ফতোয়া: অজু

ফতোয়া নং: ৬০৩০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

অযু বা গোসলের পর যদি সতর খুলে যায় তাহলে কি...

প্রশ্ন
অযু বা গোসলের পর যদি সতর খুলে যায় তাহলে কি অযু ভেঙ্গে যাবে এবং পুনরায় কি অযু করতে হবে?
উত্তর
না, সতর খুলে গেলে অযু ভাঙ্গবে না। তবে কখনো সতর খুলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা ঢেকে নিতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬০০৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমি অযু অবস্থায় চামড়ার মোজা পরিধান করেছি। তার উপর আবার...

প্রশ্ন
আমি অযু অবস্থায় চামড়ার মোজা পরিধান করেছি। তার উপর আবার কাপড়ের মোজা পরেছি। এখন মাসেহ করার সময় কি সেই কাপড়ের মোজার উপর মাসেহ করলেই চলবে, নাকি কাপড়ের মোজা খুলে সরাসরি চামড়ার মোজার উপর মাসেহ করতে হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
চামড়ার মোজার উপর পরিহিত কাপড়ের মোজায় মাসেহ করা জায়েয হবে না। বরং কাপড়ের মোজা খুলে সরাসরি চামড়ার মোজার উপর মাসেহ করতে হবে।
-রদ্দুল মুহতার ১/২৬৮; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮২; শরহুল মুনইয়াহ ১১১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৫২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬০০৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

অযু থাকা অবস্থায় আমার হাতের ক্ষতস্থান থেকে রক্ত বেরিয়ে গড়িয়ে...

প্রশ্ন
অযু থাকা অবস্থায় আমার হাতের ক্ষতস্থান থেকে রক্ত বেরিয়ে গড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়। রক্ত পড়া বন্ধ করার জন্য আমি ক্ষতস্থানে স্যাভলন ক্রীম লাগিয়ে দিলে রক্ত জমাটবদ্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার রক্ত বের হতে দেখে খুব পুরু করে স্যাভলন ক্রীম লাগিয়ে দিই। এতে করে ঐ রক্ত স্যাভলন ক্রীমের সাথে মিশে সম্পূর্ণ ক্রীমকে লালচে বর্ণের করে ফেলে এবং ক্রীমের উপরও কিছু রক্ত বেরিয়ে আসে। কিন্তু কোনো রক্ত গড়িয়ে পড়েনি। আমার জানার বিষয় হল, এক্ষেত্রে কি আমার অযু ভেঙ্গে গেছে?
উত্তর
ক্ষতস্থান থেকে যদি এ পরিমাণ রক্ত বের হয় যা কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকলে গড়িয়ে পড়ত তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবে।
প্রশ্নের বর্ণনা দ্বারা বোঝা যাচ্ছে যে, যদি পুরু করে ক্রীম না লাগানো হত তাহলে রক্ত ক্ষতস্থানকে অতিক্রম করে গড়িয়ে পড়ত। সুতরাং এ ক্ষেত্রে আপনার অযু ভেঙ্গে গেছে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১/১৯৬; রদ্দুল মুহতার ১/১৩৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩৬; বাদায়েউস সানায়ে ১/১২৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯৮৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

গত কয়েক দিন আগে মায়ের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে বাড়িতে যাই।...

প্রশ্ন
গত কয়েক দিন আগে মায়ের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে বাড়িতে যাই। দিনটি ছিল শুক্রবার। জুমআর নামাযের সময় হয়ে যাওয়ার কারণে দ্রুত মসজিদে চলে যাই। মসজিদে গিয়ে দেখি অযুখানায় পানি নেই। আশপাশেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে জুমআর নামায শুরু হয়ে গেছে। তখন আমি অযুর পানির জন্য একটু দূরে চলে যাই। অযু শেষ করে এসে দেখি, নামায শেষ হয়ে গেছে। আমার প্রশ্ন হল, তখন কি আমার জন্য তায়াম্মুম করে জুমআর নামাযে শরিক হওয়া বৈধ ছিল?
উত্তর
অযু করার কারণে জুমআ ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হলেও তায়াম্মুম করা জায়েয নয়। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি অযু করে সঠিক কাজই করেছেন। এমন ক্ষেত্রে অযু করে এসে জুমআর জামাত পাওয়া গেলে জামাতে শরিক হয়ে যাবে। জামাত না পেলে যোহর আদায় করতে হবে।
-হেদায়া ১/৫৪-৫৫; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩১৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৪৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯৩৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

মুসলমানেরই এ কথা জানা যে, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কুরআন মজীদের...

প্রশ্ন
মুসলমানেরই এ কথা জানা যে, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কুরআন মজীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত। যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অপরিহার্য। এবং হাদীসের আলোকে আমরা এও জানি যে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও মহৎ কাজ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ব্যতীত অপূর্ণ ও বরকতশূন্য। এখন আমার জানার বিষয় হল, এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয় ও কাজ আছে, যার গুরুত্ব ও প্রয়োজন সাময়িক। যথা-দাওয়াতনামা, পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর এসবের কোনো গুরুত্ব থাকে না বিধায় তা যেখানে সেখানে পড়ে থাকে। এমনকি অনেক সময় পদপিষ্টও হয়। অতএব এসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আরবী ভাষায় বা বাংলা উচ্চারণে লেখা যাবে কি?
খ) যেসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখার বিধান রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-এর পরিবর্তে ৭৮৬ অথবা বিসমিহী তাআলা লিখলে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-এর সওয়াব অর্জিত হবে কি না? এ ব্যাপারে কুরআন-হাদীসের আলোকে, ফুকাহায়ে কেরাম ও মুফতী সাহেবদের অভিমত প্রমাণাদিসহ জানালে কুরআন মজীদের মর্যাদা রক্ষায় সচেতন হব এবং বিশেষভাবে উপকৃত হব।
উত্তর
ক) বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কুরআন মজীদের স্বতন্ত্র একটি আয়াত। এর মর্যাদা ও সম্মানের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি। এর হুকুম কুরআন মজীদের অন্যান্য আয়াতের মতোই। তাই অযু ছাড়া তা স্পর্শ করা যাবে না। বিসমিল্লাহ লিখিত কাগজ কোনো অসম্মানের স্থানে ব্যবহার করাও জায়েয নয়। সুতরাং প্রশ্নোল্লেখিত দাওয়াতনামা, পোস্টার ও ব্যানার, যা নির্ধারিত সময়ের পর কোনো প্রয়োজন না থাকার দরুণ পথে-ঘাটে ও নর্দমায় পড়ে থাকার আশঙ্কা থাকে এমনকি অনেক সময় পদপিষ্ট হয়। এসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা থেকে বিরত থাকা উচিত। চাই তা আরবীতে লেখা হোক বা বাংলা উচ্চারণে।
একটি বর্ণনায় এসেছে, হযরত ওমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. দেয়ালে বিসমিল্লাহ লেখার কারণে স্বীয় পুত্রকে প্রহার করেছেন। অনুরূপ আরেকটি বর্ণনা বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. সম্পর্কেও উদ্ধৃত হয়েছে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৪৬২৩, ৪৬২২; আলমাবসূত, সারাখসী ১/১৫; ফাতহুল কাদীর ১/২৫৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/৬৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৩১; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৭; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪২৫; আদ্দুরর"ল মুখতার ১/৬৬৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩২৩; তাফসীরে তবারী ১/৭৮
খ) চিঠিপত্র ও গুর"ত্বপূর্ণ লিখনির শুর"তে পুরো বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা সুন্নত। আল্লাহর রাসূলের আমল ও উম্মতের মুতাওয়ারাছ আমল (অর্থাৎ খায়র"ল কুরূন থেকে অদ্যাবধি উম্মতের অবি""ছন্ন কর্মধারা) দ্বারা এটি প্রমাণিত। কুরআন মজীদে হযরত সুলায়মান আ.-এর চিঠির আলোচনা এসেছে, যাতে বিসমিল্লাহি দ্বারা শুর" করার কথা উল্লেখ রয়েছে।-সূরা নামল : ৩০
সহীহ হাদীসে এসেছে, হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রা. ও হযরত মারওয়ান ইবনে হাকাম রা. থেকে বর্ণিত, হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্ধিপত্রের শুর"তে মুশরিকদের মুখপাত্র সুহাইল ইবনে আমর আপত্তি করে বলল, বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম ক? আমরা তা জানি না। আরবের প্রথা অনুযায়ী বিসমিকাল্লাহুম্মা লেখ। তদুত্তরে
সাহাবায়ে কেরামও বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম ছাড়া সন্ধিপত্র লিখব না।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৭৮৩; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৩৮২৭
সুতরাং চিঠিপত্র, গুরুত্বপূর্ণ লিখনির শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম লেখা সুন্নত। এর পরিবর্তে অন্য কোনো শব্দ যেমন ৭৮৬ লিখলে ঐ সুন্নত আদায় হবে না এবং বিসমিল্লাহ-এর সওয়াবও পাওয়া যাবে না। আর বিসমিহী তাআলা লিখলে আল্লাহর নামে শুরু করার ফযীলত তো পাওয়া যাবে, কিন্তু বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম লেখার সুন্নাত আদায় হবে না।
প্রকাশ থাকে যে, লিফলেট, পোস্টার বা এ ধরনের কাগজের টুকরো, যেগুলো সাধারণত সংরক্ষণ করা হয় না সেসব কাগজে বিসমিল্লাহ লিখবে না; বরং তা আরম্ভ করার সময় শুধু মুখে বিসমিল্লাহ পাঠ করে নিলে চলবে।-শরহু মুসলিম, নববী ২/৯৮; শরহুল মুনইয়াহ প" : ২; রদ্দুল মুহতার ১/৯; আততাকরীর ওয়াত তাহবীর ১/৪; মাআরিফুস সুনান ১/২; আহসানুল ফাতাওয়া ৮/২৪; ফাতাওয়া উছমানী ১/১৬৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯১৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমি কিছুদিন পূর্বে গুরুতর আহত হই। এতে হাতসহ বিভিন্ন জায়গা...

