ফতোয়া নং: ৬৩১৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমার আত্মীয়স্বজনের সংখ্যা অনেক বেশি। কিছুদিন পর আমার ছেলের আকীকা।...
প্রশ্ন
আমার আত্মীয়স্বজনের সংখ্যা অনেক
বেশি। কিছুদিন পর আমার ছেলের আকীকা। আমি কি তিন বা ততোধিক ছাগল দ্বারা তার
আকীকা করতে পারব? এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান কী? জানানোর অনুরোধ রইল।
উত্তর
হাদীস শরীফে ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে
দুইটি ছাগল দ্বারা আকীকা করার কথা এসেছে। হযরত উম্মে কুরয রা. রাসূলুলাহ
সালালাহু আলাইহি ওয়াসালামকে আকীকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে
বলেন, ছেলের জন্য দুটি ছাগল আর মেয়ের জন্য একটি ছাগল (দ্বারা আকীকা করবে)।
(জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৫১৫; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৬৭১৩; সুনানে আবু
দাউদ, হাদীস : ২৮৩৬; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৭৬৬৫)
উক্ত হাদীসের নির্দেশনা মোতাবেক ছেলের জন্য দুটি ছাগল দ্বারাই আকীকা করা নিয়ম। তাই আকীকার নিয়তে তিন বা ততোধিক ছাগল যবাই না করাই বাঞ্ছনীয়। উল্লেখ্য, আকীকার মুস্তাহাব আদায়ের জন্য দাওয়াতের আয়োজন জরুরি নয়।
-ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৬২২
উক্ত হাদীসের নির্দেশনা মোতাবেক ছেলের জন্য দুটি ছাগল দ্বারাই আকীকা করা নিয়ম। তাই আকীকার নিয়তে তিন বা ততোধিক ছাগল যবাই না করাই বাঞ্ছনীয়। উল্লেখ্য, আকীকার মুস্তাহাব আদায়ের জন্য দাওয়াতের আয়োজন জরুরি নয়।
-ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৬২২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬৩১৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
একজন আলেমকে বলতে শুনেছি যে, কেউ যদি হারাম খাদ্য খাওয়ার...
প্রশ্ন
একজন আলেমকে বলতে শুনেছি যে, কেউ
যদি হারাম খাদ্য খাওয়ার সময় আলাহ তাআলার নামের সাথে উপহাস করার জন্য
বিসমিল্লাহ বলে তবে সে কাফের হয়ে যাবে। তবে কারো যদি উপহাস উদ্দেশ্য না
হয় তবে সে কাফের হবে না।
কিন্তু দুটি ইসলামী পত্রিকায় এর বিপরীত বক্তব্য দেখলাম। সেখানে বলা হয়েছে, ‘হারাম খাদ্য খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বললেই কাফের হয়ে যাবে। স্বয়ং এ কাজটিই এক ধরনের উপহাস। তাই তার নিয়ত কী ছিল তা ধর্তব্য হবে না।
এ বিষয়ে সঠিক সমাধান জানিয়ে কৃতার্থ করবেন।
কিন্তু দুটি ইসলামী পত্রিকায় এর বিপরীত বক্তব্য দেখলাম। সেখানে বলা হয়েছে, ‘হারাম খাদ্য খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বললেই কাফের হয়ে যাবে। স্বয়ং এ কাজটিই এক ধরনের উপহাস। তাই তার নিয়ত কী ছিল তা ধর্তব্য হবে না।
এ বিষয়ে সঠিক সমাধান জানিয়ে কৃতার্থ করবেন।
উত্তর
প্রশ্নে বর্ণিত আলেমের বক্তব্যই
সঠিক। পত্রিকা দুটির এ সম্পর্কিত বক্তব্য সঠিক নয়। নিশ্চিতভাবে হারাম জানা
সত্ত্বেও কোনো হারাম খাদ্য (যা হারাম হওয়ার বিষয়টি অকাট্য ও সকলেরই
জানা) বিসমিলাহ বলে খাওয়া মারাত্মক গুনাহ ও কুফরি কাজ। তবে উপহাস বা
ঠাট্টা উদ্দেশ্য না হলে এ কারণে কাউকে কাফের বলা যাবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে
লোকটি মারাত্মক গুনাহগার ও ফাসেক বলে গণ্য হবে।
আর উপহাস বা ঠাট্টার উদ্দেশ্যে কেউ এরূপ করলে সে কাফের হয়ে যাবে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত হারাম বস্ত্তর উপর কেউ উপহাস বা ঠাট্টার সাথে বিসমিলাহ বলেছে এটা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে কাফের বলা যাবে না।
-হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ২/৪৭৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৭/৩২৫; আলবাহরুর রায়েক ৫/১২৪
আর উপহাস বা ঠাট্টার উদ্দেশ্যে কেউ এরূপ করলে সে কাফের হয়ে যাবে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত হারাম বস্ত্তর উপর কেউ উপহাস বা ঠাট্টার সাথে বিসমিলাহ বলেছে এটা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে কাফের বলা যাবে না।
-হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ২/৪৭৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৭/৩২৫; আলবাহরুর রায়েক ৫/১২৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬২৯২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কয়েকজন শ্রমিককে ধান কাটার জন্য বাড়িতে...
প্রশ্ন
আমি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের
বিনিময়ে কয়েকজন শ্রমিককে ধান কাটার জন্য বাড়িতে নিয়ে আসি। কিন্তু
বাড়িতে পৌঁছার পরই বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে থাকে। এ
কারণে তারা কোনো কাজই করতে পারেনি। প্রশ্ন হল, তাদেরকে এ অবস্থায়
পারিশ্রমিক দেওয়া আমার উপর জরুরি কি না? জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শ্রমিকরা
যেহেতু বৃষ্টির কারণে কোনো কাজই করতে পারেনি তাই তারা কোনো পারিশ্রমিক পাবে
না। তাদেরকে পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু দেওয়া জরুরি নয়।
-তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/১৪৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৬৯; আলবাহরুর রায়েক ৮/২৯; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ২/৪৮৭
-তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/১৪৩; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৬৯; আলবাহরুর রায়েক ৮/২৯; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ২/৪৮৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬২৬৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
একদিন আমার বোনের মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে তার...
প্রশ্ন
একদিন আমার বোনের মেয়ে গুরুতর
অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে তার রক্তের প্রয়োজন দেখা দেয়। ঘটনাক্রমে তার
রক্তের গ্রুপের সাথে আমার রক্তের গ্রুপও মিলে যায়। আমি রক্ত দেওয়ার জন্য
প্রস্ত্তত হয়ে যাই। কিন্তু আমার বোনের সাথে আমার মায়ের ব্যক্তিগত বৈরিতা
থাকায় তিনি আমাকে রক্ত দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু জীবন বাঁচানোর তাকিদে
মায়ের কথা উপেক্ষা করে রক্ত দিতে যাই। এখন প্রশ্ন হল, আমার এ কাজটি কি
ভালো হয়েছে, নাকি মায়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কারণে আমি গুনাহগার হব।
উত্তর
এ কারণে আপনি গুনাহগার হবেন না।
বোনের এই প্রয়োজনের মুহূর্তে ভাই হিসেবে সহযোগিতা করা আপনার দায়িত্ব ছিল।
এমন ক্ষেত্রে তার সাহায্য করতে বাধা দেওয়া মায়ের জন্যও ঠিক নয়। তাই
আপনি রক্ত দিয়ে ঠিকই করেছেন।
অবশ্য আপনার মায়ের নিষেধাজ্ঞার প্রতি খেয়াল রেখে আপনি নিজে রক্ত না দিয়ে অন্যের থেকেও ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে পারতেন।
-ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকীন ৬/৩২১; ফযলুল্লাহিস সামাদ ১/৫১
অবশ্য আপনার মায়ের নিষেধাজ্ঞার প্রতি খেয়াল রেখে আপনি নিজে রক্ত না দিয়ে অন্যের থেকেও ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে পারতেন।
-ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকীন ৬/৩২১; ফযলুল্লাহিস সামাদ ১/৫১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬২৪৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
এক ব্যক্তি ভুলে তাওয়াফে বিদা করেনি। তাওয়াফে যিয়ারতের পর অন্য...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি ভুলে তাওয়াফে বিদা
করেনি। তাওয়াফে যিয়ারতের পর অন্য কোনো তাওয়াফও করেনি। দেশে আসার পর এ
ভুল ধরা পড়েছে। এখন তার করণীয় কি? তাকে কি দম দিতে হবে?
উত্তর
হ্যাঁ, কোনো ওজর ছাড়া তাওয়াফে
বিদা ছেড়ে দিলে দম ওয়াজিব হয়। অতএব প্রশ্নোক্ত ব্যক্তিকে এ ভুলের জন্য
হেরেমের এলাকায় একটি ছাগল বা দুম্বা যবাই করতে হবে। সেখানে কারো মাধ্যমে
যবাই করালেও চলবে।
-বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৩৪; আলবাহরুর রায়েক ৩/২১; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৩৫০
-বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৩৪; আলবাহরুর রায়েক ৩/২১; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৩৫০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬২৪৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
নাবালেগ ছেলের হাত পায়ে মেহেদি ব্যবহার করার হুকুম কি? জানালে...
প্রশ্ন
নাবালেগ ছেলের হাত পায়ে মেহেদি ব্যবহার করার হুকুম কি? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
পুরুষের হাত পায়ে মেহেদি লাগানো নাজায়েয। এমনিভাবে নাবালেগ ছেলের হাত পায়ে মেহেদি লাগানোও নিষেধ।
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৩; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৮৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/১০৯
-খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৩; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৮৩; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/১০৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬২৩৮
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
এক ব্যক্তি থেকে শুনলাম যে, কোনো ব্যক্তির যখন হাই আসে...
