প্রথম ফতোয়া
প্রশ্ন : সূরা
ইখলাস পাঠ করে কেউ যদি মৃত ব্যক্তিকে ঈসালে সাওয়াব করে, তাহলে মৃত ব্যক্তি কি উপকৃত
হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কি
করতেন, কবরবাসীর জন্য তিনি কি তিলাওয়াত করতেন, না শুধু দোয়া করতেন?
উত্তর :
প্রথমত : কেউ যদি কুরআন
তিলাওয়াত করে মৃত ব্যক্তিকে ঈসালে সাওয়াব করে, আলেমদের বিশুদ্ধ মতানুযায়ী এ সাওয়াব
মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছায় না, কারণ এটা মৃত ব্যক্তির আমল নয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন
:
﴿وَأَنْ لَيْسَ
لِلْإِنْسَانِ إِلَّا مَا سَعَى﴾
{আর এই যে, মানুষ যা চেষ্টা করে, তাই সে পায়।} {সূরা
নাজম: ৩৯}
এ
তিলাওয়াত জীবিত ব্যক্তির চেষ্টা বা আমল, এর সাওয়াব সে নিজেই পাবে, অন্য কাউকে সে ঈসালে
সাওয়াব করার অধিকার রাখে না। এ সংক্রান্ত সৌদি আরবের “ইলমি গবেষণা ও ফতোয়ার স্থায়ী
ওলামা পরিষদ” এর একটি বিস্তারিত ফতোয়া রয়েছে, নিচে তা উল্লেখ করা হলো :
প্রশ্ন : কবর
জিয়ারতের সময় সূরা ফাতেহা পাঠ করা, অথবা কুরআনের কোন অংশ পাঠ করা কি বৈধ, আর এর
দ্বারা সে কি উপকৃত হবে ?
উত্তর :
বিশুদ্ধ
হাদিস থেকে প্রমাণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করতেন
এবং কিছু বাক্য দ্বারা তিনি কবরবাসীদের জন্য দু‘আ করতেন, যা তিনি সাহাবাদের
শিখিয়েছেন, তারাও তার থেকে শিখে নিয়েছে। যেমন :
السلام عليكم اهل الديار من المؤمنين والمسلمين، وانا ان شاء الله
بكم لاحقون، نسال الله لنا ولكم العافية
হে
কবরবাসী মুমিন ও মুসলমানগণ, তোমাদের উপর সালাম, ইনশাআল্লাহ অতিসত্বর আমরা তোমাদের
সাথে মিলিত হবো, আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য ও তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা
করছি।” [ইবনে মাজাহ : ১৫৩৬]
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করার সময় কুরআন বা তার কোন আয়াত তিলাওয়াত
করেছেন এমন প্রমাণিত নয়, অথচ তিনি খুব কবর যিয়ারত করতেন। যদি তা বৈধ হত বা মৃতরা
তার দ্বারা উপকৃত হত, তাহলে অবশ্যই তিনি তা করতেন এবং সাহাবাদের নির্দেশ দিতেন। বরং
নবুওয়তের দায়িত্ব আদায়, উম্মতের প্রতি দয়া ও সাওয়াবের বিবেচনায় এটা তার কর্তব্য
ছিল। কারণ, তার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেছেন :
﴿لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ
مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ
بِالْمُؤْمِنِينَ رَؤُوفٌ رَحِيمٌ﴾
{নিশ্চয়
তোমাদের নিজেদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক
যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম
দয়ালু।} [সূরা তওবা: ১২৮]
অতএব,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে দয়া, উম্মতের কল্যাণ কামনা ও
অনুগ্রহ থাকা সত্বেও যেহেতু তিনি তা করেন নি, তাই প্রমাণ করে যে এটা না-জায়েয। সাহাবায়ে
কেরাম তাই বুঝেছেন এবং এর উপরই তারা আমল করেছেন, Ñআল্লাহ তাদের সকলের উপর সন্তুষ্ট হোনÑ তারা কবর যিয়ারতের
সময় মৃতদের জন্য দু‘আ করতেন ও নিজেরা নসিহত হাসিল করতেন। তারা মৃতদের জন্য কুরআন
তিলাওয়াত করেন নি। তাই প্রমাণিত হল যে, কবর যিয়ারতের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা পরবর্তীতে
আবিষ্কৃত বিদ‘আত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد
“আমাদের
এ দ্বীনে যে এমন কিছু আবিষ্কার করল, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তা পরিত্যাক্ত।” [বুখারি:
২৫১২, মুসলিম: ৩২৪৮]
দ্বিতীয় ফতোয়া (প্রথম ফতোয়ার অবশিষ্টাংশ)
প্রশ্ন : আমরা
কতক মুসলিম দেশে দেখি, কুরআন তিলাওয়াতের জন্য লোক ভাড়া করা হয়, কুরআন তিলাওয়াত করে
বিনিময় গ্রহণ করা কি বৈধ ? বিনিময় দাতা কি এ জন্য গোনাহগার হবে ?