প্রশ্ন
আমি কিছুদিন পূর্বে গুরুতর আহত হই। এতে হাতসহ বিভিন্ন জায়গা জখম হয়। হাতের জখম সবসময় ব্যান্ডেজ করা থাকে। তাই অযুর সময় ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করি। নতুন ব্যান্ডেজ লাগিয়ে এক ঘণ্টা পর পর হাতের ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করতে হয়। আমার জানার বিষয় হল, ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করার কারণে কি অযু ভেঙ্গে যায়? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করার পর ব্যান্ডেজ খুলে নতুন ব্যান্ডেজ লাগালে অযু বা মাসেহ কিছুই নষ্ট হয় না। তবে এত্রে নতুন ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করে নেওয়া উত্তম। হ্যাঁ, ক্ষত ভালো হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ খোলা হলে পূর্বের মাসেহ বাতিল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে পূর্বের অযু বহাল রাখতে হলে মাসেহের স্থান ধুয়ে নিতে হবে।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/৫১; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/৯১; রদ্দুল মুহতার ১/২৮০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯০১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

ঢাকার এক মসজিদের অযুখানায় লেখা আছে, যে ব্যক্তি অযুর শুরুতে...

প্রশ্ন
ঢাকার এক মসজিদের অযুখানায় লেখা আছে, যে ব্যক্তি অযুর শুরুতে বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ পাঠ করবে, অযু ভঙ্গের পূর্ব পর্যন্ত ফেরেশতারা তার আমলনামায় সওয়াব লিখতে থাকবে। (তারগীব) এই সহীহ ও দলিলভিত্তিক কি না? এছাড়া শুরুতে বিসমিল্লাহ বলার অন্য কোনো হাদীস আছে কি না? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর
অযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা অথবা আল্লাহ তাআলার নামের কোনো যিকির দ্বারা অযু শুরু করাসুন্নত ও ফযীলতের কাজ। একাধিক হাদীসে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আনাস রা.-এর সূত্রে নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আল্লাহর নামে অযু শুরু কর। (সহীহ ইবনে খুযাইমা,হাদীস : ১৪৪)
হযরত আবু হুরায়রা রা.-এর সূত্রে নির্ভরযোগ্য আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ঐ ব্যক্তির নামায হবে না, যার অযু নেই। আর ঐ ব্যক্তিরঅযু হবে না (অর্থাৎ অযুর সওয়াব পাবে না), যে অযুর শুরতে আল্লাহর নাম পাঠ করবে না।(মুসতাদরাক হাকিম, হাদীস : ৫৩৪; জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৫)
হযরত আবু হুরায়রা রা.-এর সূত্রে বর্ণিত আরেকটি নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা বিসমিল্লাহিররাহমানির রাহীম দ্বারা শুরু করা হয়নি তা অসম্পূর্ণ।-জামে সগীর, সুয়ূতী, হাদীস : ৬২৮৪
কোনো কোনো বর্ণনায় বিসমিল্লাহ-এর পরিবর্তে ‘বিযিকরিল্লাহ’ আর কোনো বর্ণনায় ‘বিহামদিল্লাহ’শব্দ এসেছে। তাই ফকীহগণ ও মুহাদ্দিসগণ এ সংক্রান্ত সকল হাদীসের সমন্বয়ে এ কথা বলেছেনযে, বিসমিল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো যিকির দ্বারা শুরু করলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে এবং এরফযীলতও অর্জিত হবে।
আর প্রশ্নোল্লেখিত বর্ণনাটি মুজামে সগীর, তবারানী নামক গ্রন্থে (১/৭৩) সাহাবী হযরত আবুহুরায়রা রা.-এর সূত্রে বর্ণিত আছে। কিন্তু এর সনদ নির্ভরযোগ্য নয়। কারণ এর বর্ণনাকারীদেরমধ্যে ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ নামে একজন ব্যক্তি রয়েছেন, তার সম্পর্কে হাফেয ইবনে আদী(মৃত : ৩৬৩ হি.), হাফেয যাহাবী (মৃত্যু : ৭৪৮ হি.) এবং হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. (মৃত্যু : ৮৫২ হি.) বলেছেন, তার থেকে অনেক মুনকার তথা অগ্রহণযোগ্য রেওয়ায়েত বর্ণিতহয়েছে। দেখুন : আলকামিল ফিযযুয়াফা ১/২৬২; মীযানুল ই’তিদাল ১/৯১; লিসানুল মীযান ১/৯৮
এছাড়াও উক্ত সনদে আরেকজন বর্ণনাকারী ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদের উস্তাদ আলী ইবনে সাবিতআছে, যাকে হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী রাহ. মাজহুল অর্থাৎ অজ্ঞাত বলেছেন। দেখুন :নাতাইজুল আফকার ১/১৬৮
এ প্রেক্ষিতে হাদীস বিশরাদগণ এই বর্ণনাটিকে মুনকার তথা অগ্রহণযোগ্য আখ্যাদিয়েছেন।
-মুজামুস সগীর, তবারানী ১/৭৩; মীযানুল ইতিদাল ১/৯১; নাতাইজুল আফকার, হাদীস : ১৬৩; নায়লুল আওতার ১/১৩৪; আলমাসনূ’ পৃষ্ঠা : ২০৯; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস : ১৪৪; জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৫; মাআরিফুস সুনান ১/৪; শরহুন নববী ২/৯৮; আদ্দুররুল মুখতার ১/১০৮; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৮১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

শুনেছি, ব্যবহৃত পানি দ্বারা অযু বা গোসল করার অনুমতি নেই।...