প্রশ্ন
এক ব্যক্তি থেকে শুনলাম যে, কোনো
ব্যক্তির যখন হাই আসে সে সময় মুখে হাত না দিলে মুখের ভিতরে শয়তান প্রবেশ
করে এবং মুখের ভিতরে সে হাসতে থাকে। কথাটি কতটুকু সত্য?
এ সম্পর্কে হাদীসে কিছু থাকলে জানালে কৃতজ্ঞ হব।
এ সম্পর্কে হাদীসে কিছু থাকলে জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত কথা সঠিক। এটি হাদীস শরীফেরই ভাষ্য।
আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন মুখে হাত রাখে। কেননা, (এ সময়) শয়তান মুখে প্রবেশ করে। (আল আদাবুল মুফরাদ ৯৫৯)
সহীহ বুখারীতে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা হাঁচি পছন্দ করেন, হাই তোলা অপছন্দ করেন। কেননা হাই শয়তান থেকে আসে। সুতরাং তোমাদের কারো যদি হাই আসে সে যেন যথাসাধ্য তা দমন করার চেষ্টা করে। কেননা হাই তোলার কারণে শয়তান হাসতে থাকে। (সহীহ বুখারী ২/৯১৯)
সহীহ ইবনে হিববানের একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কারো যদি হাই আসে সে যেন যথাসাধ্য মুখ বন্ধ রাখে অথবা মুখের উপর হাত রাখে। কেননা কোনো ব্যক্তি যখন হাই তোলে এবং আহ বলে তখন শয়তান তার মুখের ভেতর হাসতে থাকে।
-সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ২৩৫৬; জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৭৪৬
আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন মুখে হাত রাখে। কেননা, (এ সময়) শয়তান মুখে প্রবেশ করে। (আল আদাবুল মুফরাদ ৯৫৯)
সহীহ বুখারীতে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা হাঁচি পছন্দ করেন, হাই তোলা অপছন্দ করেন। কেননা হাই শয়তান থেকে আসে। সুতরাং তোমাদের কারো যদি হাই আসে সে যেন যথাসাধ্য তা দমন করার চেষ্টা করে। কেননা হাই তোলার কারণে শয়তান হাসতে থাকে। (সহীহ বুখারী ২/৯১৯)
সহীহ ইবনে হিববানের একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কারো যদি হাই আসে সে যেন যথাসাধ্য মুখ বন্ধ রাখে অথবা মুখের উপর হাত রাখে। কেননা কোনো ব্যক্তি যখন হাই তোলে এবং আহ বলে তখন শয়তান তার মুখের ভেতর হাসতে থাকে।
-সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ২৩৫৬; জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৭৪৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৯৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
হজ্বের মধ্যে কোনো ত্রুটির কারণে দম ওয়াজিব হলে তা কি...
প্রশ্ন
হজ্বের মধ্যে কোনো ত্রুটির কারণে দম
ওয়াজিব হলে তা কি হেরেমের ভিতরেই জবাই করতে হবে? নাকি দেশে ফিরে জবাই
করলেও চলবে? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
হজ্বের সকল প্রকার দম হেরেমের
ভিতরেই জবাই করা জরুরি। হেরেমের বাইরে দমের নিয়তে জবাই করলে তা আদায় হবে
না। তাই দম আদায় না করে দেশে এসে গেলে কারো মাধ্যমে দমের পশু হেরেমের
মধ্যেই জবাই করাতে হবে।
-তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৪৩৪; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৭৪; আলবাহরুর রায়েক ৩/১৪; ফাতহুল কাদীর ২/৪৫২; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৮
-তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৪৩৪; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৭৪; আলবাহরুর রায়েক ৩/১৪; ফাতহুল কাদীর ২/৪৫২; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৬০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমি ফরয গোসলে মাঝে মাঝে কুলি করতে ও নাকে পানি...
প্রশ্ন
আমি ফরয গোসলে মাঝে মাঝে কুলি করতে ও
নাকে পানি দিতে ভুলে যাই। এক্ষেত্রে পরবর্তীতে আমর করণীয় কি? পুনরায় কি
গোসল করতে হবে, নাকি কুলি করে নিলে ও নাকে পানি দিলেই চলবে?
উত্তর
ফরয গোসলে কুলি করতে বা নাকে পানি
দিতে ভুলে গেলে স্মরণ হওয়ার পর নাকে পানি দিলে বা কুলি করে নিলেই চলবে,
নতুন করে গোসল করতে হবে না। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর সূত্রে বর্ণিত এক
হাদীসে এসেছে, এক ব্যক্তি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
নিকট এসে জিজ্ঞাসা করল যে, এক ব্যক্তি ফরয গোসল করেছে, কিন্তু তার কোনো
একটি অঙ্গে পানি পৌঁছেনি। (এখন তার করণীয় কি?) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে ঐ অঙ্গটি ধুয়ে নিয়ে নাযায পড়বে।
-আলমুজামুল কাবীর, তবারানী ১০/২৩১; মাজমাউয যাওয়াইদ ১/৬০৯; শরহুল মুনইয়া ৫০
-আলমুজামুল কাবীর, তবারানী ১০/২৩১; মাজমাউয যাওয়াইদ ১/৬০৯; শরহুল মুনইয়া ৫০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৫৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
ডিম কেনার পর ভাঙ্গলে অনেক সময় পঁচা বের হয়, যা...
প্রশ্ন
ডিম কেনার পর ভাঙ্গলে অনেক সময়
পঁচা বের হয়, যা খাওয়ার উপযুক্ত নয়। অনেক দোকানদার তা পরিবর্তন করে দেয়
আর কেউ কেউ দিতে চায় না। জানতে চাই, এ ধরনের ডিম পরিবর্তন করতে পারব কি
না? আর দোকানদারের জন্য তা পরিবর্তন করে দেওয়া জরুরি কি না?
উত্তর
ডিম ক্রয় করে তা ভাঙ্গার পর যদি
একেবারে নষ্ট ও পঁচা পাওয়া যায় তাহলে তা দোকানদারকে দেখিয়ে মূল্য ফেরত
নিতে পারবেন। কিংবা অন্য ডিম আনতে পারবেন। এক্ষেত্রে দোকানদার ডিম পাল্টে
না দিলে তার জন্য এর মূল্য ভোগ করা বৈধ হবে না। তবে ক্রেতার হাতে আসার পর
রেখে দেওয়ার কারণে নষ্ট হলে তা ফেরত দেওয়া বৈধ হবে না।
-আলমুহীতুল বুরহানী ১০/১২১; রদ্দুল মুহতার ৫/২৫; ফাতহুল কাদীর ৬/১৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৯/১৬৬
-আলমুহীতুল বুরহানী ১০/১২১; রদ্দুল মুহতার ৫/২৫; ফাতহুল কাদীর ৬/১৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৯/১৬৬
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৫২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
বিবাহের সময় ফাতেমা রা.-এর বয়স কত ছিল?
প্রশ্ন
বিবাহের সময় ফাতেমা রা.-এর বয়স কত ছিল?
উত্তর
বিবাহের সময় হযরত ফাতেমা রা.-এর
বয়স কত ছিল এ ব্যাপারে একাধিক মত রয়েছে। তবে অধিকাংশের মত হল, ঐ সময় তার
বয়স ছিল প্রায় সাড়ে পনেরো বছর।
আলইস্তিয়াব, তাহযীবুল কামাল ২২/৩৮৬; তাহযীবুত তাহযীব ইত্যাদি গ্রন্থে এ মতটিই উল্লেখ করা হয়েছে।
আলইস্তিয়াব, তাহযীবুল কামাল ২২/৩৮৬; তাহযীবুত তাহযীব ইত্যাদি গ্রন্থে এ মতটিই উল্লেখ করা হয়েছে।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬১৪২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
অনেককেই বলতে শুনি, বিদায়ের সময় মুসাফাহা করা ঠিক নয়। কেননা...
প্রশ্ন
অনেককেই বলতে শুনি, বিদায়ের সময় মুসাফাহা করা ঠিক নয়। কেননা তা প্রমাণিত নয়। কথাটি কতটুকু সত্য? দলিলপ্রমাণসহ জানতে চাই।
উত্তর
কথাটি ঠিক নয়। বিদায়ের সময়
মুসাফাহা করা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। কাযাআ রাহ. বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে
ওমর রা. এর নিকট ছিলাম। যখন সেখান থেকে ফিরে আসবো তখন তিনি আমাকে বললেন,
থামো, আমি তোমাকে এভাবে বিদায় দিবো যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিদায় দিয়েছেন। তখন তিনি আমার হাত ধরে মুসাফাহা
করলেন এরপর বললেন,
أًسْتَوْدِعُ اللهَ دِيْنَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِمَ عَمَلِكَ
(আসসুনানুল কুবরা, নাসায়ী, হাদীস : ১০৩৪৭)
আর হাকীমুল উম্মত থানভী রাহ. এর প্রমাণ হিসেবে নিম্নোক্ত হাদীসটিও উল্লেখ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাউকে বিদায় দিতেন তখন তার হাত ধরতেন। অতপর ঐ ব্যক্তি হাত টেনে না নেওয়া পর্যন্ত তিনি তার হাত ছাড়তেন না।
(জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৪৪২) মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৮৪, হাদীস : ১৭০৯২; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/৪৫১
أًسْتَوْدِعُ اللهَ دِيْنَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِمَ عَمَلِكَ
(আসসুনানুল কুবরা, নাসায়ী, হাদীস : ১০৩৪৭)
আর হাকীমুল উম্মত থানভী রাহ. এর প্রমাণ হিসেবে নিম্নোক্ত হাদীসটিও উল্লেখ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাউকে বিদায় দিতেন তখন তার হাত ধরতেন। অতপর ঐ ব্যক্তি হাত টেনে না নেওয়া পর্যন্ত তিনি তার হাত ছাড়তেন না।
(জামে তিরমিযী, হাদীস : ৩৪৪২) মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৮৪, হাদীস : ১৭০৯২; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/৪৫১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬০৮৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
ঈদের প্রথম খুতবার শুরুতে লাগাতার ৯ বার এবং দ্বিতীয় খুতবার...