উত্তর :
কুরআন
তিলাওয়াত একটি খালেস ইবাদাত। মুসলিমগণ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও সাওয়াবের আশায় তা
সম্পাদন করবে, এসব ইবাদাতের মূল নীতিও তাই, এ জন্য কারো থেকে বিনিময় গ্রহণ বা কারো
কৃতজ্ঞতা আদায় করা যাবে না। সালাফ তথা আমাদের আদর্শ মনীষীদের থেকে প্রমাণিত নয় যে,
তারা মৃত ব্যক্তি, অলিমা অথবা অন্য কোন অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াতের জন্য কাউকে ভাড়া
করেছেন, অথবা তারা এর নির্দেশ দিয়েছেন কিংবা এর অনুমতি প্রদান করেছেন, অথবা তারা কেউ
কুরআন তিলাওয়াত করে বিনিময় গ্রহণ করেছেন, বরং তারা আল্লাহর নিকট সাওয়াবের আশায়
তিলাওয়াত করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন, যে
ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করে, সে যেন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে। তিনি মানুষের
নিকট প্রার্থনা থেকে সতর্ক করেছেন। সাহাবি ইমরান বিন হাসিন থেকে ইমাম তিরমিযি তার
সুনান গ্রন্থে বর্ণনা করেন :
عن عمران بن
حصين أنه مر على قاص يقرأ ثم سأل؛
فاسترجع ثم
قال: سمعت رسول الله ـ صلى الله عليه وسلم ـ يقول: "من قرأ القرآن فليسأل الله به، فإنه سيجيء أقوام يقرؤون القرآن يسألون به الناس"
ইমরান
ইবন হুস়াইন এক গল্পকারের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, যে তিলাওয়াত করে করে মানুষের
নিকট প্রার্থনা করত। তিনি এ দৃশ্য থেকে ইন্নালিল্লাহ পড়লেন। অতঃপর বললেন : আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শোনেছি :
“যে
ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াত করে, সে যেন তার ওসিলা দিয়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, কারণ
অতিসত্বর এমন এক দল আভির্ভূত হবে, যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে আর তার ওসিলা দিয়ে মানুষের
নিকট প্রার্থনা করবে।” [আহমদ : ৪/৪৩২Ñ৪৩৩, ৪৩৬Ñ৪৩৭, ৪৩৯, ৪৪৫, তিরমিযি
: ৫/১৭৯, হাদিস নং : (২৯১৭), ইবনে আবি শায়বাহ : ১০/৪৮০, তাবরানি : ১৮/১৬৬Ñ১৬৭, হাদিস নং : (৩৭০Ñ৩৭৪), বাগাভী : ৪/৪৪১, হাদিস নং : (১১৮৩)]
তবে
যেসব অবস্থায় তিলাওয়াতকারী ব্যতীত অপরের নিকটও কুরআনের উপকারিতা পৌঁছয়, সেসব
অবস্থায় বিনিময় গ্রহণ করা বৈধ, যেমন কুরআন শিক্ষা দেয়া অথবা কুরআনের মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক
করা ইত্যাদি। বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত,
সাহাবি আবু সাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এক পাল বকরী গ্রহণ করেছিলেন সূরা ফাতিহা দ্বারা এক ব্যক্তিকে ঝাড়-ফূঁক করে, যাকে বিষাক্ত কীট দংশন করে ছিল।
সাহাবি সাহল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হাদীসে রয়েছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মেয়েকে জনৈক ব্যক্তির নিকট এ শর্তে বিয়ে দেন যে, সে তার নিকট রক্ষিত কুরআন মেয়েকে শিক্ষা দেবে। [আহমদ : (৫/৩৩৬), বুখারি : হাদিস নং : (২৩১০), (৫০২৯), (৫০৩০), (৫০৮৭), (৫১২১), (৫১২৬), (৫১৩২), (৫১৩৫), (৫১৪১), (৫৮৭১), (৭৪১৭)]
