আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য বছরের বিভিন্ন
দিনক্ষণকে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত উপযোগী
করেছেন। মুসলিম উম্মাহর উচিত ইবাদাতের
প্রত্যেক মৌসুমগুলোকে সুন্দর প্রস্তুতির
মাধ্যমে সম্পন্ন করা। এমনই একটি ইবাদাতের মৌসুম
হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশক। এ দশকে
অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে।
আমলগুলো পালন করার সুবিধার্থে পাঠকের জন্য
আলাদা আলাদা তুলে ধরা হলো-
★সিয়াম পালন
এ মাসের রোজা পালনের ফজিলত অনেক। এ
দশকের ১ দিনের রোজা পালন বছরব্যাপী
রোজা পালনের সমান এবং রাতের ইবাদাত কদরের
রাতের ইবাদাতের সমতুল্য।
★নামাজ প্রতিষ্ঠা
নামাজ বছরের সব সময়ই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ
ইবাদাত। তাই এ দিনগুলোতে ফরজ নামাজগুলো
জামাআতে আদায়ের পাশাপাশি তাহাজ্জুদসহ বেশি
বেশি নফল নামাজ পড়া।
★তাকবির পাঠ
এ ১০ দিনে নেক আমল আল্লাহর কাছে বেশি
প্রিয়। তাই এ সময়ে তাহলিল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ),
তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আল-
হামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পড়।’
তাকবিরে তাশরিক
২৩ ওয়াক্ত নামাজে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করার
প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যা আদায় করা
ওয়াজিব, আর জিলহজ মাসের শুরু থেকে ১৩
জিলহজ পর্যন্ত এ তাকবির পড়া মুস্তাহাব।
উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহু; আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার
ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
★চুল, নখ না কাটা
হাদিসে এসেছে, ‘যাদের কাছে কুরবানি করার মত
পশু আছে, সে যেন জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ
ওঠার পর থেকে কুরবানি করা পর্যন্ত নিজের চুল
না ছাটে এবং নখ না কাটে। (মুসলিম)
★কুরবানি করা
এ দশকের শ্রেষ্ঠ দুটি আমলের মধ্যে একটি
হলো কুরবানি। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে
প্রত্যেক সামর্থ্যবানের ওপর কুরবানি করা
আবশ্যক। কুরবানির দিন কোনো পশুর রক্ত
ঝরানো আল্লাহর নিকট অধিপ প্রিয় ও পছন্দনীয়
কাজ। কেননা এ কুরবানির পশুর কোনো কিছু
আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না বরং আল্লাহ তাআলা
দেখেন মানুষের নিয়ত ও ইখলাস। আল্লাহ
বলেন, ‘সুতরাং আপনি আপনার প্রতিপালকের
উদ্দেশ্যে নামাজ এবং কুরবানি আদায় করুন।’ (সুরা
কাওসার : আয়াত ৩)
★কুরবানির গোশত বিতরণ
কুরবানির পশু জবাই ও গরিবদের মধ্যে এর
গোশত বিতরণের মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ
নৈকট্য লাভ হয়। এর দ্বারা গরিবদের প্রতি সহমর্মিতা
প্রকাশ পায় এবং তাদের কল্যাণ সাধন হয়। আল্লাহ
তাআলা বলেন, ‘তিনি তাদের চতুষ্পদ জন্তু
থেকে যে রিজিক দিয়েছেন তার ওপর নির্দিষ্ট
দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।
এরপর তোমরা তা থেকে খাও এবং গরিব ও
অসহায়কে খেতে দাও।’ (সুরা হজ : আয়াত ২৮)
★দান-সাদাকা
দান-সাদাকায় সম্পদকে কমায় না বরং বৃদ্ধি পায়। সুতরাং
এ দিনগুলোতে যে আমলগুলো বেশি বেশি
দরকার তার মধ্যে অন্যতম হলো দান-সাদাকা।
★হজ ও উমরা সম্পাদন
এ দশকের সর্বশ্রেষ্ঠ দুটি আমলের মধ্যে
ওমরা-হজও শ্রেষ্ঠ আমল। যারা যথাযথ নিয়েমে
হজ আদায় করতে সামথ্য হবেন- তাঁরা আল্লাহর
দরবারে নিষ্পাপ মাছুম হিসেবে পরিগণিত হবেন;
তাদের প্রতিদান হবে শুধুই জান্নাত। আল্লাহ তাআলা
হজে গমণকারী প্রত্যেককেই হজ্জে মাবরূর
আদায় করার তাওফিক দান করুন।
:
পরিশেষে...