প্রশ্ন
শুনেছি, ব্যবহৃত পানি দ্বারা অযু বা গোসল করার অনুমতি নেই। কিছুদিন আগে ফরয গোসল করার সময় আমার গা বেয়ে পানির বেশ কিছু ছিটা বালতিতে পড়ে । পানির স্বল্পতার কারণে ঐ পানি দিয়েই গোসল সম্পন্ন করি। ঐ পানি দ্বারা আমার গোসল হয়েছে কি না?
উল্লেখ্য, গোসলের সময় শরীর এবং কাপড়ের কোথাও বাহ্যিক কোনো নাপাকি ছিল না।
উত্তর
আপনার ঐদিনের গোসল সহীহ হয়েছে। কেননা ফরয গোসলের সময় শরীরে বাহ্যিক নাপাকিলেগে না থাকলে শরীর থেকে পানির ছিটা বালতি, ড্রাম বা এ ধরনের ছোট পাত্রে পড়লেও সে পানিদিয়ে অযু-গোসল করা যাবে। এ কারণে ঐ পানি অযু-গোসলের জন্য ব্যবহারের অনুপযোগী হয়েযাবে না। বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম যুহরী রাহ.কে জনৈক ব্যক্তির (গোসলের হুকুম) সম্পর্কে জিজ্ঞাসাকরা হয়, যার গোসল করার সময় গা বেয়ে পানির ছিটা পাত্রে পড়েছিল। উত্তরে তিনি বলেছিলেন,এতে ক্ষতির কিছু নেই।-মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১/৯২, হাদীস : ৩১১
প্রকাশ থাকে যে, গোসলের পূর্বে শরীর এবং কাপড় থেকে বাহ্যিক নাপাকি দূর না করে গোসলকরলে যদি নাপাক স্থান থেকে পানি ছিটে বালতির পানিতে পড়ে তবে ঐ পানি নাপাক হয়েযাবে।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৩; মাবসূত, সারাখসী ১/৪৮; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/১০৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৫৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমাদের এলাকায় পানির খুব সঙ্কট। তাই আমরা বাসা-বাড়িতে টেপ কলে...

প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় পানির খুব সঙ্কট। তাই আমরা বাসা-বাড়িতে টেপ কলে অযু করলে ব্যবহৃত পানি নিচে রাখা পাত্রে জমা হয়। বাহ্যত তাতে কোনো ময়লা বা নাপাকি দেখা যায় না। অযুর আগে হাত-পায়েও কোনো নাপাকি থাকে না। তাই এ পানি কি গাড়ি ধোয়া, ঘরের মেঝে মোছার কাজে ব্যবহার করা যাবে, না তা নাপাক ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
অযুতে ব্যবহৃত পানি অপবিত্র নয়। তাই এ পানি প্রশ্নে উল্লেখিত কাজে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না। আর তা পানাহারের কাজে ব্যবহার করা মাকরূহ।
-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৯৪; আসসিআয়াহ ১/৪০০; আলমুহীতুল বুরহানী ১/২৭৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৮৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/২০০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮০৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমি একবার ভুলে অযুর মধ্যে হাত ধোয়ার পর পা ধুয়ে...

প্রশ্ন
আমি একবার ভুলে অযুর মধ্যে হাত ধোয়ার পর পা ধুয়ে ফেলি। এরপর মাথা মাসাহ করি। জানতে চাই, আমার অযু সহীহ হয়েছে কি? অযুর মধ্যে ক্রমানুসরণ কি জরুরি? তা ছুটে গেলে অযু সহীহ হবে কি?
উত্তর
হ্যাঁ, আপনার অযু হয়ে গেছে। অযুর অঙ্গগুলো ধোয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে মুখ, এরপর হাত ধোয়া অতপর মাথা মাসাহ করা এবং সবশেষে পা ধোয়া-এভাবে তরতীবের সাথে অযু করা সুন্নত। এর প্রতি যত্নবান হতে হবে। তবে কখনো এ তারতীব ছুটে গেলে অযু শুদ্ধ হয়ে যাবে। পুনরায় অযু করা লাগবে না।
-মুসনাদে আহমদ ১/৫৯, হাদীস : ৪২১; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ১০৬; কিতাবুল আছল ১/৩০; মাবসূত, সারাখসী ১/৫৫; বাদায়েউস সানায়ে ১/১১২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২২০; আলবাহরুর রায়েক ১/২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৬০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমি আপেল ইত্যাদি খাওয়ার সময় কামড় দেওয়ার জায়গায় অতি সামান্য...

প্রশ্ন
আমি আপেল ইত্যাদি খাওয়ার সময় কামড় দেওয়ার জায়গায় অতি সামান্য রক্ত লক্ষ করি। কিন্তু থুথু ফেললে তেমন কিছু দেখি না। কিংবা সামান্য একটু চিহ্ন দেখতে পাই। এই কারণে আমার অযু ভঙ্গ হয় কি না? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
আপেল বা দাঁত দিয়ে কামড়ানো খাবারে যে সামান্য রক্ত দেখতে পেয়েছেন তা যেহেতু অতি সামান্য তাই এ কারণে অযু নষ্ট হয়নি। আর থুথুর সঙ্গে যে সামান্য রক্তের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন ঐ সামান্য পরিমাণ রক্তও অযু ভঙ্গের কারণ নয়। কেননা, থুথুর চেয়ে রক্ত বেশি হলে কিংবা অন্তত সমান সমান হলেই কেবল অযু নষ্ট হয়। এ পরিমাণ রক্ত বের হলে থুথু টকটকে লাল বা লালচে বর্ণ ধারণ করবে। আর এর কম হলে থুথু হলদে বা প্রায় সাদা থাকবে এ অবস্থায় অযু ভাঙ্গবে না। তবে আপেলের যে জায়গায় রক্ত লেগেছে তা খাবেন না; বরং ফেলে দিবেন।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২/৯৩; কিতাবুল আছল ১/৫৭; বাদায়েউস সানায়ে ১/১২৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩৮; শরহুল মুনইয়াহ ১৩২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭২৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমরা জানি, তাওয়াফ অবস্থায় অযু চলে গেলে অযু করে এসে...