অতএব, শুধু তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা অথবা তিলাওয়াতের জন্য কোন দল ভাড়া করা আদর্শ মনীষীদের রীতি ও সুন্নতের খিলাফ।
সাহাবি আবু সাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এক পাল বকরী গ্রহণ করেছিলেন সূরা ফাতিহা দ্বারা এক ব্যক্তিকে ঝাড়-ফূঁক করে, যাকে বিষাক্ত কীট দংশন করে ছিল।
সাহাবি সাহল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হাদীসে রয়েছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মেয়েকে জনৈক ব্যক্তির নিকট এ শর্তে বিয়ে দেন যে, সে তার নিকট রক্ষিত কুরআন মেয়েকে শিক্ষা দেবে। [আহমদ : (৫/৩৩৬), বুখারি : হাদিস নং : (২৩১০), (৫০২৯), (৫০৩০), (৫০৮৭), (৫১২১), (৫১২৬), (৫১৩২), (৫১৩৫), (৫১৪১), (৫৮৭১), (৭৪১৭)]
অতএব, শুধু তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা অথবা তিলাওয়াতের জন্য কোন দল ভাড়া করা আদর্শ মনীষীদের রীতি ও সুন্নতের খিলাফ।
দ্বিতীয়ত : উপদেশ গ্রহণ ও আখেরাত
স্মরণ করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করতেন। তিনি
নিজ পরিবারের মুসলিমদের জন্য দোয়া ও ইস্তেগফার করতেন, তাদের জন্য ‘আফিয়াত তথা নিরাপত্তা
প্রার্থনা করতেন। তিনি সাহাবাদের শিক্ষা দিতেন, যেন তারা কবর যিয়ারতের সময় বলে :
السلام عليكم اهل الديار من المؤمنين
والمسلمين، وانا ان شاء الله بكم لاحقون، نسال الله لنا ولكم العافية
“হে কবরবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ, তোমাদের
উপর সালাম, ইনশাআল্লাহ আমরা অতিসত্বর তোমাদের সাথে মিলিত হবো, আমরা আল্লাহর কাছে
আমাদের জন্য ও তোমাদের জন্য নিরাপত্তার প্রার্থনা করছি।” [ইবনে মাজাহ: ১৫৩৬]
আমাদের জানা মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন তিলাওয়াত করে মৃত ব্যক্তিদের ঈসালে সাওয়াব করেন নি। অথচ তিনি অধিক কবর যিয়ারত করতেন। তিনি ছিলেন মুমিনদের উপর দয়ালু ও মেহেরবান। আর আল্লাহই ভালো জানেন।
আমাদের জানা মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন তিলাওয়াত করে মৃত ব্যক্তিদের ঈসালে সাওয়াব করেন নি। অথচ তিনি অধিক কবর যিয়ারত করতেন। তিনি ছিলেন মুমিনদের উপর দয়ালু ও মেহেরবান। আর আল্লাহই ভালো জানেন।
সূত্র :
اللجنة الدائمة
للبحوث العلمية والافتاء
[আল-লাজনাতুদ দায়েমাহ্ লিল বুহুসিল ইলমিয়াহ ওয়াল ইফতা]
“ইলমি গবেষণা ও ফতোয়ার স্থায়ী পরিষদ”
সদস্য
|
ভাইস-চেয়ারম্যান
|
চেয়ারম্যান
|
আব্দুল্লাহ ইবন গুদাইয়ান
|
আব্দুর রাজ্জাক আফিফী
|
আব্দুল আযিয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায
|
তৃতীয় ফতোয়া
প্রশ্ন : কুরআন
তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের সাওয়াব কি মৃতদের নিকট পৌঁছয়? মৃত ব্যক্তির সন্তান
বা যার পক্ষ থেকেই হোক?