প্রশ্ন
ঈদের প্রথম খুতবার শুরুতে লাগাতার ৯
বার এবং দ্বিতীয় খুতবার শুরুতে সাতবার এবং খুতবার শেষে ১৪ বার তাকবীর
বলার হুকুম কী? হাদীস-আসারে এর কোনো প্রমাণ আছে কি? আর এক্ষেত্রে শুধু
আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার বলবে, না পূর্ণ তকবীরে তাশরীকই পড়বে?
দলিল-প্রমাণসহ বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর
ঈদের প্রথম খুতবা শুরু করার আগে
শুরুতে আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার এভাবে লাগাতার নয় বার তাকবীর বলা এবং
দ্বিতীয় খুতবার শুরু করার আগে সাতবার তাকবীর বলা
মুস্তাহাব। উবাইদুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উতবাহ রাহ. ও ইসমাঈল ইবনে উমাইয়া রাহ. থেকে এটি বর্ণিত আছে। (আলআওসাত ৪/৩২৮; কিতাবুল উম ১/২৭৩)
দ্বিতীয় খুতবার শেষে ১৪ বার তাকবীর বলার কথা হাদীস-আসারে পাওয়া যায়নি। (এলাউস সুনান ৮/১৬১)
-আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৩/২৭৭; মাজমূ ৫/২৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫০; এলাউস সুনান ৮/১৬১
মুস্তাহাব। উবাইদুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উতবাহ রাহ. ও ইসমাঈল ইবনে উমাইয়া রাহ. থেকে এটি বর্ণিত আছে। (আলআওসাত ৪/৩২৮; কিতাবুল উম ১/২৭৩)
দ্বিতীয় খুতবার শেষে ১৪ বার তাকবীর বলার কথা হাদীস-আসারে পাওয়া যায়নি। (এলাউস সুনান ৮/১৬১)
-আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৩/২৭৭; মাজমূ ৫/২৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫০; এলাউস সুনান ৮/১৬১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬০৭৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
পুরুষের কণ্ঠে গাওয়া কোনো হামদ, নাত, কেরাত, ওয়াজ মহিলাদের জন্য...
প্রশ্ন
পুরুষের কণ্ঠে গাওয়া কোনো হামদ, নাত, কেরাত, ওয়াজ মহিলাদের জন্য শোনার শরয়ী বিধান কী?
জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তর
পর্দার আড়ালে থেকে শুনতে পারবে।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬০৭৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমার পিতা তিন মাস ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। সে সময় তার...
প্রশ্ন
আমার পিতা তিন মাস ক্যান্সারে
আক্রান্ত ছিলেন। সে সময় তার ব্যবহারের মোটর সাইকেলটি তার দীর্ঘদিনের
সহকর্মী ফয়সাল চাচার জন্য অসিয়ত করেছিলেন। ইতিমধ্যে ফয়সাল চাচা হঠাৎ
সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এর সপ্তাহ দুয়েক পর আমার পিতাও ইন্তিকাল করেন।
এখন ফয়সাল চাচার ছেলেরা সেই মোটর সাইকেলটি দাবি করছে। কিন্তু আমার বড় ভাই
বলছেন, আববা যেহেতু সেটা ফয়সাল চাচার জন্য অসিয়ত করেছিলেন, তার ছেলেদের
জন্য নয়, আর ফয়সাল চাচা তো বাবার আগেই মারা গেছেন, তাই তার ছেলে তা পাবে
না।
প্রশ্ন হল, এখন আমাদের করণীয় কী? দয়া করে জানাবেন।
প্রশ্ন হল, এখন আমাদের করণীয় কী? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর
আপনার বড় ভাই ঠিকই বলেছেন। ফয়সাল
সাহেবের ছেলেরা মোটর সাইকেলটি পাবে না। কেননা যার জন্য অসিয়ত করা হয়েছে
সে যদি অvাসয়তকারীর আগে মারা যায় তাহলে অসিয়ত বাতিল হয়ে যায়। অতএব
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার পিতার পূর্বে ফয়সাল সাহেব মারা যাওয়ার কারণে
আপনার পিতার ঐ অসিয়তটি বাতিল হয়ে গেছে। সুতরাং ফয়সাল সাহেবের ছেলেদের
জন্য তা দাবি করা বৈধ নয়।
-আলবাহরুর রায়েক ৮/৪৫৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/৪১৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৬৯৩; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৫; হেদায়া ৪/৬৮৪
-আলবাহরুর রায়েক ৮/৪৫৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/৪১৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৬৯৩; বাদায়েউস সানায়ে ৬/৫১৫; হেদায়া ৪/৬৮৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬০৭৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
বর্তমানে অনেক হোটেলে খাওয়ার পর হাত মোছার জন্য পেপারের টুকরা...
প্রশ্ন
বর্তমানে অনেক হোটেলে খাওয়ার পর হাত মোছার জন্য পেপারের টুকরা দেওয়া হয়। এর দ্বারা হাত মোছা যাবে কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
পেপারের টুকরো বা কাগজ সম্মানিত
বস্ত্ত। ইলমের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। হাত মোছার কাজে তা ব্যবহার করা অনুচিত।
অবশ্য টিস্যু পেপার যা মূলত এই ধরনের উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে তা দ্বারা
হাত মোছা যাবে।
-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/১২৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/২৮৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩২২
-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/১২৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/২৮৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩২২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬০৭১
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমাদের বাড়ি নদীর পাড়ে। নদী ভাঙ্গনের সময় বড় গাছের গুড়ি,...
প্রশ্ন
আমাদের বাড়ি নদীর পাড়ে। নদী
ভাঙ্গনের সময় বড় গাছের গুড়ি, ডালপালা ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে ভেসে আসে।
এগুলির কোনো দাবিদার থাকে না। আমরা এগুলো তুলে নিয়ে ব্যবহার করি, লাকড়ি
বানিয়ে বিক্রি করি। এটা কি শরীয়তসম্মত?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ভেসে আসা
গাছের গুঁড়ি, ডালপালা ইত্যাদি যদি বাস্তবেই এত কম মূল্যের হয় যে, মালিক
তা খোঁজবে না, তাহলে যে পাবে সে তা ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু তা যদি এমন
মূল্যমানের হয়, যা সাধারণত ফেলে দেওয়া হয় না তাহলে এগুলোর মালিক জানা
থাকলে তাকে ফেরত দিতে হবে। আর মালিক পাওয়া না গেলে মালিকের পক্ষ থেকে কোনো
গরিবকে সদকা করে দিতে হবে। আর যে পেয়েছে সে গরিব হলে নিজেও ব্যবহার করতে
পারবে।
-সহীহ বুখারী, হাদীস : ২৪৩১; ফাতহুল বারী ৫/১০৩-১০৪; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৫৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৭/৪১৬; রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৯
-সহীহ বুখারী, হাদীস : ২৪৩১; ফাতহুল বারী ৫/১০৩-১০৪; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৫৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৭/৪১৬; রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৯
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৬০৩৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমি যোহরের প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পূর্ণ করার আগে ইমাম সাহেব...
প্রশ্ন
আমি যোহরের প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ
পূর্ণ করার আগে ইমাম সাহেব তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যান। আমি
তৎক্ষণাৎ না দাঁড়িয়ে তাশাহহুদ পূর্ণ করার পর দাঁড়াই। এরূপ করা কি আমার
জন্য সঠিক হয়েছে? না ইমাম সাহেবের সাথেই দাঁড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল?
উত্তর
উক্ত ক্ষেত্রে তাশাহহুদ পূর্ণ করে
দাঁড়ানোই সঠিক হয়েছে। কেননা মুকতাদির জন্যও পূর্ণ তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব।
তাই মুকতাদির তাশাহহুদ শেষ হওয়ার আগে ইমাম তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে
গেলেও মুকতাদি তখন দাঁড়াবে না। বরং সে তাশাহহুদ পূর্ণ করেই দাঁড়াবে।
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/৯৬; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/১০৮; রদ্দুল মুহতার ২/১০; শরহুল মুনইয়া ৫২৭; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৩১
-ফাতাওয়া খানিয়া ১/৯৬; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/১০৮; রদ্দুল মুহতার ২/১০; শরহুল মুনইয়া ৫২৭; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৩১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯৮৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
শুনেছি, কোনো তালিবে ইলম যদি কোনো কবরস্থানের পাশ দিয়ে অতিক্রম...