প্রশ্ন
আমরা জানি, তাওয়াফ অবস্থায় অযু চলে গেলে অযু করে এসে সাত চক্করের অবশিষ্ট চক্কর দিলেই তাওয়াফ পূর্ণ হয়ে যায়। পুনরায় পুরো সাত চক্কর দিতে হয় না। সেদিন একজন বললেন, তাওয়াফ শুরুর প্রথম তিন চক্করের মধ্যে অযু চলে গেলে অযু করে এসে পুরো সাত চক্কর দিতে হবে। মাসআলা কী জানাতে অনুরোধ করছি।
উত্তর
তাওয়াফের তিন চক্কর বা এর কম আদায়ের পর অযু নষ্ট হয়ে গেলে অযু করে এসে পুনরায় শুরু থেকে সাত চক্কর পূর্ণ করা মুস্তাহাব। তবে এক্ষেত্রে অযু করে আসার পর অবশিষ্ট চক্করগুলো করে নিলেও তাওয়াফ আদায় হয়ে যাবে।
আর তাওয়াফের চার চক্কর বা এর বেশি আদায়ের পর অযু নষ্ট হলে উত্তম হল, অযু করে এসে পুনরায় প্রথম থেকে চক্কর শুরু না করে শুধু অবশিষ্ট চক্করগুলো আদায় করা। তবে এক্ষেত্রেও কেউ যদি পুনরায় প্রথম থেকে সাত চক্করই পূর্ণ করে তাহলে সেটিও সহীহ হবে।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি যদি বিষয়টিকে মুস্তাহাব হিসেবে উল্লেখ করে থাকে তাহলে তার কথা ঠিক আছে।
-সহীহ বুখারী ১/২২০; ফাতহুল বারী ৩/৫৬৫; কিতাবুল আসল ২/৪০৩; মাবসূত, সারাখসী ৪/৪৮; ফাতহুল কাদীর ২/৩৮৯; আলবাহরুল আমীক ২/১১৫৭; গুনইয়াতুন নাসিক ১২৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৮৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

জনৈক ব্যক্তি বলেছে, কুরআন তেলাওয়াতের সময় অযু নষ্ট হয়ে গেলে...

প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি বলেছে, কুরআন তেলাওয়াতের সময় অযু নষ্ট হয়ে গেলে মুখ বা ঠোঁটের দ্বারা কুরআন শরীফের পৃষ্ঠা উল্টানো যায় এবং এর দ্বারা অযু ছাড়া কুরআন ধরার গুনাহ হয় না। জানতে চাই, তার কথাটি কি ঠিক?
উত্তর
ঐ ব্যক্তির কথা ঠিক নয়। অযু ছাড়া যেমনিভাবে হাত দিয়ে কুরআন মজীদ স্পর্শ করা যায় না, তেমনিভাবে বিনা অযুতে মুখ, ঠোঁট, জিহবা দিয়েও কুরআন মজীদ স্পর্শ করা নাজায়েয।
-সুনানে দারেমী ২/১৬১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৯; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৯; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ১/২০৩; আলমুতহাফ ফী আহামিল মুসহাফ ৪৪৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৫৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

একদিন অযু করার সময় মাথা মাসেহ করতে ভুলে যাই। নামায...

প্রশ্ন
একদিন অযু করার সময় মাথা মাসেহ করতে ভুলে যাই। নামায শেষে মনে হয়েছে মাসাহ করিনি। এখন ঐ নামায কি পুনরায় পড়তে হবে?
উত্তর
হ্যাঁ, ঐ নামায পুনরায় পড়তে হবে। মাথা মাসেহ করা ফরয তাই মাথা মাসেহ না করার কারণে তার অযুই হয়নি। বিখ্যাত তাবেয়ী আতা রাহ. বলেন, তুমি যদি ভুলে মাথা মাসেহ করা ছাড়াই নামায পড়ে ফেল অতপর নামায শেষে স্মরণ হয় তাহলে মাথা মাসাহ করে ঐ নামায পুনরায় পড়ে নাও।
মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১/১৫; রদ্দুল মুহতার ১/১৫৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৫৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমি ইশার নামায পড়ার জন্য অযু করেছি। মসজিদে যাব। ইতিমধ্যে...

প্রশ্ন
আমি ইশার নামায পড়ার জন্য অযু করেছি। মসজিদে যাব। ইতিমধ্যে আমার বাবা বললেন, তোমার রক্তের গ্রুপ কী? আমি বললাম, জানি না। তিনি বললেন, এখনি রক্ত পরীক্ষা কর। আমি বাসা থেকে বের হয়ে গ্রুপ পরীক্ষা করার জন্য রক্ত দিয়েছি। অতপর মসজিদে গিয়ে নতুন করে অযু করা ছাড়াই ইশার নামায আদায় করেছি। নামাযের পর আমার এক বন্ধুর সাথে আলাপ হলে সে বলল, তোমার নামায হয়নি। কারণ ইনজেকশন দিয়ে রক্ত নিলে অযু ভেঙ্গে যায়। জানার বিষয় হল, তার কথা কি ঠিক?
উত্তর
হ্যাঁ, আপনার ওই বন্ধুর কথা ঠিক। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে রক্ত বের করলেও অযু ভেঙ্গে যায়। গড়িয়ে পড়তে পারে এতটুকু পরিমাণ রক্ত বের হলে বা বের করলে অযু থাকে না। অতএব আপনাকে ঐ দিনের ইশা ও বিতর নামাযগুলোর কাযা পড়ে নিতে হবে।
মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১/১৪৩; আলমাবসূত, সারাখসী ১/৭৬; বাদায়েউস সানায়ে ১/১২২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৩৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৯৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

এক ব্যক্তি পেশাব ঝরার রোগে আক্রান্ত। তাই তিনি পেশাবের রাস্তায়...

প্রশ্ন
এক ব্যক্তি পেশাব ঝরার রোগে আক্রান্ত। তাই তিনি পেশাবের রাস্তায় টিস্যু গুঁজে রাখেন। কিছু সময় পর টিস্যু খুললে দেখা যায়, সেটির ভিতরের অংশ কিছুটা ভিজা।
এমতাবস্থায় তার নামাযের হুকুম কী? এবং সে কোনো সময় ইমামতি করলে তার পিছনে সুস্থ লোকদের ইকতিদা সহীহ হবে কি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি পেশাবের রাস্তায় গুঁজে রাখা টিস্যুর ভিতরের অংশটুকু শুধু ভিজে, বাইরের অংশে তরলতা না পৌঁছে; বরং শুষ্ক থাকে তাহলে যতক্ষণ ঐ টিস্যু সেখানে লাগানো থাকবে ততক্ষণ ঐ কারণে লোকটির অযু ভঙ্গ হবে না। এ অবস্থায় তার নিজের নামায পড়া এবং অন্যের ইমামতি করা সহীহ হবে। তবে টিস্যু খুলে ফেললে বা সেটি পড়ে গেলে অযু ভেঙ্গে যাবে। এক্ষেত্রে তাকে নতুন করে অযু করে নামায পড়তে হবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/১২৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩৭; ফাতহুল কাদীর ১/৩৩; শরহুল মুনইয়া ১২৬; রদ্দুল মুহতার ১/১৪৮-১৪৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৯৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

কয়েকদিন হল আমার সর্দি লেগেছে। এক পর্যায়ে সর্দি ঘন ও...

