আবদুল্লাহ্ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাযি.) বর্ণনা করেনঃ ‘‘যারা ঈমান এনেছে এবং নিজেদের ঈমানকে শিরকের সাথে মিশ্রিত করেনি’’- (সূরাহ্ আন্‘আম ৬/৮২)। এ আয়াত নাযিল হলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সহাবীগণ বললেন, ‘আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে যুলুম করেনি?’ তখন আল্লাহ্ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ ‘‘নিশ্চয়ই শির্ক হচ্ছে অধিকতর যুলুম’’- (সূরাহ্ লুকমান ৩১/১৩)। [1]
‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তারা তাদের ঈমানকে যুলুম দ্বারা কলূষিত করেনি- (আল-আন্‘আম ৮২)। তখন আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কে এমন আছে, যে নিজের উপর জুলুম করেনি? তিনি বললেন, তোমরা যা বলছ ব্যাপারটি তা নয়। বরং তাদের ঈমানকে ‘জুলুম’ অর্থাৎ শির্ক দ্বারা কলূষিত করেনি। তোমরা কি লুকমানের কথা শুননি? তিনি তাঁর পুত্রকে বলেছিলেন, ‘‘হে বৎস! আল্লাহর সঙ্গে কোন রকম শির্ক করো না। নিশ্চয় শির্ক একটা বিরাট জুলুম।’’ (লুকমানঃ ১৩) [2]
আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাযিল হলঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুমের দ্বারা কলুষিত করেনি- (আল-আন‘আম ৮২)। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহাবীগণ বললেন, আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি আছে যে, নিজের ঈমানকে জুলুমের দ্বারা কলুষিত করেনি? তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করো না। কেননা শির্ক হচ্ছে এক মহা জুলুম- (লুকমান ১৮)। [3]
আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত নাযিল হলঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুমের দ্বারা কলুষিত করেনি- (আল-আন‘আম ৮২)। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহাবীগণ বললেন, আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি আছে যে, নিজের ঈমানকে জুলুমের দ্বারা কলুষিত করেনি? তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করো না। কেননা শির্ক হচ্ছে এক মহা জুলুম- (লুকমান ১৮)। [3]
আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াতে কারীমা নাযিল হলঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুমের দ্বারা কলুষিত করেনি। তখন তা মুসলিমদের পক্ষে কঠিন হয়ে গেল। তারা আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি আছে যে নিজের উপর য়ুল্ম করেনি? তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এখানে অর্থ তা নয় বরং এখানে জুলুমের অর্থ হলো শির্ক। তোমরা কি কুরআনে শুননি লুকমান তাঁর ছেলেকে নাসীহাত দেয়ার সময় কী বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, ‘‘হে আমার বৎস! তুমি আল্লাহর সঙ্গে শির্ক করো না। কেননা, নিশ্চয়ই শির্ক এক মহা জুলুম। [4]
[1]( সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৩৩৬০ ৩৪২৮, ৩৪২৯, ৪৬২৯, ৪৭৭৬, ৬৯১৮, ৬৯৩৭; মুসলিম ১/৫৬ হাঃ ১২৬, আহমাদ ৪০৩১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩১)
[2]সহীহ বুখারী (তাওহীদ),৩৩৬০ আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১১১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩১১৯)
[3] সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৩৪২৮, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৭৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩১৮৪)
[4]সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৩৪২৯ আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৭৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩১৮৫)
[2]সহীহ বুখারী (তাওহীদ),৩৩৬০ আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১১১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩১১৯)
[3] সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৩৪২৮, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৭৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩১৮৪)
[4]সহীহ বুখারী (তাওহীদ), ৩৪২৯ আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৭৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩১৮৫)
0 মন্তব্যসমূহ