প্রশ্ন
শুনেছি, কোনো তালিবে ইলম যদি কোনো
কবরস্থানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে তবে আল্লাহ তাআলা তার বরকতে চল্লিশ দিন
পর্যন্ত ঐ কবরস্থানের আযাব মাফ করে দেন। এটি কি হাদীস? যদি তা-ই হয় তবে তা
কি সহীহ? জানিয়ে উপকৃত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত কথাটি হাদীস হিসেবে
লোকমুখে প্রচলিত থাকলেও মূলত তা হাদীস নয়। হাদীস বিশারদগণ এটাকে সম্পূর্ণ
ভিত্তিহীন ও জাল বলে আখ্যায়িত করেছেন। অতএব এ ধরনের কথা বর্ণনা করা ও
প্রচার করা থেকে বিরত থাকা জরুরি।
-আলমাছনূ’ ফী মারিফাতিল হাদীসিল মাওযূ’ পৃ. ৬৫; কাশফুল খাফা ১/১৯৮
-আলমাছনূ’ ফী মারিফাতিল হাদীসিল মাওযূ’ পৃ. ৬৫; কাশফুল খাফা ১/১৯৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৯২২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
যদি কোনো ব্যক্তি ফরয গোসলে নাকের ভেতরে পানি প্রবেশ না...
প্রশ্ন
যদি কোনো ব্যক্তি ফরয গোসলে নাকের
ভেতরে পানি প্রবেশ না করিয়ে শুধু আঙ্গুল ভিজিয়ে নাকের ভিতরটা তিনবার
ভিজিয়ে নেয় তাহলে তার গোসল হবে কি না? এবং নাকের ভিতরে পানি প্রবেশ করানো
ও তা পরিষ্কার করার পদ্ধতি কি?
উত্তর
ফরয গোসলে নাকের নরম স্থান পর্যন্ত
পানি পৌঁছানো ফরয। শুধু আঙ্গুল দ্বারা নাকের ভিতরটা ভিজিয়ে নেয়া যথেষ্ট
নয়। এর দ্বারা নাকে পানি পৌঁছানোর ফরয আদায় হবে না। আর নাকে প্রথমে পানি
পৌঁছাবে। এরপর বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দ্বারা নাকের ভিতরটা পরিষ্কার করে
নিবে যেন কোনো অংশ শুকনা না থেকে যায়। এভাবে তিনবার নাকের নরম অংশ পর্যন্ত
পানি প্রবেশ করাবে।
-সুনানে আবু দাউদ ১/১৯; সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৩; আলবাহরুর রায়েক ১/২১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২২২, ২৭৬; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫১, ১১৫
-সুনানে আবু দাউদ ১/১৯; সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৩; আলবাহরুর রায়েক ১/২১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২২২, ২৭৬; আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫১, ১১৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৫৬
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
লোকমুখ শুনেছি, মুসা আ. আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু...
প্রশ্ন
লোকমুখ শুনেছি, মুসা আ. আল্লাহর
কাছে ফরিয়াদ করেছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
উম্মত হওয়ার জন্য। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেননি। এ কথা ঠিক কি না
জানালে খুশি হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত কথাটির যথেষ্ট জনশ্রুতি
থাকলেও তা সঠিক নয়। বিখ্যাত হাদীস শাস্ত্রজ্ঞ হাফেয যাহাবী রাহ.সহ একাধিক
হাদীস বিশারদ এ সংক্রান্ত বর্ণনাটিকে জাল আখ্যা দিয়েছেন।
-মীযানুল ইতিদাল ২/১৫২; লিসানুল মীযান ৩/৪৪; তানযীহুশ শরীয়াতিল মারফুআহ ১/২৪৫
-মীযানুল ইতিদাল ২/১৫২; লিসানুল মীযান ৩/৪৪; তানযীহুশ শরীয়াতিল মারফুআহ ১/২৪৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮৫৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
হযরত ফাতেমা রা.-এর ইন্তিকালের পর হযরত আবু যর গিফারী রা....
প্রশ্ন
হযরত ফাতেমা রা.-এর ইন্তিকালের পর
হযরত আবু যর গিফারী রা. ফাতেমা রা.-এর কবরে নেমে বললেন, হে কবর! তুমি কি
জান, আজ তোমার মাঝে কাকে রাখা হবে? তিনি হলেন খাতুনে জান্নাত,
হাসান-হুসাইনের মা, নবীজীর কলিজার টুকরা। তিনি তিন বার এ কথাগুলো বললেন।
পরে কবর আওয়াজ দিল, আমি এগুলো কিছুই চিনি না। আমল যদি ভালো হয় তাহলে আমি
তার জন্য প্রশস্ত হয়ে যাব। আর আমল যদি খারাপ হয় তাহলে তাকে এমনভাবে চাপ
দিব ...। এই ধরনের কোনো রেওয়ায়েত সহীহ কি না এবং তা কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তর
উক্ত রেওয়ায়েত সম্বন্ধে মাসিক
আলকাউসার, মার্চ ২০০৭ ঈ. সংখ্যায় প্রচলিত ভুল বিভাগে আলোচনা হয়েছে।
আলোচনার সারসংক্ষেপ হল, এটি একটি ভিত্তিহীন কেচ্ছা। বাস্তবতার সাথে এর
দূরবর্তী সম্পর্কও নেই। আমাদের জানামতে কোনো নির্ভরযোগ্য হাদীস বা ইতিহাস
গ্রন্থে এর কোনো সনদ উল্লেখ নেই। সাহাবায়ে কেরাম তো অনেক উর্ধ্বে, সাধারণ
মুসলমানও কাউকে দাফন করার সময় এ ধরনের কথা বলতে পারে না। কেননা, আখিরাতে
হিসাব-কিতাবের বিষয়টি যে ঈমান ও আমলের ভিত্তিতেই হবে তা দ্বীনের মৌলিক
শিক্ষা। এছাড়া রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর
জীবদ্দশায়ই প্রিয়তম কন্যা ফাতেমা রা.কে বলে গেছেন-
يا فاطمة! أنقذي نفسك من النار، فإني لا أملك ضرا ولا نفعا.
হে ফাতিমা! জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা কর। কেননা, আমি উপকার-অপকারের মালিক নই। (সহীহ মুসলিম ২/১১৪)
অতএব রেওয়ায়েতটি যেহেতু সহীহ নয় তাই তা বর্ণনা করা যাবে না।
يا فاطمة! أنقذي نفسك من النار، فإني لا أملك ضرا ولا نفعا.
হে ফাতিমা! জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা কর। কেননা, আমি উপকার-অপকারের মালিক নই। (সহীহ মুসলিম ২/১১৪)
অতএব রেওয়ায়েতটি যেহেতু সহীহ নয় তাই তা বর্ণনা করা যাবে না।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৮১৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
ফাতেমা ও সামিয়া আপন বোন। ফাতেমা আমার দুধ বোন। সে...
প্রশ্ন
ফাতেমা ও সামিয়া আপন বোন। ফাতেমা
আমার দুধ বোন। সে আমার মায়ের দুধ পান করেছে। সামিয়ার সাথে আমার বিয়ের
কথা হচ্ছে। আমি জানতে চাই, সামিয়ার সাথে আমার বিয়ে সহীহ হবে কি না?
উত্তর
হ্যাঁ, সামিয়ার সাথে আপনার বিয়ে
সহীহ হবে। কারণ তার সাথে আপনার আত্মীয়তার বা দুধের কোনো সম্পর্ক নেই।
দুধের সম্পর্ক তার বোন ফাতেমার সাথে সামিয়ার সাথে নয়।
-বাদায়েউস সানায়ে ৩/৪০০; রদ্দুল মুহতার ৩/২১৭; আলমুফাসসাল ফী আহকামিল মারআ ৬/২৪১
-বাদায়েউস সানায়ে ৩/৪০০; রদ্দুল মুহতার ৩/২১৭; আলমুফাসসাল ফী আহকামিল মারআ ৬/২৪১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৯৫
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
জনৈক ব্যক্তি তাওয়াফে যিয়ারতের পর অসুস্থ হওয়ার কারণে আইয়ামে নাহরে...
প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি তাওয়াফে যিয়ারতের পর
অসুস্থ হওয়ার কারণে আইয়ামে নাহরে সায়ী করতে পারেনি। অতপর পনের দিন পর
সে আরোগ্য লাভ করে। জানার বিষয় হল, এখন যদি সে সায়ী করে তবে তা আদায় হবে
কি না আর এ কারণে তাকে কোনো দম বা সদকা দিতে হবে কি না।
উত্তর
হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি এখন সায়ী করে নিলে তা আদায় হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য যে, তাওয়াফে যিয়ারতের পর ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগেই সায়ী করে নেওয়া উত্তম। এর চেয়ে বিলম্ব করা মাকরূহ। তবে পরে আদায় করলেও তা সহীহ হয়ে যাবে। বিলম্বের কারণে কোনো দম বা সদকা ওয়াজিব হবে না।
-গুনইয়াতুন নাসিক ১৩২; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩২০; যুবদাতুল মানাসিক ১৪৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৪৭; মানাসিক ১৭৮
উল্লেখ্য যে, তাওয়াফে যিয়ারতের পর ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগেই সায়ী করে নেওয়া উত্তম। এর চেয়ে বিলম্ব করা মাকরূহ। তবে পরে আদায় করলেও তা সহীহ হয়ে যাবে। বিলম্বের কারণে কোনো দম বা সদকা ওয়াজিব হবে না।
-গুনইয়াতুন নাসিক ১৩২; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩২০; যুবদাতুল মানাসিক ১৪৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৪৭; মানাসিক ১৭৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৯৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আকীকা কী? আকীকার হুকুম কী? আকীকার সময় কি নির্ধারিত? কেউ...
