{إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنْصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ}
হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া আর আস্তানা ও ভাগ্য নির্ধারক তীর ঘৃণিত শয়তানী কাজ, তোমরা তা বর্জন কর, যাতে তোমরা সাফল্যমন্ডিত হতে পার। সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫ঃ ৯০)
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি কসম করে বলে, ‘লাত ও উয্যার কসম’, সে যেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে। আর যে ব্যক্তি তার সঙ্গীকে বলে, ‘এস তোমার সাথে জুয়া খেলি’, সে যেন সাদকাহ করে।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]
আহমদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) .......... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরআনের এ আয়াতদ্বয়ঃ (১) ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না, এবং (২) তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে মদ ও জুয়া সম্পর্কে। আপনি বলুনঃ এ দু'টি ভয়ংকর গুনাহের কাজ এবং মানুষের কিছু উপকারও এতে রয়েছে। এ দু'টি আয়াতের হুকুমকে সূরা মায়িদার এ আয়াতঃ নিশ্চয় মদ, জুয়া ইত্যাদি এরূপ জঘণ্য শয়তানী কাজ, যা দ্বারা শয়তান মানুষের মধ্যে দুশমনী সৃষ্টি করে- আয়াতের শেষ পর্যন্তঃ রহিত করে দিয়েছে।[2]
মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ........... ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শরাব পান করতে, জুয়া খেলতে, ঢোল বা তবলা বাজাতে এবং ঘরের তৈরী শরাব পান করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেনঃ প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তুই হারাম। [3]
আবূ তাহির ও হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কসম করে এবং সে কসম করতে গিয়ে বলে, লা'তের কসম, সে যেন (এর পরপরই) বলে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ আর যে ব্যক্তি তার সাথীকে বলে, এসো, তোমার সাথে জুয়া খেলি, সে যেন (এর সাথে সাথেই) কিছু সাদাকা করে দেয়। [4]
[1] সহীহুল বুখারী ৪৮৬০, ৬১০৭, ৬৩০১, ৬৬৫০, মুসলিম ১৬৪৭, তিরমিযী ১৫৪৫, নাসায়ী ৩৭৭৫, আবূ দাউদ ৩২৪৭, ইবনু মাজাহ ২০৯৬, আহমাদ ৮০২৫
[2]আবু দাউদ ৩৬৩১,
[3]আবু দাউদ ৩৬৪৪
[4] মুসলিম ৪১১৪
[2]আবু দাউদ ৩৬৩১,
[3]আবু দাউদ ৩৬৪৪
[4] মুসলিম ৪১১৪
0 মন্তব্যসমূহ