উত্তর :
আমরা
যতদূর জানি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন তিলাওয়াত করে নিকট
আত্মীয় বা অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সাওয়াব করেন নি। তিলাওয়াতের সাওয়াব
যদি মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছত বা এর দ্বারা সে কোনভাবে উপকৃত হত, তাহলে অবশ্যই তিনি
তা করতেন, উম্মতকে বাতলে দিতেন, যেন তাদের মৃতরা উপকৃত হয়। তিনি ছিলেন মুমিনদের উপর
দয়ালু ও অনুগ্রহশীল। তার পরবর্তীতে খুলাফায়ে রাশেদিন ও সকল সাহাবায়ে কেরাম তার
যথাযথ অনুসরণ করেছেন, Ñআল্লাহ তাদের সকলের উপর সন্তুষ্ট হোনÑ আমাদের জানা
মতে তারা কেউ কুরআন তিলাওয়াত করে ঈসালে সাওয়াব করেন নি। সুতরাং রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবাদের আদর্শ অনুসরণ করাই আমাদের জন্য কল্যাণ।
কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
اياكم ومحدثات الامور فان كل
محدثة بدعة، وكل بدعة ضلالة
“খবরদার!
তোমরা নতুন আবিষ্কৃত বস্তু থেকে সতর্ক থেকো, কারণ প্রত্যেক নতুন আবিষ্কৃত বস্তু
বিদ‘আত, আর প্রত্যেক বিদ‘আত গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতা।” [আবু দাউদ: ৩৯৯৩]
তিনি অন্যত্র বলেন :
তিনি অন্যত্র বলেন :
من أحدث في أمرنا هذا ما ليس
منه فهو رد
“যে আমাদের এ দ্বীনে এমন কিছু
আবিষ্কার করল, যা এর অন্তর্ভুক্ত নয়, তা পরিত্যক্ত।” [বুখারি: ২৫১২, মুসলিম: ৩২৪৮]
তাই
আমরা বলি, মৃতদের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা বা করানো জায়েয নয়, এর সাওয়াব তাদের
নিকট পৌঁছে না, বরং এটা বিদ‘আত। এ ছাড়া যেসব ইবাদাতের সাওয়াব মৃতদের নিকট পৌঁছে মর্মে
বিশুদ্ধ দলিল রয়েছে তা অবশ্য গ্রহণীয়। যেমন মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকা ও হজ করা মর্মে
বিশুদ্ধ দলিল রয়েছে। আর যে সব বিষয়ে কোন দলিল নেই তা বৈধ নয়। তাই প্রমাণিত হল, কুরআন
তিলাওয়াত করে মৃতদের ঈসালে সাওয়াব করা বৈধ নয়, তাদের নিকট এর সাওয়াব পৌঁছায় না, বরং
এটা বিদ‘আত। এটাই আলেমদের বিশুদ্ধ অভিমত। আর আল্লাহই ভালো জানেন।
সূত্র :
اللجنة الدائمة
للبحوث العلمية والافتاء
[আল-লাজনাতুদ দায়েমাহ্ লিল বুহুসিল ইলমিয়াহ ওয়াল ইফতা]
“ইলমি গবেষণা ও ফতোয়ার স্থায়ী পরিষদ”
সদস্য
|
ভাইস-চেয়ারম্যান
|
চেয়ারম্যান
|
আব্দুল্লাহ ইবন গুদাইয়ান
|
আব্দুর রাজ্জাক আফিফী
|
আব্দুল আযিয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায
|
সমাপ্ত
মুফতী : ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি
অনুবাদক : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব
0 মন্তব্যসমূহ