প্রশ্ন
কয়েকদিন হল আমার সর্দি লেগেছে। এক পর্যায়ে সর্দি ঘন ও শক্ত হয়ে যায়। মাঝে মাঝে ঘণ ও শক্ত সর্দির সাথে জমাট রক্ত বের হয়। এতে আমার অযু ভাঙ্গবে কি না?
উত্তর
নাক দিয়ে জমাট রক্ত বের হলে অযু ভাঙ্গে না। সুতরাং সর্দির সাথে জমাট রক্ত বের হলেও অযু নষ্ট হবে না।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১/২০৩; ১/১৩৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/১২৭; রদ্দুল মুহতার ১/১৩৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৬৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

একজন বলল যে, নখ বড় থাকলে অযু সহীহ হয় না।...

প্রশ্ন
একজন বলল যে, নখ বড় থাকলে অযু সহীহ হয় না। এ কথা কি ঠিক?
উত্তর
না, এ কথা ঠিক নয়। কেননা নখ বড় থাকা সত্ত্বেও যদি নখের গোড়ায় পানি পৌঁছে যায় তাহলে অযু সহীহ হয়ে যাবে। তবে নখ বড় হওয়ার কারণে তাতে আটা বা ময়লা জমে থাকার কারণে যদি নখের গোড়ায় পানি না পৌঁছে তাহলে অযু সহীহ হবে না। উল্লেখ্য, নখ বড় রাখা সুন্নতের খেলাফ। তাই নিয়মিত নখ কেটে ছোট করে রাখতে হবে।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২; ফাতহুল কাদীর ১/১৩; আলমুহীতুল বুরহানী ১/১৬৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৯০; মারাকিল ফালাহ ৩৫; আলবাহরুর রায়েক ১/১৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৫৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমরা অনেক সময় আমাদের উস্তাদ এবং মুরববীদের খেদমত করতে...

প্রশ্ন
আমরা অনেক সময় আমাদের উস্তাদ এবং মুরববীদের খেদমত করতে চাই। এ উদ্দেশ্যে অযুর সময় তাঁদেরকে পানি ঢেলে দেই। অযু তাঁরা নিজ হাতে করেন। কিন্তু কোনো কোনো সময় তাঁরা অযুর ক্ষেত্রে এতটুকু খেদমত নিতেও পছন্দ করেন না; বরং স্পষ্টভাবে নিষেধ করেন।
জানার বিষয় হল, কোনো ওজর না থাকলে অযুর মধ্যে অন্যের দ্বারা শুধু পানি ঢালার সহযোগিতা নেওয়া কি অনুচিত? শরীয়তের দৃষ্টিতে তা কি অপছন্দনীয়? হাদীস-আছার ও নির্ভরযোগ্য কিতাবাদির বরাতসহ বিষয়টির সমাধান জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
কোনো ওজর না থাকলেও অন্যের দ্বারা শুধু অযুর পানি ঢেলে দেওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা নেওয়া জায়েয। এটি মাকরূহ নয়। একাধিক সহীহ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিভিন্ন সময় অযুর পানি ঢেলে দেওয়া হত আর তিনি নিজে অযু করতেন। তদ্রূপ অনেক সাহাবী-তাবেয়ী থেকেও অযুর ক্ষেত্রে এ ধরনের সহযোগিতা নেওয়ার কথা হাদীসের কিতাবে আছে।
-সহীহ বুখারী ১/৩০; সুনানে ইবনে মাজাহ ২৩; সুনানে নাসাঈ ১/১২; সহীহ মুসলিম ১/১৩৩, ৪১৬; ইলাউস সুনান ১/১৩৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়অ ১/১১২; আলমুহীতুল বুরহানী ১/১৭৮; আলবাহরুর রায়েক ১/২৮; ফাতহুল কাদীর ১/৩১; আদ্দুররুল মুখতার ১/১২৭; শরহুল মুনইয়াহ ৩১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৩১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

একদিন রাত্রে আমার স্বপ্নদোষ হয়। ফজরের সময় ঘুম থেকে জেগে...

প্রশ্ন
একদিন রাত্রে আমার স্বপ্নদোষ হয়। ফজরের সময় ঘুম থেকে জেগে দেখি, সূর্যোদয়ের মাত্র বিশ মিনিট বাকি আছে। তাড়াতাড়ি পুকুর ঘাটে গোসল করতে গিয়ে দেখি, আমার খুব ঘনিষ্ট আত্মীয়দের মধ্যে দু’ একজন ঘাটে কাজ করছেন, যাদের সামনে গোসল করা খুব লজ্জার ব্যাপার। তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলাম, কি করা যায়, অন্য কোথায় গোসল করা যায়। কিন্তু ভাবতে ভাবতে সময় প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। মাত্র ৫/৭ মিনিট বাকি আছে। তাই গোসল না করে অযু ও তায়াম্মুম করে নামায আদায় করি।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত অবস্থায় আপনার তায়াম্মুম করা সহীহ হয়নি। কারণ পানি থাকা অবস্থায় লোকলজ্জার কারণে তায়াম্মুম করা সহীহ নয়। সুতরাং তায়াম্মুম করে আদায়কৃত নামাযও সহীহ হয়নি। ঐ নামায কাযা করে নিতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার ১/২৩০) উল্লেখ্য, এ ধরনের ক্ষেত্রে লজ্জা পাওয়া বাঞ্চনীয় নয়। আর স্বভাবগত লজ্জার অজুহাতে শরীয়তের বিধান লঙ্ঘন করা যায় না।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৪৪০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

অযুতে মাথা মাসেহর সময় কান মাসেহ করার হুকুম কী? এ...

প্রশ্ন
অযুতে মাথা মাসেহর সময় কান মাসেহ করার হুকুম কী? এ সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য হাদীস আছে কি জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
অযুতে কান মাসেহ করা সুন্নত। মাথা মাসেহর পর ভেজা হাত দিয়ে কান মাসেহ করে নিবে। এজন্য নতুন পানি নিবে না। কান মাসেহ করা সম্পর্কে জামে তিরমিযীতে একটি হাদীস আছে। রুবাইয়ি বিনতে মুয়াওয়িয রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অযু করতে দেখেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথার সম্মুখ ভাগ ও পিছন ভাগ এবং মাথার উভয় পার্শ্ব ও কান একবার মাসেহ করেছেন। (জামে তিরমিযী ১/৭)
ইমাম তিরমিযী রাহ. হাদীসটিকে হাসানুন সহীহ বলেছেন। এছাড়া কান যে মাথার অংশ এ সম্পর্কেও হাদীস-আছার রয়েছে।
দেখুন : ইলাউস সুনান ১/৮৫; আসসিআয়াহ ১/১৩৯; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ১/২৯৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৩৬০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

যদি কেউ ওয়াকফিয়া মসজিদ অন্যত্র নিয়ে সে স্থানে মসজিদের অযুখানা,...

প্রশ্ন
যদি কেউ ওয়াকফিয়া মসজিদ অন্যত্র নিয়ে সে স্থানে মসজিদের অযুখানা, বাথরুম বা অন্য কিছু করার সংকল্প করে তাহলে এর হুকুম কী?
উত্তর
কোনো স্থানে একবার মসজিদ বানানো হলে তা সর্বদা মসজিদ হিসাবে বহাল রাখা জরুরি। ঐ জায়গা মসজিদ ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা জায়েয নয়। তাই পূর্ব থেকে মসজিদ আছে এমন স্থানে অযুখানা-বাথরুম বা অন্য কিছু করা জায়েয হবে না; বরং তা মসজিদ হিসাবেই সংরক্ষণ করতে হবে।
আলবাহরুর রায়েক ৫/১৫১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৫/৮৪৮; ফাতহুল কাদীর ৫/৪৪৬; রদ্দুল মুহতার ৪/৩৫৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫২৬১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমাদের এলাকার জনৈক মুরব্বী ওযুতে হাত কনুই থেকে ধোয়া শুরু...

