাহর নিকটে বান্দার বিগত এক বছরের গুনাহের কাফফারা হিসাবে গণ্য হবে।
[মুসলিম হা/১১৬২, মিশকাত হা/২০৪৪; ঐ, বঙ্গানুবাদ হা/১৯৪৬]


উল্লেখ্য যে, মুহাররমে রোজা রাখা বেশী ভাল। কেননা,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏لَئِنْ بَقِيتُ إِلَى قَابِلٍ لأَصُومَنَّ التَّاسِعَ
-আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (رضى الله عنها) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন; যদি আমি আগামী বছর বেচে থাকি তবে মূহাররমের নবম তারিখেও সওম পালন করব। [মুসলিম হা/২৫৫৭]

#প্রশ্নঃ আশুরা/১০ই মহররমের রোযা রাখলে কতদিনের গুনাহ মাফ হয়?*

#উত্তরঃ নবী(স) বলেছেনঃ *আশূরার দিনের রোযার দ্বারা আমি আল্লাহর নিকট বিগত বছরের গুনাহ মাফের আশা রাখি।*
(ইবনে মাজাহ১৭৩৮)

#প্রশ্নঃ রোযা কি আপনার জন্য সুপারিশ করবে?*

#উত্তরঃ *রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে।... তখন দু’জনের সুপারিশই গ্রহণ করা হবে।*
(মুসনাদে আহমদ :৬৫৮৯)

#প্রশ্নঃ শুক্রবারে আশুরা পড়লে রোযা রাখা যাবে কি?*

#উত্তর* ঃ যাবে। যেমনঃ আরাফাতের রোযা, মিসিং ফরজ রোযা, শাওয়ালের ৬ রোযা শুক্রবার বা যে কোন বারে পড়লে রাখা যাবে।

প্রশ্ন:- আশুরা‘র সিয়ামের ফজিলত,সিয়াম পালনের উদ্দেশ্য ও সিয়াম পালনের পদ্ধতি কি??

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “মুহার্‌রাম মাসের রোযা রাখলে আল্লাহ্‌র নিকট আশা করি যে তিনি বিগত এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন।” (মুসলিম ১১৬২)
_______
.
.
❏ আশুরা‘র সিয়াম পালনের উদ্দেশ্য:-

আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আগমন করে দেখতে পেলেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা পালন করছে। নবীজী বললেন, এটি কি? তারা বলল, এটি একটি ভাল দিন। এ দিনে আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলকে তাদের দুশমনের কবল থেকে বাঁচিয়েছেন। তাই মুসা আ. (শুকরিয়া স্বরূপ) রোজা পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ বললেন, মুসাকে অনুসরণের ব্যাপারে আমি তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। অত:পর তিনি রোজা রেখেছেন এবং রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। {বোখারি:১৮৬৫}
_______
.
.
❏ আশুরা‘র সিয়াম পালনের পদ্ধতি:-

আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা. বর্ণনা করেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজা রাখলেন এবং (অন্যদেরকে) রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এটিতো এমন দিন, যাকে ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা বড় জ্ঞান করে, সম্মান জানায়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আগামী বছর এদিন আসলে, আমরা নবম দিনও রোজা রাখব ইনশাল্লাহ। বর্ণনাকারী বলছেন, আগামী বছর আসার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত হয়ে গিয়েছে। {সহিহ মুসলিম:১৯৪৬}
.
অর্থাৎ, ৯ ও ১০ তারিখ সিয়াম পালন করা সুন্নাহ্। তবে আশুরার রোজার কয়েকটি স্তর রয়েছে: সর্ব নিম্ন হচ্ছে কেবল দশ তারিখের রোজা রাখা। এরচে উচ্চ পর্যায় হচ্ছে তার সাথে নয় তারিখের রোজাও রাখা।

এমনিভাবে মুহররম মাসে রোজার সংখ্যা যত বেশি হবে মর্যাদা ও ফজিলতও ততই বাড়তে থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