আপনি কি জানেন? প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র মাহে রমজান কিভাবে পালন করতেন, তাঁর প্রিয় উম্মত সেভাবে রমজান পালন করলে নিশ্চয় মহান আল্লাহ আমাদের অবশ্যই রহমতের চাদরে ঢেকে নেবেন।
চলুন জেনে নেই কিভাবে আমাদের সবার প্রিয় নবী (সা.) রমজানে রোজা রাখতেন-
রমজানুল মুবারকের আগমনে মহানবী (সা.) ইবাদতের যাবতীয় উপকরণে রোজার দিনগুলোকে সুশোভিত করে তুলতেন। সাজিয়ে নিতেন যাবতীয় ইবাদতে। অত্যন্ত আগ্রহ ও ব্যাকুলতার সঙ্গে তিনি সেহরি ও ইফতার গ্রহণ করতেন। সময় হওয়া মাত্রই তিনি ইফতার করতেন। সেহরি খেতেন কিছুটা দেরিতে। ইফতার করতেন ভেজা বা শুকনো খেজুর কিংবা সামান্য পানি দিয়ে। সেহরিতেও পছন্দ করতেন ভেজা খেজুর। তাঁর সেহরি ও ইফতার ছিল খুবই সাদাসিধে। তিরমিজি শরিফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে, রাসুল (সা.) মাগরিবের নামাজের আগে কয়েকটি ভেজা খেজুর দিয়ে ইফতার সেরে নিতেন। ভেজা খেজুর না থাকলে সাধারণ শুকনো খেজুরই গ্রহণ করতেন। যদি তাও না থাকত, তবে সামান্য পানি দিয়েই ইফতার করতেন। (তিরমিজি)
নাসায়ি শরিফের এক বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, হজরত আনাস (রা.) বলেন, “রাসুল (সা.) আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘হে আনাস, আমি রোজা রাখতে আগ্রহী, আমাকে আহার করাও।’ আমি তাঁর সামনে কিছু শুকনো খেজুর ও পাত্রে পানি রাখলাম। বেলালের প্রথম আজানের পর তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন।” এই ছিল রাসুল (সা.)-এর সেহরি ও ইফতার। তাঁর প্রিয় সাহাবাদের ইফতারের নমুনাও ছিল এমনই।
ইফতার শেষে নবী (সা.) যে দোয়াটি পাঠ করতেন, ‘জাহাবাজ-জমাউ, ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু, ওয়া ছাবাতাল আজরু ইনশা আল্লাহ।’ অর্থাৎ পিপাসা নিবারিত হয়েছে। সিক্ত হয়েছে শিরা-উপশিরা এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কারও নির্ধারিত হয়েছে। (আবু দাউদ)
তবে বর্তমানে আমরা কি করছি? আমরা যেভাবে ইফতার এবং সেহরি করছি তাতে রাজকীয় মানদণ্ড রয়েছে। এখানে গরীব দুঃখীকে অনুভব করার চেয়ে উৎসব আনন্দ এবং বিলাসিতা স্থান করে নিয়েছে। আমাদের একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই রমজানে নিজেদের নবী (সা.) আদর্শে পরিচালিত করা উচিত। মনে রাখবেন ইসলামের বিধান হচ্ছে শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা।
দশ দুনিয়ার সমান জান্নাত দিয়ে মানুষ কি করবে? জিবরাইল (আঃ) এখন কোথায়?
শিশুর সুমধুর কন্ঠে সূরা আল ফাতিহা। কোরান তিলাওয়াত।
চলুন জেনে নেই কিভাবে আমাদের সবার প্রিয় নবী (সা.) রমজানে রোজা রাখতেন-
রমজানুল মুবারকের আগমনে মহানবী (সা.) ইবাদতের যাবতীয় উপকরণে রোজার দিনগুলোকে সুশোভিত করে তুলতেন। সাজিয়ে নিতেন যাবতীয় ইবাদতে। অত্যন্ত আগ্রহ ও ব্যাকুলতার সঙ্গে তিনি সেহরি ও ইফতার গ্রহণ করতেন। সময় হওয়া মাত্রই তিনি ইফতার করতেন। সেহরি খেতেন কিছুটা দেরিতে। ইফতার করতেন ভেজা বা শুকনো খেজুর কিংবা সামান্য পানি দিয়ে। সেহরিতেও পছন্দ করতেন ভেজা খেজুর। তাঁর সেহরি ও ইফতার ছিল খুবই সাদাসিধে। তিরমিজি শরিফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে, রাসুল (সা.) মাগরিবের নামাজের আগে কয়েকটি ভেজা খেজুর দিয়ে ইফতার সেরে নিতেন। ভেজা খেজুর না থাকলে সাধারণ শুকনো খেজুরই গ্রহণ করতেন। যদি তাও না থাকত, তবে সামান্য পানি দিয়েই ইফতার করতেন। (তিরমিজি)
নাসায়ি শরিফের এক বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, হজরত আনাস (রা.) বলেন, “রাসুল (সা.) আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘হে আনাস, আমি রোজা রাখতে আগ্রহী, আমাকে আহার করাও।’ আমি তাঁর সামনে কিছু শুকনো খেজুর ও পাত্রে পানি রাখলাম। বেলালের প্রথম আজানের পর তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন।” এই ছিল রাসুল (সা.)-এর সেহরি ও ইফতার। তাঁর প্রিয় সাহাবাদের ইফতারের নমুনাও ছিল এমনই।
ইফতার শেষে নবী (সা.) যে দোয়াটি পাঠ করতেন, ‘জাহাবাজ-জমাউ, ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু, ওয়া ছাবাতাল আজরু ইনশা আল্লাহ।’ অর্থাৎ পিপাসা নিবারিত হয়েছে। সিক্ত হয়েছে শিরা-উপশিরা এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কারও নির্ধারিত হয়েছে। (আবু দাউদ)
তবে বর্তমানে আমরা কি করছি? আমরা যেভাবে ইফতার এবং সেহরি করছি তাতে রাজকীয় মানদণ্ড রয়েছে। এখানে গরীব দুঃখীকে অনুভব করার চেয়ে উৎসব আনন্দ এবং বিলাসিতা স্থান করে নিয়েছে। আমাদের একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই রমজানে নিজেদের নবী (সা.) আদর্শে পরিচালিত করা উচিত। মনে রাখবেন ইসলামের বিধান হচ্ছে শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা।
দশ দুনিয়ার সমান জান্নাত দিয়ে মানুষ কি করবে? জিবরাইল (আঃ) এখন কোথায়?
0 মন্তব্যসমূহ