প্রশ্ন
আমাদের এলাকার জনৈক মুরব্বী ওযুতে হাত কনুই থেকে ধোয়া শুরু করেন। তিনি বলেন, এভাবে ধোয়া সুন্নত। কিন্তু আমরা মক্তবে যেভাবে শিখেছি এতে তার কথা উল্টো মনে হয়। হাত ধোয়ার সুন্নত নিয়ম কি এমনই? সঠিক সমাধান জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
ঐ মুরব্বীর কথা ঠিক নয়। অযুতে হাত ধোয়ার সুন্নত নিয়ম হল, আঙ্গুলের অগ্রভাগ থেকে কনুইয়ের দিকে ধৌত করা। কনুই এর দিক থেকে ধোয়া শুরু করা সুন্নত নিয়ম নয়।
সহীহ বুখারী ১/২৮; সহীহ মুসলিম ১/১২; বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৪; ফাতহুল কাদীর ১/৩৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৯৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

বিনা অযুতে আযান দেওয়া কি অশুদ্ধ? আযানের জন্য অযু কি...

প্রশ্ন
বিনা অযুতে আযান দেওয়া কি অশুদ্ধ? আযানের জন্য অযু কি শর্ত?
উত্তর
আযানের জন্য অযু শর্ত নয়। অযু অবস্থায় আযান দেওয়া সুন্নত। বিভিন্ন হাদীসে অযু অবস্থায় আযান দেওয়ার প্রতি তাগিদ করা হয়েছে। তাই বিনা অযুতে আযান দেওয়া অনুত্তম। তবে আযান শুদ্ধ হয়ে যাবে।
সহীহ বুখারী ১/৮৮; জামে তিরমিযী ১/২৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ২/৩৩৬; ইলানউস সুনান ২/১৪২; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৯৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৭৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৯২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৯২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

খ) অনেক সময় ঘরে সুন্নত দু’ রাকাত পড়ি। এভাবে তাহিয়াতুল...

প্রশ্ন
খ) অনেক সময় ঘরে সুন্নত দু’ রাকাত পড়ি। এভাবে তাহিয়াতুল অযু দু’ রাকাত ঘরেই পড়ব কি না?
গ) সুন্নত পড়ে মসজিদে গিয়ে দু’ রাকাত তাহিয়াতুল মসজিদ পড়ব কি না? জামাতের সময় এখন ৮-১০ মিনিট বাকি আছে। নাকি বসে দুআ, দুরূদ পড়ব?
ঘ) মসজিদে ঢুকে যে দু’ রাকাত নামায পড়ার কথা বলা আছে ফজরের সময় তার হুকুম কী?
উত্তর
ফজরের সময় হওয়ার পর থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন- ফজরের সুন্নত ব্যতিত যে কোনো নফল নামায পড়া মাকরূহ। চাই তা ঘরে পড়া হোক কিংবা মসজিদে। অতএব ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পর তাহিয়াতুল অযু বা দুখুলুল মসজিদ পড়বে না। এ সময় তাসবীহ-তাহলীল, দরূদ শরীফ ইত্যাদি পড়বে।
পড়বে।-সুনানে আবু দাউদ ১/১৮১; হেদায়া (ফাতহুল কাদীর) ১/২৩৮; ফাতহুল কাদীর ১/২৪০; রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৮১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

অনেককে দেখা যায়, অযু শুরু করার পূর্বে প্রথমে পায়ে পানি...

প্রশ্ন
অনেককে দেখা যায়, অযু শুরু করার পূর্বে প্রথমে পায়ে পানি ঢেলে নেয়। এরপর অযু করে। বিশেষভাবে শীতকালে এমনটি অধিক দেখা যায়। এক্ষেত্রে যুক্তি হল, পা আগে ভিজিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে ধোয়ার সময় পায়ের প্রত্যেক স'ানে পানি পৌঁছানো সহজ হয়। আমার জানার বিষয় হল, এর দ্বারা অযুতে তারতীবের সুন্নত বিনষ্ট হবে কি না? তাছাড়া এটা ইসরাফের অন-র্ভুক্ত হবে কি না?
উত্তর
পায়ের শুষ্কতা, ফাটা ইত্যাদির কারণে অযুর সময় আগে পা ভিজিয়ে নেওয়া কিংবা পায়ে পানি ছিটিয়ে দেওয়া দোষনীয় নয়; বরং উত্তমরূপে পা ধোয়ার জন্য সহায়ক। তাই এতে ইসরাফ হবে না।আর যেহেতু অযুর নিয়তে তা করা হয় না; বরং পরবর্তীতে সাধারণ নিয়মে মাথা মাসেহ করার পর পা ধোয়া হয়ে থাকে তাই পূর্বে পা ভেজানোর কারণে অযুর ধারাবাহিকতাও নষ্ট হবে না।
না।-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯; হাশিয়া তহতাবী আলাদ্দুর ১/৭২; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৫৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৭৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমি কিছুদিন পূর্বে গুরুতর আহত হয়েছি। এতে হাতসহ বিভিন্ন জায়গা...

প্রশ্ন
আমি কিছুদিন পূর্বে গুরুতর আহত হয়েছি। এতে হাতসহ বিভিন্ন জায়গা যখম হয়েছে। হাতের যখম সব সময় ব্যান্ডেজ করা থাকে। তাই অযুর সময় ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করি। এক ঘন্টা পর পর ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করতে হয়। জানতে চাই, ব্যান্ডেজ খোলার কারণে কি অযু ভেঙ্গে যায়? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
যখম ভালো হওয়ার আগে ব্যান্ডেজ খুলে গেলে বা খোলা হলে অযু বা মাসাহ কিছুই নষ্ট হয় না। তবে এক্ষেত্রে ব্যান্ডেজ পরিবর্তনের পর পুনরায় মাসাহ করে নেওয়া উত্তম। হ্যাঁ, ক্ষত ভালো হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ খুলে গেলে বা খোলা হলে পূর্বের মাসাহ বাতিল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ক্ষতস'ান ধুয়ে নিলেই পূর্বের অযু বহাল বলে গণ্য হবে।
হবে।-আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৬১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৫১; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/৯১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২৮৬; হাশিয়া তহতাবী আলাদ্দুর ১/১৪৩; রদ্দুল মুহতার ১/২৭৯-২৮০; আলমাজমূ’ শরহুল মুহাযযাব ৪/৩২৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১৬৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমি অযু বা গোসল করে নামাযের প্রস'তি নিয়ে কোনো এক...

প্রশ্ন
আমি অযু বা গোসল করে নামাযের প্রস'তি নিয়ে কোনো এক নির্দিষ্ট নামাযের উদ্দেশ্যে মুছল্লায় বা মসজিদে যাই। কিন' অনেক সময় চিন-ামগ্নতা বশত ঠিক তাকবীরে তাহরীমার মুহূর্তে নতুন করে নিয়ত না করেই নামায শুরু করে দেই এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে নামায শেষ করি। এখন জানতে চাই, আমার এই নামাযের কী হুকুম? অর্থাৎ আগের নিয়তই এই নামাযের জন্য যথেষ্ট হবে কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নিয়ত ও তাকবীরে তাহরীমার মাঝে নামায পরিপন'ী কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে থাকলে পূর্বের নিয়তই যথেষ্ট। তবে এ ক্ষেত্রেও তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় পুনরায় নিয়ত করে নেওয়া উত্তম।
আলবাহরুর রায়েক ১/২৭৭; মাবসূত সারাখসী ১/১০; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৮১; আসসিয়াআহ ২/৯৮; ফাতহুল কাদীর ১/২৩১; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪১৬-৪১৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫১০৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

ক) গোসল ফরয হয়েছে এমন ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে গোসল করতে...