প্রশ্ন
আকীকা কী? আকীকার হুকুম কী? আকীকার
সময় কি নির্ধারিত? কেউ কি নিজের আকীকা নিজেই করতে পারবে? আকীকা আদায়ের
নিয়ম কী? আকীকার গোশত কি পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনরা খেতে পারবে? জানিয়ে
বাধিত করবেন।
উত্তর
সন্তান জন্মগ্রহণের শুকরিয়াস্বরূপ যে পশু যবাই করা হয় তাকে আকীকা বলে। আর আকীকা করা মুস্তাহাব।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সন্তানের জন্য আকীকা করতে হয়। সুতরাং তোমরা তার পক্ষ থেকে যবাই কর এবং তার ‘জঞ্জাল’ শ দূর কর (অর্থাৎ চুল চেছে ফেল)। (সহীহ বুখারী ২/৮২২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, যার সন্তান ভূমিষ্ট হয় সে যদি শিশুটির পক্ষ থেকে আকীকা করা পছন্দ করে তাহলে যেন তাই করে। (সুনানে নাসায়ী ২/১৬৭)
জন্মের সপ্তম দিনে আকীকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ বা ২১ তম দিনে করা ভালো। কেননা হাদীস শরীফে এই তিন দিনের উল্লেখ আছে। এ তিন দিনেও করা না হলে পরে যে কোনো দিন আকীকা করা যেতে পারে।
হযরত আমর ইবনে শুআইব-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবজাতকের সপ্তম দিনে আকীকা করা, নাম রাখা ও তার জঞ্জাল দূর করার (অর্থাৎ মাথার চুল কাটার) নির্দেশ দিয়েছেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১২/৩২৬)
হযরত বুরাইদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আকীকার পশু সপ্তম বা চৌদ্দতম বা একুশতম দিনে যবাই করা হবে। (আলমুজামুল আওসাত ৫/৪৫৭)
কারো আকীকা করা না হলে বড় হয়ে নিজের আকীকা নিজেও করতে পারবে।
হযরত আনাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়ত প্রাপ্তির পর নিজের আকীকা নিজে করেছেন। (প্রাগুক্ত ১/৫২৯; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ৬২০৩; আলমুফাসসাল ফী আহকামিল আকীকা, ড. হুসামুদ্দীন ইবনে মূসা, জামেয়াতুল কূদস, পৃ. ১৪২)
হাসান বসরী রাহ. বলেন, তোমার যদি আকীকা না করা হয়ে থাকে তাহলে তুমি নিজের আকীকা করে নাও। যদিও তুমি ইতিমধ্যেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছ। (আলমুহাল্লা ৬/২৪০)
পুত্র সন্তান হলে দুটি আর কন্যাসন্তান হলে একটি ছাগল/ভেড়া/দুম্বা দ্বারা আকীকা করা উত্তম। তবে পুত্রসন্তানের ক্ষেত্রে একটি যবাই করলেও আকীকার হক আদায় হয়ে যাবে। এছাড়া উট, মহিষ, গরু ইত্যাদি দ্বারা আকীকা করা যায়।
হযরত উম্মে কুরয রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আকীকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, পুত্রসন্তানের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল আর কন্যাসন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল যবাই করবে। (জামে তিরমিযী ১/১৮৩)
হযরত ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত হাসান ও হুসাইন রা-এর পক্ষ থেকে একটি একটি ভেড়া আকীকা করেছেন। (আবু দাউদ ২/৩৯২)
হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যার কোনো সন্তান জন্মলাভ করে সে যেন উট, গরু অথবা ছাগল দ্বারা আকীকা করে। (আলমুজামুল আওসাত ২/৩৭১,
হাদীস : ৩৭১)
আকীকার গোশত পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজন ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলেই খেতে পারবে।
হযরত আয়েশা রা. বলেন, (আকীকার গোশত) নিজে খাবে, অন্যদের খাওয়াবে এবং সদকা করবে।
-মুসতাদরাকে হাকেম ৫/৩৩৮; আলমুগনী ১৩/৩৯৩, ৩৯৭, ৪০০; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১২/৩২৭, হাদীস : ২৪৭৪৩, ২৪৭৩৭; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪/৩২৯, ৩৩০, ৩৩১; তুহফাতুল মাওদূদ বি আহকামিল মাওলূদ ৭৮
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সন্তানের জন্য আকীকা করতে হয়। সুতরাং তোমরা তার পক্ষ থেকে যবাই কর এবং তার ‘জঞ্জাল’ শ দূর কর (অর্থাৎ চুল চেছে ফেল)। (সহীহ বুখারী ২/৮২২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, যার সন্তান ভূমিষ্ট হয় সে যদি শিশুটির পক্ষ থেকে আকীকা করা পছন্দ করে তাহলে যেন তাই করে। (সুনানে নাসায়ী ২/১৬৭)
জন্মের সপ্তম দিনে আকীকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ বা ২১ তম দিনে করা ভালো। কেননা হাদীস শরীফে এই তিন দিনের উল্লেখ আছে। এ তিন দিনেও করা না হলে পরে যে কোনো দিন আকীকা করা যেতে পারে।
হযরত আমর ইবনে শুআইব-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবজাতকের সপ্তম দিনে আকীকা করা, নাম রাখা ও তার জঞ্জাল দূর করার (অর্থাৎ মাথার চুল কাটার) নির্দেশ দিয়েছেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১২/৩২৬)
হযরত বুরাইদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আকীকার পশু সপ্তম বা চৌদ্দতম বা একুশতম দিনে যবাই করা হবে। (আলমুজামুল আওসাত ৫/৪৫৭)
কারো আকীকা করা না হলে বড় হয়ে নিজের আকীকা নিজেও করতে পারবে।
হযরত আনাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়ত প্রাপ্তির পর নিজের আকীকা নিজে করেছেন। (প্রাগুক্ত ১/৫২৯; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদীস : ৬২০৩; আলমুফাসসাল ফী আহকামিল আকীকা, ড. হুসামুদ্দীন ইবনে মূসা, জামেয়াতুল কূদস, পৃ. ১৪২)
হাসান বসরী রাহ. বলেন, তোমার যদি আকীকা না করা হয়ে থাকে তাহলে তুমি নিজের আকীকা করে নাও। যদিও তুমি ইতিমধ্যেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছ। (আলমুহাল্লা ৬/২৪০)
পুত্র সন্তান হলে দুটি আর কন্যাসন্তান হলে একটি ছাগল/ভেড়া/দুম্বা দ্বারা আকীকা করা উত্তম। তবে পুত্রসন্তানের ক্ষেত্রে একটি যবাই করলেও আকীকার হক আদায় হয়ে যাবে। এছাড়া উট, মহিষ, গরু ইত্যাদি দ্বারা আকীকা করা যায়।
হযরত উম্মে কুরয রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আকীকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, পুত্রসন্তানের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল আর কন্যাসন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল যবাই করবে। (জামে তিরমিযী ১/১৮৩)
হযরত ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত হাসান ও হুসাইন রা-এর পক্ষ থেকে একটি একটি ভেড়া আকীকা করেছেন। (আবু দাউদ ২/৩৯২)
হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যার কোনো সন্তান জন্মলাভ করে সে যেন উট, গরু অথবা ছাগল দ্বারা আকীকা করে। (আলমুজামুল আওসাত ২/৩৭১,
হাদীস : ৩৭১)
আকীকার গোশত পিতা-মাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজন ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলেই খেতে পারবে।
হযরত আয়েশা রা. বলেন, (আকীকার গোশত) নিজে খাবে, অন্যদের খাওয়াবে এবং সদকা করবে।
-মুসতাদরাকে হাকেম ৫/৩৩৮; আলমুগনী ১৩/৩৯৩, ৩৯৭, ৪০০; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১২/৩২৭, হাদীস : ২৪৭৪৩, ২৪৭৩৭; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪/৩২৯, ৩৩০, ৩৩১; তুহফাতুল মাওদূদ বি আহকামিল মাওলূদ ৭৮
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৮৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
‘মুমিনের নিয়ত তার আমলে চেয়ে শ্রেয়’ এটা কি হাদীস? হাদীস...
প্রশ্ন
‘মুমিনের নিয়ত তার আমলে চেয়ে শ্রেয়’ এটা কি হাদীস? হাদীস হলে হুকুমসহ জানাবেন।
উত্তর
‘মুমিনের নিয়ত তার আমল অপেক্ষা
শ্রেয়’-এটি জয়ীফ সনদে বর্ণিত একটি হাদীস। ইমাম বায়হাকী রাহ. হাদীসটিকে
জয়ীফ বলেছেন। তবে ইমাম সাখাভী রাহ. এর সপক্ষে আরো হাদীস পেশ করেছেন,
যদ্বারা তা ফাযায়েলের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়।
-মাজমাউয যাওয়াইদ ১/৩০১; আলমাকাসিদুল হাসানাহ পৃ. ৭০১
-মাজমাউয যাওয়াইদ ১/৩০১; আলমাকাসিদুল হাসানাহ পৃ. ৭০১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৫৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমার এক আত্মীয়ের এক পালকপুত্র আছে। গ্রামের এক গরীব নারীর...
প্রশ্ন
আমার এক আত্মীয়ের এক পালকপুত্র
আছে। গ্রামের এক গরীব নারীর সন্তানকে নিয়ে পালকপুত্র বানিয়েছে। আমি জানতে
চাই, পিতার ঔরসজাত সন্তানের মতো পালকপুত্রও কি পিতার মীরাস পাবে? শরীয়তের
বিধান কী?