জিলহজ মাসের প্রথম দশকে উল্লেখিত ইবাদাত-
বন্দেগিতে সময় অতিবাহিত করা মু’মিন নর-নারীর
একান্ত কর্তব্য।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে
জিলহজের এ দশদিনে যথাযথভাবে ইবাদাত-
বন্দেগিতে সময় অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন।
...................আমিন।
দিনক্ষণকে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত উপযোগী
করেছেন। মুসলিম উম্মাহর উচিত ইবাদাতের
প্রত্যেক মৌসুমগুলোকে সুন্দর প্রস্তুতির
মাধ্যমে সম্পন্ন করা। এমনই একটি ইবাদাতের মৌসুম
হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশক। এ দশকে
অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে।
আমলগুলো পালন করার সুবিধার্থে পাঠকের জন্য
আলাদা আলাদা তুলে ধরা হলো-
★সিয়াম পালন
এ মাসের রোজা পালনের ফজিলত অনেক। এ
দশকের ১ দিনের রোজা পালন বছরব্যাপী
রোজা পালনের সমান এবং রাতের ইবাদাত কদরের
রাতের ইবাদাতের সমতুল্য।
★নামাজ প্রতিষ্ঠা
নামাজ বছরের সব সময়ই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ
ইবাদাত। তাই এ দিনগুলোতে ফরজ নামাজগুলো
জামাআতে আদায়ের পাশাপাশি তাহাজ্জুদসহ বেশি
বেশি নফল নামাজ পড়া।
★তাকবির পাঠ
এ ১০ দিনে নেক আমল আল্লাহর কাছে বেশি
প্রিয়। তাই এ সময়ে তাহলিল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ),
তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আল-
হামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পড়।’
তাকবিরে তাশরিক
২৩ ওয়াক্ত নামাজে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করার
প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যা আদায় করা
ওয়াজিব, আর জিলহজ মাসের শুরু থেকে ১৩
জিলহজ পর্যন্ত এ তাকবির পড়া মুস্তাহাব।
উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহু; আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার
ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
★চুল, নখ না কাটা
হাদিসে এসেছে, ‘যাদের কাছে কুরবানি করার মত
পশু আছে, সে যেন জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ
ওঠার পর থেকে কুরবানি করা পর্যন্ত নিজের চুল
না ছাটে এবং নখ না কাটে। (মুসলিম)
★কুরবানি করা
এ দশকের শ্রেষ্ঠ দুটি আমলের মধ্যে একটি
হলো কুরবানি। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে
প্রত্যেক সামর্থ্যবানের ওপর কুরবানি করা
আবশ্যক। কুরবানির দিন কোনো পশুর রক্ত
ঝরানো আল্লাহর নিকট অধিপ প্রিয় ও পছন্দনীয়
কাজ। কেননা এ কুরবানির পশুর কোনো কিছু
আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না বরং আল্লাহ তাআলা
দেখেন মানুষের নিয়ত ও ইখলাস। আল্লাহ
বলেন, ‘সুতরাং আপনি আপনার প্রতিপালকের
উদ্দেশ্যে নামাজ এবং কুরবানি আদায় করুন।’ (সুরা
কাওসার : আয়াত ৩)
★কুরবানির গোশত বিতরণ
কুরবানির পশু জবাই ও গরিবদের মধ্যে এর
গোশত বিতরণের মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ
নৈকট্য লাভ হয়। এর দ্বারা গরিবদের প্রতি সহমর্মিতা
প্রকাশ পায় এবং তাদের কল্যাণ সাধন হয়। আল্লাহ
তাআলা বলেন, ‘তিনি তাদের চতুষ্পদ জন্তু
থেকে যে রিজিক দিয়েছেন তার ওপর নির্দিষ্ট
দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।
এরপর তোমরা তা থেকে খাও এবং গরিব ও
অসহায়কে খেতে দাও।’ (সুরা হজ : আয়াত ২৮)
★দান-সাদাকা
দান-সাদাকায় সম্পদকে কমায় না বরং বৃদ্ধি পায়। সুতরাং
এ দিনগুলোতে যে আমলগুলো বেশি বেশি
দরকার তার মধ্যে অন্যতম হলো দান-সাদাকা।
★হজ ও উমরা সম্পাদন
এ দশকের সর্বশ্রেষ্ঠ দুটি আমলের মধ্যে
ওমরা-হজও শ্রেষ্ঠ আমল। যারা যথাযথ নিয়েমে
হজ আদায় করতে সামথ্য হবেন- তাঁরা আল্লাহর
দরবারে নিষ্পাপ মাছুম হিসেবে পরিগণিত হবেন;
তাদের প্রতিদান হবে শুধুই জান্নাত। আল্লাহ তাআলা
হজে গমণকারী প্রত্যেককেই হজ্জে মাবরূর
আদায় করার তাওফিক দান করুন।
:
পরিশেষে...
জিলহজ মাসের প্রথম দশকে উল্লেখিত ইবাদাত-
বন্দেগিতে সময় অতিবাহিত করা মু’মিন নর-নারীর
একান্ত কর্তব্য।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে
জিলহজের এ দশদিনে যথাযথভাবে ইবাদাত-
বন্দেগিতে সময় অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন।
...................আমিন।
0 মন্তব্যসমূহ