প্রশ্ন
ক) গোসল ফরয হয়েছে এমন ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে গোসল করতে অক্ষম। কিন্তু অযু করতে সক্ষম এবং তার নিকট পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিও রয়েছে। আমার প্রশ্ন হল, উক্ত অবস্থায় কি শুধু তায়াম্মুম করে নামায পড়লেই যথেষ্ট হবে নাকি তায়াম্মুমের সাথে অযুও করতে হবে?
খ) জনৈক ব্যক্তি ঘুম থেকে উঠে কাপড়ে ভিজা বা শক্ত শক্ত অনুভব করেছে। কিন্তু তার স্বপ্নের কথা স্মরণ নেই এবং এটা কি বীর্য না অন্য কিছু তাও বুঝতে পারছে না। আমার প্রশ্ন হল,উল্লেখিত অবস্থায় কি ঐ ব্যক্তির উপর গোসল করা ফরয?
উত্তর
ক) প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শুধু তায়াম্মুম করে নামায পড়বে, অযু করবে না। তায়াম্মুমের সাথে অযু করার বিধান নেই।
উল্লেখ্য, গোসলের জন্য তায়াম্মুম করার পরে ঐ ব্যক্তি থেকে অযু ভঙ্গের কোনো কারণ পাওয়া গেলে তখন অযু করা জরুরি। কেননা সে অযু করতে সক্ষম।-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৩৩, ৩৮; রদ্দুল মুহতার ১/২৫৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩০; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৩০; আলবাহরুর রায়েক ১/১৫২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৩৯৪
খ) ঘুম থেকে উঠে কাপড়ে ভিজা পেলে কিংবা বীর্যের আলামত পেলে স্বপ্নের কথা স্মরণ না হলেও গোসল করা ফরয। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির জন্য গোসল করা ফরয। হাদীস শরীফে এসেছে, আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ঘুম থেকে উঠার পর ভিজা অনুভব করে, কিন্তু তার স্বপ্নের কথা স্মরণ নেই তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, হ্যাঁ, তাকে গোসল করতে হবে। আর ঐ ব্যক্তি যার স্বপ্নের কথা স্মরণ আছে কিন্তু সে কাপড়ে বা শরীরে কোনো ভিজা পায়নি তার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, না, তার জন্য গোসল করা জরুরি নয়।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৩; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৪০; বাদায়েউস সানায়ে ১/১৪৮-১৪৯; মাবসূত, সারাখসী ১/৬৯; ফাতহুল কাদীর ১/৫৪; আলবাহরুর রায়েক ১/৫৫; আলমুহীতুল বুরহানী ১/২৩০-২৩১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০৮৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমাদের বাড়িতে বালতিতে পানি রাখা থাকে। সাধারণত আমি বালতি থেকে...

প্রশ্ন
আমাদের বাড়িতে বালতিতে পানি রাখা থাকে। সাধারণত আমি বালতি থেকে বদনা বা মগ দিয়ে পানি নিয়ে অযু করি। মাঝেমধ্যে তাড়াহুড়ার কারণে বা পাত্র না পাওয়ার কারণে বালতিতে ডান হাত (কব্জি পর্যন্ত) ডুবিয়ে পানি নিয়ে অযুর জন্য হাত ধুই। একদিন আমাকে এভাবে অযু করতে দেখে আমার এক আত্মীয় বললেন, পানিতে হাত ডুবানোর কারণে তো পানি মুস্তামাল ও ব্যবহৃত হয়ে গেল। সুতরাং সেই পানি দ্বারা তো আর অযু হবে না। প্রশ্ন হল, আমি এভাবে অযু করে যে নামাযগুলো আদায় করেছি সেগুলো দোহরাতে হবে কিনা। জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
পানি নেওয়ার জন্য কোনো পাত্রে হাত ঢুকালেই তা ব্যবহৃত হয়ে যায় না। তাই এক্ষেত্রে আপনার ঐ সকল অযু ও নামায সহীহ হয়েছে। অবশ্য এক্ষেত্রে প্রথমে ছোট কোনো পাত্র দিয়ে পানি নিয়ে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেওয়া ভালো।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১/২৮০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৫; রদ্দুল মুহতার ১/১১২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০৩৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমার এক সহপাঠী অযুতে চেহারা ধোয়ার সময় চোখ বন্ধ করে...

প্রশ্ন
আমার এক সহপাঠী অযুতে চেহারা ধোয়ার সময় চোখ বন্ধ করে ফেলে। আমি তাকে বললাম, চোখ বন্ধ রাখলে তো চোখের ভিতরে পানি প্রবেশ করে না। তাই আপনার অযু হবে না। সে বলল, চোখের ভিতরে পানি পৌঁছানো জরুরি নয়। সঠিক মাসআলা জানতে চাই।
উত্তর
অযু-গোসলে চোখের ভেতরের অংশ ধোয়ার হুকুম নেই। তবে চোখের পাতার উপরের সর্বত্র পানি পৌঁছানো জরুরি। তাই অযুর সময় চোখ বেশি এঁটে বন্ধ করবে না। কেননা, এতে পাতার ভাঁজে পানি না পৌঁছার আশঙ্কা থাকে।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৪; রদ্দুল মুহতার ১/৯৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০৩৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমার ছোট ছেলে ঘরের মেঝেতে প্রস্রাব করে। স্থানটি একটি ভেজা...

প্রশ্ন
আমার ছোট ছেলে ঘরের মেঝেতে প্রস্রাব করে। স্থানটি একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ভালো করে দুই বার মুছে নেয়ার পর ফ্যানের বাতাসে মেঝেটি শুকিয়ে যায়। এতে পেশাবের গন্ধও ছিল না। অতঃপর নামাযের জন্য অযু করার পর অসতর্কতাবশত পেশাবের স্থানটিতে ভেজা পা পড়ে যায়। এ অবস্থায় পা না ধুয়েই নামায পড়ে নিয়েছি। আমার নামায কি সহীহ হয়েছে? পা ধোয়া কি জরুরি ছিল?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার নামায সহীহ হয়েছে। ভেজা পায়ে ঐ জায়গায় চলাচলের দরুণ আপনার পা নাপাক হয়নি। কারণ মেঝেটি মোছার পর তা শুকিয়ে যাওয়া ও নাপাকীর প্রভাব নিঃশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার দ্বারা তা পাক হয়ে গেছে।
-মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা ১/৪৩১; নাসবুর রায়া ১/২৭৭; ইলাউস সুনান ১/৩৯৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০৩৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

শীতকালে অনেককে দেখা যায় অযুর পূর্বে প্রথমে পা ভিজিয়ে নেয়।...