উত্তর
পালকপুত্র ঔরসজাত সন্তানের মতো নয়। সে মীরাসের হকদার নয়।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৬/৪৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৭৬২
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৬/৪৪৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৭৬২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭৩৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
জনৈক ব্যক্তি আইয়ামে নহরের শেস দিন তাওয়াফে যিয়ারতের ছয় চক্কর...
প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি আইয়ামে নহরের শেস দিন
তাওয়াফে যিয়ারতের ছয় চক্কর করার পর সূর্য অস্তমিত হয়ে যাওয়ায় সপ্তম
চক্করটি সে সূর্যাস্তের পর সম্পন্ন করে। জানার বিষয় হল, এ কারণে তাকে দম
দিতে হবে কি না?
উত্তর
না। দম দিতে হবে না। তবে তার উপর একটি সদকা ওয়াজিব। অর্থাৎ একটি সদকাতুল ফিতরের সমপরিমাণ মূল্য সদকা করে দিতে হবে।
প্রকাশ থাকে যে, এ সদকা হারামের বাইরের এলাকায় যেমন এদেশের মিসকীনদেরও দেওয়া যাবে। তবে হারামের মিসকীনদেরকে দেওয়া উত্তম।
-গুনইয়াতুন নাসিক ২৭৩; মানাসিক ৩৯১; আলমাসালেক ১/৮৭৫; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৬০৮; যুবদাতুল মানাসিক ৩৭৪
প্রকাশ থাকে যে, এ সদকা হারামের বাইরের এলাকায় যেমন এদেশের মিসকীনদেরও দেওয়া যাবে। তবে হারামের মিসকীনদেরকে দেওয়া উত্তম।
-গুনইয়াতুন নাসিক ২৭৩; মানাসিক ৩৯১; আলমাসালেক ১/৮৭৫; রদ্দুল মুহতার ২/৫৫৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৬০৮; যুবদাতুল মানাসিক ৩৭৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭২৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
শুনেছি, হাদীসে নাকি আছে, শেষ যমানায় দালান-কোঠা, সম্পদ হবে গরীবদের।...
প্রশ্ন
শুনেছি, হাদীসে নাকি আছে, শেষ
যমানায় দালান-কোঠা, সম্পদ হবে গরীবদের। জানতে চাই, এটি হাদীস কি না? হাদীস
হলে কোন কিতাবের হাদীস? মর্মসহ জানতে আগ্রহী।
উত্তর
হ্যাঁ, এ ধরনের কথা সহীহ হাদীসে
আছে। আবু হুরাইরা রা. বলেন, (কিয়ামতের আলামত বর্ণনা করতে গিয়ে)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের একটি আলামত
হল, বকরীর রাখালরা বড় বড় অট্টালিকা নিয়ে গর্ব করবে। (সহীহ বুখারী ১/১২;
সহীহ মুসলিম ১/২৯)
উক্ত হাদীসের মর্ম হল, সমাজে তখন বড় ধরনের পরিবর্তন হবে। মূর্খ ও নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা নেতৃত্বের আসনে সমাসীন হবে। দরিদ্র লোকেরা বড় বড় দালান-কোঠার মালিক হবে এবং এসব নিয়ে গৌরব করতে থাকবে।
-উমদাতুল কারী ১/২৮৯; তরজুমানুস সুন্নাহ ১/৫৬৬-৫৬৭
উক্ত হাদীসের মর্ম হল, সমাজে তখন বড় ধরনের পরিবর্তন হবে। মূর্খ ও নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা নেতৃত্বের আসনে সমাসীন হবে। দরিদ্র লোকেরা বড় বড় দালান-কোঠার মালিক হবে এবং এসব নিয়ে গৌরব করতে থাকবে।
-উমদাতুল কারী ১/২৮৯; তরজুমানুস সুন্নাহ ১/৫৬৬-৫৬৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭১২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমরা জানি, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার সপ্তম দিন চুল কাটা, আকীকা...
প্রশ্ন
আমরা জানি, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার
সপ্তম দিন চুল কাটা, আকীকা এবং নাম রাখতে হয়। আমার জানার বিষয় হল, এ
তিনটির মধ্যে কোনটি আগে আর কোনটি পরে করতে হয়। এক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা
রক্ষা করার কোনো নিয়ম শরীয়তে আছে কি?
উত্তর
এই তিনটি কাজের মধ্যে ধারাবাহিকতা
বজায় রাখা জরুরি নয়। আগে পরে যেভাবেই করা হোক তা আদায় হয়ে যায়। তবে
সন্তানের মাথার চুল কাটার আগে আকীকা করা মুস্তাহাব। হযরত ইবনে জুরাইজ রাহ.
বলেন, বাচ্চার মাথার চুল কাটার পূর্বে যবাই করবে। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক
৪/৩৩০)
আর আকীকার আগে বা পরে এমনকি সপ্তম দিনের আগেও সন্তানের নাম রাখা যায়। তবে আকীকা করার আগেই নাম রেখে নেওয়া উত্তম।
তাবেয়ী কাতাদাহ রাহ. বলেন, প্রথমে বাচ্চার নাম রাখা হবে। অতপর সপ্তম দিন (পশু) যবাই করা হবে এবং এরপর মাথা মুন্ডানো হবে।
-মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪/৩৩৩; কিতাবুল মাজমূ’ ৪/৪০৭, ৮/৪১৫; আলমুফাসসাল ফী আহকামিল আকীকাহ; তুহফাতুল মাওদূদ বিআহকামিল মাওলূদ ৮৬, ৯৯; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ১৩/৩৯৭
আর আকীকার আগে বা পরে এমনকি সপ্তম দিনের আগেও সন্তানের নাম রাখা যায়। তবে আকীকা করার আগেই নাম রেখে নেওয়া উত্তম।
তাবেয়ী কাতাদাহ রাহ. বলেন, প্রথমে বাচ্চার নাম রাখা হবে। অতপর সপ্তম দিন (পশু) যবাই করা হবে এবং এরপর মাথা মুন্ডানো হবে।
-মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪/৩৩৩; কিতাবুল মাজমূ’ ৪/৪০৭, ৮/৪১৫; আলমুফাসসাল ফী আহকামিল আকীকাহ; তুহফাতুল মাওদূদ বিআহকামিল মাওলূদ ৮৬, ৯৯; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ১৩/৩৯৭
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭১০
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমরা জানি, হাবশার বিখ্যাত বাদশা নাজাশী মুসলমানদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং...
প্রশ্ন
আমরা জানি, হাবশার বিখ্যাত বাদশা
নাজাশী মুসলমানদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং তিনি ইসলাম কবুল করেছিলেন।
কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে কি তাঁর
মুলাকাত হয়েছিল বা তিনি কি সাহাবী বলে গণ্য হবেন? জানতে চাই।
উত্তর
হাবশার বাদশা নাজাশী রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন তবে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তার সাক্ষাৎ হয়নি।
তাই তিনি সাহাবী নন; বরং তাবেয়ী।
-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ২৭২৭৬; রাফউ শানিল হাবশান পৃ. ১২০; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪/১১৪
-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ২৭২৭৬; রাফউ শানিল হাবশান পৃ. ১২০; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪/১১৪
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৭০৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমি জানতে চাই, الساكت عن الحق شيطان أخرى (সত্য গোপনকারী...
প্রশ্ন
আমি জানতে চাই, الساكت عن الحق
شيطان أخرى (সত্য গোপনকারী বোবা শয়তান।) এ বাক্যটি হাদীস কি না? হাদীস হলে
কোন কিতাবে আছে এবং সনদের মান কী? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত উক্তিটি হাদীস হিসেবে প্রমাণিত নয়। আল্লামা কুশাইরী রাহ., ইমাম নববী রাহ. ও আবদুর রউফ
মুনাভী রাহ. একে প্রখ্যাত ফকীহ ও বুযুর্গ আবু আলী আদ্দাক্বাক রাহ. (মৃত্যু ৪০৬ হি.) এর উক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-আররিসালাতুল কুশাইরিয়া পৃ. ১২০; শরহুন নববী ২/১৯; শাযারাতুয যাহাব ৩/১৮০
মুনাভী রাহ. একে প্রখ্যাত ফকীহ ও বুযুর্গ আবু আলী আদ্দাক্বাক রাহ. (মৃত্যু ৪০৬ হি.) এর উক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-আররিসালাতুল কুশাইরিয়া পৃ. ১২০; শরহুন নববী ২/১৯; শাযারাতুয যাহাব ৩/১৮০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৭৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমার এক চাচাতো বোন বলেছে যে, ঘরে মাহরামের সামনে নাকি...
প্রশ্ন
আমার এক চাচাতো বোন বলেছে যে, ঘরে
মাহরামের সামনে নাকি ওড়না পরতে হয় না। তার এ কথা কি ঠিক? মাহরামের সামনে
কোন অঙ্গগুলো খোলা রাখা যায়?
