সুন্নাহর পদ্দতিতে খাবারের আদব!

সুন্নাহর পদ্ধতিতে খাবার এর আদব!
.
▣ উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া। (আবু দাউদ ৩৭৬১)
.
▣ দস্তরখানা বিছিয়ে খানা খাওয়া। (বুখারী ৫৩৮৬)
.
▣ (উঁচু স্বরে) বিসমিল্লাহ পড়া। (বুখারী ৫৩৭৬)
.
▣ ডান হাত দিয়ে খাওয়া। (বুখারী ৫৩৭৬)
.
▣ খানার মজলিসে বয়সের দিক দিয়ে যিনি বড় এবং বয়স্ক, তাঁর দ্বারা খানা শুরু করানো। (মুসলিম ২০১৭)
.
▣ খাদ্য এক ধরনের হলে নিজের সম্মুখ হতে খাওয়া। (বুখারী ৫৩৭৬)
.
▣ খাদ্যের কোন অংশ পড়ে গেলে উঠিয়ে (প্রয়োজনে পরিষ্কার করে) খাওয়া। (মুসলিম ২০৩৩)
.
▣ হেলান দিয়ে বসে না খাওয়া। (বুখারী ৫৩৯৮)
.
▣ খাদ্যের ত্রুটি বের না করা। (বুখারী ৫৪০৯)
.
▣ জুতা পরিহিত থাকলে জুতা খুলে খানা খাওয়া। (মুস্তাদরাকে হাকেম ৭১২৯)
.
▣ খানার সময় তিনভাবে বসা যায়।
ক. উভয় হাঁটু উঠিয়ে এবং পদ যুগলে ভর করে। (মুসলিম-২০৪৪)
খ. এক হাঁটু উঠিয়ে এবং অপর হাঁটু বিছিয়ে। (শরহুস্ সুন্নাহ-৩৫৭৭)
গ. উভয় হাঁটু বিছিয়ে অর্থাত নামাযে বসার ন্যায় বসে সামান্য সম্মুখ পানে ঝুঁকে আহার করা। (আবু দাউদ ৩৭৭৩)
.
▣ আহার গ্রহণ শেষে খানার পাত্রসমূহ আঙ্গুল দ্বারা ভালভাবে চেটে পরিস্কার করে খাওয়া। এতে খাবারের পাত্রসমূহ আহারকারীর জন্য মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে দু‘আকরে। হাতের আঙ্গুলসমূহ যথাক্রমে মধ্যমা, শাহাদাত, বৃদ্ধা চেটে খাওয়া। (মুসলিম-২০৩৩, তিরমিযী-১৮০৪, তাবরানী আউসাত-১৬৪৯)
.
▣ খানা শেষে এই দু‘আ পড়া (অন্তত "আলহামদুলিল্লাহ" বলা)
” ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻯ ﺍﻃﻌﻤﻨﺎ ﻭﺳﻘﺎﻧﺎ ﻭﺟﻌﻠﻨﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ “
.
▣ খানা শেষে আগে দস্তরখানা উঠিয়ে তারপর নিজে উঠা। (ইবনে মাজাহ-৩২৯৫)
.
▣ দস্তরখানা ও অবশিষ্ট খানা উঠানোর সময় এই দু‘আ পড়াঃ
” ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺣﻤﺪﺍ ﻛﺜﻴﺮﺍ ﻃﻴﺒﺎ ﻣﺒﺎﺭﻛﺎ ﻓﻴﻪ ﻏﻴﺮ ﻣﻜﻔﻰ ﻭﻻ ﻣﻮﺩﻉ ﻭﻻ ﻣﺴﺘﻐﻨﻰ ﻋﻨﻪ ﺭﺑﻨﺎ “
(বুখারী-৫৪৫৮)
.
▣ খানা খেয়ে উভয় হাত ধোয়া। (তিরমিযী ১৪৬৪)
.
▣ কুলি করে মুখ পরিষ্কার করা। (বুখারী-৫৪৫৫)
.
▣ খানার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে ভুলে গেলে স্মরণ হওয়ার পর খানার মাঝে এই দু‘আ পড়াঃ “ ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻭﻟﻪ ﻭﺍﺧﺮﻩ ”
(আবু দাউদ-৩৭৬৭)
.
▣ কারো মেহমান হয়ে খানা খেলে প্রথমে আল্লাহর শুকর আদায়ে ১৩নং এ বর্ণিত দু‘আ পড়ার পর মেযবানের শুকরিয়া আদায়ে এই দু‘আ পড়াঃ
” ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻃﻌﻢ ﻣﻦ ﺍﻃﻌﻨﻰ ﻭﺍﺳﻖ ﻣﻦ ﺳﻘﺎﻧﻰ “
(মুসলিম-২০৫৫)
হাদীসে মেযবানকে শুনিয়ে এ দু‘আটি পড়তেও উতসাহিত করা হয়েছে :
ﺍﻛﻞ ﻃﻌﺎﻣﻜﻢ ﺍﻻﺑﺮﺍﺭ ﻭﺻﻠﺖ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻭﺍﻓﻄﺮ ﻋﻨﺪﻛﻢ ﺍﻟﺼﺎﺋﻤﻮﻥ ( আবু দাউদ-৩৮৫৪)
.
▣ খানা খাওয়ার সময় একেবারে চুপ থাকা মাকরূহ। এজন্য খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে পরস্পরে ভাল কথা আলোচনা করা। কিন্তু যে ধরনের কথা বা সংবাদে দুশ্চিন্তা বা ঘৃণার উদ্রেক হতে পারে, তা খানার সময় বলা অনুচিত। (বুখারী-৫৩৭৬)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