প্রশ্ন
শীতকালে অনেককে দেখা যায় অযুর পূর্বে প্রথমে পা ভিজিয়ে নেয়। এটা কেমন?
উত্তর
শীতকালে শুষ্কতার কারণে চামড়ার ভাঁজে সহজে পানি পৌঁছে না। পা ভিজিয়ে নিলে ধোয়া সহজ হয়। তাই সতর্কতামূলক আগে পা ভিজিয়ে নেওয়া বা পানি ছিটিয়ে দেওয়া ভালো। এতে দোষের কিছু নেই।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯; ইলাউস সুনান ১/১৩৩; রদ্দুল মুহতার ১/১৩১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০২৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমাদের এলাকার জনৈক মুরববী অযুতে হাত কনুই থেকে ধোয়া শুরু...

প্রশ্ন
আমাদের এলাকার জনৈক মুরববী অযুতে হাত কনুই থেকে ধোয়া শুরু করেন। হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম কি? সঠিক মাসআলা জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
অযুতে হাত ধোয়ার সুন্নত নিয়ম হল, আঙ্গুলের দিক থেকে ধোয়া। কনুই এর দিক থেকে ধোয়া সুন্নত নিয়ম নয়।
-সহীহ বুখারী ১/২৮; বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০২৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমি একটি পাঞ্জাবি ধোয়ার জন্য বালতির পানিতে ভিজিয়ে রাখি। কিছুক্ষণ...

প্রশ্ন
আমি একটি পাঞ্জাবি ধোয়ার জন্য বালতির পানিতে ভিজিয়ে রাখি। কিছুক্ষণ পর বলতি থেকে উঠিয়ে তা ধুয়েই নিই। একটু পর আমার অনুপস্থিতিতে আমার এক সহপাঠি এসে বালতির ঐ পানি দ্বারা অযু করে নামায আদায় করে। জানার বিষয় হল, তার নামায কি আদায় হয়েছে? উল্লেখ্য, ঐ পাঞ্জাবিটা অপবিত্র ছিল না।
উত্তর
ব্যবহৃত পাক কাপড় পানিতে ভিজানোর দ্বারা ঐ পানি ব্যবহৃত পানির হুকুমে হয় না বা নাপাকও হয় না। তাই ঐ ব্যক্তির অযু হয়ে গেছে এবং ঐ অযু দ্বারা আদায়কৃত নামাযও সহীহ হয়েছে।
-সহীহ মুসলিম ১/৩৮৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৫০; উমদাতুল ফিকহ ১/২৪৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০২৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

অযুর পর কালেমায়ে শাহাদাত পড়া কী? এতে কি কোনো ফযীলত...

প্রশ্ন
অযুর পর কালেমায়ে শাহাদাত পড়া কী? এতে কি কোনো ফযীলত আছে? অনেককে আবার কালেমায়ে শাহাদাত পড়ার সময় আকাশের দিকে তাকাতে দেখা যায়। এটার হুকুমও জানতে চাই।
উত্তর
অযুর পর কালেমায়ে শাহাদাত পড়া মুস্তাহাব। রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-অর্থ : ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করার পর ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসূলুহু’ বলবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ মুসলিম ১/১২২)
অন্য এক বর্ণনায় কালেমায়ে শাহাদাত পড়ার সময় আকাশের দিকে তাকানোর কথাও আছে। তাই সম্ভব হলে এর উপর আমল করাও ভালো।
-সুনানে আবু দাউদ ১/২৩; মুসনাদে আহমদ ১/২৭৪; সুনানে তিরমিযী ১/১৮; মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা ১/২৩৬, ১৫/৪২৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০১৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

বাজারে যে নূরানী হাফেজী কুরআন মজীদ পাওয়া যায় তার উপরে...

প্রশ্ন
বাজারে যে নূরানী হাফেজী কুরআন মজীদ পাওয়া যায় তার উপরে প্লাস্টিকের কভার থাকে। বিনা অযুতে কি এই কভারের উপর দিয়ে কুরআন মজীদ স্পর্শ করা যাবে?
উত্তর
না, অযু ছাড়া এই কভারের উপর স্পর্শ করা যাবে না।
-রদ্দুল মুহতার ১/১৭৩-১৭৪; ইমদাদুল ফাত্তাহ পৃ. ১৪৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০১৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

শীতকালে আমার হাত-পা ফেটে যায়। তাই শীতকাল এলে হাত-পায়ে বেশি...

প্রশ্ন
শীতকালে আমার হাত-পা ফেটে যায়। তাই শীতকাল এলে হাত-পায়ে বেশি করে তেল বা লোশন মাখতে হয়। জানার বিষয় হল, অযু করার সময় যেহেতু পানি তেল লোশনের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাই এতে কি অযু শুদ্ধ হবে?
উত্তর
হ্যাঁ, তেল বা লোশন ব্যবহারের পর তৈলাক্ত অঙ্গসমূহে স্বাভাবিকভাবে পানি পৌঁছালেই অযু হয়ে যাবে। তৈলাক্ততা দূর করে পানি পৌঁছানো জরুরি নয়।
-আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫৪; ইমদাদুল ফাত্তাহ পৃ. ৭০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫০০৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: অজু

আমার বন্ধু খালেদ অযু করে বাসে আরোহন করে সায়েদাবাদের উদ্দেশ্যে।...

প্রশ্ন
আমার বন্ধু খালেদ অযু করে বাসে আরোহন করে সায়েদাবাদের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ পর ঝিমুনি আসলে সে সিটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। প্রায় দশ মিনিট ঘুমানোর পর জাগ্রত হয় এবং একটু পরই গন্তব্যস্থলে নেমে মাগরিবের নামায পূর্বের অযুতেই আদায় করে। তার নামায কি সহীহ হয়েছে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সিটে বসে ঘুমানো অবস্থায় লোকটির কোমরের নিচের অংশ সিটের সাথে ভালোভাবে এঁটে লেগে থাকলে তার অযু নষ্ট হয়নি বলে ধরা হবে। এক্ষেত্রে ঐ অযু দিয়ে মাগরিবের নামায আদায় করা সহীহ হয়েছে। তবে এধরনের ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পুনরায় অযু করে নেওয়া ভালো। আর যদি ঘুমন্ত অবস্থায় সিট থেকে কোমরের নীচের অংশ পৃথক হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে অযু নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধরা হবে। এক্ষেত্রে ঐ নামায পুনরায় পড়ে নিতে হবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/১৩৫; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৪১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৪৯৭৭
তারিখ: ১৬/৯/২০১৭
বিষয়: অজু

নামাযে পেশাবের ফোঁটা নির্গত হয়েছে বলে মনে হলে করনীয় ৷

প্রশ্ন
নামাযে পেশাবের ফোঁটা নির্গত হয়েছে বলে মনে হলে করনীয় কি? এমতাবস্থায় নামায কি বাতিল হয়ে যাবে?
উত্তর
নামাযে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় পেশাবের ফোঁটা নির্গত হলে অযু নষ্ট হয়ে যাবে ৷ আর অযু নষ্ট হলে নামাযও নষ্ট হয়ে যায় । এমতাবস্থায় নতুনকরে অযু করে নামায পড়তে হবে। তবে শুধু সন্দেহের উপর ভিত্তি করে নামায ছাড়া যাবে না। পেশাবের ফোঁটা বের হয়েছে বলে নিশ্চিত হলেই কেবল অযু নষ্ট হবে৷
-শরহুল মুনইয়া ১২৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৩৪; আলবাহরুর রায়েক ১/৩১৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতী: জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷

উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