উত্তর
মাহরাম পুরুষের জন্য মহিলার মাথা,
চেহারা, হাত, গলদেশ ও হাঁটুর নিচের অংশ সতর নয়। তবে তাদের সামনেও যতটুকু
সম্ভব আবৃত থাকাই উত্তম। বিশিষ্ট তাবেয়ী হাসান বসরী বলেছেন, ‘নিজ ভাইয়ের
সামনেও নারীর ওড়না ছাড়া থাকা উচিত নয়।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা
৯/৩৭৩)
প্রখ্যাত তাবেয়ী আতা ইবনে আবী রাবাহ রাহ. বলেছেন, ‘মাহরাম পুরুষের সামনে মেয়েদের মাথা ঢেকে রাখাই আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়। অবশ্য মাহরাম তা দেখে ফেললে গুনাহ হবে না।’
প্রাগুক্ত, কিতাবুল আসল ৩/৪৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৯১
প্রখ্যাত তাবেয়ী আতা ইবনে আবী রাবাহ রাহ. বলেছেন, ‘মাহরাম পুরুষের সামনে মেয়েদের মাথা ঢেকে রাখাই আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়। অবশ্য মাহরাম তা দেখে ফেললে গুনাহ হবে না।’
প্রাগুক্ত, কিতাবুল আসল ৩/৪৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৯১
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৬৯
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
ইহরাম অবস্থায় মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য সুগন্ধিযুক্ত তেল ব্যবহার করা...
প্রশ্ন
ইহরাম অবস্থায় মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য সুগন্ধিযুক্ত তেল ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তর
ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার
নিষেধ। তাই সুগন্ধিযুক্ত তেল ব্যবহার করা যাবে না। বিখ্যাত তাবেয়ী আতা
রাহ. বলেন, ‘ইহরাম গ্রহণকারী তার শরীরে কিংবা কাপড়ে সুগন্ধিযুক্ত তেল
লাগালে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে।’
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৪৮৩৩
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১৪৮৩৩
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬৫২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
ডাক্তাররা বিভিন্ন রোগের ব্যাপারে বলেন, অমুক রোগটি ছোঁয়াচে। কিন্তু বুখারী...
প্রশ্ন
ডাক্তাররা বিভিন্ন রোগের ব্যাপারে
বলেন, অমুক রোগটি ছোঁয়াচে। কিন্তু বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদে একটি হাদীস
দেখলাম, ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই। ইসলামে কি ছোঁয়াচে রোগকে অস্বীকার
করা হয়েছে? অথচ এটি একটি বাস্তব বিষয়। মুফতী সাহেবের নিকট বিষয়টির
সমাধান কামনা করছি।
উত্তর
মূল উত্তরের আগে কয়েকটি কথা জেনে নেয়া উচিত।
ক) ইসলামের কোনো বিষয়ই সঠিক বাস্তবতার পরিপন্থী নয়। কেননা, এ বিশ্বজগত যিনি সৃষ্টি কছেন তিনিই শরীয়ত দিয়েছেন। অতএব ইসলামের কোনো বিষয়ের সাথে সঠিক বাস্তবতার সংঘর্ষ হতে পারে না।
খ) এ বিশ্ব জগতে যা কিছু হয় সবই আল্লাহ তাআলার ফয়সালাতে হয়ে থাকে। এর পিছনে যেসব আসবাবকে বাহ্যিক কার্যকারণ হিসেবে দেখা যায় এগুলো যদিও বাস্তব, তবে এসবের কার্য ও ক্রিয়া করার ক্ষমতা আল্লাহপ্রদত্ত। আল্লাহ তাআলা ক্রিয়া করার ক্ষমতা না দিলে এগুলো ক্রিয়া করতে পারবে না। এজন্যই ইবরাহীম আ.কে আগুনে নিক্ষেপের পরও আল্লাহর হুকুম না হওয়ার কারণে আগুন কোনো ক্রিয়া করতে পারেনি।
গ) সুস্থতা-অসুস্থতা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। সুস্থতার যেমন বিভিন্ন কারণ রয়েছে তদ্রূপ অসুস্থতারও বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন-মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডায় সর্দি বা জ্বর হয়। তেমনিভাবে রোগাক্রান্ত হওয়ার একটি কারণ এটিও যে, সংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া। এটি একটি বাস্তব বিষয়। শরীয়ত একে অস্বীকার করেনি। তবে অন্যান্য আসবাবের ব্যাপারে যে কথা এখানেও একই কথা-কার্য ও ক্রিয়া করার ক্ষমতা আল্লাহপ্রদত্ত। রোগের মধ্যে ক্রিয়া করার নিজস্ব ক্ষমতা নেই। তাই আল্লাহ চাইলে রোগাক্রান্ত হবে নতুবা হবে না। এজন্যই দেখা যায়, সংস্পর্শে যাওয়ার পরও অনেকে রোগাক্রান্ত হয় না।
ভূমিকার পর মূল উত্তর দেওয়া হল।
প্রশ্নে যে হাদীসের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে এর মূল আরবী পাঠ এর সঠিক তরজমা এই, ‘রোগ-ব্যধি (তার নিজস্ব ক্ষমতায়) একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে লেগে যায় না।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৫৭৪২)
ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই-হাদীসের এ তরজমা বিশুদ্ধ নয়। কেননা, এর থেকে বোঝা যায়, বাস্তব ছোঁয়াচে রোগকে ইসলাম অস্বীকার করেছে। অথচ রোগাক্রান্ত হওয়ার অন্যান্য কারণ যেমনিভাবে বাস্তব তদ্রূপ রোগাক্রান্ত হওয়ার এই কারণটিও বাস্তব। ইসলাম একে অস্বীকার করেনি। এক্ষেত্রে যে বিষয়টিকে ভ্রান্ত ও বাতিল সাব্যস্ত করা হয়েছে তা হল, কোনো ব্যাধিকে এমন মনে করা যে, তা নিজে নিজেই সংক্রমিত হয়। যেমনটি জাহেলী যুগে মনে করা হত। উপাকার ও অপকারের একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআলা। হায়াত-মওত, সুস্থতা-অসুস্থতা সবই তাঁর হুকুমে হয়ে থাকে। মোটকথা, সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে রোগাক্রান্ত হওয়া একটি বাস্তব বিষয়। তবে সংক্রমনের এই ক্ষমতা রোগের নিজস্ব নয়; বরং আল্লাহপ্রদত্ত। তাই তিনি চাইলে সংক্রমণ হবে নতুবা হবে না এবং এটি যেহেতু রোগাক্রান্ত হওয়ার একটি বাস্তব কারণ তাই রোগাক্রান্ত হওয়ার অন্যান্য কারণ থেকে বেঁচে থাকতে যেমনিভাবে কোনো দোষ নেই তেমনি এক্ষেত্রেও উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা দোষের নয়। বরং কিছু হাদীসে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
-বাযলুল মাজহূদ ১৬/২৪২; শরহুন নববী ২/২৩০; ফয়যুল কাদীর ৬/৪৩৩; তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৪/৩৭০; তরজুমানুস সুন্নাহ ২/৪১৬; বুলুগুল আরাব ফী মারিফাতি আহওয়ালিল আরব ২/৩১৫
ক) ইসলামের কোনো বিষয়ই সঠিক বাস্তবতার পরিপন্থী নয়। কেননা, এ বিশ্বজগত যিনি সৃষ্টি কছেন তিনিই শরীয়ত দিয়েছেন। অতএব ইসলামের কোনো বিষয়ের সাথে সঠিক বাস্তবতার সংঘর্ষ হতে পারে না।
খ) এ বিশ্ব জগতে যা কিছু হয় সবই আল্লাহ তাআলার ফয়সালাতে হয়ে থাকে। এর পিছনে যেসব আসবাবকে বাহ্যিক কার্যকারণ হিসেবে দেখা যায় এগুলো যদিও বাস্তব, তবে এসবের কার্য ও ক্রিয়া করার ক্ষমতা আল্লাহপ্রদত্ত। আল্লাহ তাআলা ক্রিয়া করার ক্ষমতা না দিলে এগুলো ক্রিয়া করতে পারবে না। এজন্যই ইবরাহীম আ.কে আগুনে নিক্ষেপের পরও আল্লাহর হুকুম না হওয়ার কারণে আগুন কোনো ক্রিয়া করতে পারেনি।
গ) সুস্থতা-অসুস্থতা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। সুস্থতার যেমন বিভিন্ন কারণ রয়েছে তদ্রূপ অসুস্থতারও বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন-মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডায় সর্দি বা জ্বর হয়। তেমনিভাবে রোগাক্রান্ত হওয়ার একটি কারণ এটিও যে, সংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া। এটি একটি বাস্তব বিষয়। শরীয়ত একে অস্বীকার করেনি। তবে অন্যান্য আসবাবের ব্যাপারে যে কথা এখানেও একই কথা-কার্য ও ক্রিয়া করার ক্ষমতা আল্লাহপ্রদত্ত। রোগের মধ্যে ক্রিয়া করার নিজস্ব ক্ষমতা নেই। তাই আল্লাহ চাইলে রোগাক্রান্ত হবে নতুবা হবে না। এজন্যই দেখা যায়, সংস্পর্শে যাওয়ার পরও অনেকে রোগাক্রান্ত হয় না।
ভূমিকার পর মূল উত্তর দেওয়া হল।
প্রশ্নে যে হাদীসের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে এর মূল আরবী পাঠ এর সঠিক তরজমা এই, ‘রোগ-ব্যধি (তার নিজস্ব ক্ষমতায়) একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে লেগে যায় না।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৫৭৪২)
ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই-হাদীসের এ তরজমা বিশুদ্ধ নয়। কেননা, এর থেকে বোঝা যায়, বাস্তব ছোঁয়াচে রোগকে ইসলাম অস্বীকার করেছে। অথচ রোগাক্রান্ত হওয়ার অন্যান্য কারণ যেমনিভাবে বাস্তব তদ্রূপ রোগাক্রান্ত হওয়ার এই কারণটিও বাস্তব। ইসলাম একে অস্বীকার করেনি। এক্ষেত্রে যে বিষয়টিকে ভ্রান্ত ও বাতিল সাব্যস্ত করা হয়েছে তা হল, কোনো ব্যাধিকে এমন মনে করা যে, তা নিজে নিজেই সংক্রমিত হয়। যেমনটি জাহেলী যুগে মনে করা হত। উপাকার ও অপকারের একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআলা। হায়াত-মওত, সুস্থতা-অসুস্থতা সবই তাঁর হুকুমে হয়ে থাকে। মোটকথা, সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে রোগাক্রান্ত হওয়া একটি বাস্তব বিষয়। তবে সংক্রমনের এই ক্ষমতা রোগের নিজস্ব নয়; বরং আল্লাহপ্রদত্ত। তাই তিনি চাইলে সংক্রমণ হবে নতুবা হবে না এবং এটি যেহেতু রোগাক্রান্ত হওয়ার একটি বাস্তব কারণ তাই রোগাক্রান্ত হওয়ার অন্যান্য কারণ থেকে বেঁচে থাকতে যেমনিভাবে কোনো দোষ নেই তেমনি এক্ষেত্রেও উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা দোষের নয়। বরং কিছু হাদীসে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
-বাযলুল মাজহূদ ১৬/২৪২; শরহুন নববী ২/২৩০; ফয়যুল কাদীর ৬/৪৩৩; তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৪/৩৭০; তরজুমানুস সুন্নাহ ২/৪১৬; বুলুগুল আরাব ফী মারিফাতি আহওয়ালিল আরব ২/৩১৫
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬১২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
জনৈক আলেম বলেছেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্মের সময় তাঁর...
প্রশ্ন
জনৈক আলেম বলেছেন, নবীজী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্মের সময় তাঁর মাতা স্বপ্নে একটি
নূর দেখেছেন, বাস্তবে কোনো নূর দেখেননি। আরেকজন আলেম বলেছেন, নবীজীর জন্মের
সময় বাস্তবেই নবীজীর মাতা নূর দেখেছেন। কার কথা সঠিক?
উত্তর
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর জন্মের সময় তার মাতা নূর দেখেছেন এ কথাই সঠিক। মুসনাদে
আহমদ, সুনানে দারেমীসহ অনেক কিতাবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে তা বর্ণিত হয়েছে।
হযরত উতবা ইবনে আবদুস সুলামী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তাঁর মাতা বলেছেন যে, আমার ভূমিষ্ট হওয়ার সময় তিনি এমন একটি নূর দেখেছেন, যাদ্দারা সিরিয়ার প্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে গিয়েছিল।- মুসনাদে আহমদ ৪/১৮৪; সুনানে দারেমী ১/২৫০-৫১; দালাইলুন নুবুওয়াহ, বাইহাকী ২/৮; মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/৪০৭)
সুতরাং নবীজীর জন্মের সময় তাঁর মাতা নূর দেখেননি-একথা ঠিক নয়।
হযরত উতবা ইবনে আবদুস সুলামী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তাঁর মাতা বলেছেন যে, আমার ভূমিষ্ট হওয়ার সময় তিনি এমন একটি নূর দেখেছেন, যাদ্দারা সিরিয়ার প্রাসাদগুলো আলোকিত হয়ে গিয়েছিল।- মুসনাদে আহমদ ৪/১৮৪; সুনানে দারেমী ১/২৫০-৫১; দালাইলুন নুবুওয়াহ, বাইহাকী ২/৮; মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/৪০৭)
সুতরাং নবীজীর জন্মের সময় তাঁর মাতা নূর দেখেননি-একথা ঠিক নয়।
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৬০৪
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
শুনেছি, মৃত ব্যক্তিকে কবরে রেখে ফিরে আসার সময় মৃত ব্যক্তি...
প্রশ্ন
শুনেছি, মৃত ব্যক্তিকে কবরে রেখে
ফিরে আসার সময় মৃত ব্যক্তি লোকদের পায়ের জুতার আওয়াজ শুনতে পায়। একথা
বিশ্বাস করা কি ঠিক? হাদীসে এ ধরনের কোনো কথা আছে কি?
উত্তর
হ্যাঁ, এ কথা বিশুদ্ধ সূত্রে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত। হাদীস শরীফে
আছে, হযরত আনাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেছেন, বান্দাকে কবরে রাখার পর তার সঙ্গীরা যখন চলে যায় (এমনকি
ফিরার সময়) মৃত ব্যক্তি তাদের পায়ের জুতোর আওয়াজ শুনতে পায় তখন দু’ জন
ফেরেশতা তার নিকট আসেন। ...।
-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৩৭৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৮৭০
-সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৩৭৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৮৭০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৯৩
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
শুনেছি যে, আকীকায় মাদা বকরি যবাই করতে হয়। কেউ যদি...
প্রশ্ন
শুনেছি যে, আকীকায় মাদা বকরি যবাই করতে হয়। কেউ যদি মাদা বকরির পরিবর্তে নর ছাগল যবাই করে তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে?
উত্তর
মাদা বকরি বা নর ছাগল যে কোনোটি দ্বারা আকীকা করা যায়। মাদা বকরি দিয়েই আকীকা করতে হয়-এ কথা ভিত্তিহীন।
-জামে তিরমিযী ১/১৮২-১৮৩; সুনানে নাসায়ী ২/১৬৭; মুয়াত্তা ইমাম মালেক ১৮৬; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১২/৩২২
-জামে তিরমিযী ১/১৮২-১৮৩; সুনানে নাসায়ী ২/১৬৭; মুয়াত্তা ইমাম মালেক ১৮৬; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১২/৩২২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৯২
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
আমি একজন আলেমকে স্বাস্থ্য রক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে নিম্নোক্ত...
প্রশ্ন
আমি একজন আলেমকে স্বাস্থ্য রক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে নিম্নোক্ত হাদীসটি বলতে শুনেছি।
المعدة بيت الداء، والحمية رأس الدواء، وأعط كل بدن ما عودته
(অর্থাৎ) উদর হল সর্বরোগের কেন্দ্র। আর খাদ্য-সংযম সর্বরোগের মহৌষধ। দেহকে তা-ই দাও, যাতে তাকে অভ্যস্ত করেছ। জানার বিষয় হল, এটি কি হাদীস। হাদীস হলে তা কোন কিতাবে আছে? জানিয়ে উপকৃত করবেন।
المعدة بيت الداء، والحمية رأس الدواء، وأعط كل بدن ما عودته
(অর্থাৎ) উদর হল সর্বরোগের কেন্দ্র। আর খাদ্য-সংযম সর্বরোগের মহৌষধ। দেহকে তা-ই দাও, যাতে তাকে অভ্যস্ত করেছ। জানার বিষয় হল, এটি কি হাদীস। হাদীস হলে তা কোন কিতাবে আছে? জানিয়ে উপকৃত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত কথাটি কোথাও হাদীস
হিসেবে উল্লেখেতি হলেও হাদীস বিশারদগণ বলেছেন, এটি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস হিসেবে প্রমাণিত নয়; বরং তা
আরবের প্রসিদ্ধ চিকিৎসক হারিস ইবনে কালদাহ-এর উক্তি।
অতএব তা হাদীস হিসেবে বর্ণনা করা যাবে না।
-আলমাকাসিদুল হাসানাহ পৃ. ৬১১; কাশফুল খাফা ২/৯৩; আদ্দুরারুল মুনতাছিরাহ ১৬৮; আল লাআলিল মানসুরাহ ১৪৫; আলফাওয়াইদুল মাজমূআহ ১৬৬; যাদুল মাসীর ৩/১৮৮; রুহুল মাআনী ৫/১১০; তাফসীরে কুরতুবী ৭/১৯২
অতএব তা হাদীস হিসেবে বর্ণনা করা যাবে না।
-আলমাকাসিদুল হাসানাহ পৃ. ৬১১; কাশফুল খাফা ২/৯৩; আদ্দুরারুল মুনতাছিরাহ ১৬৮; আল লাআলিল মানসুরাহ ১৪৫; আলফাওয়াইদুল মাজমূআহ ১৬৬; যাদুল মাসীর ৩/১৮৮; রুহুল মাআনী ৫/১১০; তাফসীরে কুরতুবী ৭/১৯২
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
ফতোয়া নং: ৫৫৬৭
তারিখ: ২৭/১০/২০১৭
বিষয়: বিবিধ
হাবশার বিখ্যাত বাদশা নাজাসী যিনি মুসলমানদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং নিজেও...
প্রশ্ন
হাবশার বিখ্যাত বাদশা নাজাসী যিনি
মুসলমানদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং নিজেও মুসলমান হয়েছিলেন রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তাঁর সাক্ষাত হয়েছিল কি? অর্থাৎ
তিনি কি সাহাবী? জানতে চাই।
উত্তর
হাবশার বাদশা নাজাশী রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তবে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে যেহেতু তার সাক্ষাৎ
হয়নি তাই তিনি সাহাবী নন; বরং তাবেয়ী। কেননা সাহাবী হওয়ার জন্য শর্ত হল,
ঈমানের সাথে জীবদ্দশায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে
সাক্ষাত হওয়া।
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৭২৭৬; আলইসাবা ১/২০৫; শরহুল মুহাযযাব ৫/২১০; উসদুল গাবা ১/১১৮; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪/১১৪; রাফউ শানিল হুবশান ১২০
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৭২৭৬; আলইসাবা ১/২০৫; শরহুল মুহাযযাব ৫/২১০; উসদুল গাবা ১/১১৮; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪/১১৪; রাফউ শানিল হুবশান ১২০
উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
0 মন্তব্যসমূহ